বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণের জন্য অভিনব এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা এমন বেলুন আবিষ্কার করেছে, যা বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তর থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড ধারণ করে ভূপৃষ্ঠে নিয়ে আসতে সক্ষম। এরপর এই কার্বন ডাই–অক্সাইডকে রূপান্তর (রিসাইকেল) করা হবে। খবর রয়টার্সের।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ কার্বন ডাই–অক্সাইডের অতিরিক্ত নিঃসরণ। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোসহ মনুষ্য সৃষ্ট নানা উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়ে থাকে। বায়ুমণ্ডল থেকে এই কার্বন কমানোর একটি উপায় হলো তা শোষণ করে নেওয়া। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শোষণের পদ্ধতিগুলো ব্যয়বহুল।
তবে ইসরায়েলি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান হাই হোপস ল্যাবস-এর দাবি, তাদের তৈরি বেলুন অপেক্ষাকৃত কম খরচে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তর থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড ধারণ করতে পারবে। বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে এই কার্বন প্রায় ঘনীভূত অবস্থায় থাকে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাদাভ ম্যানসডোর্ফ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, চমৎকার বিষয় হলো, প্রায় ঘনীভূত গ্যাসকে ধারণ করাটা অনেক বেশি সহজ।
নাদাভ আরও বলেন, ‘মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কার্বন জমতে থাকে। আমাদের মাথা থেকে ৯ মাইল ওপরেই কেবল এমন তাপমাত্রায় কার্বনকে পাওয়া যায়।
নাদাভ জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান ছোট পরিসরে তাদের আবিষ্কৃত পদ্ধতিটির পরীক্ষা চালিয়েছে। গ্যাসভর্তি বেলুনের সঙ্গে একটি বাক্স (কার্বন ধারণ যন্ত্র) যুক্ত করে তা তাঁরা বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর তা বায়ুমণ্ডল থেকে হিমায়িত কার্বন আলাদা করে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। আর এই কার্বন রূপান্তর (রিসাইকেল) করা যায়।
হাই হোপস ল্যাবস–এর আশা, দুই বছরের মধ্যে তারা বড় আকারের বেলুন তৈরি করতে পারবে। আর তা তৈরি করা গেলে দিনে প্রতিটি বেলুন এক টন করে কার্বন শোষণ করতে পারবে। এতে খরচ পড়বে ১০০ ডলারের কম।
বর্তমানে ভূপৃষ্ঠে স্থাপিত কার্বন শোষণ ব্যবস্থার তুলনায় এই খরচ অনেক কম বলে উল্লেখ করেন হাই হোপস ল্যাবস–এর সিইও নাদাভ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন