Articles by "আওয়ামী-লীগ"
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, তৈমূর আলম খন্দকার শামীম ওসমান এবং সেলিম ওসমানের প্রার্থী। উনি বিএনপির প্রার্থী নন, স্বতন্ত্র প্রার্থীও নন। 

তিনি বলেন, 'গতকাল (শুক্রবার) বন্দরে প্রচারণা চালানোর সময় সেলিম ওসমানের জাতীয় পার্টির চারজন চেয়ারম্যান তার সাথে ছিল। এতে প্রমাণিত হয় সারা নারায়ণগঞ্জে যে গুঞ্জন ছিল যে তৈমূর আলম খন্দকার গডফাদার শামীম ওসমানের ক্যান্ডিডেট, গতকাল তা প্রমাণিত হয়েছে।'

শনিবার বন্দরের ২৪ নং ওয়ার্ডের দেউলি চৌরাপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন আইভী।

তৈমূর আলম খন্দকারের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'তিনি জনতার প্রার্থী নন, বিএনপির প্রার্থীও নন।'

দলের সমর্থন প্রসঙ্গে আইভী বলেন, 'আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হল কিনা জানি না। সকল নেতাকর্মীরা আমার সাথে, দল আমার সঙ্গে আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'দলের হাইকমান্ড কালকে সব দেখেছে। পত্রপত্রিকায়ও খবর এসেছে। তারা দেখেছে এবং তারা এ বিষয়ে দেখবে। আমি বলতে চাই, আমি নির্বাচন করি জনতার শক্তিতে। জনতাই আমার শক্তি, দল আমার মনোবল। এসব মিলিয়ে আমি নির্বাচন করি। আমি কোনো গডফাদারের দিকে তাকিয়ে নির্বাচন করি না। আমি বলেছি, কালকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানরা প্রকাশ্যে নেমেছে। এতে প্রমাণিত হয় কারা তার সাথে আছে, কারা তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে।'


বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে ‘মেজর জিয়া’ এবং আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

এ তথ্য জানিয়ে প্রকাশ করা একটি পোস্টারে বলা হয়, ‘২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বইমেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় আল-কায়েদাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে হত্যা এবং তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে আহত করে।’

এতে বলা হয়, ‘ওই হামলার জন্য বাংলাদেশের একটি আদালতে ছয় জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছে। আসামিদের দুজন—সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছিল এবং তারা এখনও পলাতক।’

অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমেদ (ছবি সংগৃহীত)


পোস্টারে বলা হয়েছে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য কারও সম্পর্কে আপনার কাছে কোনও তথ্য থাকলে, নিচের নম্বরটিতে সিগন্যাল, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠান। সেক্ষেত্রে আপনিও পুরস্কার পেতে পারেন’।

ফোন নম্বরটি হলো: +1-202-702-7843 এবং @RFJ_USA নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেলও দেওয়া হয়েছে।

পোস্টারের শিরোনামে বলা হয়, ‘রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস ৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তথ্যের জন্য।’

পোস্টারের নিচে বাঁদিকের কোনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নাম ও প্রতীক, ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস ও রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিসের নাম রয়েছে।

রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস হচ্ছে সন্ত্রাস দমনে ভূমিকার জন্য পুরস্কার দেওয়ার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একটি কর্মসূচি।

এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ব্যক্তি বা সম্পত্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা।

এ পর্যন্ত আরএফআই শতাধিক লোককে মোট ১৫ কোটি ডলারেরও বেশি পুরস্কার দিয়েছে। খবর বিবিসির

 জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহ। মেয়র সবার সামনেই তাকে চড় মারাসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাই স্কুল মাঠে শহীদ মিনার বেদিতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। মেয়রের এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় মেয়রের বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি।  

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাই স্কুল মাঠে বিজয় দিবস উদযাপনের নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্কুল মাঠের শহীদ মিনারের বেদিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের লোকজন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহ। সকাল ৭টার দিকে তিনি উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনামতো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে মাইকে একে একে নাম ঘোষণা করেন। এ সময় দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান।

মেয়র তার পৌর পরিষদের সবাইকে নিয়ে যথারীতি পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে শহীদ মিনার থেকে নেমেই তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘.... বাচ্চা, পৌরসভা কি ৫ নম্বরে ফুল দিবে?’ একই সাথে মেয়র সজোরে মেহের উল্লাহর গালে দুইবার থাপ্পড় মারেন। এ নিয়ে সেখানে বেশ হট্টগোল শুরু হয়ে গেলে মেয়র শাহনেওয়াজ শাহনাশাহ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আমি উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া তালিকা দেখেই সেখানে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম ঘোষণা করছিলাম। সেই তালিকায় দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নাম ৫ নম্বরে থাকা নিয়ে মেয়র আমার ওপর তেড়ে আসেন। আমাকে লক্ষ্য করে উপস্থিত সবার সামনেই মেয়র উচ্চৈঃস্বরে বলতে থাকেন ‘... বাচ্চা, পৌরসভা কি ৫ নম্বরে ফুল দিবে?’ এভাবে গালিগালাজ করতে করতে মেয়র আমার গালে সজোরে দুইবার থাপ্পড় মারেন। বিজয় দিবসের মতো মহান এই অনুষ্ঠানে সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় আমার সঙ্গে এ ধরনের আচরণে আমি খুবই বিপর্যস্ত এবং চরম অপমানিত হয়েছি। এ ঘটনার পরপরই আমি আমার ঊর্ধ্বতন বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অবহিত করাসহ আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং জনসমক্ষে বিনা কারণে অপমানিত করার জন্য মেয়রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক


ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেওয়ানগঞ্জের ইউএনওর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ প্রসঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোন করে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে পাওয়া যায়নি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।

দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। 

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ অত্যন্ত ঘৃণিত এবং ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।'


অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি শহীদ মিনারের বেদিতেই ছিলাম। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে এ ধরনের অশালীন আচরণ করা হলে তারা কাজ করবে কিভাবে। মেয়র কাজটি ঠিক করেননি। এ ব্যাপারে ওই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যারকে জানিয়েছি।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির কালের কণ্ঠকে জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহ থানায় অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। 

মেয়রের এ ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি শুনেছি যে ওই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ানগঞ্জের ইউএনওর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। ইউএনওকে বলব আমার কাছে প্রতিবেদন পাঠাতে। বিষয়টি আমি দেখব।


কানাডায় ঢুকতে পারলেন না বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তাকে টরন্টোর পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত পাঠিয়েছে কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। স্থানীয় সময় আজ দুপুর একটা ৪১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এরপরই ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।

মুরাদ হাসানকে ঢুকতে না দেওয়ার ব্যাপারে কানাডার সরকারি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এরআগে প্রবাসী বাংলাদেশি কানাডিয়ানরা মুরাদ হাসানের ব্যাপারে আপত্তি জানান। তাকে কানাডায় ঢুকতে দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার আহাদ খন্দকার, মমিনুল হক মিলন, মাহবুব চৌধুরী রনি এবং জাকারিয়া চৌধুরী কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি, পিয়ারসন এয়ারপোর্ট অথরিটি ও ন্যাশনাল অথরিটি অব ইন্টেলিজেন্স-এর কাছে চিঠি দেন। ওই চিঠি’র সঙ্গে মুরাদ হাসানের বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেয়া হয়।

আহাদ খন্দকার জানান, ‘কানাডার মতো শান্তির দেশে ডা. মুরাদ এলে বাঙালি কমিউনিটিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এজন্য মুরাদ হাসান কানাডা আসছেন এটা জানার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিই তাকে কোনভাবেই কানাডায় ঢুকতে দেয়া যাবে না। এর ভিত্তিতে মমিনুল হক মিলন কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠান।’ এ ব্যাপারে মমিনুল হক মিলন মানবজমিনকে বলেন, ‘সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডার জন্য সিকিউরিটি থ্রেট। তিনি নারীদের অবমাননা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ নারী সমাজকে অপমান করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এজন্য তার বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ ও ডকুমেন্ট কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ই-মেইলে পাঠাই। আজ মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমাকে ফোন করা হয়।’


আলোচিত আবরার হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট জানিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসান রাসেলের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সালথাবাসী।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ রায়ে এলাকাবাসী, রাজনৈতিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।


এদিকে এই মামলার প্রধান আসামি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে। সুনসান নিরবতায় রয়েছে বাড়ির পরিবেশ। তেমন কারো সাথেই কথা বলছে না রাসেলের পরিবার। সেখানে তার বাবা, মা ও ছোট ভাই বসবাস করে।

রাসেলের বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য রুহুল আমিন বলেন, বিচারের রায় নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এতটুকু বলবো আমার ছেলে সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না।

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বলেন, রাসেলের পরিবারের তিন সদস্য এখানে বাস করে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রাসেল পড়াশোনা করার জন্য ঢাকা থাকতো। আমরা জানতাম রাসেল বুয়েটে পড়ে, সে অনেক মেধাবী। রাসেল ছাড়া সবাই বাড়িতেই থাকতো।

এলাকাবাসী আরও বলেন, আদালত যেটা সঠিক মনে করেছে, সেই রায় ঘোষণা করেছেন। তবে আমরা বলবো এই জঘন্যতম ঘটনার যে বিচার দ্রুত সময়ে হয়েছে এই জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে এ রায় দ্রুত কার্যকর করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।


পদত্যাগপত্র জমা দেয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে যেদিন পদত্যাগ করতে বললেন শেখ হাসিনা, সেদিন দেশে দিনভর আলোচনায় ছিল একটি ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপোকথন, যেটির এক প্রান্তে ছিলেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক মামুনুন হাসান ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অপরপ্রান্তে ছিলেন মোহাম্মদ মুরাদ হাসান।

বিবিসিকে চিত্রনায়ক ইমন নিশ্চিত করেছেন, ওই কথোপকথন তার টেলিফোনেই হয়েছে। মুরাদ হাসানই তাকে ফোন করেছিলেন।

সৌদি আরবে ওমরাহ পালনরত মাহিয়া মাহিও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেছেন।

ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে মুরাদকে প্রকাশে অযোগ্য ভাষায় কথা বলতে শোনা গেছে। এমনকি এক পর্যায়ে তিনি মাহিকে ধর্ষণের হুমকিও দেন বলে অডিওতে শোনা যায়।

ইমন বিবিসিকে বলেছেন, টেলিফোন আলাপের এই ঘটনাটি ঘটেছে ২০২০ সালের মার্চ মাসে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন প্রতিমন্ত্রী এই দুজন চিত্রতারকাকে টেলিফোন করে ধর্ষণের হুমকিসহ অশ্রাব্য সব কথাবার্তা বলবার পরও প্রায় দুই বছর কেন চেপে রেখেছিলেন তারা? কেন তারা প্রকাশ করেননি, কোথাও কোন অভিযোগ করেননি?

জানতে চাইলে ইমন বিবিসিকে বলেন, 'এটা এমন কোন ঘটনা ছিল না।'

মাহিয়া মাহি বিদেশে অবস্থান করার কারণে এ নিয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সোমবার রাতে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে মিজ মাহি বলেছেন, 'আমার কোনো দোষ ছিল না, আমি একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম।'

চিত্রনায়ক ইমন যা বলছেন :
সোমবার অডিও ফাঁস হওয়ার পর চিত্রনায়ক ইমনই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে টেলিফোন আলাপের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মামুনুন হাসান ইমন বিবিসিকে বলেন, 'দেখুন এটা এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, আমাকে একজন ফোন দিলো - এই কথা বল, তুই কোথায়? কাল ফোন ধরিসনি কেন? আচ্ছা মাহিকে ফোনটা দে। এখন এইটার জন্য তো আমার ইয়ে হবার কথা না।'

তিনি বলছেন, 'কিন্তু অপজিট সাইডে উনি মাহির সঙ্গে যেভাবে কথা বলছেন, যে টোনে কথা বলেছেন... এখন ফোনে লাউড স্পিকারে কথা না বললে আমার পাশেরজনের সাথে কী কথা হচ্ছে সেটা তো আমি জানবো না, তাই না।'

'মাহির কথাগুলো আমি শুনেছি অডিও ফাঁস হবার পর। তার আগে আমি তো জানতাম না তার সঙ্গে মাহির কী কথা হয়েছে। মাহিও আমাকে বলেনি।'

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা কোন সম্পর্ক নেই দাবি করে ইমন বলেছেন, 'উনি এই অঙ্গনের মন্ত্রী (প্রতিমন্ত্রী) উনি। সবার সঙ্গেই উনার ভালো সম্পর্ক, সবাইকে উনি তুই করে বলেন। একটা অধিকার নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন উনি (প্রতিমন্ত্রী)। সব শিল্পীর সাথেই তার একটা ভালো সম্পর্ক, আমার সাথেও সে রকম।'

ঘটনার দিনের কথোপকথন সম্পর্কে তিনি বলছেন, 'আমিও সেভাবে কথা বলি উনার সাথে। এখন গালিগালাজ সম্পর্কে তো আমি জানি না। আপনি অডিওটা শুনলেই বুঝতে পারবেন সেদিন আমি কেবল পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।'

বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পরে ফেসবুকে পোষ্ট করা ওই ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, 'বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রত্যুত্তরের ভাষা আমার জানা ছিল না।'

দুই মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমি সেদিনও বলেছিলাম। আমার বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রত্যুত্তরের ভাষা আমার জানা ছিল না। দুই বছর আগের ঘটনা। তখন আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছিলাম।'

ফাঁস হওয়া অডিওর ব্যাপারে কথা বলার জন্য মুরাদ হাসানের সাথে সোমবার থেকে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে এর আগে তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানের উদ্দেশ্যে অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য করার ব্যাপারে বিবিসির কাছে বক্তব্য দিয়েছিলেন মি. হাসান, যেখানে তিনি বলেছিলেন তিনি কোন 'ভুল' করেননি এবং বক্তব্য প্রত্যাহারের কোন "প্রশ্নই ওঠে না"।

ডিবি অফিসে ইমন :
এদিকে সোমবারই ইমন ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে।

বিবিসিকে ইমন বলেছেন, তিনি নিজে থেকেই ডিবি অফিসে গিয়েছিলেন উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য।

'সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি আলোচনা করলাম হারুন (গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার) ভাইয়ের সঙ্গে। তারা আমাকে বলেছেন চিন্তার কিছু নেই', বিবিসিকে বলেন ইমন।

তবে তিনি কোনো 'ভীতির মধ্যে নেই কিংবা তার ওপর কোনো ধরণের চাপ নেই' বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিবিসিকে ইমন বলেছেন, 'ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে আমি নিজে থেকে কথা বলেছি, ভয়েস রেইজ করেছি। কিন্তু আমাকে নিয়েই এখন কথা হচ্ছে।'

'আমি তো এখানে কিছু করিনি। কিন্তু দেখেন আমার একটা পরিবার আছে, ক্যারিয়ার আছে। সেসব জায়গায় আমার ইমেজটা কেমন হচ্ছে ভাবুন একবার!'
সূত্র : বিবিসি


অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান এবার আওয়ামী লীগ থেকেও ‘বাদ’ পড়তে যাচ্ছেন- এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বেঠকে।

এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ‘সুপারিশ’ করা হবে। দলের দায়িত্বশীল পদে থাকা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন, তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর কিছু অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ডা. মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে মুরাদকে।

পরে প্রতিমন্ত্রীর তথ্য কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব মাহমুদ ইবনে কাশেমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।  এ তথ্য গিয়াসউদ্দিন নিজেই যুগান্তরকে জানিয়েছেন। 

এর আগে দুপুরে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়।  ই-মেইলে তিনি এ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুরাদ হাসান লেখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্ব-শ্রদ্ধেয় সালাম নেবেন।  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মে ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।  আমি আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সাল থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায়, আপনার নিকট বিনিত নিবেদন, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার লক্ষ্যে পদত্যাগপত্র গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি। 

পদত্যাগপত্রে ভুল লিখেছেন মুরাদ।  ২০১৯ সালে তাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও পত্রে তিনি ২০২১ উল্লেখ করেন।

মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য।  তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।


গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সদ্য বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা হয়েছে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য।

আদালত বাদি ফারুক আসিফের জবানবন্দি নিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, রবিবার (২৮ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জাহাঙ্গীরের এক অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই অডিওতে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে তাকে কটূক্তি মন্তব্য করতে শুনতে পাওয়া যায়। এরপর গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে আজীবন আওয়ামী লীগে থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ২৫ নভেম্বর মেয়র পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।



বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া চালুর দাবিতে গতকাল রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে কিছু ছাত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন। এরা ছাত্রলীগ কর্মী বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

বাসে অর্ধেক ভাড়ায় (হাফ পাস) যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত যাওয়ার সময় ঢাকা কলেজের উল্টো দিকের পেট্রল পাম্পের সামনে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ এই হামলা করেছে। তবে এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঢাকা কলেজে বর্তমানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের ফোন করেও এ বিষয়ে কথা বলা যায়নি।


তবে নিউ মার্কেট থানার ওসি স ম কাইয়ুম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আইডিয়াল কলেজের ছাত্ররা ঢাকা কলেজের এক ছাত্রের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এর পাল্টা ঘটনায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা আইডিয়াল কলেজের ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ কোনো ছাত্রকে আটক করেনি। তবে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা আইডিয়াল কলেজের এক ছাত্রকে আটকে রেখেছিল। পরে দুই কলেজের শিক্ষকরা আলোচনা করে আইডিয়াল কলেজের ছাত্রকে নিয়ে যান।’


হামলার পর ছাত্ররা দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার আবারও সড়ক অবরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরাও। দাবি মানতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।


গত ৪ নভেম্বর ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়। এর পরও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠে পরিবহন মালিকদের বিরুদ্ধে। এরপর শিক্ষার্থীরা গত ১৫ নভেম্বর থেকে হাফ পাসের আন্দোলন শুরু করেন। গত কয়েক দিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে এই আন্দোলন চলছিল। গতকালই শিক্ষার্থীদের ওপর প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।


গতকাল রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ ও ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। সায়েন্স ল্যাব মোড়ের অবস্থান শেষে ছাত্রদের একটি মিছিল নীলক্ষেত ঘুরে সায়েন্স ল্যাবে এসে শেষ হওয়ার কথা ছিল।


মিছিল ঢাকা কলেজের উল্টো পাশে পৌঁছলে লাঠি, গাছের ঢাল নিয়ে একদল তরুণ তাঁদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের কয়েকজন হেলমেট পরা ছিল। হামলায় শিক্ষার্থীদের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে কয়েকজন আহত হন। হামলাকারীদের দুজন একজন ছাত্রকে ধরে নিয়ে মারধর করে। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


এর আগে ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে করা সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনেও এই জায়গায় ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটে। তখনো হামলাকারী অনেককে হেলমেট পরে থাকতে দেখা যায়।


ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘আমরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে মোটরসাইকেলের সঙ্গে এক ব্যক্তিগত গাড়ির ধাক্কা লাগে। ওই গাড়ির যাত্রী এক নারীর সঙ্গে মোটরসাইকেলের যুবকটি তর্ক করছিল। আমাদের মিছিল যেহেতু এখান দিয়ে যাবে তাই আমরা কয়েকজন তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করি। এর এক পর্যায়ে ওই যুবকের সঙ্গে আইডিয়াল কলেজের কয়েকজন ছাত্রের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই যুবক আরো কয়েক জনকে নিয়ে আসে। সেখান থেকে ঘটনা বড় হয়ে যায়।’ এই শিক্ষার্থীর দাবি, তাঁরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী না হলে এত দ্রুত লাঠিসোঁটা নিয়ে আসতে পারত না।


আন্দোলনকারী আরেক ছাত্র বলেছেন, আজকের (গতকাল) আন্দোলন তিন কলেজের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হলেও এতে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের উপস্থিতি কম ছিল।


অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়। বরং আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অতি উৎসাহী হয়ে ঢাকা কলেজের এক ছাত্রের ওপর হামলা চালিয়েছে। তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।’


জাবি শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাফ পাসের দাবি মানতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন। গণপরিবহনে হাফ ভাড়া নিশ্চিত করা ও শিক্ষার্থী-যাত্রী হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।


শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—সব রুটের বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নিশ্চিত করা, সর্বনিম্ন ভাড়া পাঁচ টাকা, গণপরিবহনের যাত্রাপথে চেক, ওয়ে বিল বাতিল ও বিআরটিএর আইন মেনে গেটলক-সিটিং সার্ভিস বন্ধ করা এবং পরিবহনে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা।


চট্টগ্রামেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন : হাফ ভাড়ার দাবিতে এবার আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা। গতকাল নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেট মোড়ে ‘গণপরিবহনে হাফ ভাড়া চাই, চট্টগ্রাম’ ব্যানারে হাফ ভাড়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল জিইসি মোড়ে এসে শেষ হয়।


সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের’ ৯ দফায় ছিল। সে সময় সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সেটি মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন করেননি। উল্টো জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে শিক্ষার্থীদের ঘাড়েও বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দিয়েছেন। তাই গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।


নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চট্টগ্রামের সংগঠক ও পটিয়া কলেজের শিক্ষার্থী জাহেদুল রাফি বলেন, ‘গাড়িভাড়া থেকে শুরু করে সব ধরনের খরচ বেড়ে গেছে। কিন্তু আমাদের বাবাদের বেতন তো বাড়েনি। করোনাসহ নানা সমস্যা মোকাবেলা করে পরিবারের খরচ বহনে যেখানে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে এই ভাড়া বেড়ে যাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যা।’ 

 


পাবনা সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রুমানা আক্তার মিতু (৩৫) রেললাইনে সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গত ২৪ অক্টোবর বিকেলে ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার ব্রিজের ওপর থেকে ট্রেনের ধাক্কায় তিনি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মিতু সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের মকসেদ আলীর মেয়ে।

পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আরেফা খানম শেফালি জানান, ২৪ অক্টোবর ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার ব্রিজে পরিবারসহ বেড়াতে যান মিতু। ওই সময় তিনি ট্রেনের লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন। হঠাৎ ট্রেন চলে আসলে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এ সময় রেললাইনের নিচে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক সেখান থেকে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিলে তাকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পাবনা কামিল আলিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা নামাজ শেষে আরিফপুর সদর গোরস্থানে দাফন করা হওয়ার কথা বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ট্রেন দুর্ঘটনার ১৩ দিন পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মরদেহ রাজশাহী থেকে নিয়ে এসে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রতিবেশী দেশে জ্বালানি পাচার বন্ধে সরকার অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে। শনিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার সব সময়ই জনস্বার্থের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন,রোববার বিআরটিএ’র ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির বৈঠকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতিনিধিসহ সংশ্নিষ্ট অন্যান্য স্টেক হোল্ডাররা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে ব্যাপারে ইতিবাচক উদ্যোগ ও প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, মূল্য সমন্বয়ের এই অজুহাতে কেউ যেন অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। ওবায়দুল কাদের আবারও পরীক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও পণ্য পরিবহনসহ জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এদিকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির জন্য একই কারণ উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি ও পাচাররোধে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও তার প্রতিফলন ঘটবে। ২০১৬ সালেও এভাবে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছিল। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরকার ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করেছে। যদিও আশপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য এখনও কম।


জয়পুরহাটে মুক্তিপণের টাকাসহ অপহরণকারী চক্রের একজন আটক

জয়পুরহাটে র‌্যাব এক লাখ টাকা মুক্তিপণসহ অপহরণকারীদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় দু'জন অপহরণকারীকেও উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাতে সদর উপজেলার ভিটি গ্রামের জঙ্গল থেকে র‌্যাব -৫ জয়পুরহাট শিবিরের সদস্যরা একজনকে গ্রেপ্তার করে এবং দু'জন অপহরণকারীকে উদ্ধার করে। র‌্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।


র‌্যাব জানিয়েছে, আটককৃত ব্যক্তি হলেন শাহিনুর রহমান (২৪), অপহরণের ঘটনার প্রধান। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভিটি মণ্ডলপাড়া গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে। উদ্ধারকৃত দুই ব্যক্তি হলেন- ইয়ানুর হোসেন ওরফে সম্পদ (২০) ও তারাজুল ইসলাম (২৮)। ইয়ানুর হোসেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার চাকদাদ্রা গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে এবং তারাজুল ইসলাম পেছুলিয়া গ্রামের ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

আরো পড়ুন : করোনার টিকার ন্যায্য বণ্টনের আহ্বান ডব্লিউএইচওর

র‌্যাব -৫ অনুসারে অপহরণকারী রিংয়ের সদস্যরা দুজনকে অপহরণ করে একটি বনে আটকে রেখেছিল এবং তাদের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল। মুক্তিপণ আদায় করতে দেরি হওয়ায় অপহরণকারীরা দুজনকে শারীরিক নির্যাতন করেছিল। খবর পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা ক্যাম্প সুপারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মহামাইনুর রশিদের নেতৃত্বে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে এবং দু'জন অপহরণকারীকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায়। অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধার এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গতরাতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।


র‌্যাব -৫ জয়পুরহাট শিবিরের অধিনায়ক এমএম মহামাইনুর রশীদ প্রথম আলোকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অপহরণকারীরা দু'জন অপহরণকারীকে মারধর করে। উদ্ধার শেষে তাদের দুজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে।


খবর প্রকাশ করছে : prothomalo


সালথা শ্রমিক লীগের সভাপতিসহ তার সহযোগীরা কুপিয়ে আহত 


ফরিদপুরের সালথা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান (৪৯) কে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করেছে। তার সহযোগী শফিক মাতুব্বর (৩৮ )ও কুপিয়ে আহত হয়েছেন। বুধবার রাত আটটার দিকে সল্লার বল্লভদী ইউনিয়নের কুন্ডু বারির কোণে এ ঘটনা ঘটে।


শ্রমিক লীগ নেতা সাইফুর রহমানের বাড়ি বারী উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের কাদির বল্লভদী গ্রামে। শফিকের বাড়িও একই গ্রামে। আহত শফিক মাতুব্বরের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা গতকাল রাত ৮ টার দিকে বাউশখালী বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। কুন্ডু বাড়ির কোনায় পৌঁছে, আগে ইজিবাইকটি লুকিয়ে থাকা দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলটি থামিয়ে দেয়। সে দুজনকে কুপিয়ে আহত করে।


আহত সাইফুর রহমানকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং শফিক মাতুব্বারকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। শফিককে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সাইফুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য Dhakaাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিল।

আরো পড়ুন : বাংলাদেশ–ভারতের অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টনে ন্যায্যতা চাই

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান জানান, সাইফুর রহমানের দুটি পায়ে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। আর শফিকের মাথায় অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তবে তারা দুজনেই নিরাপদ। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি সম্ভবত এলাকায় আধিপত্যের কারণে হতে পারে। গতকাল সকাল সাড়ে। টা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবর প্রকাশ করছে : prothomalo

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget