Articles by "করোনা বাংলাদেশ"
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন অতিসংক্রামক। যদিও ভাইরাসের এই ধরনটি ডেল্টার  তুলনায় দুর্বল বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

ডব্লিউএইচও জানায়, ভাইরাসের আগের ধরনগুলোতে সংক্রমিত ব্যক্তি বা টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের সহজেই সংক্রমিত করতে পারে ওমিক্রন। তবে এতে সংক্রমণের প্রভাব অন্যান্য ধরনগুলোর তুলনায় মৃদু।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেখা যায় যে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে পুনঃসংক্রমণের হার বেশি। কিন্তু ডেল্টা ধরনের তুলনায় ওমিক্রনে অসুস্থতার মাত্রা মৃদু।

তিনি বলেন, ওমিক্রনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উপসংহারে পৌঁছানোর আগে আমাদের আরও তথ্য জানার প্রয়োজন আছে। নতুন ধরন হওয়ায় ওমিক্রনের চারিত্রিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য বাকি ধরনগুলোর তুলনায় অনেকটাই আলাদা। আর তাই ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশগুলোকে আরও বেশি করে তথ্য সরবরাহ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তবে এখনই ওমিক্রনের মৃদু সংক্রমণের তথ্যে আশংকামুক্ত ভাবার কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক। তিনি সবাইকে শতর্ক করে বলেন, এই সময়ে যেকোনো ধরনের অসতর্কতার চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। তাই অতি-সতর্ক থাকা প্রয়োজন।


মহামারীর অভিধানে নতুন শব্দ ‘ওমিক্রন’ যুক্ত হওয়ার পর করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের আশা ম্লান হয়ে গেছে আর বাজারগুলো ফের মুখ থুবড়ে পড়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় আবির্ভূত হওয়া করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটিকে গ্রিক বর্ণমালার ১৫তম অক্ষরের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চলতি বছরের মে-তে নামকরণের এই পদ্ধতি ঘোষণা করে। সংস্থাটি ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গণযোগাযোগ সহজ হয়েছে ও বিভ্রান্তি কমেছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভারতে করোনাভাইরাসের যে ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত হয় সেটি বি.১.৬১৭.২ নামে পরিচিতি পায়নি, পেয়েছে গ্রিক বর্ণমালার চতুর্থ বর্ণ ডেল্টার নামে।

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, এখন সাতটি ‘মনোযোগ সৃষ্টিকারী ভ্যারিয়েন্ট’ বা ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ আছে, এর প্রত্যেকটির জন্যই একটি গ্রিক বর্ণ নির্দিষ্ট করা আছে।

গ্রিক বর্ণ দিয়ে চিহ্নিত আরও কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট থাকলেও সেগুলো ‘উদ্বেগজনক ধরনের’ স্তরে পৌঁছেনি, তাই সেগুলো নিয়ে আলোচনাও হয়েছে কম আর ডব্লিউইএচও ওমিক্রণের ঠিক আগে ‘নিউ’ ও ‘শি’ বর্ণ দুটি এড়িয়ে গেছে। 

শনিবার ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র তারিক জাহারেভিক বলেন, “‘নিউ’ খুব সহজে ইংরেজি শব্দ ‘নিউ’ এর সঙ্গে বিভ্রান্তি তৈরি করবে আর ‘শি’ ব্যবহার করা হয়নি কারণ এটি প্রচলিত নামের শেষাংশ।”

তিনি জানান, সংস্থাটি রোগের নামকরণের ক্ষেত্রে ‘কোনো সংস্কৃতিক, সামাজিক, জাতীয়, আঞ্চলিক, পেশাদার বা জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যেতে পারে’ এমন নাম এড়িয়ে যাওয়াকে শ্রেয় মনে করে।

ডব্লিউএইচও বলেছে, ভ্যারিয়েন্টগুলোর বৈজ্ঞানিক নামের চেয়ে এই নামকরণ পদ্ধতি সহজ ও বোধগম্য, বৈজ্ঞানিক নামগুলো ‘বলা ও মনে রাখা কঠিন হতে পারে এবং প্রতিবেদনগুলোতে প্রায়ই ভুলভাবে আসে।

তাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন কিছু গবেষক | 

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাসবিদ ডা. অ্যাঙ্গেলা রাসমুসেন জানান, চলতি বছর গ্রিক নামকরণ পদ্ধতি ঘোষণার আগে তিনি সাংবাদিকদের অনেক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আর বি.১.১.৭ এবং বি.১.৩৫১ ভ্যারিয়েন্টের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তিতে বারবার হোঁচট খেয়েছেন।

“কথা বলার সময় ধারবাহিকভাবে এসব নাম ব্যবহার করা সত্যি কষ্টকর। শেষ পর্যন্ত মানুষ এগুলোকে যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্ট বা দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট বলা শুরু করে,” বলেন তিনি।

এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট এখন আলফা ও বিটা নামে পরিচিত। প্রথমটির আবির্ভাব যুক্তরাজ্যে আর পরেরটির দক্ষিণ আফ্রিকায়। 

রাসমুসেন জানান, ডব্লিউএইচওর গ্রিক নামকরণ পদ্ধতিতে যাওয়ার এটি আরেকটি বড় কারণ, নামকরণের পুরনো রীতিটি ভাইরাসটি যেখানে আবির্ভূত হয়েছে সেখানকার মানুষের জন্য অন্যায্য ছিল।

ডব্লিউএইচও জাতীয় কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমগুলোকে নতুন নাম ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছে। তবে তারা বৈজ্ঞানিক নামগুলো পাল্টে দেয়নি, যা বিজ্ঞানীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে এবং গবেষণাকালে ব্যবহৃত হয়।

করোনা প্রতিরোধী ট্যাবলেটের অনুমোদন দিলো যুক্তরাজ্য 


যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধী মেরেকের অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের অনুমোদন দিয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মহামারি মোকাবিলার জন্য এ ট্যাবলেটকে গুরুত্বপূর্ণ নতুন হাতিয়ার হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।


মেরেক বৃহস্পতিবার জানায়, যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি যাদের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের করোনার উপসর্গ আছে তাদের জন্য এ ট্যাবলেটের অনুমোদন দেয়।

অনুমোদিত করোনা প্রতিরোধী এ ট্যাবলেটটি মুখে খাওয়া জন্য। যাদের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের করোনা উপসর্গ রয়েছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি অথবা মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে এ ট্যাবলেট।


যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ নিয়ন্ত্রকরা এখনো মেরেকের এ মুখে খাওয়ার ওষুধটির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করছে। গত মাসে গবেষণার ফেজ-৩ তে ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন দেশের সরকার এ ওষুধ ক্রয় করতে চাচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্রের মেরেক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষের এ ট্যাবলেটের উদ্ভাবন করেছে। গবেষকরা দাবি করছেন এটি শেষ ধাপের ট্রায়ালে ভালো ফল দেখিয়েছে। মেরেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রব ডেভিস এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমরা ট্রায়ালে ভালো ফল পেয়েছি। আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে না, বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসে এই ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।


মোলনুপিরাভির নামক এ ওষুধটি হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ করে যাদের পাঁচ বা তার কম দিনের জন্য উপসর্গ রয়েছে এবং যারা মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন

কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত - সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এশিয়ার বিভিন্ন অংশ এবং এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন।

করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন

কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস?

শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। 

আমার কি মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত?

করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।

শিশুরা কি ঝুঁকিতে?

যে কোন বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানত: আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

তবে শহরাঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এসব প্রভাবের মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা, যা সম্প্রতি মঙ্গোলিয়ায় দেখা গেছে।

“এই করোনাভাইরাসটি ভয়াবহ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। শিশুদের উপর এই ভাইরাসের প্রভাব বা এতে কতজন আক্রান্ত হতে পারে- সে সম্পর্কে আমরা এখনও বেশি কিছু জানি না। কিন্তু নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। সময় আমাদের সাথে নেই।”

ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর

 

ইউনিসেফ এক্ষেত্রে কি করছে?

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর ক্ষেত্রে চীনকে সহযোগিতা করতে প্রতিরোধক মাস্ক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রতিরক্ষামূলক স্যুট নিয়ে ইউনিসেফের একটি চালান জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে চীনের সাংহাইয়ে পৌঁছেছে।

ছয় মেট্রিক টনের এই চালানটি কোপেনহেগেনে ইউনিসেফের বৈশ্বিক সরবরাহ কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছে এবং এটি চীনের ইউহানে প্রেরণ করা হবে। আগামী দিনগুলিতে ইউনিসেফ আরও জরুরী সরবরাহ পাঠাবে।



ফাইজারের টিকা নিয়ে ভালো আছেন শ্রাবন্তি

আমেরিকার পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিটসবার্গ মেডিকেল সেন্টারের চিকিত্সা বিশেষজ্ঞ শ্রাবন্তী সাহা আভি ফাইজার-বায়োনেটেকের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার সময় কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। গত রবিবার তিনি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন।


তিনি বলেছিলেন যে টিকা দেওয়ার একদিন পরও হাত ব্যথা ব্যতীত শারীরিক জটিলতা ছিল না।

বুধবার সকাল দশটার দিকে বাংলাদেশ সময় ম্যাসেঞ্জারে বক্তব্য রেখে শ্রাবন্তী বলেছিলেন, "আমি হাসপাতালে ডিউটি করছি। আমি প্রতিদিন করোনার রোগীর সংস্পর্শে আসি।


আমি সব সময় ঝুঁকিতে আছি। এখন পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে প্রত্যেকের মধ্যে এক ধরণের অস্বস্তি রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত টিকারের বিকল্প নেই। ভ্যাকসিন আমাদের আশা দেখায়। এখন পর্যন্ত, এটি একটি উপকার-লোকসান হিসাবে টিকা দেওয়া উপকারী। তাই টিকা দেওয়ার সুযোগটি মিস করা ঠিক নয়। '


শ্রাবন্তী জানান, পিটসবার্গ মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ছয়টি হাসপাতালে কর্মচারীর সংখ্যা 90,000। শ্রাবন্তী পাশের তিনটি হাসপাতালে রোস্টারে আছেন। হাসপাতালে করোনার রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে এবং এখন করোনার ইউনিটে জায়গা নেই, তাই রোগীদের সব ইউনিটে ভর্তি করা হচ্ছে। চিকিত্সক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। শ্রাবন্তী দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন যে নিরাপদে কাজ করার পরেও, সারা বিশ্বের অনেক চিকিৎসক করোনায় ভুগছেন এবং মারা যাচ্ছেন।


শ্রাবন্তী কেবলমাত্র শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্মী এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের তালিকায় থাকায় তিনি নিজেই টিকা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে এ নিয়ে তিনি খানিকটা মন খারাপ করেছেন।


শ্রাবন্তীর বাবা-মা বাংলাদেশে থাকেন। 71 বছর বয়সী বাবা একজন ক্যান্সারের রোগী। তাই সে সবসময় তার বাবাকে ভয় করে। শ্রাবন্তীর শাশুড়ি উৎপল সাহা, বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রকের আধিকারিক, করোনায় মারা গেছেন। একজন ডাক্তার বন্ধুও মারা গেল। পরিচিতদের অনেকে আক্রমণ করা হচ্ছে। শ্রাবন্তী উল্লেখ করেছিলেন যে এই অশান্ত সময়ে যত বেশি লোকেরা টিকা দিতে পারে, তত বেশি ত্রাণ হবে।


শ্রাবন্তী বলেছিলেন, ‘আমাকে করোনার বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ আমার আর করোনা হবে না, বা আমার টিকা দেওয়ার কারণে করোনার বিস্তার কমাতে পারে। তবে, টিকা দেওয়ার অর্থ আমার দেহ জানে যে করোনভাইরাস নামে একটি ভাইরাস রয়েছে। এমনকি আপনি যদি করোনায় আক্রান্ত হন কারণ আপনি ইতিমধ্যে ভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুত, শ্বাসকষ্ট সহ অন্যান্য জটিলতা কম হবে।


শ্রাবন্তী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিল। তিনি বড় হয়েছেন । ২০০৮ সালে তিনি নিউইয়র্কে চলে যান। একমাত্র ভাই বর্তমানে পেনসিলভেনিয়ায় কর্মরত। ফাইজারের টিকা নিয়ে ভালো আছেন শ্রাবন্তি


শ্রাবন্তী বলেছিলেন যে গর্ভবতী মহিলাদের বা অ্যালার্জিজনিত জটিলতা রয়েছে তাদের টিকা দেওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে কারণ গবেষণার ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি। শ্রাবন্তী একটি ভ্যাকসিন ক্লিনিকে গিয়ে ভ্যাকসিন পেয়েছে। তিনি টিকা দেওয়ার 24 ঘন্টা এবং 48 ঘন্টার মধ্যে ই-মেইলে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। প্রথম ডোজ 21 দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া উচিত।


মার্চ মাসে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই হাসপাতালে ছিলেন শ্রাবন্তী। তার এক করোনার পরীক্ষার নেতিবাচক ফলাফল। সাত বছর বয়সী এই মেয়েটি বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস করছে। আর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের স্বামীও বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করছেন। ফাইজারের টিকা নিয়ে ভালো আছেন শ্রাবন্তি


শ্রাবন্তী বলেছিলেন, নভেম্বর নির্বাচন ও থ্যাঙ্কসগিভিং ডে সমাবেশের পরে করোনার প্রাদুর্ভাব আবারও বেড়েছে। কর্তৃপক্ষ মার্চ মাসের শেষের পর থেকে কোনও মুখোশ ছাড়াই ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে এবং এটি এখনও রয়েছে। 2021-এ মুখোশ ছাড়াই চালানো সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।


দেশে তার মায়ের কথা উল্লেখ করে শ্রাবন্তী বলেছিলেন, "আমি টিকা দেওয়ার ব্যাপারে খুব নার্ভাস ছিলাম। যখন সে পেনসিলভেনিয়া টিকা দেওয়ার জন্য গিয়েছিল, বাংলাদেশে অনেক রাত ছিল, তাই আমি আমার মাকে আর কিছু বলিনি। তথ্য পাওয়ার পরে। , মায়ের কাছ থেকে ফোন কলগুলির সংখ্যা বেড়েছে I'm আমার কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তা জানতে চাই I আমি আমার মাকে বলেছিলাম যে টিকা দেওয়ার পরে দু'দিন কেটে গেছে, তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। 'ফাইজারের টিকা নিয়ে ভালো আছেন শ্রাবন্তি ফাইজারের টিকা নিয়ে ভালো আছেন শ্রাবন্তি ফাইজারের টিকা নিয়ে ভালো আছেন শ্রাবন্তি ফাইজারের টিকা নিয়ে ভালো আছেন শ্রাবন্তি

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget