Articles by "ভারত"
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল

ভারতের হরিদ্বারে হিন্দু সাধুসন্তদের একটি ধর্মীয় সমাবেশ থেকে প্রকাশ্যে মুসলিম নিধন ও গণহত্যার ডাক ওঠার পর তার জেরে ভারতকে এখন কূটনৈতিক বিড়ম্বনাতেও পড়তে হচ্ছে।

হরিদ্বারের ওই সমাবেশ থেকে যেভাবে মুসলিমদের হত্যার কথা বলা হয়েছে তাতে তাদের উদ্বেগ জানাতে পাকিস্তান মঙ্গলবার ইসলামাবাদে ভারতের দূতকেও ডেকে পাঠিয়েছিল।

পাকিস্তানে ভারতের সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ, ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের শার্জ দ্য'ফেয়ারকে তলব করে ওই ঘটনায় পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতিবাদও জানিয়েছে।

তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে হরিদ্বারের ওই বিতর্কিত সমাবেশ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

শাসক দল বিজেপির নেতারা কেউ কেউ শুধু বলেছেন, ওই ধর্মীয় সমাবেশের সঙ্গে তাদের বা সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।

এর আগে হরিদ্বারের ওই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টকে স্বত:প্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিতেও আর্জি জানিয়েছেন ভারতের শীর্ষ আইনজীবীরা।

দেশের প্রধান বিচারপতিকে লেখা এক খোলা চিঠিতে ৭৬জন সিনিয়র আইনজীবী বলেছেন, এই গণহত্যার আহ্বানের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপ খুব জরুরি - কারণ প্রশাসন কিছুই করছে না।

ইতিমধ্যে হরিদ্বারের ওই সমাবেশে বক্তাদের বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণের নানা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে মুসলিমদের নির্মূল করতে সরাসরি অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

কিন্তু ঘটনার পর প্রায় দিন দশ-বারো কেটে গেলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করেনি।

মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক কথা বলার জন্য পরিচিত গাজিয়াবাদের বিতর্কিত হিন্দু সাধু ইয়তি নরসিংহানন্দের উদ্যোগে হরিদ্বারে একটি ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল গত ১৭ থেকে ২০শে ডিসেম্বর।

সেই সমাবেশে সাধুসন্তরা যেভাবে প্রকাশ্যে মুসলিমদের 'এথনিক ক্লিনসিং' বা গণহত্যার ডাক দিয়েছেন, তা দেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে তীব্র আলোড়ন ফেলেছে।

'হিন্দু রক্ষা সেনা'র প্রবোধানন্দ গিরিকে সেই সমাবেশে বলতে শোনা যায়, "হিন্দুদের হয় মরার জন্য প্রস্তুত থাকতে হব - নইলে মরতে হবে।"


এদেশের পুলিশ, সেনা, রাজনৈতিক নেতা ও প্রত্যেক হিন্দুকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্মূল অভিযানে নামারও ডাক দেন তিনি।

এই সন্ন্যাসীকে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে প্রায়শই দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি পোস্ট করেন যোগী আদিত্যনাথ বা উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার ছবি।

সাধ্বী অন্নপূর্ণা নামে একজন সন্ন্যাসিনী বলেন, "ওদের নিকেশ করতে হলে মারতে হবে - আমাদের একশোজন হিন্দু সেনা চাই যারা ওদের বিশ লক্ষকে খতম করতে পারবে।"

সমাবেশে বক্তারা অনেকেই দেশে হিন্দুত্ববাদী বা 'গৈরিক' সংবিধান চালু করারও দাবি জানান।

সমাজকর্মী রাম পুনিয়ানি বিবিসিকে বলছিলেন, "সবচেয়ে আক্ষেপের বিষয় হল এই সব ভিডিও সামনে আসার পরও দেশের মিডিয়া এগুলোকে গুরুত্ব দেয়নি, পুলিশও চারদিন পর দায়সারা এফআইআরের বেশি কিছু করেনি।"

"আর এইভাবে ক্রমাগত আমরা মুসলিমদের কোণঠাসা করে ঘেটো-তে ঠেলে দিচ্ছি, তাদের মধ্যে অরক্ষিত থাকার ভয় আর আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসছে।"

ভারতের নামী ঐতিহাসিক ইরফান হাবিবও মনে করছেন, রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে এই চরম ঘৃণার নিন্দা হওয়া উচিত।

সেই সঙ্গেই তাঁর আক্ষেপ, "রাষ্ট্র দোষীদের বিরুদ্ধে কিছুই করছে না। এই ধরনের লোকজন দেশে আগেও ছিল, কিন্তু এই প্রথম তারা কোনও শাস্তির ভয় ছাড়াই বুক ফুলিয়ে গণহত্যার ডাক দিতে পারছে।"

"মিয়ানমারের মতো এদেশেও একটি জাতিগোষ্ঠীর লোককে নিকেশ করার, দেশ থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে - আর আমরা বসে বসে দেখছি।"

উত্তরাখন্ড রাজ্যের পুলিশ প্রথমে হাত গুটিয়ে থাকলেও ওই ধর্ম সংসদ শেষ হওয়ার চারদিন পর একটি এফআইআর রুজু করে মাত্র একজনকে অভিযুক্ত করে - পরে তাতে আরও দুজনের নাম যোগ করা হয়।

এখনও ওই সমাবেশের বক্তাদের কাউকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয়নি, আর এই নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রশান্ত ভূষণ, দুষ্যন্ত দাভে বা সালমান খুরশিদের মতো দেশের শীর্ষ আইনজীবীরা।

প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানাকে লেখা চিঠিতে অন্যতম স্বাক্ষরকারী রামাকান্ত গৌড় বলছিলেন, "আমরা এই হস্তক্ষেপ চাইতে বাধ্য হয়েছি কারণ সংবিধানের অন্য স্তম্ভগুলো - নির্বাহী বিভাগ বা রাজনৈতিক নেতৃত্ব সবাই একেবারে নীরব।"

"না কি তাদের এই বক্তব্যে সায় আছে? এটা আসলে ভীষণই বিচলিত করার মতো ব্যাপার!"

শীর্ষ বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যে কেউ এই ধর্ম সংসদের আহ্বানকে অবশ্য সমর্থন করেননি, তবে বিজেপি ভাবধারার তাত্ত্বিকরা কেউ কেউ মুসলিম নেতাদের বিতর্কিত আহ্বানের প্রসঙ্গও তুলনায় টেনে আনছেন।

দিল্লি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গীতা ভাট যেমন যুক্তি দিচ্ছেন, মাত্র দুবছর আগে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময়েও মুসলিম নেতারা অনেক বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন।

"ব্যাঙ্গালোরে এআইএমআইএমের একজন নেতা তো এমনও বলেছিলেন, আমরা সংখ্যায় মাত্র ১৫ কোটি হলেও ওদের উচিত শিক্ষা দিতে পারি, আজাদি ছিনিয়ে নিতে পারি।''

''তা ওই সব বক্তব্যের জন্য কেউ কি গ্রেপ্তার হয়েছে, বা কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে?", বলছেন অধ্যাপক ভাট ।

তবে হরিদ্বারে হিন্দু সাধুসন্তরা যে ধরনের ভাষণ দিয়েছেন, আসলে কোনও যুক্তিতেই তার সাফাই হয় না বলে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ার গরিষ্ঠ অংশের মত।


টি-টোয়েন্টির পর এক দিনের ক্রিকেটেও ভারতীয় দলের নেতৃত্ব খোয়ালেন বিরাট কোহলি। তবে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণের সময় নিজেই জানিয়েছিলেন নেতৃত্ব ছাড়ার কথা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর যে ভারতকে এই ধরনের ক্রিকেটে আর নেতৃত্ব দেবেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু এক দিনের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে তেমনটা হলো না। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হলো, সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে।

এমনিতে বুধবার একেবারে আড়ম্বরহীনভাবে বিরাটকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। এমনকি পৃথকভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও করা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতেই নিচে এক বাক্যে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে একদিন এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক হচ্ছেন রোহিত। তাতে বিরাটের নামও নেয়া হয়নি। সাফল্যের সাথে (পরিসংখ্যান অনুযায়ী) ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতের নেতৃত্ব দিলেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ডের তরফে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি। টুইটারেও যে ঘোষণা করা হয়, তাতেও বিরাটের নাম নেয়া হয়নি। রোহিতের ছবি এবং নাম দেয়া হয়। তাকে ট্যাগ করা হয়।


সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর কোহলিকে নেতৃত্ব ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু অধিনায়কত্ব ছাড়তে রাজি ছিলেন না তিনি। এরপরেই বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘোষণা করে দেয়া হয় নতুন অধিনায়কের নাম। কোহলিকে যে নেতৃত্ব থেকে সরানো হতে পারে সেই জল্পনা ছিলই। কিন্তু বোর্ডের পক্ষ থেকে কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরানো নিয়ে কোনো কিছুই বলা হয়নি। শুধুমাত্র ঘোষণা করে দেয়া হয় টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত। প্রায় হঠাৎ করেই সাদা বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব হারালেন কোহলি।

তবে সূত্রের ভিত্তিতে পিটিআই জানিয়েছে, একদিনের ক্রিকেটে যে অধিনায়ক হিসেবে কোহলির সময় শেষ হয়ে এসেছে, তা আগেই লেখা হয়েছিল। বিশেষত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে যাওয়ার পরই কোহলির ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তবে ভারতীয় বোর্ড কোহলিকে সম্মানের সাথে বিদায় জানাতে চেয়েছিল। সে পথে হাঁটেননি কোহলি। ভারতীয় বোর্ডকে চরম পদক্ষেপ করার ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়েছিলেন বলে মনে করছে একটি মহল। সেই ‘চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করে বিসিসিআই। যে বোর্ডের শীর্ষে এমন একজন আছেন, যিনি এককালে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন। ‘বরখাস্ত’ করে দেয় বিরাটকে। যা বিরাটের মেনে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না বলে জানিয়েছে পিটিআই।


উল্লেখ্য, পিটিআই জানিয়েছে, অনেকেই এই ঘটনায় অবাক নন। বরং ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ধারেকাছে থাকা ব্যক্তিরা একেবারে আলোর মতো 'গোপন' বিষয়টা জানতেন যে কোহলি মোটেও দলের সবথেকে জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন না। দলের একাংশ ক্রমশ তার থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন বলে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বছরদুয়েক আগে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে কাটানো এক খেলোয়াড়কে উদ্ধৃত করে পিটিআই বলেছেন, 'বিরাটের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টি। ও (বিরাট) মুখে স্পষ্ট কথাবার্তার কথা বলে। কিন্তু উপযুক্ত কথাবার্তার অভাবেই নেতা হিসেবে সম্মান হারিয়ে ফেলেছিল।' পিটিআই জানিয়েছে, আর ঠিক সেখানেই রোহিত খেলোয়াড়দের কাছের হয়ে উঠেছিলেন।

২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। তার আগে নতুন অধিনায়ক যথেষ্ট সময় দিতে চাইছে বোর্ড। সেই জন্যই এখন থেকেই দলের নেতৃত্ব তুলে দেয়া হলো রোহিতের হাতে। কোহলির নেতৃত্বে আইসিসি-র কোনো ট্রফি জিততে পারেনি ভারত। তার নেতৃত্ব নিয়ে দলের অন্দরেই বার বার প্রশ্ন উঠছিল। বোর্ডের কাছে সিনিয়র খেলোয়াড়দের থেকে অভিযোগ এসেছিল বলেও শোনা যায়। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় ভারতকে। বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার হারতে হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কোচ রবি শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষ হতেই শেষ হলো সাদা বলের ক্রিকেটে কোহলির নেতৃত্বের মেয়াদ।


এক দিনের ক্রিকেটে ভারতকে ৯৫টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। জিতেছেন ৬৫টি ম্যাচে। হেরেছেন ২৭টি। দু’টি ম্যাচের কোনো ফল হয়নি, একটি ম্যাচ টাই হয়। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ছায়ায় তৈরি হয়েছিলেন নেতা কোহলি। বিশ্বকাপের দু’বছর আগে সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয়েছিল তার হাতে। সেই দু’বছরে নিজেকে ঘষে মেজে তৈরি করে নিয়েছিলেন কোহলি। দেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে তার নাম যে থাকবে তা নিঃসঙ্কোচে বলা যায়। কিন্তু ট্রফির বাক্স খালিই থেকে গেছে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজেই আটকেছিল তার সমস্ত আগ্রাসন।

কোনো দলেই শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আলাদা অধিনায়ক দেখা যায়নি। সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা অধিনায়ক রয়েছে অনেক দেশেই। অস্ট্রেলিয়ায় যেমন অ্যারন ফিঞ্চ, ইংল্যান্ডে অইন মর্গ্যান, এক সময় ভারতীয় দলে টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন কোহলি, সাদা বলের ক্রিকেটে নেতা ছিলেন ধোনি। বোর্ড যে সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা অধিনায়কের পথে হাঁটবে সেই ইঙ্গিত ছিলই। কিন্তু কোহলি একদিনের ক্রিকেট থেকে নেতৃত্ব ছাড়তে চাননি বলেই জানা যাচ্ছে। তাই এক প্রকার তাকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হলো বোর্ড।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও হিন্দুস্তান টাইমস

আগুন লেগে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে

সিডনি টেস্ট শুরু হবে মধ্যরাতে। এটি সিরিজের তৃতীয় পরীক্ষা হবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইনকে আজ ব্রিসবেন টেস্ট নিয়ে কথা বলতে হবে। সিরিজ জমে যাওয়ার আগে এটি চতুর্থ টেস্ট। 


ভারত-অস্ট্রেলিয়া চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে প্রথম দুটি টেস্টে উভয় দলের খেলোয়াড়রা বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানে খেলেছে। ভারতীয় বা অস্ট্রেলিয়ান শিবির কেউই প্রতিপক্ষকে ধাক্কা মারেনি।


সমস্যাটি শুরু হয়েছিল যখন তিনি ব্রিসবেনে পৌঁছেছিলেন এবং বাধ্যতামূলক পৃথকীকরণে থাকতে হয়েছিল, ভারতীয় দল এতে আপত্তি জানার পরে। ভেন্যু পরিবর্তন করারও দাবি রয়েছে। না, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডের (বিসিসিআই) আপত্তি জানিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। যদিও সমস্যাটি প্রায় সমাধান হয়ে গেছে।

পূর্ববর্তী বিধিবিধানের নিয়ম অনুসারে, মাঠ থেকে ফিরে আসার পরেই অজিংক্য রাহানাকে তার ঘরে থাকতে হয়েছিল | তবে নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং খেলোয়াড়দের হোটেলগুলিতে থাকার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এদিকে পায়েনেরও এ নিয়ে কোনও বাধা নেই, এমনকি ভারতীয় দলের আচরণে তিনি হতাশও নন। সিরিজের চূড়ান্ত টেস্ট মাঠে নামবে কিনা তা নিয়ে "অনিশ্চয়তা" ভুগছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। পূর্ববর্তী বিধিবিধানের নিয়ম অনুসারে, মাঠ থেকে ফিরে আসার পরেই অজিংক্য রাহানাকে তার ঘরে থাকতে হয়েছিল।


তবে নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং খেলোয়াড়দের হোটেলগুলিতে থাকার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এদিকে পায়েনেরও এ নিয়ে কোনও বাধা নেই, এমনকি ভারতীয় দলের আচরণে তিনি হতাশও নন। সিরিজের চূড়ান্ত টেস্ট মাঠে নামবে কিনা তা নিয়ে "অনিশ্চয়তা" ভুগছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।


কিন্তু নিয়মটি পাল্টে খেলোয়াড়দের হোটেলের মধ্যে থাকার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এদিকে পেইনের এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই, কিংবা ভারতীয় দলের আচরণে তিনি ‘হতাশ’ নন। সিরিজের শেষ টেস্টটি মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে ‘অনিশ্চয়তা’য় ভুগছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।


অনিশ্চয়তা? না, দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে কোনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। তবে গণমাধ্যমে গুজব রয়েছে যে, ভারত যদি বিচ্ছিন্নতা কোয়ারেন্টিন কঠোর হয় তবে ব্রিসবেনে যেতে পারবে না। বিশেষত, অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান লিয়ন বলেছেন যে তিনি পৃথকীকরণের সাথে "অভিযোজন" করবেন এবং অভিযোগগুলি "গ্রাস" করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় দলের শিবিরের একজন কর্মকর্তা জবাব দিয়েছিলেন যে খেলোয়াড়রা "চিড়িয়াখানার প্রাণী নয়।

এই যখন পরিস্থিতি, তখন ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মূল রসায়নটা ফেরানোর ঘোষণা দিলেন পেইন। যুদ্ধ! হ্যাঁ, এক ধরণের যুদ্ধ। আগের দুটি টেস্টে যা দেখা যায়নি তা হ'ল শারীরিক ভাষায় এমনকি খেলাটি এক ধরণের 'যুদ্ধ'। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক আরও বলেছিলেন যে কোয়ারেন্টাইন নিয়ে বিতর্ক আগুনের সূত্রপাত করেছিল। হতাশার সাথে অস্ট্রেলিয়াকে "মুম্বাই গিয়ে চতুর্থ টেস্ট খেলতে রাজি হতে হয়েছিল।


অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে পায়েন মন্তব্য করেছিলেন, এই (পরিস্থিতি) উত্তাপিত হচ্ছে। কিছু জিনিস ঘটছে, কথার একটি সামান্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এই টেস্টটি ক্রিকেটের বাইরে খুব আকর্ষণীয় হবে।


ব্রিসবেন টেস্ট না পাওয়ার অনিশ্চয়তাও আড়াল করতে পারেননি পেইন, ভিতরে থাকা সকলেই একটু চিন্তিত ও উত্তেজিত। তাদের (ভারত) শিবির থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে যে চতুর্থ টেস্ট যেখানে তারা খেলতে চায়, যেখানে তারা চায় না। আমি কেবল এটিই বলব যে এটি কিছুটা অনিশ্চয়তার তৈরি করেছে।


অনিশ্চয়তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পেইন বলেছিলেন, "আপনি যখন শুনবেন যে ক্রিকেটের বিশ্বে খুব শক্তিশালী ভারতের মতো দল থেকে, তখন এটি ঘটবে (চতুর্থ টেস্ট ব্রিসবেনে হবে না), ভাবনা স্বাভাবিক | 


১৯৮৮ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া ব্রিসবেনের গ্যাবায় কোনও টেস্ট হারাতে পারেনি। শেষ ভারত সফরেও গাব্বায় কোনও ম্যাচ হয়নি। আর এই সিরিজের ক্ষেত্রে শেষ ম্যাচেই সিদ্ধান্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ান দলের পক্ষে চতুর্থ টেস্টের ভেন্যু পরিবর্তনের প্রস্তাবের দিকে নজর দেওয়া স্বাভাবিক নয়।

মওদুদ আহমদের শারীরিক অবস্থার অবনতি | ভাস্কর্য নিয়ে ভুল

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget