বরিশালে বউভাতে মাংস কম দেওয়া নিয়ে মারামারি, বরের চাচার মৃত্যু

বরিশালে ভুবতের অনুষ্ঠানে খাবারের মাংস কম দেওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই হয়েছিল। বরের চাচা আজহার মীর (৬৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাফিয়াদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর কাউনিয়া সোপ কারখানা এলাকার আবুল কালাম হাওলাদারের কন্যা রুনা বেগমের কয়েকদিন আগে বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাফিয়াডি গ্রামের মোতাহার মীরের ছেলে সজিব মীরের সাথে বিয়ে হয়। দুদিন আগে রুনা বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে তার শ্বশুর বাড়িতে নেওয়া হয়েছিল। গতকাল বুওয়াত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কণিপক্ষের ৪৮ জন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তারা খেতে বসল।




খাবারের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কেউ কেউ কম মাংস দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। বড়পক্ষের লোকদের সাথে তাদের ঝগড়া হয়েছিল। ধীরে ধীরে, এটি সংঘর্ষ রূপ নিয়েছে। একপর্যায়ে বরের চাচা আজহার মীর ঘটনাস্থলেই মারা যান। চাঁদপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেছেন।


বরিশাল নগর বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ বিন আলম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

খবর প্রকাশ করছে :  prothomalo

জোড়া মাথা কন্যা শিশুর জন্ম, বিপাকে দরিদ্র কৃষক পরিবার



মাগুরা সদর উপজেলার জগদল গ্রামের দরিদ্র কৃষক পলাশ মোল্লার স্ত্রী সোনালী বেগম যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শিশুদের বাবা দুই সন্তানের চিকিত্সা এবং জীবন নিয়ে চিন্তিত। দুই শিশুকে দেখতে অসংখ্য লোক ক্লিনিকে জড়ো হয়েছিল। তাই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পলাশ দুটি নবজাতক মেয়েকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে তার স্ত্রী সোনালি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


জানা গেছে, ভ্রূণে জটিলতা রয়েছে তা জেনে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে পলাশ সোনালীকে দুই সপ্তাহ আগে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরে রেহনাকে হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগ থেকে ছয় সপ্তাহ পরে হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মতে পলাশ তার স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরায় চলে যান। কিন্তু হঠাৎ সোনালির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মায়ের বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিকেলে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যমজ জন্মগ্রহণ করেন।



চিকিৎসক মাসুদুল হক বাংলানিউজকে জানান, দুই জোড়ার বাচ্চা সুস্থ রয়েছে। তবে তাদের মা অসুস্থ। জন্মের পরে শিশুটিকে দু'জন মায়ের দুধ পান করানো হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা ব্যতীত এগুলি বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়।


যমজ সন্তানের বাবা পলাশ বাংলানিউজকে জানান, দুই নবজাতক তাদের দ্বিতীয় সন্তান। তিনি খুব দরিদ্র কৃষক। এই দুই সন্তানের চিকিত্সা ব্যয় করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার করছেন। তাই তিনি নবজাতকের মাথায় দুই মেয়েকে বাঁচাতে সরকার ও দেশের হৃদয়ের জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন।

খবর প্রকাশ করছে :  prothomalo