ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে মার্কিন মুলুকের ফেডারেল ট্রেড কমিশন। মার্ক জুকারবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি গোটা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজের কুক্ষিগত করতে চাইছেন। তাই ফেসবুকের সঙ্গেই হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন ও মালিকানা ভোগ করছেন। তাঁর জন্যই বিশ্বের বিশেষ করে মার্কিন মুলুকের একাধিক ছোট ছোট সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি গুলি ব্যবসা গুটিয়ে যাচ্ছে। জুকারবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্বাধীন ভাবে কোনও সংস্থা বা কোম্পানি ব্যবসার জন্য এগিয়ে গেলে বাধা দেয় ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। ব্যবসায়িক স্বার্থে কিছুদিন আগেই নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম ফেসবুক থেকে বদলে মেটা করেছেন জুকারবার্গ। কিন্তু শুধুই ব্যবসায়িক প্রতিযোগীতায় টেক্কা দিতে গিয়ে একাধিক ছোট কোম্পানি গুলিকে দুরমুশ করে দিচ্ছে জুকারবার্গের মেটা।
ফেডারেল ট্রেড কমিশন হুমকি দিয়েছে, দ্রুত হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম ছেড়ে না দিলে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জুকারবার্গের সংস্থাকে। এমনিতেই জুকারবার্গের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আগেই জমা পড়েছিল মার্কিন সংসদে। যার জন্য ডাক পড়েছিল। মূলত গ্রাহক সুরক্ষায় কাজ করে ফেডারেল ট্রেড কমিশন। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা। ফেসবুকের বিরুদ্ধে গতবছরেই এই সোশ্যাল মিডিয়ার বাজারে দাদাগিরি করার জন্য ‘অ্যান্টিট্রাস্ট’ মামলা করে ফেডারেল ট্রেড কমিশন। সেই বিষয়ে বিচারক জানিয়েছেন, ‘অ্যান্টিট্রাস্ট’ লঙ্ঘন করেছে ফেসবুক। তাই সেই সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে পারে এফটিসি। এর ফলে হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম দ্রুত ছাড়তে হতে পারে জুকারবার্গকে।
মার্কিন বিচারক জর্জ জেমস বোসবার্গ এই সংক্রান্ত মামলায় জানিয়েছেন, নেট মাধ্যমে একচেটিয়া করবার করছে জুকারবার্গের মেটা। এফটিসি সেই সংক্রান্ত তথ্যও দিয়েছে। তথ্য অনুয়ায়ী দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালের পর থেকে প্রতিদিন ৭০ শতাংশ ব্যবহারকারী মেটার বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ ব্যবহার করেন। মামলা খারিজ করার আবেদন করেছিল মেটা। তবে তাতে সাড়া দেননি বিচারক। এর ফলে আগামী দিনে বেজায় বিপাকে পড়তে চলেছেন জুকারবার্গ বলাই যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন