Articles by "হাসপাতাল"
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন অতিসংক্রামক। যদিও ভাইরাসের এই ধরনটি ডেল্টার  তুলনায় দুর্বল বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

ডব্লিউএইচও জানায়, ভাইরাসের আগের ধরনগুলোতে সংক্রমিত ব্যক্তি বা টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের সহজেই সংক্রমিত করতে পারে ওমিক্রন। তবে এতে সংক্রমণের প্রভাব অন্যান্য ধরনগুলোর তুলনায় মৃদু।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেখা যায় যে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে পুনঃসংক্রমণের হার বেশি। কিন্তু ডেল্টা ধরনের তুলনায় ওমিক্রনে অসুস্থতার মাত্রা মৃদু।

তিনি বলেন, ওমিক্রনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উপসংহারে পৌঁছানোর আগে আমাদের আরও তথ্য জানার প্রয়োজন আছে। নতুন ধরন হওয়ায় ওমিক্রনের চারিত্রিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য বাকি ধরনগুলোর তুলনায় অনেকটাই আলাদা। আর তাই ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশগুলোকে আরও বেশি করে তথ্য সরবরাহ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তবে এখনই ওমিক্রনের মৃদু সংক্রমণের তথ্যে আশংকামুক্ত ভাবার কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক। তিনি সবাইকে শতর্ক করে বলেন, এই সময়ে যেকোনো ধরনের অসতর্কতার চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। তাই অতি-সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

 


রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাসকে ধাক্কা দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ি। সেসময় বাস থেকে নামতে গিয়ে ৬৫ বছর বয়সী নারী আরজু বেগম আহত হন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ময়লার গাড়ির চালক রতনকে (৩০) আটক ও গাড়িটি জব্দ করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক ও ডিউটি অফিসার নাজমুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'বাস থেকে নামার সময় একটি ময়লার গাড়ি বাসটিকে ধাক্কা দিলে আরজু বেগম পড়ে গিয়ে কোমরে ব্যথা পান। এরপর তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

লিভার সিরোসিস

প্রায়শই যেমনটি হয়, চেম্বারে ঢুকতে ঢুকতে সেদিনও কিছুটা দেরিই হলো এবং প্রতিদিনই যা হয়, চেম্বারে ঢোকার পরপরই আমার চেম্বার সহকারীরা এক গোছা স্লিপ নিয়ে হাজির। বিশিষ্ট যারা এবং সেই সাথে যারা বিভিন্ন রেফারেন্সে আমার কাছে আসেন তাদের প্রত্যাশা থাকে একটু আগে-ভাগে আমার সাথে চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শটুকু সারার। যে কারণে আমার চেম্বার সহকারীদের এই চিরকুটগুলো নিয়ে দৌড়ঝাঁপ। স্লিপগুলোয় চোখ বুলিয়ে দেখলাম একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির কজন আত্মীয় আর সাথে অনুসারী আমার সাক্ষাৎপ্রার্থী তার চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য। তাড়াতাড়িই সুযোগ করে দিলাম তাদের।


তাদের প্রশ্ন অনেক, আছে কিছু ভ্রান্তি আর তথ্য বিভ্রাটও। পরিবারে বা নিকটজনদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকলে আমাদের রোগীরা প্রায়ই এমনি সমস্যায় পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখার অভিজ্ঞতায় এটি আমার কাছে নতুন কিছু নয়। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হলো না। তবে যা বাড়তি চ্যালেঞ্জ, তা হলো আমাদের অনেক সন্মানিত রোগীর পরিবারের সদস্যদের মতোই এক্ষেত্রেও আমাদের দেশের প্রাপ্ত আধুনিক চিকিৎসাগুলো সম্বন্ধে রোগীর লোকদের ধারণা খুবই কম। তার সাথে আবার যোগ হয়েছে নানা রকম অবিশ্বাস আর সন্দেহও। বুঝতে পারলাম এই রোগীর শুভাকাঙ্ক্ষীদের সন্তুষ্ট করাটা কঠিনই হবে।

রোগী সত্তরোর্ধ্ব, লিভারে সিরোসিস ছাড়াও নানা রকম সমস্যা আছে। আছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ আর ক্রনিক কিডনি ফেইলিওরও। লিভার সিরোসিসের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণও হয়েছে। রোগীর শুভানুধ্যায়ীদের নানা প্রশ্ন। তারা জানতে চান রোগী কোন রকম স্লো পয়জনিং বা বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছেন কি না। আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলাম বিষয়টি সেরকম নয়। কোন ওষুধ দিয়ে কিংবা স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে লিভারে আর যাই হোক সিরোসিস বাঁধানো যায় না।

বললাম বাংলাদেশে লিভার সিরোসিসের প্রধান কারণ তিনটি- হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, ফ্যাটি লিভার আর হেপাটাইটিস সি ভাইরাস। এর মধ্যে আবার অনেকগুলো রোগ আছে যে সবের কারণে লিভারে চর্বি জমে বা ফ্যাটি লিভার হয়। এসবের মধ্যে আছে মেদ-ভুড়ি, ডায়াবেটিস, ডিজলিপিডেমিয়া বা রক্তে অতিরিক্ত চর্বি, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপোথাইরয়েডিজম, পলিসিস্টিক ওভারি আর অ্যালকোহলিজম বা অতিরিক্ত মদ্যপান। তার মানে অবশ্য এই না যে কারও লিভারে হেপাটাইটিস বি বা সি ভাইরাস ইনফেকশন কিংবা ফ্যাটি লিভার থাকলেই তার লিভারে সিরোসিস বা ক্যানসার হয়ে যাবে। যাদের লিভারে এই সমস্যাগুলো থাকে তাদের কারও কারও, বলা যায় ২০-৩০ শতাংশ মানুষের একটা সময় লিভারে সিরোসিস রোগটা দেখা দিতে পারে। আর এদের মধ্যে আরও প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের একটা সময় লিভারে ক্যানসারও হতে পারে।


রোগীর শুভানুধ্যায়ীরা জানতে চাইলেন এ রোগীর জন্য স্টেম সেল থেরাপি করার কোনো সুযোগ আছে নাকি। তারা প্রয়োজনে রোগীকে বিদেশে নিয়ে স্টেম সেল চিকিৎসা করিয়ে আনতে চান। এবারো তাদের আমার হতাশ করতে হলো। বুঝিয়ে বললাম যে লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায় স্টেম সেল থেরাপি নিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক কাজ হচ্ছে। আমরাও ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসায় অটোলোগাস হেমোপয়েটিক স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন করে আসছি। আমরা এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত আমাদের অভিজ্ঞতার বিষয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নালে বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশ করেছি। তাছাড়া বিভিন্ন সময় দেশের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া আর অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোয় প্রকাশিত রিপোর্টগুলোর সুবাদে দেশের লিভার রোগীরাও এ বিষয়ে এখন কম-বেশি জানেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি সিন্ডিকেটের অনুমোদন নিয়ে একটি ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যাতে দেশের মানুষ আরও সহজে এই চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে।

তাদের আরও বললাম যে আমরা যে শুধু লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায় স্টেম সেলের ব্যবহার নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি তাই নয়, পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশে অন্যান্য রোগের চিকিৎসায়ও স্টেম সেলের প্রচলন বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এদেশে সরকারি পর্যায়ে স্টেম সেল চিকিৎসার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে, যেটি প্রণয়নে আমিসহ একাধিক লিভার বিশেষজ্ঞ জড়িত ছিলাম। পাশাপাশি বাংলাদেশ স্টেম সেল অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির উদ্যোগে চার বছর ধরে নিয়মিতভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টেমকন নামে একটি স্টেম সেল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে দেশ-বিদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও বেসিক সাইন্টিস্টরা যোগ দেন। বাংলাদেশ স্টেম সেল চিকিৎসায় এগিয়েছে অনেক দূরই। তবে সমস্যা হচ্ছে তাদের রোগীর রোগ এত বেশি বেড়ে গেছে যে এক্ষেত্রে স্টেম সেল প্রয়োগ করে আদৌ কোনো লাভ হবে বলে আমি মনে করি না।

রোগীর লোকজন বুঝলেন কি বুঝলেন না ঠিক বুঝলাম না, তবে তাদের পরের প্রশ্নটিতে আমি বেশ চমৎকৃত হলাম। তারা টিপস আর লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের ব্যাপারে জানতে চাইলেন। অবশ্য তাদের জানায় কিছু ভুলও আছে। তাদের ধারণা আমেরিকা, ইউকে আর জার্মানির বাইরে পৃথিবীতে আর কোথাও টিপস কিংবা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন হয় না। তারা জেনে কিছুটা অবাকই হলেন যে প্রতিবেশী ভারতেও নাকি টিপস হয় আর লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের জন্য ভারত পৃথিবীতে শীর্ষ পাঁচে আছে। সমস্যাটা সেখানে নয়। সমস্যা অন্য জায়গায় এবং সমস্যা বহুমাত্রিক। বুঝিয়ে বললাম তাদের সবই। লিভার সিরোসিসের সব রোগীর বেলায় টিপস প্রযোজ্য নয়। কারণ টিপস করার সময় হার্টের ভেতর দিয়ে লিভারকে একসেস করতে হয়। এতে কার্ডিয়াক এরিথনিয়া, পালমোনারি হাইপারটেনশন আর কার্ডিওপালমোনারি ফেইলিওর হতে পারে। পাশাপাশি ক্রনিক কিডনি ডিজিজের রোগীদেরও টিপস করা যায় না, কারণ টিপস করার সময় ডাই ব্যবহার করা হয়, যা এসব রোগীর কিডনি ফেইলিওরের কারণ হতে পারে। এতসব কিছু না থাকলেও লিভার সিরোসিসে টিপস ঝুকিপূর্ণ, কারণ টিপস করার পর রোগীদের হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি বা হেপাটিক কোমা হওয়ার ঝুঁকি খুবই বেশি।

অন্যদিকে যদি কারও লিভার আর কিডনি একসাথে খারাপ হয় তাহলে শুধু লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করলেই চলবে না পাশাপাশি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে কিডনিও। এজন্য প্রয়োজন দুজন রিলেটেড অর্থাৎ আত্মীয় ডোনার, যাদের সাথে রোগীর শুধু ব্লাড গ্রুপই নয় পাশাপাশি এইচএলএ ম্যাচিংও লাগবে। আর অনাত্মীয় ডোনার দিয়ে, আমার জানা মতে, ইসরায়েলসহ পৃথিবীর হাতেগোনা দু-একটি দেশ ছাড়া অন্য কোথাও লিভার বা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করা হয় না এবং এই তালিকায় অবশ্যই ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানি নেই। তাছাড়া এই রোগীর এত বেশি কোমরবিডিটি অর্থাৎ আনুষঙ্গিক জটিল রোগ আছে যে এক্ষেত্রে লিভার বা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের সুযোগও আছে বলে আমার মনে হয় না। তারা যদি আরও আগে যোগাযোগ করতেন ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন তো বটেই, এমনকি দেশেই স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে হয়তো রোগীকে কিছুটা সাহায্য করা সম্ভব হতো।

লক্ষ্য করলাম, শুধু ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনই নয়, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা সমন্ধে তাদের ধারণা খুবই ক্ষীণ। বলা চলে তারা এক্ষেত্রে কি ঘটছে, না ঘটছে এসবের কোনো খবরই রাখেন না। যেমন- তাদের ধারণা, লিভার সিরোসিসের কারণে পরিপাকতন্ত্রে যে রক্তক্ষরণ তার চিকিৎসা এদেশে নেই। অথচ লিভার সিরোসিস রোগীদের খাদ্যনালী আর পাকস্থলিতে ভ্যারিক্স বা রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণের চিকিৎসা আমার ছাত্ররাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগে নিয়মিত করছে।

একথা, সে কথায় আরও কিছু সময় পার হলো। তারা এক সময় বিদায় নিলেন। সাম্প্রতিক সময় লিভার সিরোসিস আর এর চিকিৎসা নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের পারদটা হঠাৎই ঊর্ধ্বমুখী। আমাদের শাস্ত্রে বৈজ্ঞানিক জার্নালে কেস রিপোর্টিংয়ের প্রচলন আছে, যাতে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা আমাদের কলিগদের সাথে শেয়ার করতে পারি। হঠাৎই মনে হলো এই কেসটা যদি বরং আর সবার সাথে শেয়ার করি তাহলে হয়তো অনেকেরই অনেক বিষয়ে ধারণাগুলো অনেকটাই স্বচ্ছ হয়ে যাবে।


গত এক বছরে বাংলাদেশে নতুন করে ৭২৯ জনের এইডস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হওয়া এইডস রোগীর মধ্যে ২৫ শতাংশই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর।

বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) এইডস দিবসের আলোচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে এখন পর্যন্ত মোট এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৭৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসার আওতায় আছেন ৭৭ শতাংশ রোগী।

বর্তমানে দেশে এইডস রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশের কম। তবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ কিছুটা বেশি। গত এক বছরে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আছেন ১৮৮ জন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে গত ১ বছরে মোট এইচআইভি পরীক্ষা হয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৩১২ জনের। এ ছাড়া ব্লাড স্ক্রিনিং হয়েছে আরও ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৫৭ জনের।

এই সময়ে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠী ১৮৬ জন, রোহিঙ্গা ১৮৮ জন, বিদেশ ফেরত প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্য ১৪৪ জন, ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী ৬১ জন, নারী যৌনকর্মী ১৭ জন, সমকামী ৬৭ জন, পুরুষ যৌনকর্মী ৫৩ জন ও উভয় লিঙ্গের ১৩ জন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া , স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।


মওদুদ আহমদের শারীরিক অবস্থার অবনতি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রাক্তন মন্ত্রী মওদুদ আহমদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাজধানীর একটি হাসপাতালের সিসিইউতে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত দলকে ঢুকতে দিচ্ছে না চীন

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড মঙ্গলবার মওদুদ আহমদের মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে জানিয়েছে যে তার অবস্থার অবনতি ঘটছে। পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিষয়টি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জানানো হয়েছে।


বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড মঙ্গলবার মওদুদ আহমদের মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে জানিয়েছে যে তার অবস্থার অবনতি ঘটছে। পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিষয়টি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জানানো হয়েছে।


ভাস্কর্য নিয়ে ভুল - বোঝাবুঝির অবসান শিগগিরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন যে ভাস্কর্যটি রক্ষা করা জনগণ ও সরকারের দায়িত্ব। তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ অত্যন্ত সংস্কৃত এবং কোনও ভাস্কর্য কখনও ভাঙেনি। এগুলি ষড়যন্ত্র। তারা চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারী। এটা তাদের চেষ্টা। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে গণ্ডগোল করছেন তারা ভুল করছেন। ভাস্কর্য সম্পর্কে এই ভুল ধারণাটি খুব শীঘ্রই শেষ হবে।


মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডিতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান খান একথা বলেন। "ভাঙচুরের সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে," তিনি বলেছিলেন। শুধু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যই নয়, বাঘা যতিনের ভাস্কর্যটিও ভেঙে গেছে। তাদের নামে মামলাও করা হয়েছে।




মুজিবের বছর উপলক্ষে গৌড়িয়ার ধূপখোলা মাঠে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করার জন্য ১৩ নভেম্বর তৌহিদী জনতা ব্যাংক পরিষদ একটি সমাবেশ করেছে। পরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মামুনুল হক প্রকাশ্যে ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। সেই থেকে ভাস্কর্যটির পক্ষে ও বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। ভাস্কর্যটি রক্ষায় বিভিন্ন সংস্থার কর্মসূচির মাঝে গত ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। ভাস্কর্যটির বিরোধিতা ও ভাঙচুরের জন্য হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুঙ্গারি ও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও করা হয়েছে।

সঞ্চয়পত্র ও বন্ডে দেওয়া আর্থিক সুবিধা মুনাফা না সুদ?

"ভাস্কর্য ইতিহাসের সংস্কৃতির একটি অঙ্গ," তিনি বলেছিলেন। সারা বিশ্বে মুসলিম চিন্তাবিদ বা নেতাদের ভাস্কর্য রয়েছে। মুসলিম তারকাদের ভাস্কর্য রয়েছে। ভাস্কর্য উপাসনা জিনিস নয়। স্মৃতি ধরে রাখা জিনিস, হৃদয়ে ধারণ করার জিনিস। 'সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন,' আইনটি কেউ তাদের হাতে নেবে না। ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইন প্রয়োগকারীদের হস্তান্তর করা হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উত্তর সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান, সহ-সভাপতি আসলামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget