Articles by "খেলাধুলা"
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


শেষ দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন রস টেইলর। দিনের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত সেই উইকেট বাংলাদেশকে এনে দিলেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি। এই ম্যাচে দলের চাওয়া যেমন পূরণ করলেন তিনি, তেমনি অবসান হলো দেশের ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের এক অপেক্ষারও।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের শেষ দিন সকালে টেইলরকে আউট করে ইবাদত পূর্ণ করলেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার প্রথম তো বটেই, প্রায় ৯ বছর ও ৪৭ টেস্ট পর টেস্টে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন বাংলাদেশের কোনো পেসার।

ইবাদত থামেননি সেখানেই। পরের ওভারেই ফিরিয়ে দেন কাইল জেমিসনকে। পরে তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে শেষ করে দেন নিউ জিল্যান্ড ইনিংস। ইবাদত ততক্ষণে পৌঁছে যান রেকর্ড উচ্চতায়।

৪৬ রানে ৬ উইকেট তার, দেশের বাইরে বাংলাদেশের কোনো পেসারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।

দেশ-বিদেশ মিলিয়ে তার চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার আছে কেবল আরেকজন পেসারের। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ২৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন।

২০১৩ সালে এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সফরে পরপর দুই টেস্টে অসাধারণ সুইং বোলিংয়ের প্রদর্শনীতে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। এরপর বাংলাদেশের আর কোনো পেসার পারছিলেন না এই মাইলফলক ছুঁতে।


প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন তরুণ ডানহাতি ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ওপেনিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ২২৮ বলে ৭৮ রান করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। কিন্তু হাতের ইনজুরিতে এই সফরে আর ব্যাট হাতেই নামা হবে না। ফিল্ডিংয়ের সময় ডান হাতের আঙুলে চোট পান এই ওপেনার। সেলাই লেগেছে তিনটি। বিসিবির সরবরাহকৃত ভিডিওবার্তায় জয়ের চোটের ব্যাপারে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন দলের ফিজিও বায়েজিদ ইসলাম। 

তিনি বলেছেন, 'মাহমুদুল হাসান জয় আজকে ফিল্ডিং করার সময় ডানহাতের ইনজুরিতে পড়েছে। হাতের তৃতীয় ও চতুর্থ আঙুলের মাঝে তিনটি সেলাই লেগেছে। এখানের ডাক্তার সেলাই করে দিয়েছেন। ওকে এখন ৭ থেকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।'

আজ টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। দিনশেষে উইকেটে ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন রস টেলর। তার সঙ্গে ৬ রানে আছেন রাচিন রবীন্দ্র। ১৭ রানে এগিয়ে আছে টম ল্যাথামের দল।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী এ মুহূর্তে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি। আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে তাঁর স্বাস্থ্য। উপসর্গ মৃদু হলেও বিসিসিআই সভাপতিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পেছনে হৃদ্‌রোগ একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। এ বছরই শুরুতে হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বুকে বসাতে হয়েছে স্টেন্ট। প্রায় এক বছর বাদে তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে এবার হৃদ্‌রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে করোনার নতুন ধরন অমিক্রন। ভারতে তো এরই মধ্যে অমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে বিপজ্জনক হারে।

সৌরভের করোনার ধরন অমিক্রন কি না, সেটি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারই পাওয়া যাবে সেই রিপোর্ট। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, হাসপাতালে ভালোই আছেন সাবেক এ অধিনায়ক। জ্বর, কাশি কোনোটিই নেই। তবে সামান্য সর্দি আছে। শরীরে কিছুটা অস্বস্তিও বোধ করছেন।

হৃদ্‌রোগী হওয়ায় কোনো ঝুঁকিই নিচ্ছে না সৌরভের পরিবার। বেঙ্গালুরু থেকে সৌরভকে দেখছেন বিখ্যাত হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। আরেক হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ আফতাব খানের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে তাঁকে ওষুধ হিসেবে দেওয়া হয়েছে মনক্লোনাল ককটেল অ্যান্টিবডি ও ডক্সিসাইক্লিন। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সৌরভ।

বেশ কয়েক দিন ধরেই ঠান্ডা–সর্দিতে আক্রান্ত ছিলেন সৌরভ। এরপর জ্বর এলে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। একই সঙ্গে স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলী আর মেয়ে সানা গাঙ্গুলীরও করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁরা দুজনই অবশ্য নেগেটিভ হন। এর পরপরই উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

এ বছরের ২ জানুয়ারি নিজ বাড়িতে ট্রেডমিলে হাঁটার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভূত হয় সৌরভের। হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায় তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের ধমনিতে ব্লক। এরপর অ্যানজিওপ্লাস্টি করা হয়। ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকেই নিয়মতান্ত্রিক জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। তবে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে কর্মব্যস্ততা তো তাঁর আছেই।

কদিন আগেই খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন বিরাট কোহলির সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে। কোহলিকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে সৌরভ মুখ খোলেন। পরে কোহলি সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলে কিছুটা বেকায়দাতেই পড়েন বিসিসিআই সভাপতি। অধিনায়কত্ব ইস্যুতে সৌরভের কথা বলাটা ইতিবাচক চোখে দেখেননি ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। তাঁদের ভাষ্য ছিল, সৌরভ এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ করেছেন অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলে।


মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সাঁতরাচ্ছেন ৭৯ সাঁতারু। তাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লারিসা রোজেন (১০)। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১০টায় কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে সাঁতার শুরু করেছেন তারা।

লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। দুই সন্তানের সঙ্গে অংশ বাংলা চ্যানেলে সাঁতারে অংশ নেওয়াটাও একটা রেকর্ড।

১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজন করেছে ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা। এবারের ৭৯ জন সাঁতারুর মধ্য একজন বিদেশি ও এক নারী রয়েছেন। সাঁতরে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে পাড়ি জমান তারা। এ সময় দ্বীপের বাসিন্দারা তাদেরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।

আয়োজক ও দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, বেলা পৌনে ১১টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৭৯ সাঁতারু। এর আগে সবাই দেশের পতাকা দেখিয়ে উল্লাস করেন। পথে কোনও সমস্য না হলে দুপুরে  একে একে দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এবার ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড গড়বেন ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার। তিনি বলেন, চ্যানেল সাঁতারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আয়োজন করা হয়েছে। সাঁতারুরা ফ্রি হ্যান্ড সুইমিং করবেন। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক সাঁতারুর সঙ্গে একটি করে উদ্ধারকারী নৌকা থাকবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সার্ভিস বোট, জরুরি নৌকা ও ডুবুরি থাকবেন।


লিপটন সরকার জানান, এবার সর্বোচ্চ ৮০ জন সাঁতারু অংশ নেবেন। গত বছর ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৯ জন সফল হন। এবারও একজন বিদেশি সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। আমরা বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণ সাঁতারুর অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয় হচ্ছে।

১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। রেসকিউ পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। অংশীদার হিসেবে আরও আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ষড়জ, ভিসা থিং ও স্টুডিও ঢাকা।

প্রসঙ্গত, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের স্রোতোধারার নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। অ্যাডভেঞ্চার গুরুখ্যাত প্রয়াত কাজী হামিদুল হক সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এই চ্যানেল আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে প্রথমবার আয়োজনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির ও সালমান সাঈদ।


আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে কিনতে গিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছে ফ্র্যান্সের ক্লাব পিএসজি। 

স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনা থেকে লিওনেল মেসিকে কিনতে গিয়েই পিএসজির খরচ হয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ইউরো। 

বর্তমানে দল চালাতে পিএসজির মোট খরচ ৩০ কোটি ইউরো। প্রতি বছর এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে ক্লাবটি। 

কারণ কোনও ক্লাব এক মৌসুমে কত টাকা খরচ করে সেই হিসেব থাকে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফার কাছে। আয়-ব্যায়ের হিসেবে কোনও গরমিল থাকলে ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারে ফিফা। তাই ঝুঁকি নিতে চাইছে না পিএসজি।

বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে ক্লাবে রাখতে গিয়ে আগামী জানুয়ারিতে ট্রান্সফার উইন্ডোতে দলের তারকা ৭ ফুটবলারকে ছাড়তে হতে পারে পিএসজি। 

তবে কোন কোন ফুটবলারকে ছেড়ে দেবে তা এখনও নিশ্চিত করেনি পিএসজি।


টি-টোয়েন্টির পর এক দিনের ক্রিকেটেও ভারতীয় দলের নেতৃত্ব খোয়ালেন বিরাট কোহলি। তবে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণের সময় নিজেই জানিয়েছিলেন নেতৃত্ব ছাড়ার কথা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর যে ভারতকে এই ধরনের ক্রিকেটে আর নেতৃত্ব দেবেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু এক দিনের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে তেমনটা হলো না। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হলো, সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে।

এমনিতে বুধবার একেবারে আড়ম্বরহীনভাবে বিরাটকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। এমনকি পৃথকভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও করা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতেই নিচে এক বাক্যে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে একদিন এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক হচ্ছেন রোহিত। তাতে বিরাটের নামও নেয়া হয়নি। সাফল্যের সাথে (পরিসংখ্যান অনুযায়ী) ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতের নেতৃত্ব দিলেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ডের তরফে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি। টুইটারেও যে ঘোষণা করা হয়, তাতেও বিরাটের নাম নেয়া হয়নি। রোহিতের ছবি এবং নাম দেয়া হয়। তাকে ট্যাগ করা হয়।


সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর কোহলিকে নেতৃত্ব ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু অধিনায়কত্ব ছাড়তে রাজি ছিলেন না তিনি। এরপরেই বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘোষণা করে দেয়া হয় নতুন অধিনায়কের নাম। কোহলিকে যে নেতৃত্ব থেকে সরানো হতে পারে সেই জল্পনা ছিলই। কিন্তু বোর্ডের পক্ষ থেকে কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরানো নিয়ে কোনো কিছুই বলা হয়নি। শুধুমাত্র ঘোষণা করে দেয়া হয় টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত। প্রায় হঠাৎ করেই সাদা বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব হারালেন কোহলি।

তবে সূত্রের ভিত্তিতে পিটিআই জানিয়েছে, একদিনের ক্রিকেটে যে অধিনায়ক হিসেবে কোহলির সময় শেষ হয়ে এসেছে, তা আগেই লেখা হয়েছিল। বিশেষত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে যাওয়ার পরই কোহলির ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তবে ভারতীয় বোর্ড কোহলিকে সম্মানের সাথে বিদায় জানাতে চেয়েছিল। সে পথে হাঁটেননি কোহলি। ভারতীয় বোর্ডকে চরম পদক্ষেপ করার ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়েছিলেন বলে মনে করছে একটি মহল। সেই ‘চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করে বিসিসিআই। যে বোর্ডের শীর্ষে এমন একজন আছেন, যিনি এককালে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন। ‘বরখাস্ত’ করে দেয় বিরাটকে। যা বিরাটের মেনে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না বলে জানিয়েছে পিটিআই।


উল্লেখ্য, পিটিআই জানিয়েছে, অনেকেই এই ঘটনায় অবাক নন। বরং ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ধারেকাছে থাকা ব্যক্তিরা একেবারে আলোর মতো 'গোপন' বিষয়টা জানতেন যে কোহলি মোটেও দলের সবথেকে জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন না। দলের একাংশ ক্রমশ তার থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন বলে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বছরদুয়েক আগে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে কাটানো এক খেলোয়াড়কে উদ্ধৃত করে পিটিআই বলেছেন, 'বিরাটের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টি। ও (বিরাট) মুখে স্পষ্ট কথাবার্তার কথা বলে। কিন্তু উপযুক্ত কথাবার্তার অভাবেই নেতা হিসেবে সম্মান হারিয়ে ফেলেছিল।' পিটিআই জানিয়েছে, আর ঠিক সেখানেই রোহিত খেলোয়াড়দের কাছের হয়ে উঠেছিলেন।

২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। তার আগে নতুন অধিনায়ক যথেষ্ট সময় দিতে চাইছে বোর্ড। সেই জন্যই এখন থেকেই দলের নেতৃত্ব তুলে দেয়া হলো রোহিতের হাতে। কোহলির নেতৃত্বে আইসিসি-র কোনো ট্রফি জিততে পারেনি ভারত। তার নেতৃত্ব নিয়ে দলের অন্দরেই বার বার প্রশ্ন উঠছিল। বোর্ডের কাছে সিনিয়র খেলোয়াড়দের থেকে অভিযোগ এসেছিল বলেও শোনা যায়। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় ভারতকে। বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার হারতে হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কোচ রবি শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষ হতেই শেষ হলো সাদা বলের ক্রিকেটে কোহলির নেতৃত্বের মেয়াদ।


এক দিনের ক্রিকেটে ভারতকে ৯৫টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। জিতেছেন ৬৫টি ম্যাচে। হেরেছেন ২৭টি। দু’টি ম্যাচের কোনো ফল হয়নি, একটি ম্যাচ টাই হয়। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ছায়ায় তৈরি হয়েছিলেন নেতা কোহলি। বিশ্বকাপের দু’বছর আগে সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয়েছিল তার হাতে। সেই দু’বছরে নিজেকে ঘষে মেজে তৈরি করে নিয়েছিলেন কোহলি। দেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে তার নাম যে থাকবে তা নিঃসঙ্কোচে বলা যায়। কিন্তু ট্রফির বাক্স খালিই থেকে গেছে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজেই আটকেছিল তার সমস্ত আগ্রাসন।

কোনো দলেই শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আলাদা অধিনায়ক দেখা যায়নি। সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা অধিনায়ক রয়েছে অনেক দেশেই। অস্ট্রেলিয়ায় যেমন অ্যারন ফিঞ্চ, ইংল্যান্ডে অইন মর্গ্যান, এক সময় ভারতীয় দলে টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন কোহলি, সাদা বলের ক্রিকেটে নেতা ছিলেন ধোনি। বোর্ড যে সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা অধিনায়কের পথে হাঁটবে সেই ইঙ্গিত ছিলই। কিন্তু কোহলি একদিনের ক্রিকেট থেকে নেতৃত্ব ছাড়তে চাননি বলেই জানা যাচ্ছে। তাই এক প্রকার তাকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হলো বোর্ড।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও হিন্দুস্তান টাইমস

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget