Articles by "করোনা-বিশ্ব"
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ফ্রান্স, ইতালি, গ্রিস এবং পর্তুগালে একদিনে করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে অতি উচ্চ মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে। ক্রমশ কোভিডের সব থেকে প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠছে এটি। গত ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে কোভিড শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড এক লাখ ৮০ হাজার জনের। যুক্তরাষ্ট্রেও এ যাবৎকালের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৪১ হাজার ২৭৮ জন নতুন করে আক্রান্তের রেকর্ড গড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রধান দুই শহর মুম্বই ও দিল্লিতেও একদিনের ব্যবধানে যথাক্রমে ৭০ ও ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড সংক্রমণ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা ও বিবিসি।

গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে, তার মধ্যে শতকরা ১১ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
বহু দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ভাইরাসটির বিস্তার দ্রুততর হয়েছে। বহু দেশে এর আগে আধিপত্য বিস্তারকারী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ছাড়িয়ে গেছে ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার করোনাভাইরাস মহামারি বিষয়ক সাপ্তাহিক আপডেট তথ্যে এসব কথা বলেছে। তারা বলেছে, বৃটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশে প্রাধান্য বিস্তার করছে ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অব্যাহত তথ্যপ্রমাণ বলছে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। এতে এই ভ্যারিয়েন্ট আগের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ছাড়িয়ে গেছে।

ওদিকে, বুধবার অস্ট্রেলিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নতুন রেকর্ড করেছে। ওমিক্রনের দ্রুতগতির বিস্তারের কারণে এমন রেকর্ড হচ্ছে। দেশটির জনপ্রিয় রাজ্যগুলোতে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপচে পড়ছে মানুষে। নিউ সাউথ ওয়েলসে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সিডনিতে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ ভিড়।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে প্রথম রাজ্য হিসেবে কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যটি মঙ্গলবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গত রোববার টেক্সাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল কমপক্ষে ৪৪ লাখ। ফ্লোরিডায় ৩৯ লাখ। এ পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়াতে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন কমপক্ষে ৭৫ হাজার ৫০০ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্যমতে, সোমবার একদিনে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। সিডিসি বলেছে, বড়দিন ও নতুন বছরের পরে এই সংখ্যা কমে আসতে পারে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউরোপে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৫৭ ভাগ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে তা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৩০ ভাগ। সিডিসির তথ্যমতে, ২৭শে ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ২৭৮। এটাই যুক্তরাষ্ট্রে এযাবৎকালের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।

এদিকে ভারতের মুম্বই এবং দিল্লিতে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৭০ ও ৫০ ভাগ। বুধবার এই সংক্রমণ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। মঙ্গলবার আর্থিক রাজধানী মুম্বইয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৯ জন। মারা গেছেন তিনজন। সেখানে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। ৮ই ডিসেম্বর থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে শতকরা ১৮৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা। অন্যদিকে ‘হলুদ সতর্কতা’র অধীনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলেছে, ২রা জুনের পর সেখানে একদিনে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, এ অবস্থায় যখন মার্কেট ও মলগুলোতে মানুষের ভিড় দেখতে পাই, তখন হতাশ হই আমরা। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে আমাদেরকে মার্কেটগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি জানি আপনারা সবাই বিধিনিষেধের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, এক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই।

নতুন বিধিনিষেধের অধীনে স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল এবং জিম বন্ধ থাকবে। মল এবং দোকানপাট খোলা থাকবে জোড়-বেজোড় ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। দিল্লিতে মেট্রো চলবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ।

অন্যদিকে নতুন করে মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৭২ জন। মারা গেছেন ২২ জন। তবে বুধবার সেখানে ওমিক্রনে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ২৭শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেছেন, যদি রাজ্যে অক্সিজেনের চাহিদা দিনে ৮০০ টনে দাঁড়ায় তাহলেই শুধু লকডাউন দেয়া হবে। সম্প্রতি রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে প্রকাশ্যে ৫ জনের বেশি মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার।


করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন অতিসংক্রামক। যদিও ভাইরাসের এই ধরনটি ডেল্টার  তুলনায় দুর্বল বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

ডব্লিউএইচও জানায়, ভাইরাসের আগের ধরনগুলোতে সংক্রমিত ব্যক্তি বা টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের সহজেই সংক্রমিত করতে পারে ওমিক্রন। তবে এতে সংক্রমণের প্রভাব অন্যান্য ধরনগুলোর তুলনায় মৃদু।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেখা যায় যে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে পুনঃসংক্রমণের হার বেশি। কিন্তু ডেল্টা ধরনের তুলনায় ওমিক্রনে অসুস্থতার মাত্রা মৃদু।

তিনি বলেন, ওমিক্রনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উপসংহারে পৌঁছানোর আগে আমাদের আরও তথ্য জানার প্রয়োজন আছে। নতুন ধরন হওয়ায় ওমিক্রনের চারিত্রিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য বাকি ধরনগুলোর তুলনায় অনেকটাই আলাদা। আর তাই ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশগুলোকে আরও বেশি করে তথ্য সরবরাহ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তবে এখনই ওমিক্রনের মৃদু সংক্রমণের তথ্যে আশংকামুক্ত ভাবার কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক। তিনি সবাইকে শতর্ক করে বলেন, এই সময়ে যেকোনো ধরনের অসতর্কতার চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। তাই অতি-সতর্ক থাকা প্রয়োজন।


মারাত্মক পরিবর্তিত করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রভাবশালী হয়ে উঠছে। প্রথম শনাক্ত হওয়ার চার সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে বুধবার (১ ডিসেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিক্যাবল ডিজেসেস (এনআইসিডি) জানায় দেশটিতে বিগত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৮ হাজার ৫৬১ জন সংক্রমিত হয়েছে। দেশটিতে এখন সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন।

এনআইসিডি জানিয়েছে, ওমিক্রনের প্রোফাইল এবং মহামারির প্রাথমিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্টটি কিছু প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়াতে পারে, কিন্তু প্রচলিত টিকা এখনও মারাত্মক অসুস্থতা এবং মৃত্যু থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।

দক্ষিণ আফ্রিকান সংস্থাটি জানিয়েছে, গত মাসে জিনগতভাবে বিশ্লেষণ করা নমুনার ৭৪ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এক সপ্তাহ আগে ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। যে নমুনায় প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যায় তা দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল গৌতেং প্রদেশ থেকে ৮ নভেম্বর সংগ্রহ করা।

গত মঙ্গলবারের তুলনায় দেশটিতে বুধবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। 


মহামারীর অভিধানে নতুন শব্দ ‘ওমিক্রন’ যুক্ত হওয়ার পর করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের আশা ম্লান হয়ে গেছে আর বাজারগুলো ফের মুখ থুবড়ে পড়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় আবির্ভূত হওয়া করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটিকে গ্রিক বর্ণমালার ১৫তম অক্ষরের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চলতি বছরের মে-তে নামকরণের এই পদ্ধতি ঘোষণা করে। সংস্থাটি ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গণযোগাযোগ সহজ হয়েছে ও বিভ্রান্তি কমেছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভারতে করোনাভাইরাসের যে ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত হয় সেটি বি.১.৬১৭.২ নামে পরিচিতি পায়নি, পেয়েছে গ্রিক বর্ণমালার চতুর্থ বর্ণ ডেল্টার নামে।

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, এখন সাতটি ‘মনোযোগ সৃষ্টিকারী ভ্যারিয়েন্ট’ বা ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ আছে, এর প্রত্যেকটির জন্যই একটি গ্রিক বর্ণ নির্দিষ্ট করা আছে।

গ্রিক বর্ণ দিয়ে চিহ্নিত আরও কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট থাকলেও সেগুলো ‘উদ্বেগজনক ধরনের’ স্তরে পৌঁছেনি, তাই সেগুলো নিয়ে আলোচনাও হয়েছে কম আর ডব্লিউইএচও ওমিক্রণের ঠিক আগে ‘নিউ’ ও ‘শি’ বর্ণ দুটি এড়িয়ে গেছে। 

শনিবার ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র তারিক জাহারেভিক বলেন, “‘নিউ’ খুব সহজে ইংরেজি শব্দ ‘নিউ’ এর সঙ্গে বিভ্রান্তি তৈরি করবে আর ‘শি’ ব্যবহার করা হয়নি কারণ এটি প্রচলিত নামের শেষাংশ।”

তিনি জানান, সংস্থাটি রোগের নামকরণের ক্ষেত্রে ‘কোনো সংস্কৃতিক, সামাজিক, জাতীয়, আঞ্চলিক, পেশাদার বা জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যেতে পারে’ এমন নাম এড়িয়ে যাওয়াকে শ্রেয় মনে করে।

ডব্লিউএইচও বলেছে, ভ্যারিয়েন্টগুলোর বৈজ্ঞানিক নামের চেয়ে এই নামকরণ পদ্ধতি সহজ ও বোধগম্য, বৈজ্ঞানিক নামগুলো ‘বলা ও মনে রাখা কঠিন হতে পারে এবং প্রতিবেদনগুলোতে প্রায়ই ভুলভাবে আসে।

তাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন কিছু গবেষক | 

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাসবিদ ডা. অ্যাঙ্গেলা রাসমুসেন জানান, চলতি বছর গ্রিক নামকরণ পদ্ধতি ঘোষণার আগে তিনি সাংবাদিকদের অনেক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আর বি.১.১.৭ এবং বি.১.৩৫১ ভ্যারিয়েন্টের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তিতে বারবার হোঁচট খেয়েছেন।

“কথা বলার সময় ধারবাহিকভাবে এসব নাম ব্যবহার করা সত্যি কষ্টকর। শেষ পর্যন্ত মানুষ এগুলোকে যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্ট বা দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট বলা শুরু করে,” বলেন তিনি।

এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট এখন আলফা ও বিটা নামে পরিচিত। প্রথমটির আবির্ভাব যুক্তরাজ্যে আর পরেরটির দক্ষিণ আফ্রিকায়। 

রাসমুসেন জানান, ডব্লিউএইচওর গ্রিক নামকরণ পদ্ধতিতে যাওয়ার এটি আরেকটি বড় কারণ, নামকরণের পুরনো রীতিটি ভাইরাসটি যেখানে আবির্ভূত হয়েছে সেখানকার মানুষের জন্য অন্যায্য ছিল।

ডব্লিউএইচও জাতীয় কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমগুলোকে নতুন নাম ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছে। তবে তারা বৈজ্ঞানিক নামগুলো পাল্টে দেয়নি, যা বিজ্ঞানীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে এবং গবেষণাকালে ব্যবহৃত হয়।

করোনা প্রতিরোধী ট্যাবলেটের অনুমোদন দিলো যুক্তরাজ্য 


যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধী মেরেকের অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের অনুমোদন দিয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মহামারি মোকাবিলার জন্য এ ট্যাবলেটকে গুরুত্বপূর্ণ নতুন হাতিয়ার হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।


মেরেক বৃহস্পতিবার জানায়, যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি যাদের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের করোনার উপসর্গ আছে তাদের জন্য এ ট্যাবলেটের অনুমোদন দেয়।

অনুমোদিত করোনা প্রতিরোধী এ ট্যাবলেটটি মুখে খাওয়া জন্য। যাদের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের করোনা উপসর্গ রয়েছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি অথবা মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে এ ট্যাবলেট।


যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ নিয়ন্ত্রকরা এখনো মেরেকের এ মুখে খাওয়ার ওষুধটির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করছে। গত মাসে গবেষণার ফেজ-৩ তে ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন দেশের সরকার এ ওষুধ ক্রয় করতে চাচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্রের মেরেক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষের এ ট্যাবলেটের উদ্ভাবন করেছে। গবেষকরা দাবি করছেন এটি শেষ ধাপের ট্রায়ালে ভালো ফল দেখিয়েছে। মেরেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রব ডেভিস এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমরা ট্রায়ালে ভালো ফল পেয়েছি। আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে না, বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসে এই ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।


মোলনুপিরাভির নামক এ ওষুধটি হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ করে যাদের পাঁচ বা তার কম দিনের জন্য উপসর্গ রয়েছে এবং যারা মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন

কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত - সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এশিয়ার বিভিন্ন অংশ এবং এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন।

করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন

কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস?

শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। 

আমার কি মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত?

করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।

শিশুরা কি ঝুঁকিতে?

যে কোন বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানত: আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

তবে শহরাঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এসব প্রভাবের মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা, যা সম্প্রতি মঙ্গোলিয়ায় দেখা গেছে।

“এই করোনাভাইরাসটি ভয়াবহ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। শিশুদের উপর এই ভাইরাসের প্রভাব বা এতে কতজন আক্রান্ত হতে পারে- সে সম্পর্কে আমরা এখনও বেশি কিছু জানি না। কিন্তু নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। সময় আমাদের সাথে নেই।”

ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর

 

ইউনিসেফ এক্ষেত্রে কি করছে?

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর ক্ষেত্রে চীনকে সহযোগিতা করতে প্রতিরোধক মাস্ক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রতিরক্ষামূলক স্যুট নিয়ে ইউনিসেফের একটি চালান জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে চীনের সাংহাইয়ে পৌঁছেছে।

ছয় মেট্রিক টনের এই চালানটি কোপেনহেগেনে ইউনিসেফের বৈশ্বিক সরবরাহ কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছে এবং এটি চীনের ইউহানে প্রেরণ করা হবে। আগামী দিনগুলিতে ইউনিসেফ আরও জরুরী সরবরাহ পাঠাবে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত দলকে ঢুকতে দিচ্ছে না চীন


করোনাভাইরাসের উৎস তদন্তকারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে চীনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এই ঘটনায় হতাশ হলেন ডাব্লুএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। গার্ডিয়ান মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে। চীনা কর্মকর্তাদের মতে, ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যদের জন্য ভিসা এখনও অনুমোদিত হয়নি। সুতরাং তারা সেই দেশে আসতে পারে না। তবে ডাব্লুএইচওর বিশেষজ্ঞ দলের কিছু সদস্য ইতোমধ্যে চীনের উহান যাত্রা শুরু করেছেন। 

বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে চীনে প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ডাব্লুএইচওর মহাপরিচালক। তিনি ডাব্লুএইচও প্রতিনিধিদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য চীনকেও আহ্বান জানিয়েছেন।


টেড্রোস অ্যাধনম জেরিবাসাস বলেছেন, ডাব্লুএইচওর বিশেষজ্ঞ দলের দুই সদস্য ইতিমধ্যে তাদের যাত্রা শুরু করেছেন। অন্যরা শেষ মুহুর্তে ট্যুর করতে পারছেন না। এই খবরে তিনি খুব হতাশ। ডব্লিউএইচও প্রধান জানিয়েছেন যে তিনি চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে মিশনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি অগ্রাধিকার।


ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে, ডব্লুএইচও জানিয়েছিল, করোনার উদ্ভব সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য ১০ জন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীর একটি দল ২০২১ সালে চীনা শহর উহান সফর করবে। এরপর এই উদ্যোগকে বেইজিং স্বাগত জানায়। তবে এখন তারা ডাব্লুএইচও বিশেষজ্ঞ দলকে দেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। 

বিজ্ঞানীরা বলেছেন অপরাধী কে খেঁজে  বের করা নয়। আমরা দেখতে চাই আসলে করোনা ভাইরাস কথা। এন্ড কিভাবে উৎপত্তি হলো তা জানার জন্য । এবং কিভাবে মানুষের মধ্যে ছড়ালো তা সম্পূর্ণ ভাবে জানার জন্য আমরা এই কাজ টি করতে চাই। এবং জেনে ভবিষ্যতে সংক্রমণের উপায় বের করতে চাই।


ডিসেম্বর ২০১৯  সালে, প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি চিনের উহান শহরে সনাক্ত করা হয়েছিল। ধীরে ধীরে মহামারীটি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget