ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর বিচারপতির ছেলের গাড়ির চাপায় বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং আহতের ঘটনায় মামলা নিয়েছে বনানী থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) আহতের মেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
২ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানবাড়ি ইউলুপে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গাড়ির ধাক্কায় মারাত্বক আহত হন মনোরঞ্জন। এরপর থেকে মামলার অভিযোগ নিয়ে ঘুরেছেন আহতের মেয়ে সার্জেন্ট মহুয়া হাজং।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আজকেই মামলা রুজু হয়েছে। মামলা নম্বর ২৫।
মামলা নিতে এত সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরই আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু যাচাই করার প্রয়োজন ছিল। আমরা যাচাই-বাছাই করে মামলা নিয়েছি।
যাচাই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করেছি। মধ্যরাতে মনোরঞ্জন হাজং মোটরসাইকেলে উল্টোপথে এসে চেয়ারম্যানবাড়ি ইউলুপের ওখানে দাঁড়ান। তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। আমরা মামলা নিয়েছি। গাড়িটি কে চালাচ্ছিলেন, কীভাবে দুর্ঘটনাটি হলো, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর রাত সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর চেয়ারম্যান বাড়ির সংলগ্ন ইউটার্নের মুখে দুর্ঘটনার শিকার হন মনোরঞ্জন হাজং। যে গাড়ির ধাক্কায় তিনি আহত হন, সেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন একজন বিচারপতির ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে বিচারপতির ছেলেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ ও গাড়িটি জব্দ করা হয়। কিন্তু কিছু সময় পরই ছাড়া পেয়ে যান ওই চালক।
সার্জেন্ট মহুয়া হাজং বলেন, তার বাবার ডান পায়ে কয়েক দফা অপারেশন করে কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন