Articles by "রাজনীতি"
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


একাদশ জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে উত্তাপ ছড়িয়েছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ। তিনি নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় পুরো নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

আজ সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে থাকেন হারুনুর রশীদ। নিজের নির্বাচনী এলাকার পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে নির্বাচনী ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে কথা বলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য চলাকালে হৈচৈ শুরু করেন সরকারি দলের সদস্যরা। এ নিয়ে সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, এত অধৈর্য হইয়েন না, প্লিজ! এত অধৈর্য হচ্ছেন কেন? যা সত্য, তা বলার অন্তত সুযোগ স্পিকার আমাকে দিয়েছেন।

এর আগে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদ বলেন, গত সংসদ অধিবেশনের পর আমার নির্বাচনী এলাকায় গত ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। তার আগে ৫ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমি গত সংসদে আবেদন রেখেছিলাম, আমরা এই সংসদে আছি, অন্ততপক্ষে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেন জনগণ ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমার এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সেই দিন ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম কেন্দ্রগুলোতে অনেকে ব্যাচ লাগিয়ে ঘুরেছে, কেউ বলেছে, আমি ইভিএম মনিটর করছি, কেউ বলেছে ইভিএমের টেকনিশিয়ান। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি।


হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে। আসলে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ, উৎসাহ একেবারেই নাই। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। আমি বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা বলব না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করব। আমার এলাকায় পৌরসভা নির্বাচনে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে কেন সংসদে থাকব?

বিএনপি দলীয় এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের তিন বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। অসৎ উপায় অবলম্বন করাও দুর্নীতি। আপনি অসৎ উপায়ে নির্বাচন করেন ও নির্বাচিত হন। অসৎ উপায় অবলম্বন করে ভর্তি হন-নিয়োগ পান। অসৎ উপায়ে যেকোনো কর্ম বাস্তবায়ন ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, তৈমূর আলম খন্দকার শামীম ওসমান এবং সেলিম ওসমানের প্রার্থী। উনি বিএনপির প্রার্থী নন, স্বতন্ত্র প্রার্থীও নন। 

তিনি বলেন, 'গতকাল (শুক্রবার) বন্দরে প্রচারণা চালানোর সময় সেলিম ওসমানের জাতীয় পার্টির চারজন চেয়ারম্যান তার সাথে ছিল। এতে প্রমাণিত হয় সারা নারায়ণগঞ্জে যে গুঞ্জন ছিল যে তৈমূর আলম খন্দকার গডফাদার শামীম ওসমানের ক্যান্ডিডেট, গতকাল তা প্রমাণিত হয়েছে।'

শনিবার বন্দরের ২৪ নং ওয়ার্ডের দেউলি চৌরাপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন আইভী।

তৈমূর আলম খন্দকারের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'তিনি জনতার প্রার্থী নন, বিএনপির প্রার্থীও নন।'

দলের সমর্থন প্রসঙ্গে আইভী বলেন, 'আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হল কিনা জানি না। সকল নেতাকর্মীরা আমার সাথে, দল আমার সঙ্গে আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'দলের হাইকমান্ড কালকে সব দেখেছে। পত্রপত্রিকায়ও খবর এসেছে। তারা দেখেছে এবং তারা এ বিষয়ে দেখবে। আমি বলতে চাই, আমি নির্বাচন করি জনতার শক্তিতে। জনতাই আমার শক্তি, দল আমার মনোবল। এসব মিলিয়ে আমি নির্বাচন করি। আমি কোনো গডফাদারের দিকে তাকিয়ে নির্বাচন করি না। আমি বলেছি, কালকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানরা প্রকাশ্যে নেমেছে। এতে প্রমাণিত হয় কারা তার সাথে আছে, কারা তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে।'


সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ৯৯৯ এ ফোন করে সহযোগিতা চান তিনি।

জানা গেছে, ৯৯৯ থেকে বিষয়টি ধানমন্ডি থানা পুলিশকে জানানো হয়। এরপরই পুলিশের একটি টিম মুরাদের বাসায় যায়।

ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার এসআই আসমা বলেন, পরিচয় না দিয়ে একটি নাম্বার থেকে ফোন করে সহাতয়তা চেয়েছেন ওই নারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোন করে জানান, তাকে মারধর করা হচ্ছে। এমনকি প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়। ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ১৫ নম্বর সড়কের বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, ডা. মুরাদের স্ত্রী দুপুরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে আইনি সহায়তা চান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের একটি টিম তার বাসায় যায়। বাসায় আমরা তেমন কিছু দেখিনি। পরে তিনি থানায় আসেন, তার অভিযোগের বিষয়ে আমরা জানার চেষ্টা করেছি। পারিবারিক কলহের বিষয়গুলো তিনি আমাদের জানিয়েছেন।


ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় খালাস পাওয়া দুই আসামি মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের খালাসের রায় বাতিল করে কেন সাজা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছর দণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।

গত ৯ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দু’টি সাজা একসঙ্গে চলবে উল্লেখ করে তাকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানান আইনজীবীরা।

এ মামলার দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর আট আসামির মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীমকে চার বছরের দণ্ড দেন। আর ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে তিন বছরের দণ্ড দেন।

পরে গত ২০ ডিসেম্বর এই দুজনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক আপিল করে। এই মামলায় এস কে সিনহাসহ মোট আসামি ১১ জন। পলাতক থাকায় সাবেক প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতেই হয় বিচারকাজ।

এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


পুলিশের চাকরিটি অবশেষে পাচ্ছেন ভূমিহীন আসফিয়া ইসলাম কাজল। একই সঙ্গে পাচ্ছেন মাথা গোঁজার ঠাঁইও। আসফিয়া পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলেও ভূমিহীন পরিবারের সন্তান হওয়ায় নিয়মের গ্যাঁড়াকলে তাঁর চাকরি হওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁর জন্য সরকারি জমিসহ পুলিশের চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আসফিয়া যাতে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেতে পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক আসফিয়ার জন্য ঘর নির্মাণে হিজলা উপজেলা প্রশাসনকে সরকারি জমি খুঁজতে বলেছেন।

বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন, আসফিয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আসফিয়া যাতে কনস্টেবল পদে চাকরি পেতে পারেন সে জন্য সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে আসফিয়ার জন্য জমির স্থান নির্ধারণ করতে হিজলার ইউএনওকে বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসফিয়ার জন্য ঘর নির্মাণ সম্ভব হবে।’

হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, ‘আসফিয়ার জন্য ঘর নির্মাণে বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাসজমি ঘুরে দেখেছি। উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নে কয়েক শতাংশ জমি পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে সেখানে ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জেলা প্রশাসকের মতামত পেলে কাজ শুরু হবে।’

বরিশাল জেলা পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ কমিটির সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘পুলিশ কনস্টেবল পদে আসফিয়ার নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। নিয়োগ আবেদনে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা ভুল উল্লেখ ছিল। বিষয়টি ভেরিফিকেশনে উঠে আসে। তবে তাঁর চাকরি হবে না, এটা কখনো বলা হয়নি। আসফিয়া যেন এ কারণে নিয়োগবঞ্চিত না হন, সে জন্য নিয়মের মধ্যে থেকে করণীয় সম্পর্কে ভাবা হচ্ছে।’

আসফিয়াকে জমি দিতে চান এক ব্যবসায়ী

গাজীপুরের শ্রীপুরের ব্যবসায়ী মেজবাহ উদ্দিন গতকাল জানিয়েছেন, জমি না থাকায় চাকরি আটকে যাওয়া আসফিয়াকে তিনি জমি লিখে দিতে চান। আসফিয়া ও তাঁর অভিভাবক চাইলে যেকোনো সময় তিনি বিনা শর্তে তাঁকে জমি লিখে দেবেন। মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমার যথেষ্ট জমি আছে। তাই আমি তাঁর চাকরি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি দিতে চাই।’ মানুষ হিসেবে আরেকটা মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এটুকু করতে চান বলে জানান মেজবাহ।


কানাডায় ঢুকতে পারলেন না বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তাকে টরন্টোর পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত পাঠিয়েছে কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। স্থানীয় সময় আজ দুপুর একটা ৪১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এরপরই ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।

মুরাদ হাসানকে ঢুকতে না দেওয়ার ব্যাপারে কানাডার সরকারি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এরআগে প্রবাসী বাংলাদেশি কানাডিয়ানরা মুরাদ হাসানের ব্যাপারে আপত্তি জানান। তাকে কানাডায় ঢুকতে দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার আহাদ খন্দকার, মমিনুল হক মিলন, মাহবুব চৌধুরী রনি এবং জাকারিয়া চৌধুরী কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি, পিয়ারসন এয়ারপোর্ট অথরিটি ও ন্যাশনাল অথরিটি অব ইন্টেলিজেন্স-এর কাছে চিঠি দেন। ওই চিঠি’র সঙ্গে মুরাদ হাসানের বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেয়া হয়।

আহাদ খন্দকার জানান, ‘কানাডার মতো শান্তির দেশে ডা. মুরাদ এলে বাঙালি কমিউনিটিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এজন্য মুরাদ হাসান কানাডা আসছেন এটা জানার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিই তাকে কোনভাবেই কানাডায় ঢুকতে দেয়া যাবে না। এর ভিত্তিতে মমিনুল হক মিলন কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠান।’ এ ব্যাপারে মমিনুল হক মিলন মানবজমিনকে বলেন, ‘সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডার জন্য সিকিউরিটি থ্রেট। তিনি নারীদের অবমাননা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ নারী সমাজকে অপমান করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এজন্য তার বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ ও ডকুমেন্ট কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ই-মেইলে পাঠাই। আজ মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমাকে ফোন করা হয়।’


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মঙ্গলবারের ভিডিও কলে কথা বলার পর নতুন কোনো বোঝাপড়া কি আদৌ হয়েছে - নাকি ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের হুমকি দুদিন আগে যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেছে?

এক কথায় উত্তর - একটি ফোন বা ভিডিও কলে জটিল এই সমস্যার সমাধান হবে না।

বরং পুতিন ভিডিওকলে বাইডেনের সাথে আলোচনা থেকে কি অর্জন করলেন এবং সেই সাথে আগামী কয়েক দিন বা সপ্তাহে তিনি কি সিগন্যাল নিজে দিচ্ছেন বা পাচ্ছেন - সবকিছুই নির্ভর করবে তার ওপর।

ইউক্রেন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি যে খুবই গুরুতর- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া যে সংখ্যায় সৈন্য এবং অস্ত্র জড় করেছে তার নজির সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা নেই।

মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের সূত্রগুলো বলছে আগামী বছরের শুরুতেই রাশিয়া একাধিক ফ্রন্টে ইউক্রেনে হামলা শুরু করতে পারে। এবং ওই অভিযানে ১ লাখ ৭৫ হাজার রুশ সৈন্য অংশ নিতে পারে।

রাশিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ডের ওপর পশ্চিমা বিশ্বের যে কজন বিশেষজ্ঞ গভীরভাবে নজর রাখেন তাদের অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস সেন্টার ফর ন্যাভাল অ্যানালাইসিসের গবেষক মাইকেল কফম্যান। তিনি বলছেন, ইউক্রেন নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে - তা ভিত্তিহীন নয়।

কফম্যান বলেন, ‘যদিও রাশিয়া সৈন্য সমাবেশ ঠিক কেন করছে তা একশভাগ ধারণা করা সম্ভব নয়, কিন্তু যেটা বিশেষভাবে লক্ষণীয় তা হলো সেনা সমাবেশের মাত্রা। সৈন্য সংখ্যা এতই যে লড়াইয়ের সময় একটি এলাকা দখলের পর তা যেন সাথে সাথে পেছনের আরেকটি সেনাদল গিয়ে দখলে রাখতে পারে - তেমন পরিকল্পনারও আলামত দেখা যাচ্ছে।’

‘ফলে সামরিক অভিযানের কথা মাথায় রেখেই যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে - তার লক্ষণ অনেক। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের (শেষবার রাশিয়া যুদ্ধের জন্য যে সেনা সমাবেশ করেছিল) মোতায়েনের সংখ্যা যোগ করলেও তা এখনকার সেনা সমাবেশের সমান হবে না।’

‘শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাব্য তিনটি ফল’

কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে আয়োজন করা রুশ-মার্কিন এই শীর্ষ বৈঠকের ফল কি হতে পারে?

সাধারণভাবে বলতে গেলে তিন ধরনের ফলাফল দেখা যেতে পারে - এক, পশ্চিমা কয়েকটি শক্তির কাছ থেকে একযোগে দেয়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে রাশিয়া পিছু হটতে পারে।

অথবা দুই, সংঘাত এড়াতে নতুন এবং দীর্ঘ একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। অথবা তিন, যুদ্ধের আশংকা সত্যে পরিণত হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন ইউক্রেনে তিনি যে উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছেন তা শুধু সামরিক পথেই অর্জন সম্ভব। রুশ প্রেসিডেন্ট হয়তো সত্যিই ভাবছেন চলতি শীতে ইউরোপের দেশগুলো যে কঠিন জ্বালানি সংকটে পড়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দেশের ভেতর দুর্বল ইমেজ নিয়ে যেভাবে হিমশিম খাচ্ছেন এবং কোভিড প্যানডেমিক এখনো যেভাবে বিপর্যয় তৈরি করে চলেছে, তাতে লক্ষ্য হাসিলের এখনই মোক্ষম সময়।

১. পুতিন পিছিয়ে যাবেন

এমন সম্ভাবনা বাকিগুলোর তুলনায় সবচেয়ে কম। পুতিন তার সৈন্যদের সীমান্তে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন কোনো এক ধরনের বিজয় অর্জন ছাড়া তারা ব্যারাকে ফিরবে না।

দেশের ভেতর এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে পুতিনের। ফলে, কোনোরকম দুর্বলতা প্রকাশ হোক - এমন পথে তিনি যাবেনই না।

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার ‘অভিন্ন ইতিহাস ও গন্তব্য’ নিয়ে তিনি যেসব বক্তব্য সম্প্রতি পুতিন দিয়েছেন - তাকে অনেকেই হয়তো অসার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন, কিন্তু ইউক্রেন নিয়ে তার সত্যিকারের কিছু উদ্বেগ রয়েছে।

শুধু যে ন্যাটো সামরিক জোটে ইউক্রেনের প্রবেশ নিয়ে তিনি চিন্তিত তা নয়। ঘরের দোরে একটি দেশে পশ্চিমা ধাঁচের একটি শক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষণ এবং তার পরিণতি নিয়েও তিনি হয়তো অস্বস্তিতে পড়েছেন।

আমেরিকা এবং ইউরোপের প্রধান শক্তিগুলোর ঐক্যবদ্ধ অবস্থান এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিও হয়তো তাকে ভাবাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা এমন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া আগেও সামলেছে। এখন পুতিন হয়তো নিশ্চিত যে রুশ জ্বালানিসম্পদকে ব্যবহার করলে পশ্চিমা শিবিরের ঐক্য ধসে পড়বে।

২. একটি কূটনৈতিক সমাধান

ন্যাটো জোটে সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের সম্ভাব্য আবেদনে ভেটো দেয়ার যে দাবি রাশিয়া করছে তা প্রেসিডেন্ট বাইডেন মানবেন না। কিন্তু বাস্তবে নেটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ পেতে বহু দেরি।

সুতরাং যুদ্ধ এড়াতে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কিছু কূটনৈতিক সুবিধার প্রস্তাব দেয়া কি হতে পারে? প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে তার সাথে সরাসারি কথা বলেছেন - সেটাই পুতিনের জন্য ছোট হলেও একটি কূটনৈতিক বিজয়।

ইউক্রেনে বিভিন্ন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের চাপে ইউক্রেনসহ অন্য কিছু বিষয়ে রাশিয়ার উদ্বেগগুলোকে তার বিদেশ নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে সম্পৃক্ত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাধ্য হয়েছেন।

এ থেকে আবারো প্রমাণিত হলো যুক্তরাষ্ট্র যতই বলুক না কেন যে চীনই এখন তাদের কৌশলগত নীতির কেন্দ্রবিন্দু, - কিন্তু বাস্তবতা আসলে ভিন্ন।

ইউরোপকে অবজ্ঞা করা আমেরিকার পক্ষে এখনো সম্ভব নয়। এবং রাশিয়া চাইলে কিছু সময়ের জন্য হলেও তারা বাইডেন প্রশাসনের কৌশলগত নীতির অগ্রাধিকার অদল-বদল করাতে পারে।

সুপার-পাওয়ারের টেবিলে প্রত্যাবর্তন পুতিনের জন্য একটি ইতিবাচক ঘটনা।

কিন্তু সেটাই কি তার জন্য যথেষ্ট? হয়তো নয়। তবে দুই নেতা জুন মাসে জেনেভায় নতুন করে তাদের মধ্যে কথা শুরু করেন। ফলাফল নিয়ে তারা তখন সন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন।

মঙ্গলবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে ইউক্রেন ছাড়াও অন্য আরো কিছু বিষয় তারা কথা বলেছেন - যেগুলো জেনেভায় উঠেছিল । যেমন- কৌশলগত স্থিতিশীলতা, হ্যাকিং এবং ইরানের মতো আঞ্চলিক ইস্যুতে একসাথে কাজ করা।

এসব বিষয় মস্কোর জন্য স্বস্তির - কিন্তু এসব সহযোগিতার মাত্রা কতদূর গড়ালে তা মস্কোর কাছ জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে? পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীদের বিষয়ে বা সেখানে লড়াই বন্ধে নতুন কোনো কৌশলের প্রস্তাব কি যুক্তরাষ্ট্র তুলতে পারে? যুক্তরাষ্ট্র কি এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে বিষয়টির গুরুত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারে?

সম্ভবত রাশিয়া তাতে খুশিই হবে। কিন্তু তাতে কি ইউক্রেনের সরকার নিয়ে এবং পশ্চিমা বিভিন্ন জোটে যোগ দেয়ার প্রশ্নে ইউক্রেনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে মস্কোর উদ্বেগ-আপত্তি দূর হবে?

মাইকেল কফম্যান মনে করেন, রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের শর্তে ইউক্রেন তাদের লক্ষ্য বদলাবে - এমন কোনো কূটনৈতিক সমাধানের ফর্মুলা কাজ করবে না।

‘সন্দেহ নেই যে চাপ দিয়ে ইউক্রেনকে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে নীতি পরিবর্তনে বাধ্য করতে চায় রাশিয়া।’ রাশিয়া চায় আমেরিকা এবং ইউক্রেনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং পূর্ব ইউরোপ নেটো জোটের সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে।

কফম্যানের কথায়, ‘মস্কো চায় যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেন থেকে পুরোপুরি হাত গোটাতে হবে। কিন্তু তার বিশাল একটি প্রতিক্রিয়া শুধু ইউক্রেনের ওপরই পড়বে না, পুরো ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ওপরও পড়বে।’

ফলে, তিনি বলেন, এই সমাধান যুক্তরাষ্ট্র বা ইউক্রেন কারো কাছেই কোনোভাবেই গ্রাহ্য হবে না।

আবার একইসাথে, কফম্যান বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক অর্জন ছাড়াই রুশ সৈন্যরা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ফিরে যাবে, সে সম্ভাবনাও ক্ষীণ।’

৩. রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ

তারা লড়াই শুরু করুক আর নাই করুক, রাশিয়া লড়াইয়ের প্রস্ততি নিচ্ছে। যদি সেনা অভিযান তারা শুরু করে, তাহলে তার মাত্রা নানারকম হতে পারে। বড় মাপের অভিযান হতে পারে।

আবার শুধু ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সৈন্যরা ঢুকতে পারে কারণ গণ-প্রতিরোধ হতে পারে এমন জায়গায় সেনা অভিযানের অনেক ঝুঁকি থাকে।

এমন একটি লক্ষ্য রাশিয়া নিতে পারে যে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর মূল কমব্যাট অংশকে লড়াইতে নিয়ে আসা এবং তারপর তাদেরকে এমনভাবে পরাজিত করা যাতে কিয়েভের সরকার তাদের মত-পথ পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হয়।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে এখন বেশ পশ্চিমা আধুনিক অস্ত্র রয়েছে। পশ্চিমা প্রশিক্ষণও তারা পেয়েছে। ফলে ২০১৫ সালের যুদ্ধের সময়ের চেয়ে তাদের শক্তি এখন অপেক্ষাকৃত বেশি।

কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে বড় রকম আধুনিকায়ন হয়েছে। চমকপ্রদ নতুন কিছু অস্ত্র রাশিয়া তৈরি করছে।

এবং ন্যাটো যতই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সমর্থন দিক না কেন, রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে তারা লিপ্ত হবে না।

আবার ন্যাটো ইউক্রেনকে বাড়তি অস্ত্র যোগান দিলে সামরিক অভিযানের পক্ষে রাশিয়ার যুক্তি তৈরি হবে।

সৈন্য মোতায়েনের অতীত কিছু অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন কোনো সম্ভাব্য সংঘাতের লাভ-ক্ষতি হয়তো হিসাব করছে রাশিয়া।

পশ্চিমা শক্তিগুলো এখন হয়তো ইরাক এবং আফগানিস্তানে তাদের কৌশলগত পরাজয় নিয়ে মনস্তাত্ত্বিকভাবে মুষড়ে রয়েছে।

কিন্তু রাশিয়ার সাম্প্রতিক রেকর্ড ভিন্ন। জর্জিয়াকে তারা একহাত নিয়েছে। ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া নিয়ে নিয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন অংশের বিদ্রোহীরা তাদেরই সমর্থনপুষ্ট। সেইসাথে সিরিয়াতে তাদের সাফল্য তো রয়েছেই।

পুতিন এসব কিছুকেই বিজয় হিসাবেই বিবেচনা করেন।

যদিও যুদ্ধ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে তারপরও মাইকেল কফম্যান মনে করেন যদি যুদ্ধ বেধে যায়, তাহলে তা একেবারে সংক্ষিপ্ত থাকবে না।

‘আমার মনে হয় ২০১৪ সালের তুলনায় অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকভাবে এবং সামরিক শক্তির দিক দিয়ে রাশিয়া এখন একটি যুদ্ধের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রস্তুত। তাদের আগের লড়াইগুলোর তুলনায় এখন তাদের সামনে বাধা অপেক্ষাকৃত কম। যদিও আমি মনে করিনা যুদ্ধ সত্যিই হবে।’

নজর এখন কোন দিকে রাখা উচিৎ

মঙ্গলবারের শীর্ষ বৈঠকের পর মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা তাদের কর্মকর্তাদের ফলোআপ অর্থাৎ আলোচনায় ওঠা ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। অর্থাৎ, ইঙ্গিত যেটা তা হলো তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি না হলেও, অন্তত কথাবার্তা হয়ত চলবে এবং যোগাযোগের একটি রাস্তা খোলা থাকবে।

কিন্তু তাতে করে যুদ্ধ কি এড়ানো যাবে? অথবা কোনো ইঙ্গিত দেখলে আমরা বুঝতে পারবো যে খুব কোনো সংঘাত হয়তে শুরু হতে যাচ্ছে?

মাইকেল কফম্যান বলছেন, ‘যুদ্ধ হচ্ছে রাজনীতির একটি রূপ। সুতরাং রাজনীতি দেখেই যুদ্ধের সম্ভাবনা আঁচ করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার অবস্থানের বিভিন্ন দিক নিয়ে দেন-দরবারের জায়গা নেই বললেই চলে। ফলে একটি সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া শক্ত।’

সামরিক দিক থেকে বলতে গেলে, হয়তো খুব তাড়াতাড়ি রুশ একটি অভিযান শুরু হবে না। কিন্তু আগামী কদিন না হলেও ক সপ্তাহের মধ্যে তা হতে পারে এমন অনেক আলামত স্পষ্ট। যেভাবে রাশিয়া তাদের সৈন্য মোতায়েন করছে সেটি একটি ইঙ্গিত।

মাইকেল কফম্যান মনে করেন, উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে। ‘দেখে মনে হচ্ছে রাশিয়া তাদের সৈন্য সমাবেশে বাড়িয়ে যাবে। যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ, সরঞ্জাম এবং ব্যাকআপ তারা নিশ্চিত করছে।’

সূত্র : বিবিসি


পদত্যাগপত্র জমা দেয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে যেদিন পদত্যাগ করতে বললেন শেখ হাসিনা, সেদিন দেশে দিনভর আলোচনায় ছিল একটি ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপোকথন, যেটির এক প্রান্তে ছিলেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক মামুনুন হাসান ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অপরপ্রান্তে ছিলেন মোহাম্মদ মুরাদ হাসান।

বিবিসিকে চিত্রনায়ক ইমন নিশ্চিত করেছেন, ওই কথোপকথন তার টেলিফোনেই হয়েছে। মুরাদ হাসানই তাকে ফোন করেছিলেন।

সৌদি আরবে ওমরাহ পালনরত মাহিয়া মাহিও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেছেন।

ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে মুরাদকে প্রকাশে অযোগ্য ভাষায় কথা বলতে শোনা গেছে। এমনকি এক পর্যায়ে তিনি মাহিকে ধর্ষণের হুমকিও দেন বলে অডিওতে শোনা যায়।

ইমন বিবিসিকে বলেছেন, টেলিফোন আলাপের এই ঘটনাটি ঘটেছে ২০২০ সালের মার্চ মাসে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন প্রতিমন্ত্রী এই দুজন চিত্রতারকাকে টেলিফোন করে ধর্ষণের হুমকিসহ অশ্রাব্য সব কথাবার্তা বলবার পরও প্রায় দুই বছর কেন চেপে রেখেছিলেন তারা? কেন তারা প্রকাশ করেননি, কোথাও কোন অভিযোগ করেননি?

জানতে চাইলে ইমন বিবিসিকে বলেন, 'এটা এমন কোন ঘটনা ছিল না।'

মাহিয়া মাহি বিদেশে অবস্থান করার কারণে এ নিয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সোমবার রাতে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে মিজ মাহি বলেছেন, 'আমার কোনো দোষ ছিল না, আমি একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম।'

চিত্রনায়ক ইমন যা বলছেন :
সোমবার অডিও ফাঁস হওয়ার পর চিত্রনায়ক ইমনই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে টেলিফোন আলাপের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মামুনুন হাসান ইমন বিবিসিকে বলেন, 'দেখুন এটা এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, আমাকে একজন ফোন দিলো - এই কথা বল, তুই কোথায়? কাল ফোন ধরিসনি কেন? আচ্ছা মাহিকে ফোনটা দে। এখন এইটার জন্য তো আমার ইয়ে হবার কথা না।'

তিনি বলছেন, 'কিন্তু অপজিট সাইডে উনি মাহির সঙ্গে যেভাবে কথা বলছেন, যে টোনে কথা বলেছেন... এখন ফোনে লাউড স্পিকারে কথা না বললে আমার পাশেরজনের সাথে কী কথা হচ্ছে সেটা তো আমি জানবো না, তাই না।'

'মাহির কথাগুলো আমি শুনেছি অডিও ফাঁস হবার পর। তার আগে আমি তো জানতাম না তার সঙ্গে মাহির কী কথা হয়েছে। মাহিও আমাকে বলেনি।'

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা কোন সম্পর্ক নেই দাবি করে ইমন বলেছেন, 'উনি এই অঙ্গনের মন্ত্রী (প্রতিমন্ত্রী) উনি। সবার সঙ্গেই উনার ভালো সম্পর্ক, সবাইকে উনি তুই করে বলেন। একটা অধিকার নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন উনি (প্রতিমন্ত্রী)। সব শিল্পীর সাথেই তার একটা ভালো সম্পর্ক, আমার সাথেও সে রকম।'

ঘটনার দিনের কথোপকথন সম্পর্কে তিনি বলছেন, 'আমিও সেভাবে কথা বলি উনার সাথে। এখন গালিগালাজ সম্পর্কে তো আমি জানি না। আপনি অডিওটা শুনলেই বুঝতে পারবেন সেদিন আমি কেবল পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।'

বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পরে ফেসবুকে পোষ্ট করা ওই ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, 'বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রত্যুত্তরের ভাষা আমার জানা ছিল না।'

দুই মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমি সেদিনও বলেছিলাম। আমার বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রত্যুত্তরের ভাষা আমার জানা ছিল না। দুই বছর আগের ঘটনা। তখন আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছিলাম।'

ফাঁস হওয়া অডিওর ব্যাপারে কথা বলার জন্য মুরাদ হাসানের সাথে সোমবার থেকে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে এর আগে তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানের উদ্দেশ্যে অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য করার ব্যাপারে বিবিসির কাছে বক্তব্য দিয়েছিলেন মি. হাসান, যেখানে তিনি বলেছিলেন তিনি কোন 'ভুল' করেননি এবং বক্তব্য প্রত্যাহারের কোন "প্রশ্নই ওঠে না"।

ডিবি অফিসে ইমন :
এদিকে সোমবারই ইমন ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে।

বিবিসিকে ইমন বলেছেন, তিনি নিজে থেকেই ডিবি অফিসে গিয়েছিলেন উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য।

'সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি আলোচনা করলাম হারুন (গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার) ভাইয়ের সঙ্গে। তারা আমাকে বলেছেন চিন্তার কিছু নেই', বিবিসিকে বলেন ইমন।

তবে তিনি কোনো 'ভীতির মধ্যে নেই কিংবা তার ওপর কোনো ধরণের চাপ নেই' বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিবিসিকে ইমন বলেছেন, 'ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে আমি নিজে থেকে কথা বলেছি, ভয়েস রেইজ করেছি। কিন্তু আমাকে নিয়েই এখন কথা হচ্ছে।'

'আমি তো এখানে কিছু করিনি। কিন্তু দেখেন আমার একটা পরিবার আছে, ক্যারিয়ার আছে। সেসব জায়গায় আমার ইমেজটা কেমন হচ্ছে ভাবুন একবার!'
সূত্র : বিবিসি


অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান এবার আওয়ামী লীগ থেকেও ‘বাদ’ পড়তে যাচ্ছেন- এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বেঠকে।

এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ‘সুপারিশ’ করা হবে। দলের দায়িত্বশীল পদে থাকা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন, তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর কিছু অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ডা. মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে মুরাদকে।

পরে প্রতিমন্ত্রীর তথ্য কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব মাহমুদ ইবনে কাশেমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।  এ তথ্য গিয়াসউদ্দিন নিজেই যুগান্তরকে জানিয়েছেন। 

এর আগে দুপুরে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়।  ই-মেইলে তিনি এ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুরাদ হাসান লেখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্ব-শ্রদ্ধেয় সালাম নেবেন।  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মে ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।  আমি আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সাল থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায়, আপনার নিকট বিনিত নিবেদন, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার লক্ষ্যে পদত্যাগপত্র গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি। 

পদত্যাগপত্রে ভুল লিখেছেন মুরাদ।  ২০১৯ সালে তাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও পত্রে তিনি ২০২১ উল্লেখ করেন।

মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য।  তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।


‘মন চাইছে আত্মহত্যা করি’, ফেসবুকে লিখলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। 

নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া মন্ত্রীর সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি দেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। 

সেখানে ব্যাংকে চেক ভাঙানোর বিষয়ে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান।

তিনি লেখেন, ‘মন চাইছে আত্মহত্যা করি। একটি চেকে আমি ডিসেম্বর বাংলায় লিখেছি বলে কাউন্টার থেকে চেকটি ফেরত দিয়েছে। কোন দেশে আছি?’

তার ওই স্ট্যাটাসের পর পর নেটিজেনরা বিষয়টির সুরাহা চেয়েছেন। সর্বত্র বাংলা ব্যবহারের পক্ষে মত দিচ্ছেন কেউ কেউ।

 


কোনো প্রতিষ্ঠানকে খাটো করতে স্ট্যাটাসটি দেনটি জানিয়ে এক গণমাধ্যমকে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ভাষার মর্যাদা রক্ষায় স্ট্যাটাসটি দিয়েছি। বাংলাদেশই একমাত্র ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র। ভাষার জন্যই এই রাষ্ট্রের জন্ম। আগে প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাংলা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও এখন সেই অবস্থা নেই।’

ঘটনার প্রসঙ্গে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি চেকে বরাবরই মাসের নাম বাংলায় লিখি। মতিঝিলের প্রিন্সিপাল শাখায় এ নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। এবারের চেকেও আমি তারিখটি লিখেছি '০২ ডিসেম্বর, ২০২১'। এটি ছিল বেয়ারার চেক। যাকে চেকটি দিয়েছি, তিনি ব্যাংকটির এলিফ্যান্ট রোড শাখায় জমা দিতে গিয়ে প্রথমে ব্যর্থ হন। মাসের নাম বাংলায় লেখার চেকটি ফেরত দিয়েছেন ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা। তিনি বাসায় ফিরে আমাকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে আমি যোগাযোগ করায় চেকটি অনার হয়।’

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget