‘টাকা না পেয়ে জমজ শিশুসহ মাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল’ | 'Mother was evicted with twins without money'


হাসপাতালে বিল পরিশোধ করতে না পেরে সময় চাওয়ায় রাজধানীর শ্যামলীতে আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুরুতর অসুস্থ যমজ শিশুকে বের করে দেয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, শিশুদের মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে আজ মোহাম্মদপুর থানায় মামলায় করেছেন। মামলায় হাসপাতালের মালিক গোলাম সরোয়ার ও পরিচালক সোয়েব খানকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে র‌্যাব গোলাম সরোয়ারকে আটক করেছে।


র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, শ্যামলীর আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি পরিচালনায় যে নীতিমালা তা মেনে চলছে কি না তা দেখতে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। এই হাসপাতালের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র আমরা পাইনি। সেখানে আমরা মাত্র একজন চিকিৎসক পেয়েছি, যেখানে ৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা ছিল। আমরা একজন নার্স পেয়েছি। চিকিৎসক যাকে পেয়েছি, তিনি আইসিইউ-এনআইসিইউ বিশেষজ্ঞ না। তিনি এমবিবিএস চিকিৎসক। তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছিলেন।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, শিশু হাসপাতাল বা স্বনামধন্য হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে এনআইসিইউ-আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে রোগীদের নিয়ে আসা হতো। পরবর্তীতে এনআইসিইউ-আইসিইউতে ভর্তি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা লাভের আশায় বড় বিল তৈরি করে দেওয়া হতো। বিলিং যে সিস্টেম—ভাউচার দেওয়া, সেখানে কোনো বিল দেওয়া হয় না। মালিক গোলাম সারোয়ার তিনি মূলত যে বিল নির্ধারণ করেন সেটাই নেওয়া হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি নিয়ম আছে, কোন বিষয়ে কত টাকা নেওয়া যাবে। কোন পরীক্ষার কত খরচ সেই তালিকা ঝোলানো অবস্থায় পাওয়া যায়নি। একজন রোগীর কাছে অভিযোগ পেয়েছি, ডাক্তার বাবদ, নার্স বাবদ কত—প্রতিটি বিষয়ে বিল করা হতো। পাশাপাশি ১৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেওয়া হতো।


এখানে যে ঘটনাটা ঘটেছে, দালালদের মাধ্যমে তারা জানতে পারে ভুক্তভোগীর স্বামী সৌদি আরবে থাকেন। তাদের উচ্চাশা ছিল অনেক মুনাফা তাদের কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব। পরবর্তীতে যখন দেখেছে ৪০ হাজার টাকার বেশি আপাতত দিতে পারছেন না। সময় চাচ্ছে। আর রোগীর অবস্থাও কিছুটা সংকটাপন্ন ছিল। এ জন্যই জোর করে জমজ শিশুসহ মাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, বলেন মঈন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget