Articles by "জাতীয়"
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


হাসপাতালে বিল পরিশোধ করতে না পেরে সময় চাওয়ায় রাজধানীর শ্যামলীতে আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুরুতর অসুস্থ যমজ শিশুকে বের করে দেয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, শিশুদের মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে আজ মোহাম্মদপুর থানায় মামলায় করেছেন। মামলায় হাসপাতালের মালিক গোলাম সরোয়ার ও পরিচালক সোয়েব খানকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে র‌্যাব গোলাম সরোয়ারকে আটক করেছে।


র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, শ্যামলীর আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি পরিচালনায় যে নীতিমালা তা মেনে চলছে কি না তা দেখতে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। এই হাসপাতালের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র আমরা পাইনি। সেখানে আমরা মাত্র একজন চিকিৎসক পেয়েছি, যেখানে ৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা ছিল। আমরা একজন নার্স পেয়েছি। চিকিৎসক যাকে পেয়েছি, তিনি আইসিইউ-এনআইসিইউ বিশেষজ্ঞ না। তিনি এমবিবিএস চিকিৎসক। তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছিলেন।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, শিশু হাসপাতাল বা স্বনামধন্য হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে এনআইসিইউ-আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে রোগীদের নিয়ে আসা হতো। পরবর্তীতে এনআইসিইউ-আইসিইউতে ভর্তি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা লাভের আশায় বড় বিল তৈরি করে দেওয়া হতো। বিলিং যে সিস্টেম—ভাউচার দেওয়া, সেখানে কোনো বিল দেওয়া হয় না। মালিক গোলাম সারোয়ার তিনি মূলত যে বিল নির্ধারণ করেন সেটাই নেওয়া হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি নিয়ম আছে, কোন বিষয়ে কত টাকা নেওয়া যাবে। কোন পরীক্ষার কত খরচ সেই তালিকা ঝোলানো অবস্থায় পাওয়া যায়নি। একজন রোগীর কাছে অভিযোগ পেয়েছি, ডাক্তার বাবদ, নার্স বাবদ কত—প্রতিটি বিষয়ে বিল করা হতো। পাশাপাশি ১৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেওয়া হতো।


এখানে যে ঘটনাটা ঘটেছে, দালালদের মাধ্যমে তারা জানতে পারে ভুক্তভোগীর স্বামী সৌদি আরবে থাকেন। তাদের উচ্চাশা ছিল অনেক মুনাফা তাদের কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব। পরবর্তীতে যখন দেখেছে ৪০ হাজার টাকার বেশি আপাতত দিতে পারছেন না। সময় চাচ্ছে। আর রোগীর অবস্থাও কিছুটা সংকটাপন্ন ছিল। এ জন্যই জোর করে জমজ শিশুসহ মাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, বলেন মঈন।


ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় খালাস পাওয়া দুই আসামি মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের খালাসের রায় বাতিল করে কেন সাজা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছর দণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।

গত ৯ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দু’টি সাজা একসঙ্গে চলবে উল্লেখ করে তাকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানান আইনজীবীরা।

এ মামলার দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর আট আসামির মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীমকে চার বছরের দণ্ড দেন। আর ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে তিন বছরের দণ্ড দেন।

পরে গত ২০ ডিসেম্বর এই দুজনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক আপিল করে। এই মামলায় এস কে সিনহাসহ মোট আসামি ১১ জন। পলাতক থাকায় সাবেক প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতেই হয় বিচারকাজ।

এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে ‘মেজর জিয়া’ এবং আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

এ তথ্য জানিয়ে প্রকাশ করা একটি পোস্টারে বলা হয়, ‘২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বইমেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় আল-কায়েদাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে হত্যা এবং তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে আহত করে।’

এতে বলা হয়, ‘ওই হামলার জন্য বাংলাদেশের একটি আদালতে ছয় জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছে। আসামিদের দুজন—সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছিল এবং তারা এখনও পলাতক।’

অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমেদ (ছবি সংগৃহীত)


পোস্টারে বলা হয়েছে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য কারও সম্পর্কে আপনার কাছে কোনও তথ্য থাকলে, নিচের নম্বরটিতে সিগন্যাল, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠান। সেক্ষেত্রে আপনিও পুরস্কার পেতে পারেন’।

ফোন নম্বরটি হলো: +1-202-702-7843 এবং @RFJ_USA নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেলও দেওয়া হয়েছে।

পোস্টারের শিরোনামে বলা হয়, ‘রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস ৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তথ্যের জন্য।’

পোস্টারের নিচে বাঁদিকের কোনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নাম ও প্রতীক, ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস ও রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিসের নাম রয়েছে।

রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস হচ্ছে সন্ত্রাস দমনে ভূমিকার জন্য পুরস্কার দেওয়ার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একটি কর্মসূচি।

এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ব্যক্তি বা সম্পত্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা।

এ পর্যন্ত আরএফআই শতাধিক লোককে মোট ১৫ কোটি ডলারেরও বেশি পুরস্কার দিয়েছে। খবর বিবিসির


বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে শ্রম বাজার নিয়ে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সম্পন্ন হয়েছে। মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান এবং বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ চুক্তিতে সই করেন।

আজ রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এ চুক্তি সই হয়। এ সময় উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় নেওয়া, আবাসন, এবং দেশে ফেরত পাঠানোসহ মালয়েশিয়াপ্রান্তের যাবতীয় খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা। মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, কোভিড পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সব ধরনের ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বীমা, চিকিৎসা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করবে।

সমঝোতা স্মারক সই করতে ভোরে মালয়েশিয়ায় পৌঁছান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মালয়েশিয়া নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বিমানবন্দরে মন্ত্রী ইমরানকে স্বাগত জানান। শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, শ্রম কাউন্সিলর (দ্বিতীয়) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের ও কমিউনিটি নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিক নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। দেশটিতে ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় মালয়েশিয়াপ্রবাসী যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে এসেছিলেন পরে তাদের জন্যও দেশটিতে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।


পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির পাকিস্তান সফর বাতিল করা হয়েছে। আজ দুপুরে এমিরেটস এয়ারওয়েজের নিয়মিত ফ্লাইটে দুবাই হয়ে তার ইসলামাবাদ যাওয়ার কথা ছিল।

শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী নিজেই তার সফর বাতিলের কথা মানবজমিনকে নিশ্চিত করেন। এক বার্তায় তিনি  লিখেন- ‘কোভিড আক্রান্ত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় ১৫ই ডিসেম্বর থেকে আমি আইসোলেশনে আছি। ৭২ ঘন্টার আইসোলেশন শেষ না হওয়ায় পাকিস্তান যেতে পারছি না। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন (ইসলামাবাদ সফররত) বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের কোনো প্রতিনিধির পকিস্তান যাত্রা নিয়ে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে চলা আলোচনার মধ্যেই ওই সফর বাতিলের খবর এলো। ইসলামবাদে আজ থেকে শুরু হওয়া ওআইসির জরুরি সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে প্রতিমন্ত্রীর যাওয়ার কথা ছিল।


পুলিশের চাকরিটি অবশেষে পাচ্ছেন ভূমিহীন আসফিয়া ইসলাম কাজল। একই সঙ্গে পাচ্ছেন মাথা গোঁজার ঠাঁইও। আসফিয়া পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলেও ভূমিহীন পরিবারের সন্তান হওয়ায় নিয়মের গ্যাঁড়াকলে তাঁর চাকরি হওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁর জন্য সরকারি জমিসহ পুলিশের চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আসফিয়া যাতে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেতে পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক আসফিয়ার জন্য ঘর নির্মাণে হিজলা উপজেলা প্রশাসনকে সরকারি জমি খুঁজতে বলেছেন।

বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন, আসফিয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আসফিয়া যাতে কনস্টেবল পদে চাকরি পেতে পারেন সে জন্য সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে আসফিয়ার জন্য জমির স্থান নির্ধারণ করতে হিজলার ইউএনওকে বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসফিয়ার জন্য ঘর নির্মাণ সম্ভব হবে।’

হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, ‘আসফিয়ার জন্য ঘর নির্মাণে বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাসজমি ঘুরে দেখেছি। উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নে কয়েক শতাংশ জমি পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে সেখানে ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জেলা প্রশাসকের মতামত পেলে কাজ শুরু হবে।’

বরিশাল জেলা পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ কমিটির সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘পুলিশ কনস্টেবল পদে আসফিয়ার নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। নিয়োগ আবেদনে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা ভুল উল্লেখ ছিল। বিষয়টি ভেরিফিকেশনে উঠে আসে। তবে তাঁর চাকরি হবে না, এটা কখনো বলা হয়নি। আসফিয়া যেন এ কারণে নিয়োগবঞ্চিত না হন, সে জন্য নিয়মের মধ্যে থেকে করণীয় সম্পর্কে ভাবা হচ্ছে।’

আসফিয়াকে জমি দিতে চান এক ব্যবসায়ী

গাজীপুরের শ্রীপুরের ব্যবসায়ী মেজবাহ উদ্দিন গতকাল জানিয়েছেন, জমি না থাকায় চাকরি আটকে যাওয়া আসফিয়াকে তিনি জমি লিখে দিতে চান। আসফিয়া ও তাঁর অভিভাবক চাইলে যেকোনো সময় তিনি বিনা শর্তে তাঁকে জমি লিখে দেবেন। মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমার যথেষ্ট জমি আছে। তাই আমি তাঁর চাকরি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি দিতে চাই।’ মানুষ হিসেবে আরেকটা মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এটুকু করতে চান বলে জানান মেজবাহ।


গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগে আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির বিরুদ্ধে এক ক্রেতার করা মামলায় আসামি করা হয়েছে গায়ক তাহসান খান এবং অভিনয় শিল্পী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে।

সাদ স্যাম রহমান নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ইভ্যালির এক গ্রাহক হিসেবে পরিচয় দিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ধানমণ্ডি থানার ওসি মোহাম্মদ ইকরাম আলী জানান, মামলার নয় আসামির মধ্যে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ছাড়াও আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েসের নাম রয়েছে।

মামলার বাদী সাদ স্যাম রহমানের অভিযোগ, ‘প্রতারণার মাধ্যমে’ তার কাছ থেকে তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন মামলার আসামিরা।

ওসি বলেন, “তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির সাথে যুক্ত ছিলেন। তাদের উপস্থিতি ও তাদের প্রমোশনাল কথাবার্তায় প্রলুব্ধ হয়েই ওই কোম্পানিতে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন বাদী।”

গত মার্চে ইভ্যালির পণ্যদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান রহমান খান। পরে গ্রাহকদের অসন্তোষ নিয়ে নানা খবরের মধ্যে তিনি ওই ‍চুক্তি বাতিল করার কথা জানান।

ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হওয়ার পর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ থাকা অভিনেত্রী মিথিলাও চুক্তি বাতিলের খবর দিয়েছিলেন। আর ওই ই কমার্স কোম্পানির জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা শবনম ফারিয়া চাকরি ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন।


শবনম ফারিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ধানমণ্ডি থানার মামলায় তাকে আসামি করার বিষয়টি তার জানা নেই। আর তাহসান ও মিথিলার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গাড়ি, মোটরসাইকেল, গৃহস্থালির আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন বিলাসী পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের নজরে এসেছিল ইভ্যালি।

তাদের চমকদার ‘অফারের’ প্রলোভনে অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়।

কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি। এভাবে প্রলোভনে পড়ে ব্যাংক ঋণ, ধার-দেনা করে, জমি বা গয়না বেচে সেই টাকা ইভ্যালিতে লগ্নি করে এখন মহাবিপদে আছেন বহু গ্রাহক।

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে ইতোমধ্যে গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধানমণ্ডির নতুন মামলাতেও তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, “বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


পুলিশের প্রতিবেদনে ভূমিহীন আছপিয়া ইসলাম কাজলকে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি কনস্টেবল পদে চাকুরী দেওয়ার জন্য পুলিশকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার

জেলা প্রশাসক বলেন, কনস্টেবল পদে চাকরী হয়নি জেনে বরিশাল পুলিশ লাইন্সের সামনে অপেক্ষমাণ ভূমিহীন আছপিয়া ইসলাম কাজলের বিষয়টি ওয়াকিবহাল রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নে আছপিয়ার পরিবার যেখানে থাকে সেখানেই খাস জমি খোঁজ করা হচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব তাকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। আছপিয়ার চাকরী নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ বিভাগকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে নিয়োগ কমিটির সভাপতি বরিশাল পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানান, নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে চাকরী নিশ্চিত সংক্রান্ত কোনো চিঠি বা নির্দেশনা তিনি পাননি বলে জানান। 

প্রসঙ্গত, পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে বরিশাল জেলায় ১০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ সদর দফতর। ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল জেলা থেকে টিআরসি পদে ৭ জন নারী ও ৪১ জন পুরুষ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হিজলা থেকে অনলাইনে আবেদন করেন আছপিয়া ইসলাম। ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলেও কৃতকার্য হন। ২৪ নভেম্বর পুলিশ লাইন্সে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম হন আছপিয়া। ২৬ নভেম্বর পুলিশ লাইন্সে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে কৃতকার্য হন আছপিয়া। তবে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে নিয়োগ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। কারণ তিনি বরিশাল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা নন। এই নিয়োগ পাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। বুধবার হিজলা থানার এসআই মো. আব্বাস ভেরিফিকেশনে আছপিয়া বরিশাল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা নয় উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেন।


নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় কালো ব্যাজ ধারণ ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করছে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা কালো কাপড় পরে রাস্তায় নামে।

মানববন্ধন থেকে আন্দলোনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী খিলগাঁও মডেল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, চলমান নিরাপদ সড়ক আন্দলোনের অংশ হিসেবে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি। আজকের মানববন্ধন থেকে আমরা এ পর্যন্ত যারা সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শোক প্রকাশ করছি। এছাড়া সড়কে চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা কালোব্যাজ ধারণ করে মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে টানা কর্মসূচি পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি বাস্তবায়নের জন্য একের পর এক কর্মসূচিতে ভিন্নতাও এনেছেন। এর আগে রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার দুপুরে রামপুরা ব্রিজে দাঁড়িয়ে সেখানকার শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের মাধ্যমে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে। একই সময় শিক্ষার্থীদের আরেক অংশ শাহবাগে প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে মিছিল করে। কফিন ও ব্যঙ্গচিত্রে সড়কে চলমান অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের চিত্র ফুটে উঠেছে বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করে। এর আগে শনিবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে লাল কার্ড প্রদর্শন করেছিল শিক্ষার্থীরা।

 


ঢাকার পর চট্টগ্রামসহ সব মহানগরেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাসে অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজপথ ছেড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরার আহবান জানান সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।  

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের ‘হাফ’ ভাড়া কার্যকর হবে। চট্টগ্রামের মত অন্য যেসব মহানগরে সিটি সার্ভিস চালু আছে, সেসব শহরেও এ সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা।

তবে ঢাকার মতই সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাসে অর্ধেক ভাড়া দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। সেজন্য যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া ছবিসব পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বা সরকারি ছুটির দিনে অর্ধেক ভাড়া প্রযোজ্য হবে না।

মহানগর ছাড়া দেশের অন্য কোনো জেলা বা উপজেলায় কিংবা দূর পাল্লার বাসে হাফ ভাড়া নেওয়া হবে না।

ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর পরিবহন মালিকদের চাপে গত ৭ নভেম্বর সরকার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ায়। এর পর থেকেই বাসে অর্ধেক ভাড়া দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।

এর মধ্যে ২৪ নভেম্বর ঢাকা সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী এবং তারপর রামপুরায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়।

এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি গত ৩০ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগরে শিক্ষার্থীদের ‘হাফ’ ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি ছিল, কেবল ঢাকা মহানগরে নয়, ‘হাফ’ ভাড়া চালু করতে হবে সারা দেশে এবং সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টার বদলে তা হতে হবে ২৪ ঘণ্টার জন্য।

ঢাকার পর চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে বাসে ‘হাফ’ ভাড়ার আওতা বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও আগের মতই সময়ের শর্ত রাখলেন বাস মালিকরা।


খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আগে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির দু’জন কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করলে নতুন করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিন্ডিকেটের ৭৬তম (জরুরি) সভায় উত্থাপন করা হলে সিসিটিভির ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা ও আচরণবিধির আলোকে অসদাচরণের আওতায় সিন্ডিকেট ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাময়িক বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান নাহিয়ান সেজান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তাহামিদুল হক ইশরাক, এলই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাদমান সাকিব, একই বিভাগের শিক্ষার্থী আ. স. ম. রাগিব আহসান মুন্না, সিই বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ খান নিলয়, এমই বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ রিফাত ও ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (এমএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাইমুর রহমান অন্তু।

উল্লেখে, গত ৩০ নভেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের সঙ্গে কিছু শিক্ষার্থী দুর্ব্যবহার করে। পরে বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষকের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেট সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওইদিন কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় পরদিন আবারও সিন্ডিকেট সভা হয়। সেই সভাতেই কুয়েট ক্যাম্পাস আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওইদিনই হল ছেড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।


বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া চালুর দাবিতে গতকাল রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে কিছু ছাত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন। এরা ছাত্রলীগ কর্মী বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

বাসে অর্ধেক ভাড়ায় (হাফ পাস) যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত যাওয়ার সময় ঢাকা কলেজের উল্টো দিকের পেট্রল পাম্পের সামনে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ এই হামলা করেছে। তবে এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঢাকা কলেজে বর্তমানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের ফোন করেও এ বিষয়ে কথা বলা যায়নি।


তবে নিউ মার্কেট থানার ওসি স ম কাইয়ুম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আইডিয়াল কলেজের ছাত্ররা ঢাকা কলেজের এক ছাত্রের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এর পাল্টা ঘটনায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা আইডিয়াল কলেজের ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ কোনো ছাত্রকে আটক করেনি। তবে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা আইডিয়াল কলেজের এক ছাত্রকে আটকে রেখেছিল। পরে দুই কলেজের শিক্ষকরা আলোচনা করে আইডিয়াল কলেজের ছাত্রকে নিয়ে যান।’


হামলার পর ছাত্ররা দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার আবারও সড়ক অবরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরাও। দাবি মানতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।


গত ৪ নভেম্বর ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়। এর পরও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠে পরিবহন মালিকদের বিরুদ্ধে। এরপর শিক্ষার্থীরা গত ১৫ নভেম্বর থেকে হাফ পাসের আন্দোলন শুরু করেন। গত কয়েক দিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে এই আন্দোলন চলছিল। গতকালই শিক্ষার্থীদের ওপর প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।


গতকাল রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ ও ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। সায়েন্স ল্যাব মোড়ের অবস্থান শেষে ছাত্রদের একটি মিছিল নীলক্ষেত ঘুরে সায়েন্স ল্যাবে এসে শেষ হওয়ার কথা ছিল।


মিছিল ঢাকা কলেজের উল্টো পাশে পৌঁছলে লাঠি, গাছের ঢাল নিয়ে একদল তরুণ তাঁদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের কয়েকজন হেলমেট পরা ছিল। হামলায় শিক্ষার্থীদের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে কয়েকজন আহত হন। হামলাকারীদের দুজন একজন ছাত্রকে ধরে নিয়ে মারধর করে। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


এর আগে ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে করা সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনেও এই জায়গায় ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটে। তখনো হামলাকারী অনেককে হেলমেট পরে থাকতে দেখা যায়।


ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘আমরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে মোটরসাইকেলের সঙ্গে এক ব্যক্তিগত গাড়ির ধাক্কা লাগে। ওই গাড়ির যাত্রী এক নারীর সঙ্গে মোটরসাইকেলের যুবকটি তর্ক করছিল। আমাদের মিছিল যেহেতু এখান দিয়ে যাবে তাই আমরা কয়েকজন তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করি। এর এক পর্যায়ে ওই যুবকের সঙ্গে আইডিয়াল কলেজের কয়েকজন ছাত্রের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই যুবক আরো কয়েক জনকে নিয়ে আসে। সেখান থেকে ঘটনা বড় হয়ে যায়।’ এই শিক্ষার্থীর দাবি, তাঁরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী না হলে এত দ্রুত লাঠিসোঁটা নিয়ে আসতে পারত না।


আন্দোলনকারী আরেক ছাত্র বলেছেন, আজকের (গতকাল) আন্দোলন তিন কলেজের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হলেও এতে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের উপস্থিতি কম ছিল।


অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়। বরং আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অতি উৎসাহী হয়ে ঢাকা কলেজের এক ছাত্রের ওপর হামলা চালিয়েছে। তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।’


জাবি শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাফ পাসের দাবি মানতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন। গণপরিবহনে হাফ ভাড়া নিশ্চিত করা ও শিক্ষার্থী-যাত্রী হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।


শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—সব রুটের বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নিশ্চিত করা, সর্বনিম্ন ভাড়া পাঁচ টাকা, গণপরিবহনের যাত্রাপথে চেক, ওয়ে বিল বাতিল ও বিআরটিএর আইন মেনে গেটলক-সিটিং সার্ভিস বন্ধ করা এবং পরিবহনে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা।


চট্টগ্রামেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন : হাফ ভাড়ার দাবিতে এবার আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা। গতকাল নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেট মোড়ে ‘গণপরিবহনে হাফ ভাড়া চাই, চট্টগ্রাম’ ব্যানারে হাফ ভাড়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল জিইসি মোড়ে এসে শেষ হয়।


সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের’ ৯ দফায় ছিল। সে সময় সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সেটি মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন করেননি। উল্টো জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে শিক্ষার্থীদের ঘাড়েও বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দিয়েছেন। তাই গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।


নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চট্টগ্রামের সংগঠক ও পটিয়া কলেজের শিক্ষার্থী জাহেদুল রাফি বলেন, ‘গাড়িভাড়া থেকে শুরু করে সব ধরনের খরচ বেড়ে গেছে। কিন্তু আমাদের বাবাদের বেতন তো বাড়েনি। করোনাসহ নানা সমস্যা মোকাবেলা করে পরিবারের খরচ বহনে যেখানে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে এই ভাড়া বেড়ে যাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যা।’ 

 


হাফ পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, হামলা চালায় ছাত্রলীগ নামধারী দুর্বৃত্তরা।

মন্ত্রী বলেন, হাফ পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করেছে। ছাত্রলীগ দলগতভাবে এই হাফ ভাড়ার সমাবেশে বা মানববন্ধনে হামলা চালাবে, এটা সত্য নয়। ছাত্রলীগ নামধারী কোনো দুর্বৃত্ত হয়তো এ কাজ করতে পারে।

গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে দুই দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়।

গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিতে ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনে এ হামলা হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ এই হামলা চালিয়েছে।

এদিকে, বাসে চলাচলে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার বিষয়ে শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বনানীতে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে বেসরকারি পরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া নির্ধারণের বৈঠক সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে।

অবশ্য বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও বৈঠকে পরিবহন নেতাদের পক্ষ থেকে টাস্কফোর্স গঠনসহ কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।  

এর আগে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) এ বৈঠকের বিষয়ে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসের ভাড়া শতকরা পঞ্চাশ ভাগ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এ ভাড়া কার্যকর হবে।  

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের সরকার, জনঘনিষ্ট এবং যৌক্তিক কোনো দাবিতে তিনি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত জানান।

কাদের বলেন, ভ্রমণকালে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইস্যু করা ছবিযুক্ত বৈধ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে প্রদর্শন করতে হবে।

তিনি বলেন, সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিআরটিসি বাসে চলাচলের ক্ষেত্রে এ কনসেশন (সুবিধা) পাবেন।

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দিনে এ কনসেশন প্রযোজ্য হবে না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই এ বিষয়ে বিআরটিসি প্রজ্ঞাপন জারি করবে।

কাদের আরও বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংবেদনশীল থেকে পরিবহন মালিকরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

 


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গণতন্ত্র সম্মেলন 'সামিট ফর ডেমোক্র্যাসি'র অংশগ্রহণকারীদের আনুষ্ঠানিক তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যে তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।

যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে গণতন্ত্র যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, যৌথভাবে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উদ্দেশ্যে কী ধরণের প্রতিশ্রুতি, সংস্কার পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন - তা নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যে এই সম্মেলন।

গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে একটি দেশের সরকারের সাথে নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, মানবাধিকার ও বেসরকারি সংস্থা, মিডিয়ার প্রতিনিধি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হবে সম্মেলনে।

ডিসেম্বরের ৯ ও ১০ তারিখ ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এই সম্মেলনে মূলত যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে, তা হলো:

  • গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং কর্তৃত্ববাদ প্রতিহত করা
  • দুর্নীতি চিহ্নিত করা ও প্রতিহত করা
  • মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ইতিবাচক প্রচারণা

'গণতন্ত্র সম্মেলন'এর লক্ষ্য

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সারা বিশ্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি হুমকির মুখে। সরকারের ওপর জনগণের অবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক মেরুকরণের ফলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও রীতির বিরোধিতা করে - এমন নেতৃত্বের উত্থান হচ্ছে।

এছাড়া ক্রমবর্ধমান আর্থ-সামাজিক অসমতা, দুর্বল আইনের শাসন এবং দুর্নীতির কারণে বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি কর্তৃত্ববাদী নেতারা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের দমন-পীড়ন ও নির্বাচন কারচুপির মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে নিজেদের মডেল প্রতিষ্ঠা করছে -যা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে বলছে এই ওয়েবসাইট।

এসব সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সাথে নিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে যেন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এই গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কীসের ভিত্তিতে আমন্ত্র

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ডিসেম্বরে হতে যাওয়া 'সামিট ফর ডেমোক্র্যাসি' সম্মেলনে কেন কিছু দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তার একটি সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলভেদে প্রতিষ্ঠিত ও অপেক্ষাকৃত তরুণ গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং সম্মেলনের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে যেসব দেশ অকৃত্রিম আগ্রহ প্রকাশ করবে, সেসব দেশের সাথে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এবং এর বাইরের দেশগুলোর সরকারের সাথে মানবাধিকার বিষয়ক প্রচারণা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করার কাজ অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র চালিয়ে যাবে বলে এই ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে, যেসব দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, কেন তাদের সম্মেলনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তার নির্দিষ্ট কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ কী বলছে?

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে হতে যাওয়া এই গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রথম ধাপে বাংলাদেশ আমন্ত্রিত না হলেও এই বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তিত নয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, "এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নই আমরা। তাছাড়া এবারই প্রথম এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এর প্রথম ধাপে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সম্মেলনের পরবর্তী ধাপে বাংলাদেশ আমন্ত্রিত হতে পারে।"

এ বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মি. মোমেন।

তিনি বলেন, "এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আহ্বানে আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনে মাত্র ৪০টির মত দেশ আমন্ত্রিত ছিল, যার মধ্যে বাংলাদেশও ছিল। সেখানে তো অনেক দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।"

গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?

বৈশ্বিক ব্যবসায়িক তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করা সংস্থা ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের ২০২০ সালের গণতন্ত্র সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ 'হাইব্রিড রেজিম' বা মিশ্র শাসনের দেশের তালিকায় রয়েছে।

সাধারণত সেইসব দেশকে হাইব্রিড রেজিম বলে বর্ণনা করা হয় যেসব দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা রয়েছে, কিন্তু সেখানে নিয়মিত নির্বাচন হলেও রাজনৈতিক দমন পীড়নও চলে। অর্থাৎ এসব দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

সংস্থাটির ২০১৯ বছরের গণতন্ত্রের তালিকায় ১৬৫ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ছিল ৮০তম।

২০২০ সালের তালিকায় বাংলাদেশ চার ধাপ এগিয়ে ৭৬তম অবস্থানে রয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, বিশ্বের ১৬৫টি দেশের ওপর করা এই তালিকায় বাংলাদেশের মতো মিশ্র শাসন রয়েছে ৩৫টি দেশে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় গণতন্ত্রের বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।

তালিকায় ভারতের অবস্থান ৫৩তম আর শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৬৮তম।

ভূটান রয়েছে ৮৪তম অবস্থানে, নেপাল ৯২তম, পাকিস্তান ১০৫তম, মিয়ানমার ১৩৫তম অবস্থানে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া ভূটান, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ পায়নি।

 টানা কয়েক দিনের মতো আজ মঙ্গলবারও গণপরিবহনে হাফ পাসের (অর্ধেক ভাড়া) দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত ও চার রাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। ‘হাফ পাস আমার অধিকার, নয় কোনো আবদার’, সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে এ স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। বেলা পৌনে একটার দিকে চার রাস্তার মোড়ে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের পোশাক পরে ছাত্ররা রাস্তায় নামেন। সায়েন্স ল্যাব মোড়ে গুলিস্তান-ধামরাই রুটে চলা তৌহিদ নামের একটি বাস আটকে দেন ছাত্ররা। এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, হামলার আগে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বিরুদ্ধে রাস্তার পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে তর্ক বাধান। কথা-কাটাকাটির মধ্যেই লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়।

টানা কয়েক দিনের মতো আজ মঙ্গলবারও গণপরিবহনের হাফ পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছেন

টানা কয়েক দিনের মতো আজ মঙ্গলবারও গণপরিবহনের হাফ পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছেন

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত ও চার রাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত ও চার রাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত ও চার রাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত ও চার রাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন

 একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা চালকদের ওপর চড়াও হন
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা চালকদের ওপর চড়াও হন

 ‘হাফ পাস ভিক্ষা নয় অধিকার’
‘হাফ পাস ভিক্ষা নয় অধিকার’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অনেক যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে লাফিয়ে নামেন
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অনেক যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে লাফিয়ে নামেন

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আশপাশ এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আশপাশ এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট

শিশুকে কাঁধে নিয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন এক যাত্রী
শিশুকে কাঁধে নিয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন এক যাত্রী

যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা
যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা

 ‘হাফ পাস আমার অধিকার, নয় কোনো আবদার’, সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে এ স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের
‘হাফ পাস আমার অধিকার, নয় কোনো আবদার’, সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে এ স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের

গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিতে ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনে হামলার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ এই হামলা চালিয়েছে
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিতে ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনে হামলার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ এই হামলা চালিয়েছে

সায়েন্স ল্যাব মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে
সায়েন্স ল্যাব মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে

হাফ পাসের দাবিতে চলা আন্দোলনের মধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
হাফ পাসের দাবিতে চলা আন্দোলনের মধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।



যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget