Latest Post
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল

 

বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৮৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ধাপে ২৬টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে বেশিরভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

খুলনা

খুলনা জেলার ২৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, ১০টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ৫টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এই ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে খুলনার ডুমুরিয়া, রূপসা, ফুলতলা ও বটিয়াঘাটা উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১১৪ জন প্রার্থী। ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

এরমধ্যে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনীত বালা, মাগুরখালীতে আওয়ামী লীগের বিমল কৃষ্ণ সানা, খর্ণিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ দিদারুল ইসলাম দিদার, ধামালিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জহুরুল হক, আটলিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ হেলাল উদ্দিন, ভান্ডারপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোপাল চন্দ্র দে, রুদাঘরায় মো. তৌহিদুজ্জামান, রংপুরে সমরেশ মন্ডল, ডুমুরিয়া সদরে গাজী মো. হুমায়ুন কবীর বুলু, শোভনায় সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য, শরাফপুরে শেখ রবিউল ইসলাম রবি, মাগুরঘোনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম হেলাল, গুটুদিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ তুহিনুল ইসলাম ও সাহস ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. মাহবুবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান বাবুল, শ্রীফলতলায় ইসহাক সরদার ও টিএস বাহিরদিয়া ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর শেখ বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে নৈহাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল হোসেন বুলবুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

ফুলতলা উপজেলার ফুলতলা সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ আবুল বাশার, জামিরায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার মনিরুল ইসলাম, দামোদরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরীফ মো. ভূঁইয়া শিপলু ও আটরা গিলাতলা ইউনিয়নে শেখ মনিরুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়েনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পল্লব কুমার বিশ্বাস, ভান্ডারকোটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ওবায়দুল্লাহ শেখ ও সুরখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস কে জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মেহেরপুর

মেহেরপুরের দুই উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ২টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ৭টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মশিউর রহমান, বামন্দীতে ওবাইদুর রহমান কোমল, কাথুলীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মিজানুর রহমান রানা, মটমুড়ায় সোহেল আহম্মেদ ও তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে নাজমুল হুদা বিশ্বাস জয়লাভ করেছেন।

মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মাহফুজুল আলম রবি, বাগোয়ানে আয়ুব হোসেন, মহাজনপুরে আমাম হোসেন মিলু ও মোনাখালী ইউনিয়নে মফিজুর রহমান জয়লাভ করেছেন।

ফরিদপুর

ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া গেছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন। নগরকান্দা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

এরা হলেন- চরযশোরদী ইউনিয়নে কামরুজ্জামান সাহেব ফকির (নৌকা), পুরাপাড়ায় আতাউর রহমান বাবু ফকির (আনারস), কোদালিয়া শহীদনগরে খোন্দকার জাকির হোসেন নিলু (নৌকা), কাইচাইলে মোস্তফা খান (নৌকা), লস্করদিয়ায় হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার (চশমা), তালমায় কামাল হোসেন মিয়া (মোটরসাইকেল), রামনগরে কাইমুদ্দিন মন্ডল (আনারস), ডাঙ্গীতে কাজী আবুল কালাম (নৌকা) ও ফুলসুতি ইউনিয়নে আরিফ হোসেন (নৌকা)।

সালথা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন- রামকান্তপুর ইউনিয়নে ইশারত হোসেন (স্বতন্ত্র),আটঘরে শহিদুল হাসান খান সোহাগ (নৌকা),ভাওয়ালে ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া (নৌকা),গট্টিতে হাবিবুর রহমান লাবলু (নৌকা), মাঝারদিয়ায় আফসার উদ্দিন মাতুব্বর (নৌকা), সোনাপুরে খায়রুজ্জামান বাবু মোল্লা (নৌকা), যদুনন্দীতে মো. রফিক মোল্লা (স্বতন্ত্র) ও বল্লভদি ইউনিয়নে নুরুল ইসলাম (নৌকা)।

এর মধ্যে নগরকান্দার লস্করদিয়া ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি।

মাগুরা

শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে মাগুরা সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৭টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, ২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ১টিতে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে অপর ৩টি ইউনিয়নে আগেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

কেন্দ্রঘোষিত বেসরকারি ফলাফল ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের দেওয়া তথ্য মতে নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেন- রাঘবদাইড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশরাফুল আলম বাবুল ফকির, মঘিতে হাচনা হেনা, জগদলে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, গোপালগ্রামে অধ্যক্ষ নাসিরুল ইসলাম মিলন, চাউলিয়ায় হাফিজার রহমান, কছুন্দিতে আবুল কাশেম মোল্যা এবং আঠারোখাদা ইউনিয়নে সঞ্জিবন বিশ্বাস।

শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি মওলানা ওসমান গণি। বেরইল পলিতা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এনামুল হক রাজা ও কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নে জাহিদুর রহমান টিপু বিজয়ী হয়েছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় অপর তিন ইউনিয়ন- হাজরাপুরে কবির হোসেন, হাজিপুরে মোজাহারুল ইসলাম ও বগিয়ায় মীর রওনোক হোসেন আগেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিনা প্রতিদ্ধন্দিতায় নির্বাচিত তিন চেয়ারম্যানই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।

মুন্সিগঞ্জ

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, ৮টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও অপর একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেন- উপজেলার রাড়িখাল ইউনিয়নে বারেক খান (নৌকা), ভাগ্যকূলে শাহাদাত কাজী (নৌকা), শ্রীনগরে তাজুল ইসলাম (আনারস), ষোলঘরে আজিজুল ইসলাম (নৌকা), তন্তরে আলী আকবর (আনারস),আটপাড়ায় ফজলুর রহমান (চশমা), পাটাভোগে মুন খান (নৌকা),বীরতারায় জিল্লুর রহমান (আনারস), শ্যামসিদ্ধিতে জি এস নাজির (আনারস), হাসাড়ায় সোলাইমান (আনারস) বাঘড়ায় তানজিল (টেলিফোন), কোলাপাড়ায় রফিকুল ইসলাম বাবু (আনারস), কুকুটিয়ায় বাবুল হোসেন বাবু (আনারস) ও বাড়ৈখালী ইউনিয়নে ফারুক হোসেন (নৌকা)।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩টিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বিজয়ীদের নাম নিশ্চিত করেছেন।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নে ইউছুফ আলী মিয়া (আওয়ামী লীগ), চরলরেন্স ইউনিয়নে একেএম নুরুল আমিন (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), চরকাদিরা ইউনিয়নে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ও রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নে তাওহিদুল ইসলাম সুমন (আওয়ামী লীগ)। এর মধ্যে ইউছুফ আলী মিয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ, তাওহিদুল ইসলাম সুমন বর্তমান চেয়ারম্যান। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত একেএম নুরুল আমিন কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চর কাদিরাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল আমিন সাগরের ভরাডুবি হয়েছে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। সেখানে হাতপাখা মার্কা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ সাইফুল্যা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু (মোটরসাইকেল)।

জয়পুরহাট

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাঁচজন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও একজন স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে আরেক ইউনিয়ের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে সাত ইউনিয়নের ছয়টিতে আওয়ামী লীগের জয় হয়েছে। দুই উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসাররা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নে আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম (নৌকা) মামুদপুরে মশিউর রহমান শামীম (নৌকা), আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নে ডি এম রাহেল ইমাম (নৌকা), রায়কালীতে আব্দুর রশীদ মন্ডল (নৌকা), তিলকপুরে সেলিম মাহবুব সজল (নৌকা) ও গোপীনাথপু ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান (আনারস) বিজয়ী হয়েছে। রুকিন্দিপুর ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আহসান কবির বিপ্লবকে (নৌকা) বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

বরিশাল

ব‌রিশাল জেলার ১২টি ইউনিয়নের ম‌ধ্যে ৯টি‌তে জয় পে‌য়ে‌ছে আওয়ামী লীগ ম‌নোনীত নৌকা প্রতী‌কের প্রার্থীরা। এছাড়া এক‌টি‌তে হাতপাখা ও দু‌টি‌তে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হ‌য়ে‌ছেন।‌ বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন স্ব স্ব উপ‌জেলা নির্বাচন ও রিটা‌র্নিং কর্মকর্তারা। বরিশাল জেলার সদর, বানারীপাড়া ও আগৈলঝাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে আ‌গৈলঝাড়া উপ‌জেলার ৫টি ইউ‌নিয়‌নে বিনা প্র‌তিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হ‌য়ে‌ছেন।

তারা হলেন- ওই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ইলিয়াস তালুকদার, বাকাল ইউনিয়নের বিপুল দাস, বাগধা ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি, গৈলা ইউনিয়নের শফিকুল হোসেন ও রত্নপুর ইউনিয়নের গোলাম মোস্তফা সরদার এককভাবে বিজয়ী হ‌য়ে‌ছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী। যারা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে বানারীপাড়া উপ‌জেলার সৈয়দকাঠী ইউ‌নিয়‌নে মো. আনোয়ার হোসেন মৃধা (আওয়ামী লীগ)। আর ব‌রিশাল সদর উপ‌জেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউ‌নিয়‌নে আহম্মদ শাহ‌রিয়ার (আওয়ামী লীগ), চরকাউয়া ইউ‌নিয়‌নে ম‌নিরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), চাঁদপুরা ইউ‌নিয়‌নে জাহিদ হোসেন (স্বতন্ত্র), চন্দ্র‌মোহন ইউ‌নিয়‌নে মো. সিরাজুল হক (স্বতন্ত্র), চর‌মোনাই ইউ‌নিয়‌নে সৈয়দ মো. জিয়াউল ক‌রিম (ইসলামী আ‌ন্দোলন বাংলা‌দে‌শ) ও শা‌য়েস্তাবাদ ইউ‌নিয়‌নে আ‌রিফুজ্জামান মুন্না (আওয়ামী লীগ) বেসরকা‌রিভা‌বে বিজয়ী হ‌য়ে‌ছেন।

রংপুর

রংপুরের পীরগাছা ও পীরগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাতীয় পার্টি এবং বাকি ছয়টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচিত ছয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে বিএনপিপন্থী ৩ জন, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর একজন করে রয়েছেন।

এর মধ্যে পীরগাছায় আওয়ামী লীগের তিন, জাতীয় পার্টির এক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি ও জামায়াত) চারজন নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে পীরগঞ্জের ৮টিতে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র দুইজন চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নে তোফাজ্জল হোসেন (নৌকা), ইটাকুমারী আবুল বাশার (নৌকা), অন্নদানগরে আমিনুল ইসলাম (নৌকা), কৈকুড়িতে নুর আলম (লাঙ্গল), পীরগাছা সদরে মোস্তাফিজুর রহমান রেজা (স্বতন্ত্র-বিএনপি), ছাওলায় নজির হোসেন (স্বতন্ত্র-বিএনপি), কান্দিতে আব্দুস ছালাম আজাদ জুয়েল (স্বতন্ত্র-বিএনপি) এবং তাম্বুলপুর ইউনিয়নে বজলুর রশিদ মুকুল (স্বতন্ত্র-জামায়াত) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নে আরিফুজ্জামান শাহ্ (নৌকা), ভেন্ডাবাড়িতে সাদেকুল ইসলাম সাদেক (নৌকা), কুমেদপুরে আমিনুল ইসলাম (নৌকা), টুকুরিয়ায় আতাউর রহমান (নৌকা), শানেরহাটে মেজবাহুল (নৌকা), পাঁচগাছীতে বাবলু মিয়া (নৌকা), চতরাতে এনামুল হক শাহীন (নৌকা), কাবিলপুরে রবিউল ইসলাম (নৌকা), বড়দরগাহ্ ইউনিয়নে শিলা আক্তার (স্বতন্ত্র) এবং মদনখালীতে নূর মোহাম্মদ মঞ্জু (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন।

রাজশাহী

রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৯টিতে আওয়ামী লীগ ও ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। গোদাগাড়ীর ৯টি এবং তানোরের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে গোদাগাড়ীতে ৫টি ও তানোরের ৪টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।

গোদাগাড়ীতে নৌকা প্রতীকে জয় পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- সদর ইউনিয়নে মসিদুল গণি, দেওপাড়ায় বেলাল উদ্দিন সোহেল, গোগ্রামে মজিবুর রহমান, পাকড়িতে জালাল উদ্দীন এবং মোহনপুরে খায়রুল ইসলাম।

এছাড়া জয় পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- মাটিকাটায় সোহেল রানা (মোটর সাইকেল), বাসদেবপুরে নজরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) এবং রিশিকুলে মোখলেছুর রহমান (অটোরিকশা)।

অন্যদিকে, তানোরে নৌকা প্রতীকে জয় পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- চান্দুরিয়ায় মজিবুর রহমান, পাঁচন্দরে আব্দুল মতিন, বাঁধাইড়ে আতাউর রহমান এবং কামারগাঁয়ে রাব্বি ফরহাদ চৌধুরী। এছাড়া জয় পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- কলমায় খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী (চশমা) ও তালন্দ ইউনিয়নে নাজিম উদ্দিন বাবু (আনারস)।

নেত্রকোনা

নেত্রকোনার সদর, বারহাট্টা ও আটপাড়া উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ ও গণনা সম্পন্ন হয়েছে। তবে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে জাল ভোট প্রয়োগের অভিযোগে দুপুরে জেলার সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নের আতকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বায়রাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেওয়ায় ওই ইউনিয়নের ফলাফলও স্থগিত রয়েছে।

এছাড়া অন্য ২৪টি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে ১৭টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং অপর ৭ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, জেলার সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নে মো. আমজাদ হোসেন খান (নৌকা), মেদনী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ মিজানুর রহমান (ঘোড়া), ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নে মো.আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা), সিংহের বাংলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী আহসান (ঘোড়া), আমতলা ইউনিয়নে মো. রউফ সবুজ (নৌকা), মৌগাতি ইউনিয়নে মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান (নৌকা), রৌহা ইউনিয়নে মো. আব্দুর রশিদ (নৌকা), চল্লিশা ইউনিয়নে সৈয়দ মাহবুবউল মজিদ (নৌকা), দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সেলিম আজাদ সেলিম (ঘোড়া) ও কাইলাটী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাজমুল হক (ঘোড়া)।

জেলার আটপাড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে সবকটিতেই নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নে মো. আব্দুস সাত্তার, লুনেশ্বর ইউনিয়নে মো. শাহজাহান কবীর, বানিয়াজান ইউনিয়নে মো. ফেরদৌস মিয়া, তেলিগাতী ইউনিয়নে অখিল চন্দ্র দাস, দুওজ ইউনিয়নে সাইদুল হক তালুকদার, সুখারী ইউনিয়নে মো. শাহজাহান ও শুনই ইউনিয়নে মো. রোকন উজ্জামান।

এদিকে, জেলার বারহাট্টা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে সাহতা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান (ঘোড়া), বারহাট্টা সদর ইউনিয়নে কাজী সাখাওয়াত হোসেন (নৌকা), বাউসি ইউনিয়নে মো. শামছুল হক (নৌকা), আসমা ইউনিয়নে মো. শফিকুল ইসলাম খান (নৌকা), চিরাম ইউনিয়নে মো. সাইদুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), সিংধা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাসিম উদ্দিন তালুকদার (টেবিলফ্যান) ও রায়পুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান রাজু (ঘোড়া) বিজয়ী হয়েছেন।

নরসিংদী

দ্বিতীয় ধাপে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১০টি ও সদর উপজেলার ২টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২টির মধ্যে ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় পেয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। বাকি ছয়টিতে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী।

বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- সদর উপজেলার চরদীঘলদীতে দেলোয়ার হোসেন শাহীন (আওয়ামী লীগ), আলোকবালী ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন সরকার দিপু (আওয়ামী লীগ) ও রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ীতে রাতুল হাসান জাকির (স্বতন্ত্র), শ্রীনগরে রিয়াজ মোরশেদ খান রাসেল (আওয়ামী লীগ), পাড়াতলীতে ফেরদৌস কামাল জুয়েল (আওয়ামী লীগ), চরমধুয়ায় আহসান শিকদার (স্বতন্ত্র), মির্জানগরে বশির উদ্দিন সরকার রিপন (স্বতন্ত্র), আমিরগঞ্জে ফজলুল করিম ফারুক (স্বতন্ত্র), হাইরমারায় কবির হোসেন (আওয়ামী লীগ), মির্জারচরে জাফর ইকবাল মানিক (স্বতন্ত্র), নিলক্ষ্যায় আক্তারুজ্জামান (স্বতন্ত্র) ও চরসুবুদ্ধিতে নাসির উদ্দিন (আওয়ামী লীগ)।

গাজীপুর

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় বৃহস্পতিবার ১১টি ইউনিয়নের ৮টিতে আওয়ামী লীগ ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। জেলা নির্বাচন অফিসার মো. ইস্তাফিজুল ইসলাম আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

উপজেলার সদরের কাপাসিয়া ইউনিয়ন থেকে সাখাওয়াত হোসেন (নৌকা), তরগাঁও ইউনিয়নে আয়বুর রহমান (নৌকা), দূর্গাপুর ইউনিয়নে এমএ ওহাব খাঁন খোকা (স্বতন্ত্র), চাঁদপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ইকবাল মাহমুদ খান (স্বতন্ত্র), রায়েদ ইউনিয়নে মো. শফিকুল হাকিম মোল্লা (নৌকা), সিংহশ্রী ইউনিয়নে মো. আনোয়ার পারভেজ (নৌকা), সনমানিয়া ইউনিয়নে অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক ভূইয়া (নৌকা), ঘাগটিয়া ইউনিয়নে মো. হারুন অর রশিদ (নৌকা), বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদে এসএম আতাউজ্জামান (স্বতন্ত্র), টোক ইউনিয়নে এম এ জলিল (নৌকা) ও কড়িহাতা ইউনিয়নে মো. মাহবুবুল আলম মোড়ল (নৌকা) নির্বাচিত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৯, বিদ্রোহী ৭ ও জাসদের একজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মিরপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বারুইপাড়ায় শফিকুল ইসলাম মন্টু (আওয়ামী লীগ), আমলায় একলিমুর রেজা সাবান জোয়ার্দ্দার (আওয়ামী লীগ), কুর্শায় আব্দুল হান্নান (আওয়ামী লীগ), মালিহাদে আকরাম হোসেন (আওয়ামী লীগ), বহলবাড়িয়ায় শহিদুল ইসলাম সাইদুল (আওয়ামী লীগ) ও আমবাড়িয়ায় সাইফুদ্দিন মুকুল (আওয়ামী লীগ) নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়াও ফুলবাড়িয়ায় নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), ছাতিয়ানে প্রবীর হোসেন বিশ্বাস (স্বতন্ত্র), সদরপুরে আশরাফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), তালবাড়িয়ায় আব্দুল হান্নান মন্ডল (স্বতন্ত্র) ও পোড়াদহ ইউনিয়নে ফারুকুজ্জামান জন (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ভেড়ামারা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে মোকারিমপুর ইউনিয়নে আব্দুস সামাদ (আওয়ামী লীগ), বাহাদুরপুরে সোহেল রানা পবন (আওয়ামী লীগ) ও বাহিরচরে রওশন আরা (আওয়ামী লীগ), জুনিয়াদহে হাসানুজ্জামান হাসান (স্বতন্ত্র), ধরমপুর ইউনিয়নে শামসুল হক (স্বতন্ত্র) ও চাঁদগ্রামে আব্দুল হাফিজ তপন (জাসদ) বিজয়ী হয়েছেন।

পাবনা

পাবনার সুজানগরে ১০ ইউনিয়নের আটটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও দুইজন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজয়ীরা হলেন, ভায়না ইউনিয়নে আমিন উদ্দিন (আওয়ামী লীগ), তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের মতিন মৃধা (আওয়ামী লীগ), মানিকহাট ইউনিয়নে শফিউল আলম (আওয়ামী লীগ), দুলাই ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), সাগরকান্দি ইউনিয়নে শাহিন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), রানীনগর ইউনিয়নে এইচ এম পিযুষ (আওয়ামী লীগ), নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে মশিউর রহমান (আওয়ামী লীগ), আহম্মদপুর ইউনিয়নে কামাল মিয়া (আওয়ামী লীগ), সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে আবুল হোসেন (স্বতন্ত্র) ও হাটখালি ইউনিয়নে ফিরোজ খান (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোর

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতে আওয়ামী লীগ, বিদ্রোহী ২ ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আর চৌগাছা উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে আগেভাগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের দুজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাকী ৯টির ৩টিতে নৌকা বাকি ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

যশোরের ঝিকরগাছার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নে আমিনুর রহমান (নৌকা), মাগুরা ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা), শিমুলিয়া ইউনিয়নে মতিয়ার রহমান সরদার (নৌকা), গদখালী ইউনিয়নে শাহজান আলী (চশমা, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), পানিসারা ইউনিয়নে জাকির হোসেন পিপুল (আনারস, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), ঝিকরগাছা ইউনিয়নে আমীর হোসেন (নৌকা), নাভারণ ইউনিয়নে শাহাজান আলী (নৌকা), নির্বাসখোলা ইউনিয়নে খায়রুজ্জামান (নৌকা), হাজিরবাগ ইউনিয়নে আতাউর রহমান মিন্টু (নৌকা), শংকরপুর ইউনিয়নে গোবিন্দ কুমার চ্যাটার্জি (নৌকা) ও বাঁকড়া ইউনিয়নে আনিস উর রহমান (মোটরসাইকেল, স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে, চৌগাছার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণে বাকি ৯টির মধ্যে ৩টিতে নৌকার প্রার্থী এবং ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নে অবাইদুল ইসলাম সবুজ (নৌকা), সিংহঝুলী ইউনিয়নে হামিদ মল্লিক (স্বতন্ত্র), ধুলিয়ানি ইউনিয়নে এসএম মোমিনুর রহমান (স্বতন্ত্র), জগদীশপুর ইউনিয়নে মাস্টার সিরাজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), পাতিবিলা ইউনিয়নে বিএনপির আতাউর রহমান লাল (স্বতন্ত্র), হাকিমপুর ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী মাসুদুল হাসান (স্বতন্ত্র), স্বরুপদাহ ইউনিয়নে নুরুল কদর বিজয় (স্বতন্ত্র), শাহিনুর রহমান শাহিন (নৌকা), সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান হবি (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন।

শরীয়তপুর

শরীয়তপুরে সদর উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নের ৭টিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হয়। এছাড়া দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। তুলাসার ইউনিয়ন জামাল হোসাইন ও রুদ্রকর ইউনিয়ন ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম ঢালী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন।

অন্যদিকে পালং ইউনিয়ন ইউনিয়নের কে এম আজাহারুল হোসেন, ডোমশার ইউনিয়নের মাস্টার মজিবর রহমান খান, শৌলপাড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ ভাসানী, আংগারিয়া ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মাহমুদপুর ইউনিয়নের শাজাহান ঢালী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয় পেয়েছেন।

চাঁদপুর

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয় হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে বেলা‌য়েত হোসেন গাজী বিল্লাল, মৈশাদী‌ ইউ‌নিয়‌নে মো. নুরুল ইসলাম, আ‌শিকা‌টি ইউ‌নিয়‌নে মো. বিল্লাল হো‌সেন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে নাছির উদ্দিন খান, শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে মাসুদুর রহমান নান্টু, বালিয়া ইউনিয়নে রফিকুল্লাহ পাটওয়ারী, চান্দ্রা ইউ‌নিয়‌নে খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে ইমাম হাসান রাসেল ও রামপুর ইউনিয়নে আল মামুন পাটওয়ারী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সিলেট

সিলেটের ১৫টি ইউনিয়নের নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ৫টি ,বালাগঞ্জের ৬টি ও সদর উপজেলার ৪টি। সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা রফিকুজ্জামান, জালালাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. উবায়দুল্লাহ ইসহাক, মোগলগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. হিরণ মিয়া ও কান্দিগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মনাফ বিজয়ী হয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জে ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন আলম ও তেলিখাল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল অদুদ আলফু, ইছাকলস ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান, উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান মাস্টার ও দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ইকবাল হোসেন ইমাদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

বালাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মুনিম, পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মুজিবুর রহমান, পশ্চিম গৌরীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহমান, বোয়ালজুড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আনহার মিয়া, দেওয়ানবাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল আলম ও পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শিহাব উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৪টিতেই বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, বাকি একজন নৌকার প্রার্থী। জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল নুর (নৌকা), পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে রুয়েল উদ্দিন (স্বতন্ত্র), পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নে আনফর আলী (স্বতন্ত্র), জায়ফরনগর ইউনিয়নে মাসুম রেজা (স্বতন্ত্র) ও গোয়ালবাড়ীতে আব্দুল কাইয়ুম (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনটিতে আওয়ামী লীগ এবং দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহরাব হোসেন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল করিম, কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল উদ্দিন ও জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

নাটোর

নাটোরে দুই উপজেলার ১২টি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৭ ও স্বতন্ত্র ৫ জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।নাটোর সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম ও বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাসিব বিন শাহাব বেসরকারি ভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

নাটোর সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তেবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ওমর আলী প্রধান, কাফুরিয়া ইউনিয়নে অনারস প্রতীকে আবুল কালাম (স্বতন্ত্র), হালসা ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে শফিকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), ছাতনী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে তোফাজ্জল হোসেন সরকার, দিঘাপতিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, বড়হরিশপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ওসমান গণি ভুঁইয়া ও লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে নুরুজ্জামান কালু (স্বতন্ত্র) বিজয়ী পেয়েছেন।

বড়াইগ্রাম উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চান্দাই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে শাহনাজ পারভীন, জোনাইল ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র), নগর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে মস্তফা শামসুজোহা সাহেব (স্বতন্ত্র), বড়াইগ্রাম ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মোমিন আলী এবং গোপালপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আবু বক্কর সিদ্দিক নির্বাচিত হয়েছেন।

পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের দুটিতে আওয়ামী লীগ ও ৫টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আলী হোসেন।

উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে কুদরত-ই-খুদা (স্বতন্ত্র), তিরনইহাট ইউনিয়নে বিএনপির আলমগীর হোসাইন (স্বতন্ত্র), তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে মাসুদ করিম সিদ্দিকী (নৌকা), শালবাহান ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম (নৌকা), বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে বিএনপির তারেক হোসেন (স্বতন্ত্র), ভজনপুর ইউনিয়নে বিএনপির মসলিম উদ্দীন (স্বতন্ত্র) ও দেবনগর ইউনিয়নে ছলেমান আলী (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন।

লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের ৬টিকে আওয়ামী লীগ ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ডা. মোশারফ হোসেন ফলাফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচিতরা হলেন, কমলাবাড়ী ছাত্রলীগ নেতা ওমর মাহমুদ চিশতী (নৌকা), মহিষখোচায় মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী (নৌকা), ভাদাইয়ে কৃঞ্চ কান্ত বিদুর (নৌকা), সাপ্টীবাড়ীতে আব্দুস সোহরাব (নৌকা), দুর্গাপুরে আসাদুজ্জামান ভুট্টা নান্নু (নৌকা), ভেলাবাড়ীতে মোহাম্মদ আলী (নৌকা), পলাশীতে আলাউল ইসলাম ফাতেমী (স্বতন্ত্র) ও সারপুকুরে হুমায়ুন কবির (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নের ২০টিতে আওয়ামী লীগ, ৪টিতে জাতীয় পার্টি ও ৫টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় লাভ করেছেন। বাজিতপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের সব কটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।

হুমাইপুর ইউনিয়নে মো. রফিকুল ইসলাম, দিলালপুর ইউনিয়নে মো. গোলাম কিবরিয়া নোভেল, বলিয়ারদি ইউনিয়নে মো. আবুল কাশেম, সরারচর ইউনিয়েন হাবিবুর রহমান, হালিমপুর ইউনিয়নে মো. ওমর ফারুক (রাসেল), হিলচিয়া ইউনিয়নে মাজহারুল হক নাহিদ, দিঘীরপাড় ইউনিয়নে আ. কাইয়ুম, পিরিজপুর ইউনিয়নে মো. জাফর ইকবাল, ইউনিয়নে তবারক মিয়া, গাজিরচর ইউনিয়নে মো. জুয়েল মিয়া ও কৈলাগ ইউনিয়নে মো. কায়ছার -এ-হাবীব। তবে হালিমপুর, বলিয়ারদী ও মাইজচর ইউপি তিনটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তাড়াইল উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৩টি নৌকা, ৩টিতে লাঙ্গল ও একটি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রাথী বিজয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন জাওয়ার ইউনিয়নে মো. ইমদাদুল হক রতন, দিগদাইড় ইউনিয়নে মো. আশরাফ উদ্দিন ভুঞা (আসাদ) ও তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নে সাঈম-দাদ খান নওশাদ।

আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন রাউতি ইউনিয়নে মো. ইকবাল হোসেন তারেক, ধলা ইউনিয়নে মো. আফরোজ আলম ঝিনুক ও দামিহা ইউনিয়নে এ.কে. মাইনুজ্জামান নবাব বিজয়ী হয়েছেন। তালজাঙ্গা ইউনিয়ন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবু জাহেদ ভূঞা।

করিমগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাতীয় পার্টি ও ৪টিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হচ্ছেন গুজাদিয়া ইউনিয়নে সৈয়দ মাসুদ, বারঘরিয়ায় কামরুল আহসান কাঞ্চন, নিয়ামতপুরে মো. হেলিম, গুনধর ইউনিয়নে আবু সায়েম রাসেল, জাফরাবাদে আবু সাদাৎ মো. সায়েম ও সুতারপাড়া ইউনিয়নের কামাল হোসেন।

কিরাটন ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে আরিফ উদ্দিন কনক, দেহুন্দায় এম এ হানিফ, জয়কা ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির ও নোয়াবাদে মোস্তফা কামাল বিজয়ী হয়েছেন।

মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের ৮, বিদ্রোহী ২ ও বিএনপির একজন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজীয়রা হলেন, সিঙ্গাইর সদর ইউনিয়নে জাহিনুর ইসলাম সৌরভ (বিএনপি), ধল্লা ইউনিয়নে জাহিদুল ইসলাম (নৌকা), চান্দর ইউনিয়নে শওকত হোসেন বাদল (নৌকা), জার্মিতা ইউনিয়নে আবুল হোসেন (নৌকা বিদ্রোহী), জয়মন্টপ ইউনিয়নে ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন (নৌকা), চারিগ্রাম ইউনিয়নে দেওয়ান রিপন হোসেন (নৌকা), তালেবপুর ইউনিয়নে মো.রমজান আলী (নৌকা), সায়েস্তা ইউনিয়নে আবুল হোসেন (বিদ্রোহী), বলধারা ইউনিয়নে আব্দুল মাজেদ খাঁন (নৌকা) ও জামশা ইউনিয়নে গাজী কামরুজ্জামান (নৌকা) নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও বায়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহ লাঠু বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নোয়াখালী

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ এবং আটটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান।

উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজীপুর ইউনিয়নে শাহ মো. আজিম, দূর্গাপুর ইউনিয়নে আবেদ সাইফুল কালাম, নরোত্তমপুর ইউনিয়নে মেহেদী হাসান টিপু, আলাইয়ারপুর ইউনিয়নে গিয়াস উদ্দিন, রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম ও কাদিরপুর ইউনিয়নে মো. ছালেহ উদ্দিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ছয়ানী ইউনিয়নে ওহিদুজ্জামান, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে শাহিদুর রহমান শাহিন, রসুলপুর ইউনিয়নে আব্দুর রশিদ, কুতুবপুর ইউনিয়নে কামাল হোসেন, একলাশপুর ইউনিয়নে সাহেদুর রহমান, শরীফপুর ইউনিয়নে নোমান সিদ্দিকী আমানউল্ল্যাপুর ইউনিয়নে মো. বাহারুল আলম ও গোপালপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদ মোশেরাফ হোসেন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

ভোলা

ভোলার দৌলতখানের ৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে নৌকা ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে নাসির উদ্দীন নান্নু (নৌকা) মেদুয়া ইউনিয়নে মো. মঞ্জুর আলম (নৌকা), চরপাতা ইউনিয়নে মো. কাজল ইসলাম (নৌকা), উত্তর জয়নগর ইউনিয়নে মো. বশির আহমেদ সর্দার (নৌকা), দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নে মো. আলমগীর হাওলাদার (নৌকা) ও ভবানীপুর ইউনিয়নে মো. আওলাদ হোসেন (স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও চরখলিফা ইউনিয়নে শামীম হোসেন অমি (নৌকা) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিততায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ঢাকা

ঢাকার ধামরাইয়ের ১৫টি ইউনিয়নের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এসব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৮ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭ জন বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার।

আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন- সানোড়া ইউনিয়নের খালেদ মাসুদ খান লাল্টু, বাইশাকান্দা ইউনিয়নে মো. মিজানুর রহমান মিজান, গাংগুটিয়া ইউনিয়নে মো. আবদুল কাদের মোল্লা, রোয়াইল ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, কুশুরা ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান, বালিয়া ইউনিয়নে মুজিবর রহমান, সূয়াপুর ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিন, আমতা ইউনিয়নে নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আরিফ হোসেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সোমভাগ ইউনিয়নে মো. আওলাদ হোসেন, যাদবপুর ইউনিয়নে মো. মিজানুর মিজু, ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে মোসলেম উদ্দিন মাসুম, ধামরাই সদর ইউনিয়নে মো. মশিউর রহমান, কুল্লা ইউনিয়নে হাজি মো. লুৎফর রহমান, নান্নার ইউনিয়নে মো. আলতাব হোসেন মোল্লা, চৌহাট ইউনিয়নে পারভিন হাসান প্রীতি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ৬ জন ও স্বতস্ত্র প্রার্থী ৬ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলার এস.বি.কে ইউনিয়নে আরিফান হাসা চৌধুরী নুথান (স্বতস্ত্র), ফতেপুর ইউনিয়নে গোলাম হায়দার নান্টু (স্বতস্ত্র), পান্তা পাড়া ইউনিয়নে মাজহারুল ইসলাম স্বপন (স্বতস্ত্র), স্বরুপপুর ইউনিয়নে মিজানুর রহমান (আওয়ামী লীগ) নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া শ্যামকুড় ইউনিয়নে জামিরুল ইসলাম (স্বতস্ত্র), নেপা ইউনিয়নে সামসুল হক মৃধা (আওয়ামী লীগ), কাজীরবেড় ইউনিয়নে মো. ইয়ানবী (স্বতস্ত্র), বাশবাড়ীয়া ইউনিয়নে নাজমুল হুদা জিন্টু (স্বতস্ত্র), যাদবপুর ইউনিয়নে সালাহউদ্দিন আহম্মেদ (আওয়ামী লীগ), নাটিমা ইউনিয়নে আবুল কাশেম মাস্টার (আওয়ামী লীগ), মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নে আমিনুর রহমান (আওয়ামী লীগ) ও আজমপুর ইউনিয়নে শাহাজান আলী (আওয়ামী লীগ) নির্বাচিত হয়েছেন।

গাইবান্ধা

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তিনটিতে আওয়ামী লীগ ও ১০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে ঘাগোয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমিনুর জামান রিংকু, গিদারী ইউনিয়নে হারুনুর রশীদ ইদু ও মোল্লারচর ইউনিয়নে সাইদুজ্জামান সরকার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া লক্ষীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, মালিবাড়ীতে সোয়েব মো. রাসেল, কামারজানীতে মো. মতিয়ার রহমান, খোলাহাটি ইউনিয়নে মাসুম হক্কানী, বাদিয়াখালীতে মো. সাফায়েতুল হক পাভেল, রামচন্দ্রপুরে মো. মোসাব্বীর হোসেন, সাহাপাড়ায় মো. মশিউর রহমান মিঠুল মাস্টার, বল্লমঝাড়ে মো. জুলফিকার রহমান, কুপতলায় রফিকুল ইসলাম সরকার তারা ও বোয়ালী ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম সাবু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

নওগাঁ

নওগাঁর দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ১১জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ছয় ও স্বতন্ত্র তিনজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নওগাঁ জেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

নওগাঁ সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের ছয়জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চারজন ও স্বতন্ত্র দুইজন বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন, নৌকা প্রতীকে চন্ডিপুর ইউনিয়নে খুরশিদ আলম রুবেল, বর্ষাইল ইউনিয়নে সহিদুল ইসলাম, শিকারপুর ইউনিয়নে কাজী রুকুনুজ্জামান টুকু, বোয়ালিয়া ইউনিয়নে আফেলাতুন নেছা, তিলোকপুর ইউনিয়নে রেজাউল করিম, বলিহার ইউনিয়নে মাসরেফুর রায়হান মাহিন।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী- কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নে নাজমুল হক হান্নান, হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়নে জছিম উদ্দিন মোল্লা, শৈলগাছী ইউনিয়নে মোয়াজ্জেম হোসেন ও দুবলহাটি ইউনিয়নে মখলেছুর রহমান আজম। বিএনপির স্বতন্ত্র- হাঁপানিয়া ইউনিয়নে দেওয়ান মোস্তাক আহম্মেদ রাজা ও বক্তারপুর ইউনিয়নে সারওয়ার কামাল চঞ্চল।

অপরদিকে, রানীনগর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা পাঁচজন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুইজন ও স্বতন্ত্র একজন নির্বাচিত হয়েছে। তারা হলেন, নৌকা প্রতীকে- রানীনগর সদরের খট্টেশ্বর ইউনিয়নে চন্দনা শারমিন রুমকি, মিরাট ইউনিয়নে হাফেজ জিয়াউর রহমান, গোনা ইউনিয়নে আব্দুল খালেক, বরগাছা ইউনিয়নে আব্দুল মতিন ও একডালা ইউনিয়নে শাহজাহান আলী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী- কালীগ্রাম ইউনিয়নে আব্দুল ওয়াহাব চাঁন ও কাশিমপুর ইউনিয়নে মকলেছুর রহমান বাবু। বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী পারইল ইউনিয়নে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।

নড়াইল

নড়াইল সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে এবং স্বতন্ত্র ৫ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে মাইজপাড়া ইউনিয়নে জসিম মোল্যা, আউড়িয়ায় মো. এস এম পলাশ, কলোড়ায় আশীষ বিশ্বাস, সিঙ্গাশোলপুরে সাইফুল ইসলাম হিট্টু, শেখহাটিতে গোলক বিশ্বাস, হবখালীতে টিপু সুলতান, চন্ডিবরপুরে মো. আজিজুর রহমান ভুইয়া ও মুলিয়ায় রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বাঁশগ্রাম ইউনিয়নে মো. রফিকুল ইসলাম, ভদ্রবিলায় সজীব মোল্যা, তুলারামপুরে টিপু সুলতান, বিছালীতে মো. হেমায়েত হোসেন ও শাহাবাদে মো. জিয়াউর রহমান জিয়া নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ও উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন উজানচর ইউনিয়নে মো. গোলজার হোসেন মৃধা ও ছোট ভাকলা ইউনিয়নে মো. আমজাদ হোসেন।

সুনামগঞ্জ

দ্বিতীয় ধাপে ছাতক ও দোয়ারা উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাতক উপজেলায় ১০টি ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ১টি ইউপিতে (দোয়ারাবাজার সদর) ভোটগ্রহণ করা হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। অন্য ১৮টি ইউপিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়।

২য় দফা ইউপি নির্বাচনে ছাতক সদর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম (আনারস) ৩ হাজার ১৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রঞ্জন কুমার দাস (নৌকা) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪৩ ভোট।

খুরমা উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ (নৌকা) ৪ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। কালারুকা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান অদুদ আলম (নৌকা) ৯ হাজার ৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গয়াছ আহমদ (নৌকা) ৬ হাজার ৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। জাউয়াবাজার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেম্বার আব্দুল হক (ঘোড়া) ৩ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান সুন্দর আলী। তিনি পেয়েছেন ৫৪২৬ ভোট। ইসলাপুর ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান জামায়েত নেতা সুফী আলম সুহেল (টেলিফোন)। তার প্রাপ্ত ভোট হলে ৫ হাজার ৫৭০।

চরমহল্লা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবুল হাসনাত (মোটরসাইকেল) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোলারবাজার ইউনিয়নে বিএনপি নেতা নূরুল আলম (চশমা) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বকর (ঘোড়া) ২৮২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হামিদ। তিনি পেয়েছেন ৬৫১১ ভোট। বোগলাবাজার ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিলন খান। তিনি পেয়েছেন ৫২১৯ ভোট।

সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এমএ হালিম বীরপ্রতীক। তিনি পেয়েছেন ৫৪৪৫ ভোট। লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন জহিরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৬৪৬৮ ভোট।

বাগেরহাট

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বাগেরহাটের পাঁচ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ভোটে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রার্থী হিটলার গোলদার ৮ হাজার ৪৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

অন্যদিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার ৩টি এবং মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউপিতে শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, যাত্রাপুর ইউপিতে বেগ এমদাদ হোসেন, গোটাপাড়ায় শেখ সমশের আলী এবং মোল্লাহাট উপজেলার গাংনীতে শিকদার উজির আলী।

কুড়িগ্রাম

চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মানিক উদ্দিন (হাত পাখা।) তিলাই ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন কামরুজ্জামান (নৌকা)। বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মাইনুল ইসলাম লিটন (নৌকা)। আন্ধারিঝাড় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন জাবেদ আলী মন্ডল (লাঙ্গল)। জয়মনিরহাট ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল ওয়াদুদ (মটর সাইকেল) স্বতন্ত্র

বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মোজাম্মেল হক বেপারী (লাঙ্গল)। পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক (লাঙ্গল)। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান এ তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন।

পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর ১৯ ইউপি নির্বাচনে দশমিনা সদর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন ইকবাল মাহমুদ লিটন (নৌকা প্রতীক), দশমিনা উপজেলার বেতাগী শানকিপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন মশিউর রহমান ঝন্টু (নৌকা প্রতীক), বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন কামাল হোসেন বিশ্বাস (নৌকা প্রতীক), ওই উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়ন পরিষদে বিজয়ী হয়েছেন আনোয়ার হোসেন বাচ্চু।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন তানজিন নাহার সোনিয়া, ছোট বিঘাই ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আলতাফ হোসাইন হাওলাদার, লোহালিয়া ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন কবির হোসেন তালুকদার (নৌকা প্রতীক), মাদারবুনিয়া ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আমিনুল ইসলাম মাসুম মৃধা (নৌকা প্রতীক), আউলিয়াপুর ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির (নৌকা প্রতীক), মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে মাসুম মৃধা (নৌকা প্রতীক), বড় বিঘাই ইউনিয়নে জাফর হাওলাদার (আনারস প্রতীক)।

গলাচিপার পনপট্টি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন মাসুদ রানা, চরবিশ্বাস ইউনিয়নে তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল (নৌকা প্রতীক), ডাকুয়া ইউনিয়নে রনজিৎ রায় (নৌকা প্রতীক), গলাচিপা সদর ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু (নৌকা প্রতীক), গজালিয়া ইউনিয়নে মো. হাবিব বিশ্বাস (আনারস প্রতীক), চরকাজল ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান মোল্লা (ঘোড়া প্রতীক), কলাগাছিয়া ইউনিয়নে মাইনুল সিকদার (ঘোড়া প্রতীক) ও বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম (আনারস প্রতীকে) চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন।

প্রশ্নফাঁস: চাকরি গেল পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তার প্রশ্নফাঁস: চাকরি গেল পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তার

সরকারি পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (১০ নভেম্বর) ব্যাংকটির মানবসম্পদ উন্নয়ন (এইচআরডি) বিভাগের এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বহিষ্কার করা ওই কর্মকর্তা ব্যাংকের রাজধানীর ইমামগঞ্জ শাখায় কর্মরত ছিলেন।

ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার আহমেদ এনায়েত মনজুর এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শহিদ খান স্বাক্ষর করা বহিষ্কারাদেশ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বরাবর পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের কাছে গ্রেফতার আছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত শনিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উ‌ঠে‌। 

এদিকে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কেন কালো তালিকাভুক্ত করা হবে না, তা জানতে বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকালে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে থাকা ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। একইসঙ্গে ওই পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ও ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির কর্মকর্তারা।

 


গ্রিস অভিযোগ করেছে তুরস্ক অভিবাসীদের এনে দেশটির জলসীমায় ছেড়ে দিচ্ছে। এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

গ্রিস একটা ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রবারের ডিঙ্গি নৌকায় থাকা অভিবাসীদের গ্রিসের জলসীমায় প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে তুরস্কের কোস্ট গার্ডের একটি নৌযান। এর আগে গ্রিস বহুবার অভিযোগ করেছে, শরণার্থীদের নিয়ে আসা এজেন্টদের তুরস্ক আটকাচ্ছে না। তারা প্রচুর মানুষকে গ্রিসে নিয়ে আসছে। এটা ইইউ চুক্তির বিরোধী।

চুক্তি অনুযায়ী, তুরস্ক শরণার্থী স্রোত আটকাবে। বিনিময়ে তারা ইইউ-র কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার অর্থসাহায্য পাবে।

গ্রিসের দাবি

গ্রিস কোস্ট গার্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তুরস্কের কোস্ট গার্ডের নৌযান অভিবাসীদের নৌকগুলিকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসছে।  তারপর তারা গ্রিসের জলসীমায় তদের ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। গ্রিসের কোস্ট গার্ড তখন প্রতিবাদ করায় তুরস্কের কোস্ট গার্ড ও অভিবাসীদের নৌকা ফিরে যায়।

গ্রিসের সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রীর অভিযোগ, তুরস্ক জলদস্যু রাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। তারা ইইউ-র চুক্তিভঙ্গ করছে। ইইউ-র কাছে দেশটি আবেদন করেছে, তারা যেন তুরস্কের উপর চাপ দেয়, যাতে দেশটি আন্তর্জাতিক দায় মেনে চলে। 

গ্রিস ও তুরস্ক একে অপরের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের চুক্তিভঙ্গেরঅভিযোগ এনেছে। তুরস্ক জানিয়েছে, গ্রিস কোনো সহযোগিতা করছে না। তারা শরণার্থীদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করছে।

গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা

মিডিয়া ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি শরণার্থীদের প্রতি গ্রিসের মনোভাবের সমালোচনা করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে ডাচ সাংবাদিক ইনগবর্গ বিউগেল বলেন, অভিবাসীদের নিয়ে তিনি যে সব কথা বলছেন তা মেনে নেয়া যায় না। অভিবাসীদের পুশব্যাক করা নিয়ে তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর আগে অভিযোগ করেছে, গ্রিসই তাদের স্থল ও জলসীমা থেকে অভিবাসীদের জোর করে তুরস্কে পাঠাচ্ছে।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি, নেদারল্যান্ডসে রাজনীতিকদের প্রতি সরাসরি প্রশ্ন করার সংস্কৃতি আছে। আমি এটাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আপনি এখানে বসে আমাকে ও গ্রিসের মানুষকে অপমান করবেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’

ডাচ সাংবাদিক তখন বলেন, গ্রিসে অভিবাসীদের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রধানমন্ত্রী জবাব দেন, গ্রিস খুব কড়া কিন্তু ন্যায্য অভিবাসন নীতি নিয়ে চলে।

অন্যদের ফিচার বা আইডিয়া নকল করার অভিযোগ ফেসবুকের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়। এর আগে বহুবার এমন বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এবার ফেসবুকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করলো ফটো অ্যাপ Phhhoto।


ইনস্টাগ্রামের জন্য তাদের একটি ফিচার হুবহু কপি করেছে ফেসবুক। একাধিকবার অন্যকে নকল করার অভিযোগ তোলা হয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন Phhhoto অ্যাপ। সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ফটো অ্যাপটি।

ডিজিটালের দুনিয়ায় অল্পদিনের মধ্যেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইনস্টাগ্রাম। ছবি, ভিডিও, রিলস পোস্টের পাশাপাশি ফেসবুকের অন্তর্ভুক্ত এই অ্যাপটি অনেকেই ছবি এডিট করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে থাকেন। অনেক ফটো এডিটিং অ্যাপকে রীতিমতো পেছনে ফেলে দিয়েছে এর দুর্দান্ত সব ফিল্টার। Phhhoto নামের ফটো অ্যাপটির দাবি, তাদের ফিচার নকল করে আরও অত্যাধুনিক হতে চাইছে ইনস্টাগ্রাম। যা স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার পরিপন্থী।


জানা জায়, Phhhoto অ্যাপের মাধ্যমে পয়েন্ট অ্যান্ড শুট বার্স্টে একসঙ্গে পাঁচটি ফ্রেম একবারে তৈরি করা যায়। যা GIF ভিডিওর মতো শেয়ার করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। সেই ফিচারটি ইনস্টাগ্রামেও সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের বুমেরাং ফিচারটি অনেকটা এরকমই। এই ফিচারটি যে ফেসবুকের নিজস্ব ভাবনা নয়, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।


Phhhoto অ্যাপটি ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল। তবে প্রতিযোগিতার বাজারে বেশিদিন নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি। ২০১৭ সালে বন্ধ হয়ে যায় অ্যাপটি। সংস্থাটির আরও দাবি, অ্যাপটির ফিচারগুলো জানার জন্য খোদ ফেসবুক কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গ এটি ডাউনলোডও করেছিলেন। তাই ফিচার চুরির অভিযোগ তুলে ফেসবুকের থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। তবে এই চুরির অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি ফেসবুক। যা বর্তমানে পরিচিত মেটা নামে।



 



দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ হাজার ৯০১ জনে।

এছাড়া একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ২১৫ জন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ১৫ লাখ ৭১ হাজার ২২৮ জনে।


সোমবার (৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ১৬ হাজার ৮১২ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২০৯ জন। মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪ জন।

এর আগে রোববার (৭ নভেম্বর) আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যান চারজন। করোনা শনাক্ত হয় ১৭৮ জনের দেহে।

বিশ্বব্যাপী করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৫ জনের, শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৪ জন।

এর আগে রোববার মৃত্যু হয়েছিল ৬ হাজার ৩০৫ জনের, শনাক্ত হয়েছিল ৪ লাখ ১৫ হাজার ৬০৮ জনের।

এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ কোটি ৬ লাখ ১০ হাজার ৪৫২ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৮৫ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২২ কোটি ৬৮ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৭ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ২১৮ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬১৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জনের।

আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৪৩৯ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৪৮৪ জনের।

আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৯৩ লাখ ১ হাজার ৯০৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৪১ হাজার ৮০৫ জন।

পঞ্চম স্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫ জন। মারা গেছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জন।

আক্রান্তের তালিকায় তুরস্ক ষষ্ঠ, ফ্রান্স সপ্তম, ইরান অষ্টম, আর্জেন্টিনা নবম এবং স্পেন দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশে অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৩০তম।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।



গতবছরের মতো এবারও প্রাথমিক শিক্ষার বার্ষিক ও সমাপনী পরীক্ষা হচ্ছে না। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূল্যায়ন করে তাদেরকে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। 

সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২৬ অক্টোবরের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, এবারও কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা হবে না। সম্ভব হলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে।

এরআগে গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী সার-সংক্ষেপে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২০ শিক্ষাবর্ষে যেভাবে স্ব স্ব বিদ্যালয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়েছে, সেভাবে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

 


পাবনা সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রুমানা আক্তার মিতু (৩৫) রেললাইনে সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গত ২৪ অক্টোবর বিকেলে ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার ব্রিজের ওপর থেকে ট্রেনের ধাক্কায় তিনি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মিতু সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের মকসেদ আলীর মেয়ে।

পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আরেফা খানম শেফালি জানান, ২৪ অক্টোবর ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার ব্রিজে পরিবারসহ বেড়াতে যান মিতু। ওই সময় তিনি ট্রেনের লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন। হঠাৎ ট্রেন চলে আসলে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এ সময় রেললাইনের নিচে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক সেখান থেকে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিলে তাকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পাবনা কামিল আলিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা নামাজ শেষে আরিফপুর সদর গোরস্থানে দাফন করা হওয়ার কথা বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ট্রেন দুর্ঘটনার ১৩ দিন পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মরদেহ রাজশাহী থেকে নিয়ে এসে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রতিবেশী দেশে জ্বালানি পাচার বন্ধে সরকার অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে। শনিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার সব সময়ই জনস্বার্থের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন,রোববার বিআরটিএ’র ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির বৈঠকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতিনিধিসহ সংশ্নিষ্ট অন্যান্য স্টেক হোল্ডাররা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে ব্যাপারে ইতিবাচক উদ্যোগ ও প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, মূল্য সমন্বয়ের এই অজুহাতে কেউ যেন অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। ওবায়দুল কাদের আবারও পরীক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও পণ্য পরিবহনসহ জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এদিকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির জন্য একই কারণ উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি ও পাচাররোধে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও তার প্রতিফলন ঘটবে। ২০১৬ সালেও এভাবে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছিল। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরকার ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করেছে। যদিও আশপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য এখনও কম।

 কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণের জন্য ইসরায়েলি কোম্পানির তৈরি বেলুন

কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণের জন্য ইসরায়েলি কোম্পানির তৈরি বেলুন
 

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণের জন্য অভিনব এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা এমন বেলুন আবিষ্কার করেছে, যা বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তর থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড ধারণ করে ভূপৃষ্ঠে নিয়ে আসতে সক্ষম। এরপর এই কার্বন ডাই–অক্সাইডকে রূপান্তর (রিসাইকেল) করা হবে। খবর রয়টার্সের।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ কার্বন ডাই–অক্সাইডের অতিরিক্ত নিঃসরণ। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোসহ মনুষ্য সৃষ্ট নানা উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়ে থাকে। বায়ুমণ্ডল থেকে এই কার্বন কমানোর একটি উপায় হলো তা শোষণ করে নেওয়া। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শোষণের পদ্ধতিগুলো ব্যয়বহুল।

তবে ইসরায়েলি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান হাই হোপস ল্যাবস-এর দাবি, তাদের তৈরি বেলুন অপেক্ষাকৃত কম খরচে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তর থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড ধারণ করতে পারবে। বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে এই কার্বন প্রায় ঘনীভূত অবস্থায় থাকে।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাদাভ ম্যানসডোর্ফ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, চমৎকার বিষয় হলো, প্রায় ঘনীভূত গ্যাসকে ধারণ করাটা অনেক বেশি সহজ।

নাদাভ আরও বলেন, ‘মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কার্বন জমতে থাকে। আমাদের মাথা থেকে ৯ মাইল ওপরেই কেবল এমন তাপমাত্রায় কার্বনকে পাওয়া যায়।

নাদাভ জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান ছোট পরিসরে তাদের আবিষ্কৃত পদ্ধতিটির পরীক্ষা চালিয়েছে। গ্যাসভর্তি বেলুনের সঙ্গে একটি বাক্স (কার্বন ধারণ যন্ত্র) যুক্ত করে তা তাঁরা বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর তা বায়ুমণ্ডল থেকে হিমায়িত কার্বন আলাদা করে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। আর এই কার্বন রূপান্তর (রিসাইকেল) করা যায়।

হাই হোপস ল্যাবস–এর আশা, দুই বছরের মধ্যে তারা বড় আকারের বেলুন তৈরি করতে পারবে। আর তা তৈরি করা গেলে দিনে প্রতিটি বেলুন এক টন করে কার্বন শোষণ করতে পারবে। এতে খরচ পড়বে ১০০ ডলারের কম।

বর্তমানে ভূপৃষ্ঠে স্থাপিত কার্বন শোষণ ব্যবস্থার তুলনায় এই খরচ অনেক কম বলে উল্লেখ করেন হাই হোপস ল্যাবস–এর সিইও নাদাভ।

করোনা প্রতিরোধী ট্যাবলেটের অনুমোদন দিলো যুক্তরাজ্য 


যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধী মেরেকের অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের অনুমোদন দিয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মহামারি মোকাবিলার জন্য এ ট্যাবলেটকে গুরুত্বপূর্ণ নতুন হাতিয়ার হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।


মেরেক বৃহস্পতিবার জানায়, যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি যাদের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের করোনার উপসর্গ আছে তাদের জন্য এ ট্যাবলেটের অনুমোদন দেয়।

অনুমোদিত করোনা প্রতিরোধী এ ট্যাবলেটটি মুখে খাওয়া জন্য। যাদের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের করোনা উপসর্গ রয়েছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি অথবা মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে এ ট্যাবলেট।


যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ নিয়ন্ত্রকরা এখনো মেরেকের এ মুখে খাওয়ার ওষুধটির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করছে। গত মাসে গবেষণার ফেজ-৩ তে ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন দেশের সরকার এ ওষুধ ক্রয় করতে চাচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্রের মেরেক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষের এ ট্যাবলেটের উদ্ভাবন করেছে। গবেষকরা দাবি করছেন এটি শেষ ধাপের ট্রায়ালে ভালো ফল দেখিয়েছে। মেরেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রব ডেভিস এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমরা ট্রায়ালে ভালো ফল পেয়েছি। আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে না, বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসে এই ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।


মোলনুপিরাভির নামক এ ওষুধটি হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ করে যাদের পাঁচ বা তার কম দিনের জন্য উপসর্গ রয়েছে এবং যারা মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়


বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষা বিতরণ করে না, শিক্ষার সৃষ্টি করে। আর উন্নত গবেষণার মাধ্যমেই সেটি সম্ভব। কিন্তু আমাদের দেশে শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নয়, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই গবেষণাই নেই। তাহলে শিক্ষার মান বাড়বে কীভাবে? তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা আলাদা করে বলতে হয়। শিক্ষার সংকটের কারণে এখানকার প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন হতাশায় নিমজ্জিত। দেশের প্রতিটি স্তর সংকটে ভরপুর, এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট যেন তলানিতে পড়ে আছে, কিন্তু দেখার কেউ নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বছরে কয় দিন ক্লাস পান? তাঁদের শিক্ষার আয়োজন কতটুকু থাকে? 
নিম্নমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবার থেকে উচ্চশিক্ষায় আসা সর্বোচ্চসংখ্যক ছাত্রদের আশ্রয়স্থল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যাঁরা টাকার অভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধে নামতে পারেন না। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া তো অনেক দূরের কথা। তাই বাধ্য হয়ে অবহেলা আর উদাসীনতার শিকার হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন।

উন্নয়ন পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। শিক্ষায়ও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি বলে অনেকে দাবি করে থাকেন। তাঁরা হয়তো জানেন না দেশের শিক্ষার্থীরা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘোরেন, হতাশা হয়ে আত্মহননের পথও বেছে নেন কেউ কেউ। ১৯৯২ সালে উচ্চশিক্ষায় সেশনজট নিরসনের কথা বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। দীর্ঘ ২৯ বছরে পা রেখেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যয় যত বেড়েছে, ভোগান্তিও বেড়েছে তত বেশি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সমস্যা কী? ২০১৪ সালের পরে সেশনজট নিরসন হয়েছে। কিন্তু পুরোনো সংকট নতুন রূপে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেন না। কেন ক্লাসে আসেন না? এই প্রশ্ন নিয়ে ছাত্র–শিক্ষকের ভিন্নমতও আছে।
প্রশ্নটা হলো প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা একজন শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কেন ক্লাস করতে চান না, তার কারণ কী? শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই, পরীক্ষার হলরুম নেই, অধিকাংশ কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, লাইব্রেরিতে বই নেই, অনেক কলেজে যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই, বেশির ভাগ কলেজে আবাসনব্যবস্থা নেই। আর যে কটি ক্যাম্পাসে আবাসনসুবিধা আছে, সেগুলোয় আবার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের কর্তৃত্ব থাকে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াতে কলেজগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। এই সমস্যাগুলো চেপে ধরে বাস্তবে ক্লাস করা কতটুকু সম্ভব। বামপন্থীসহ অন্য কোনো ছাত্রসংগঠন শিক্ষার সংকট নিরসনের জন্য ক্যাম্পাসে আন্দোলন করলে সরকারি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা-হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন। সেই জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিরাপদ?
বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজ আছে ২ হাজার ২৭৪টি। এর মধ্যে ২৭৯টি সরকারি কলেজ। স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয় ১৮১টি সরকারি কলেজে। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেডিং পদ্ধতির রুলস-রেগুলেশন অনুযায়ী বছরে ৩৬৫ দিনের ২১০ দিন ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও অনেক জায়গায় এর চার ভাগের এক ভাগও হয় না। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কয়েক মাসে আগে গাইড বইয়ের সাজেশন ফলো করে মুখস্থ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এভাবে চারটা বর্ষ শেষ করে মাস্টার্সে ওঠেন। মুখস্থবিদ্যায় গড়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাগার নেই কেন? করোনা মহামারির কারণে এখন পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসের মুখ দেখেননি। ক্লাসের সিলেবাস শেষ না করেই গড়িমসি করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, যা বাস্তবে অলিখিতভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আদতে একটি ‘পরীক্ষাকেন্দ্র’ হিসেবে তৈরি করেছে।
নির্দিষ্ট লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে, কেন তা ব্যর্থ হলো? বছরের পর বছর ধরে কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর অনাদরে সমস্যার স্তূপ জমতে জমতে পাহাড়সম আকার ধারণ করেছে। এর দায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এড়াতে পারে না। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক্রমে ইউজিসির ২০ বছর মেয়াদি কৌশলপত্রের চার পর্বে উচ্চশিক্ষার স্তর সাজানো হয়েছে, তা হলো প্রাথমিক–পরবর্তী ২০০৬-২০০৭, স্বল্পমেয়াদি ২০০৮-২০১৩, মধ্যমেয়াদি ২০১৪-২০১৯ ও দীর্ঘমেয়াদি ২০২০-২০২৬। দীর্ঘমেয়াদি কৌশলপত্রে শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণের প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। কৌশলপত্রে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মান ও শিক্ষার সংকট দূর করতে হলে আগে কলেজগুলোর শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার অধিকার, সামাজিক অধিকার, সুস্থ রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বমানের পাঠদানের সঙ্গে চলতে হলে পাণ্ডিত্য ও গবেষণার মাধ্যমে নিত্যনতুন জ্ঞানের সৃষ্টি করতে হবে, কার্যকর ও সময়োপযোগী শিক্ষণের মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞানের প্রয়োগ করতে হবে। চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়ে বৈষম্যহীন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট দিতে হবে। সব শিক্ষার্থীর দ্রুত করোনার টিকাদান কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে রুলস-রেগুলেশন অনুযায়ী ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার বিষয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র যদি ভান করে ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে তাদের জাগানো কঠিন। রাষ্ট্রের ঘুম ভাঙানো ছাত্রসমাজের যেমন দায়িত্ব, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব শিক্ষার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।

ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, কারাগারে ৪ সন্তানের জনক
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের কিসমত দেউলা গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৭)। তিনি ৪ সন্তানের জনক।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে গত ২৫ অক্টোবর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় মোস্তফা। এ সময় থেকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী নিখোঁজ ছিল। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে তারাকান্দা থানায় অভিযোগ করে পরিবার।

তিনি আরও জানান, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তুলে নেওয়ার ৫ দিন পর গাজীপুর জেলা থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে ও গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের  উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা কী হবে, সে সম্পর্কে এখনই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে শিক্ষা কারিকুলামে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।

‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’-এর ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রস্তুতি ও অগ্রগতি সম্পর্কিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে সোমবার (১ নভেম্বর) তিনি এ কথা বলেন।

শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা জোরদার করারও আহ্বান জানান ইউজসি চেয়ারম্যান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে ইউজিসি।

সভায় সম্মলনের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও অগ্রগতি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। 

অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মাঝে যোগাযোগের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। একইসঙ্গে শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও একটি সহযোগিতার সেতুবন্ধন তৈরি হবে। ফলে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইণ্টার্নশিপের সুযোগ পাবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের আধুনিক ল্যাব ব্যবহার করে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’

সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলন সফল করার আহ্বান জানান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

সভায় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বক্তব্য রাখেন। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এবং আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরওয়ার মোরশেদ।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভিনসেন্ট চ্যাং, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শামীম কায়সার ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম আল মামুন তাদের নিজ নিজ উপ-কমিটির কাজের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন সভায়।

কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানসহ বিভাগীয় পরিচালক, সম্মেলন আয়োজন বিষয়ে গঠিত কমিটি ও উপ-কমিটিগুলোর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপ-কমিটির সদস্য এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সম্মেলনে মূল বক্তাদের আমন্ত্রণ, নিবন্ধ আহ্বান, মুজিব ১০০ আইডিয়া কনটেস্ট, মুজিব ১০০ ইন্ডাস্ট্রি এক্সিবিশনসহ তাদের সার্বিক কাজের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন। 

সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সম্মেলন অর্গানাইজিং কমিটির সদস্য-সচিব এবং স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের উপ-পারচালক বিষ্ণু মল্লিক।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget