Latest Post
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ বা খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল রবিবার জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রী আজ শনিবার রাজধানীর ইমপেরিয়াল কলেজের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, 'আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। টিকা নিয়ে যেন শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে, সেটিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হয়তো একটু অসুবিধা হতে পারে যারা ১২ বছরের কম বয়সী তাদের জন্য। সে বিষয়গুলো নিয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেব।'

নতুন করে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের ধারণা ছিল মার্চ-এপ্রিলে বাড়বে। কিন্তু জানুয়ারির গোড়ার দিকেই বাড়ছে, কাজেই আমাদের যে পরিকল্পনা তাতে অ্যাডজাস্টমেন্ট কিছুটা দরকার হবে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। টিকা নিয়ে যেন  শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে, সেটিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'

শিখন ঘাটতি পূরণে নিরাময়মূলক ক্লাস নেওয়ার কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'দেড় বছরে লেখাপড়ায় যে ঘাটতি হয়েছে, সেটি পূরণের জন্য রেমিডিয়াল ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু আমাদের অনেক সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। কারণ আবার করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত দেড় বছর শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি ক্লাস করতে পারেনি। শ্রেণিকক্ষে তাদের পাঠদান করানো যায়নি। অনলাইনে বা টেলিভিশনে করেছে, এতে যে ঘাটতি হয়েছে তাতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করতে হবে। কিন্তু যেভাবে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছেন অনেকে, তাতে করোনা সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষার ক্ষতিটাই বেশি হবে, সেটাকে মাথায় রেখে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, আমরা প্রত্যেকে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। এটি সবাইকে মানতে হবে। আমি সবার কাছে আবেদন জানাব সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বা অন্য যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান হোক আমরা সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।'


রজত জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, 'চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় প্রযুক্তি জ্ঞানের সঙ্গে সঠিক দক্ষতা থাকতে হবে। সেই সাথে মানসিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ থাকতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের তৈরি হতে হবে খুব ছোটবেলা থেকে পরিবারে মাধ্যমে। পরিবার যেমন শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলে তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলার অনেক দায়িত্ব আছে। শিক্ষাব্যবস্থায় যদি মানসিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ না থাকে তাহলে শিক্ষার্থীকে সেভাবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আর সে জন্যই আমরা নতুন কারিকুলাম করছি। সেই কারিকুলাম শুধু পরীক্ষানির্ভর ও সনদসর্বস্ব নয়, হতে হবে আনন্দময়, দক্ষতানির্ভর, প্রয়োগ যাতে করতে পারে। শিখলাম পরীক্ষা দিলাম, ভুলে গেলাম কোনো লাভ নেই। যা শিখছি তা যেন প্রয়োগ করতে পারি বাস্তব জীবনে, সেভাবেই শিখতে হবে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে, সুনাগরিক হিসেবে ও  বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলব।'

শিক্ষায় এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখন দুনিয়া জুড়ে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের সঙ্গে আমাদের অভ্যস্ত হতে হবে। এই প্রযুক্তির জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। এই শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার আমরা হব, এই প্রত্যয় থাকতে হবে। কারণ আমারা আগের শিল্প বিল্পব ধরতে পারিনি। এবার ধরতেই হবে। আমাদের প্রযুক্তিবান্ধব ও বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে।'

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষা ছাড়া জাতি উন্নত হয় না। তাহলে সেই শিক্ষা কেমন হবে? সেটা ভাবা খুব দরকার, আমরা ভাবছি। ২০১৮ সাল পর্যন্ত চেষ্টা করেছি সবাইকে শিক্ষার আওতায় আনতে। সেটা মোটামুটি এসে গেছে। এখন আমাদের নজর শিক্ষার মানের দিকে। টেকসই উন্নয়নের ১৭টি লক্ষ্যে মধ্যে শিক্ষা চার নম্বর। শিক্ষার মধ্যে কতগুলো লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। একটি হচ্ছে সবাইকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা। সেই শিক্ষা থেকে কেউ যেন বাদ না পড়ে। আরেকটি হচ্ছে সমতা বা সাম্যের জায়গা তৈরি করা। এর সঙ্গে মানসম্মত শিক্ষা, আরেকটি হচ্ছে জীবনব্যাপী শিক্ষা। এই আন্তর্জাতিক অঙ্গিকারগুলো আমাদের পূরণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী রূপকল্প দিয়েছেন ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হব। ডিজিটাল বাংলাদেশ হব। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। খুব শিগগিরিই মধ্যম আয়ের দেশ হব।' প্রধানমন্ত্রী আরো আরেকটি স্বপ্ন দেখিয়েছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিময় দেশ হবে বলে জানান তিনি।


হাসপাতালে বিল পরিশোধ করতে না পেরে সময় চাওয়ায় রাজধানীর শ্যামলীতে আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুরুতর অসুস্থ যমজ শিশুকে বের করে দেয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, শিশুদের মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে আজ মোহাম্মদপুর থানায় মামলায় করেছেন। মামলায় হাসপাতালের মালিক গোলাম সরোয়ার ও পরিচালক সোয়েব খানকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে র‌্যাব গোলাম সরোয়ারকে আটক করেছে।


র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, শ্যামলীর আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি পরিচালনায় যে নীতিমালা তা মেনে চলছে কি না তা দেখতে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। এই হাসপাতালের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র আমরা পাইনি। সেখানে আমরা মাত্র একজন চিকিৎসক পেয়েছি, যেখানে ৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা ছিল। আমরা একজন নার্স পেয়েছি। চিকিৎসক যাকে পেয়েছি, তিনি আইসিইউ-এনআইসিইউ বিশেষজ্ঞ না। তিনি এমবিবিএস চিকিৎসক। তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছিলেন।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, শিশু হাসপাতাল বা স্বনামধন্য হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে এনআইসিইউ-আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে রোগীদের নিয়ে আসা হতো। পরবর্তীতে এনআইসিইউ-আইসিইউতে ভর্তি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা লাভের আশায় বড় বিল তৈরি করে দেওয়া হতো। বিলিং যে সিস্টেম—ভাউচার দেওয়া, সেখানে কোনো বিল দেওয়া হয় না। মালিক গোলাম সারোয়ার তিনি মূলত যে বিল নির্ধারণ করেন সেটাই নেওয়া হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি নিয়ম আছে, কোন বিষয়ে কত টাকা নেওয়া যাবে। কোন পরীক্ষার কত খরচ সেই তালিকা ঝোলানো অবস্থায় পাওয়া যায়নি। একজন রোগীর কাছে অভিযোগ পেয়েছি, ডাক্তার বাবদ, নার্স বাবদ কত—প্রতিটি বিষয়ে বিল করা হতো। পাশাপাশি ১৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেওয়া হতো।


এখানে যে ঘটনাটা ঘটেছে, দালালদের মাধ্যমে তারা জানতে পারে ভুক্তভোগীর স্বামী সৌদি আরবে থাকেন। তাদের উচ্চাশা ছিল অনেক মুনাফা তাদের কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব। পরবর্তীতে যখন দেখেছে ৪০ হাজার টাকার বেশি আপাতত দিতে পারছেন না। সময় চাচ্ছে। আর রোগীর অবস্থাও কিছুটা সংকটাপন্ন ছিল। এ জন্যই জোর করে জমজ শিশুসহ মাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, বলেন মঈন।


সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ৯৯৯ এ ফোন করে সহযোগিতা চান তিনি।

জানা গেছে, ৯৯৯ থেকে বিষয়টি ধানমন্ডি থানা পুলিশকে জানানো হয়। এরপরই পুলিশের একটি টিম মুরাদের বাসায় যায়।

ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার এসআই আসমা বলেন, পরিচয় না দিয়ে একটি নাম্বার থেকে ফোন করে সহাতয়তা চেয়েছেন ওই নারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোন করে জানান, তাকে মারধর করা হচ্ছে। এমনকি প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়। ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ১৫ নম্বর সড়কের বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, ডা. মুরাদের স্ত্রী দুপুরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে আইনি সহায়তা চান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের একটি টিম তার বাসায় যায়। বাসায় আমরা তেমন কিছু দেখিনি। পরে তিনি থানায় আসেন, তার অভিযোগের বিষয়ে আমরা জানার চেষ্টা করেছি। পারিবারিক কলহের বিষয়গুলো তিনি আমাদের জানিয়েছেন।


শেষ দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন রস টেইলর। দিনের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত সেই উইকেট বাংলাদেশকে এনে দিলেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি। এই ম্যাচে দলের চাওয়া যেমন পূরণ করলেন তিনি, তেমনি অবসান হলো দেশের ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের এক অপেক্ষারও।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের শেষ দিন সকালে টেইলরকে আউট করে ইবাদত পূর্ণ করলেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার প্রথম তো বটেই, প্রায় ৯ বছর ও ৪৭ টেস্ট পর টেস্টে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন বাংলাদেশের কোনো পেসার।

ইবাদত থামেননি সেখানেই। পরের ওভারেই ফিরিয়ে দেন কাইল জেমিসনকে। পরে তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে শেষ করে দেন নিউ জিল্যান্ড ইনিংস। ইবাদত ততক্ষণে পৌঁছে যান রেকর্ড উচ্চতায়।

৪৬ রানে ৬ উইকেট তার, দেশের বাইরে বাংলাদেশের কোনো পেসারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।

দেশ-বিদেশ মিলিয়ে তার চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার আছে কেবল আরেকজন পেসারের। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ২৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন।

২০১৩ সালে এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সফরে পরপর দুই টেস্টে অসাধারণ সুইং বোলিংয়ের প্রদর্শনীতে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। এরপর বাংলাদেশের আর কোনো পেসার পারছিলেন না এই মাইলফলক ছুঁতে।


প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন তরুণ ডানহাতি ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ওপেনিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ২২৮ বলে ৭৮ রান করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। কিন্তু হাতের ইনজুরিতে এই সফরে আর ব্যাট হাতেই নামা হবে না। ফিল্ডিংয়ের সময় ডান হাতের আঙুলে চোট পান এই ওপেনার। সেলাই লেগেছে তিনটি। বিসিবির সরবরাহকৃত ভিডিওবার্তায় জয়ের চোটের ব্যাপারে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন দলের ফিজিও বায়েজিদ ইসলাম। 

তিনি বলেছেন, 'মাহমুদুল হাসান জয় আজকে ফিল্ডিং করার সময় ডানহাতের ইনজুরিতে পড়েছে। হাতের তৃতীয় ও চতুর্থ আঙুলের মাঝে তিনটি সেলাই লেগেছে। এখানের ডাক্তার সেলাই করে দিয়েছেন। ওকে এখন ৭ থেকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।'

আজ টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। দিনশেষে উইকেটে ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন রস টেলর। তার সঙ্গে ৬ রানে আছেন রাচিন রবীন্দ্র। ১৭ রানে এগিয়ে আছে টম ল্যাথামের দল।


মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেকে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

আজ রবিবার (২ জানুয়ারি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৮টি মামলা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
 
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪ হাজার ২ পিস ইয়াবা, ৫০ গ্রাম ১০০ পুরিয়া হেরোইন ও ৮ কেজি ৭৭০ গ্রাম ৪০ পুরিয়া গাঁজা জব্দ করা হয়।

ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, শনিবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত মাদকবিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক সেবন ও বিক্রির দায়ে ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করা হয়।


মার্কিন অভিনেত্রী বেটি ম্যারিয়ান হোয়াইট লুডেন ৯৯ বছর বয়সে গতকাল শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) মারা গেছেন। তিনি সাত দশকের বেশি সময় কৌতুকাভিনেত্রী হিসেবে টেলিভিশন দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। ধারাবাহিক টেলিভিশন সিরিজ ‘দ্য গোল্ডেন গার্লস’ এবং ‘দ্য মেরি টাইলার মুর শো’ সিরিজে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি লাভ করেন।

শোবিজের ইতিহাসে এমি পুরস্কার জয়ী এবং দীর্ঘ সময় ধরে কমেডিয়ান ক্যারিয়ারের সুনাম বজায় রেখেছেন বেটি হোয়াইট, তিনি ১৯৪৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে টেলিভিশনে অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং ২০১৯ সালে ‘টয় স্টোরি ৪’ সিরিজে ভয়েস প্রদান করেন।

বেটির এজেন্ট জেফ উইটজার পিপল ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘যদিও বেটির বয়স প্রায় ১০০ বছর, আমি ভেবেছিলাম সে চিরকাল বেঁচে থাকবে।’ ‘আমি তাকে খুব মিস করবো।’

শোবিজ অনলাইন টিএমজেড ডট কম জানায়, বেটি শুক্রবার তার বাড়িতে মারা যান, তাৎক্ষণিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

বেটির মৃত্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইটে বলেছেন, ‘বেটি হোয়াইট আমেরিকান প্রজন্মের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, তিনি একজন সাংস্কৃতিক আইকন, আমরা তাকে খুব মিস করবো।’

বেটি প্রথম নারী যিনি ১৯৫০ এর দশকে ‘লাইফ উইথ এলিজাবেথ’ সিরিজ প্রযোজনা করেন, এ জন্য তিনি ১৯৫৫ সালে সম্মানসূচক মেয়র অব হলিউড উপাধি অর্জন করেন।

বেটি হোয়াইট ১৯২২ সালের ১৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তার জীবনাবসান হলো। তিনি এমি, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড ও গ্রামি পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।
সূত্র : বাসস

 


দেশে আবারও করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচশর কাছাকাছি পৌঁছেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৯৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক করোনা রোগীর।

একদিনে শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা ১১ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর এরচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫১১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচশর নিচে ছিল।  

পরীক্ষা বিবেচনায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর হারও আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বুধবার পৌনে ১৬ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এক্ষেত্রে শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৩৭। এর আগে গত ১১ অক্টোবর শনাক্তের হার এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ হয়েছিল।

এই নিয়ে সর্বমোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৮ জনে। তাদের মধ্যে মোট ২৮ হাজার ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৩৭২ জন। এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪১৬ জন সুস্থ হয়ে উঠছেন।



এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর)। একযোগে সকল শিক্ষা বোর্ডের ফল বেলা ১২টায় শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২১-এর ফল ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এসএমএস-এর মাধ্যমেও একযোগে ফল প্রকাশ হবে। কেন্দ্র সচিবদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তাদের পরীক্ষার্থীদের ফল সংগ্রহ করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN-এর মাধ্যমে ফল ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার্থীরা www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল সংগ্রহ করতে পারবে।

১৬২২২ নম্বরে এসএমএস-এর মাধ্যমেও ফল পাওয়া যাবে। এর জন্য যেকোনও মোবাইল অপারেটরের নম্বর থেকে SSC < > Board Name (first 3 letter) <  > Roll < > Year লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

উল্লেখ্য শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকা অফিসে কোনও ফল পাওয়া যাবে না।

পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএস-এর মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে। আবেদন পদ্ধতি শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যাবে।



মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজগুলোকে মধ্যপ্রাচ্যের বদলে ভূমধ্যসাগরে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ইউক্রেন সীমান্তে হাজার হাজার রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে তৈরি হওয়া আশঙ্কায় এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং এর সঙ্গে থাকা পাঁচটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের সময়সূচি বদলের মাধ্যমে ইউরোপে অবস্থান ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা প্রতিফলিত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ওই অঞ্চলের মার্কিন মিত্র ও সহযোগীদের আশ্বস্ত করতে এটা প্রয়োজন রয়েছে।

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়াতে শুরু করে রাশিয়া। সর্বোচ্চ দশ হাজার পর্যন্ত সেনা সমাবেশ ঘটায় মস্কো। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্ররা আশঙ্কা করে যে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপরেই সেটিকে তাদের সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেয়। সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ওই সংঘাতে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেনের শিল্পাঞ্চল।

ইউক্রেনে নতুন কোনও আগ্রাসন চালানোর কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এর বদলে তারা অভিযোগ তুলেছে মস্কো সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করতে শক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছে ইউক্রেন। তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।

মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এর বহরে রয়েছে পাঁচটি জাহাজ। এর মধ্যে ক্রজার ইউএসএস স্যান জ্যাসিন্টো এবং গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস কোলে, ইউএসএস বেইনব্রিজ, ইউএসএস গ্রেভলি এবং ইউএসএস জ্যাসন ডানহাম রয়েছে।

ট্রুম্যান গত ১ ডিসেম্বর ভার্জিনিয়ার নরফোলক বন্দর ছেড়ে যায় এবং ১৪ ডিসেম্বর ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করে। এটির পারস্য অঞ্চলে থাকার কথা ছিল।



মার্কিন এক পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হয় ১৪ বছর বয়সী এক শিশু। পরবর্তীতে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে মায়ের কোলে। যুক্তরাষ্ট্রের লজ এঞ্জেলেসে ঘটেছে এই ঘটনা। 

বিবিসির অনলাইন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর ভ্যালেন্টিনা ওরেলানা-পেরাল্টা নামের ওই শিশু মায়ের সঙ্গে এক কাপড়ের দোকানে ছিলেন। এসময় পুলিশ সন্দেহভাজনকারীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশের বুলেট দেয়ালে লেগে উল্টো ওই শিশুকে বিদ্ধ করে। 

ওই শিশুর মা সোলেদাদ পেরাল্টা কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঘটনার বিবরণ দেওয়ার সময় বলেন, সেসময় তিনি তার শিশুকে বাঁচানোর জন্য পুলিশদের হাতজোড় করে অনুরোধ করেন, কিন্তু তারা তাদেরকে ফেলে চলে যায়। 

এক আইনজীবীর পড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পেরাল্টা বর্ণনা করেছেন তিনি এবং তার মেয়ে চেঞ্জিং কক্ষের বাইরে হৈচৈ এবং চিৎকার শুনতে পান। এরপর তারা বসে পরেন এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরে প্রার্থনা শুরু করেন। 

পেরাল্টা বলেন, এরপর তিনি বুঝতে পারেন তার মেয়েকে কিছু একটা বিদ্ধ করেছে যাতে করে তারা দুইজনে ফ্লোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

তিনি আরো বলেন, এসময় তার মেয়ে ভ্যালেন্টিনার শরীর 'নিস্তেজ' হয়ে পরে এবং তিনি তাকে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু সে আর জেগে উঠেনি। 

পেরাল্টা বলেন, তার বাহুতে মেয়ের মৃত্যু হয়। এসময় সাহায্যের জন্য তিনি চিৎকার করেছেন কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।

'শেষমেশ যখন পুলিশ আসে তারা ড্রেসিং রুম থেকে আমাকে বের করে নেয় এবং আমার মেয়েকে সেখানে শোয়া অবস্থায় থাকে। আমি তাদেরকে সাহায্যের জন্য বলেছি,কিন্তু তারা তাকে একাকি অবস্থায় ফেলে আসে', বলেন তিনি।  

লস এঞ্জেলস পুলিশের প্রধান মাইকেল মুর এই ঘটনাকে 'বিশৃঙ্খল ঘটনা' উল্লেখ করে এর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে স্বচ্ছ তদন্তের অঙ্গীকার করেছেন।   

ভারতের হরিদ্বারে হিন্দু সাধুসন্তদের একটি ধর্মীয় সমাবেশ থেকে প্রকাশ্যে মুসলিম নিধন ও গণহত্যার ডাক ওঠার পর তার জেরে ভারতকে এখন কূটনৈতিক বিড়ম্বনাতেও পড়তে হচ্ছে।

হরিদ্বারের ওই সমাবেশ থেকে যেভাবে মুসলিমদের হত্যার কথা বলা হয়েছে তাতে তাদের উদ্বেগ জানাতে পাকিস্তান মঙ্গলবার ইসলামাবাদে ভারতের দূতকেও ডেকে পাঠিয়েছিল।

পাকিস্তানে ভারতের সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ, ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের শার্জ দ্য'ফেয়ারকে তলব করে ওই ঘটনায় পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতিবাদও জানিয়েছে।

তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে হরিদ্বারের ওই বিতর্কিত সমাবেশ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

শাসক দল বিজেপির নেতারা কেউ কেউ শুধু বলেছেন, ওই ধর্মীয় সমাবেশের সঙ্গে তাদের বা সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।

এর আগে হরিদ্বারের ওই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টকে স্বত:প্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিতেও আর্জি জানিয়েছেন ভারতের শীর্ষ আইনজীবীরা।

দেশের প্রধান বিচারপতিকে লেখা এক খোলা চিঠিতে ৭৬জন সিনিয়র আইনজীবী বলেছেন, এই গণহত্যার আহ্বানের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপ খুব জরুরি - কারণ প্রশাসন কিছুই করছে না।

ইতিমধ্যে হরিদ্বারের ওই সমাবেশে বক্তাদের বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণের নানা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে মুসলিমদের নির্মূল করতে সরাসরি অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

কিন্তু ঘটনার পর প্রায় দিন দশ-বারো কেটে গেলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করেনি।

মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক কথা বলার জন্য পরিচিত গাজিয়াবাদের বিতর্কিত হিন্দু সাধু ইয়তি নরসিংহানন্দের উদ্যোগে হরিদ্বারে একটি ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল গত ১৭ থেকে ২০শে ডিসেম্বর।

সেই সমাবেশে সাধুসন্তরা যেভাবে প্রকাশ্যে মুসলিমদের 'এথনিক ক্লিনসিং' বা গণহত্যার ডাক দিয়েছেন, তা দেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে তীব্র আলোড়ন ফেলেছে।

'হিন্দু রক্ষা সেনা'র প্রবোধানন্দ গিরিকে সেই সমাবেশে বলতে শোনা যায়, "হিন্দুদের হয় মরার জন্য প্রস্তুত থাকতে হব - নইলে মরতে হবে।"


এদেশের পুলিশ, সেনা, রাজনৈতিক নেতা ও প্রত্যেক হিন্দুকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্মূল অভিযানে নামারও ডাক দেন তিনি।

এই সন্ন্যাসীকে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে প্রায়শই দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি পোস্ট করেন যোগী আদিত্যনাথ বা উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার ছবি।

সাধ্বী অন্নপূর্ণা নামে একজন সন্ন্যাসিনী বলেন, "ওদের নিকেশ করতে হলে মারতে হবে - আমাদের একশোজন হিন্দু সেনা চাই যারা ওদের বিশ লক্ষকে খতম করতে পারবে।"

সমাবেশে বক্তারা অনেকেই দেশে হিন্দুত্ববাদী বা 'গৈরিক' সংবিধান চালু করারও দাবি জানান।

সমাজকর্মী রাম পুনিয়ানি বিবিসিকে বলছিলেন, "সবচেয়ে আক্ষেপের বিষয় হল এই সব ভিডিও সামনে আসার পরও দেশের মিডিয়া এগুলোকে গুরুত্ব দেয়নি, পুলিশও চারদিন পর দায়সারা এফআইআরের বেশি কিছু করেনি।"

"আর এইভাবে ক্রমাগত আমরা মুসলিমদের কোণঠাসা করে ঘেটো-তে ঠেলে দিচ্ছি, তাদের মধ্যে অরক্ষিত থাকার ভয় আর আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসছে।"

ভারতের নামী ঐতিহাসিক ইরফান হাবিবও মনে করছেন, রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে এই চরম ঘৃণার নিন্দা হওয়া উচিত।

সেই সঙ্গেই তাঁর আক্ষেপ, "রাষ্ট্র দোষীদের বিরুদ্ধে কিছুই করছে না। এই ধরনের লোকজন দেশে আগেও ছিল, কিন্তু এই প্রথম তারা কোনও শাস্তির ভয় ছাড়াই বুক ফুলিয়ে গণহত্যার ডাক দিতে পারছে।"

"মিয়ানমারের মতো এদেশেও একটি জাতিগোষ্ঠীর লোককে নিকেশ করার, দেশ থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে - আর আমরা বসে বসে দেখছি।"

উত্তরাখন্ড রাজ্যের পুলিশ প্রথমে হাত গুটিয়ে থাকলেও ওই ধর্ম সংসদ শেষ হওয়ার চারদিন পর একটি এফআইআর রুজু করে মাত্র একজনকে অভিযুক্ত করে - পরে তাতে আরও দুজনের নাম যোগ করা হয়।

এখনও ওই সমাবেশের বক্তাদের কাউকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয়নি, আর এই নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রশান্ত ভূষণ, দুষ্যন্ত দাভে বা সালমান খুরশিদের মতো দেশের শীর্ষ আইনজীবীরা।

প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানাকে লেখা চিঠিতে অন্যতম স্বাক্ষরকারী রামাকান্ত গৌড় বলছিলেন, "আমরা এই হস্তক্ষেপ চাইতে বাধ্য হয়েছি কারণ সংবিধানের অন্য স্তম্ভগুলো - নির্বাহী বিভাগ বা রাজনৈতিক নেতৃত্ব সবাই একেবারে নীরব।"

"না কি তাদের এই বক্তব্যে সায় আছে? এটা আসলে ভীষণই বিচলিত করার মতো ব্যাপার!"

শীর্ষ বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যে কেউ এই ধর্ম সংসদের আহ্বানকে অবশ্য সমর্থন করেননি, তবে বিজেপি ভাবধারার তাত্ত্বিকরা কেউ কেউ মুসলিম নেতাদের বিতর্কিত আহ্বানের প্রসঙ্গও তুলনায় টেনে আনছেন।

দিল্লি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গীতা ভাট যেমন যুক্তি দিচ্ছেন, মাত্র দুবছর আগে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময়েও মুসলিম নেতারা অনেক বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন।

"ব্যাঙ্গালোরে এআইএমআইএমের একজন নেতা তো এমনও বলেছিলেন, আমরা সংখ্যায় মাত্র ১৫ কোটি হলেও ওদের উচিত শিক্ষা দিতে পারি, আজাদি ছিনিয়ে নিতে পারি।''

''তা ওই সব বক্তব্যের জন্য কেউ কি গ্রেপ্তার হয়েছে, বা কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে?", বলছেন অধ্যাপক ভাট ।

তবে হরিদ্বারে হিন্দু সাধুসন্তরা যে ধরনের ভাষণ দিয়েছেন, আসলে কোনও যুক্তিতেই তার সাফাই হয় না বলে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ার গরিষ্ঠ অংশের মত।

তালেবানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে একদল আফগান নারী।  নারীদের অধিকারগুলোকে যেন সম্মান জানানো হয় এনিয়ে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নারীরা মিছিল করে। সেইসঙ্গে অভিযোগ করে, তালেবান কর্তৃপক্ষ গোপনে সেনাদের হত্যা করছে যারা মার্কিন সমর্থক সরকারকে সাহায্য করেছিল। 

এএফপির সাংবাদিকের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ৩০ জন নারী কেন্দ্রীয় কাবুলে এক মসজিদের কাছে জড়ো হয় এবং প্রায় শ মিটার খানেক দূরত্ব মিছিল করে। এসময় তারা 'জাস্টিস' 'জাস্টিস' বলে স্লোগান দিতে থাকে। তবে তালেবান বাহিনী তাদের মিছিল বন্ধ করে দেয়।

নায়েরা কোহিস্তানি নামে এক নারী বিক্ষোভকারী বলেন, আমি বিশ্বকে বলতে চাই, তালেবানদের বলতে চাই হত্যা বন্ধ করুন। আমরা স্বাধীনতা চাই, আমরা বিচার চাই, আমরা মানবাধিকার চাই। 

এছাড়া তালেবান কর্তৃপক্ষ ওই বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা সাংবাদিকদের বাধা দেন। তালেবান যোদ্ধারা এসময় একদল রিপোর্টারকে আটক করে রাখেন। কিছু ফটোসাংবাদিকের সরঞ্জাম কেড়ে নেন এবং ক্যামেরা থেকে ছবি মুছে দেন। এরপর ক্যামেরা ফিরে দেন। চলতি বছরের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর অনুমোদন ছাড়া বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী এ মুহূর্তে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি। আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে তাঁর স্বাস্থ্য। উপসর্গ মৃদু হলেও বিসিসিআই সভাপতিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পেছনে হৃদ্‌রোগ একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। এ বছরই শুরুতে হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বুকে বসাতে হয়েছে স্টেন্ট। প্রায় এক বছর বাদে তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে এবার হৃদ্‌রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে করোনার নতুন ধরন অমিক্রন। ভারতে তো এরই মধ্যে অমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে বিপজ্জনক হারে।

সৌরভের করোনার ধরন অমিক্রন কি না, সেটি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারই পাওয়া যাবে সেই রিপোর্ট। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, হাসপাতালে ভালোই আছেন সাবেক এ অধিনায়ক। জ্বর, কাশি কোনোটিই নেই। তবে সামান্য সর্দি আছে। শরীরে কিছুটা অস্বস্তিও বোধ করছেন।

হৃদ্‌রোগী হওয়ায় কোনো ঝুঁকিই নিচ্ছে না সৌরভের পরিবার। বেঙ্গালুরু থেকে সৌরভকে দেখছেন বিখ্যাত হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। আরেক হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ আফতাব খানের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে তাঁকে ওষুধ হিসেবে দেওয়া হয়েছে মনক্লোনাল ককটেল অ্যান্টিবডি ও ডক্সিসাইক্লিন। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সৌরভ।

বেশ কয়েক দিন ধরেই ঠান্ডা–সর্দিতে আক্রান্ত ছিলেন সৌরভ। এরপর জ্বর এলে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। একই সঙ্গে স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলী আর মেয়ে সানা গাঙ্গুলীরও করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁরা দুজনই অবশ্য নেগেটিভ হন। এর পরপরই উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

এ বছরের ২ জানুয়ারি নিজ বাড়িতে ট্রেডমিলে হাঁটার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভূত হয় সৌরভের। হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায় তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের ধমনিতে ব্লক। এরপর অ্যানজিওপ্লাস্টি করা হয়। ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকেই নিয়মতান্ত্রিক জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। তবে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে কর্মব্যস্ততা তো তাঁর আছেই।

কদিন আগেই খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন বিরাট কোহলির সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে। কোহলিকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে সৌরভ মুখ খোলেন। পরে কোহলি সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলে কিছুটা বেকায়দাতেই পড়েন বিসিসিআই সভাপতি। অধিনায়কত্ব ইস্যুতে সৌরভের কথা বলাটা ইতিবাচক চোখে দেখেননি ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। তাঁদের ভাষ্য ছিল, সৌরভ এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ করেছেন অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হঠাৎ করে ইসরায়েল সফর করেছেন। বিরল এ সফর নিয়ে দেশ দুটিসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে পৌঁছান আব্বাস। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর রোশ হায়াইনে বেনি গান্তজের বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। খবর এএফপির২০১০ সালের পর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির এটাই প্রথম সফর। তাদের মধ্যে নিরাপত্তা ও নাগরিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তাদের এই বৈঠকের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েলের বিরোধী দল লিকুদ পার্টি ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

বৈঠকের পর বেনি গান্তজ বলেছেন, আমরা অর্থনৈতিক ও নাগরিক পদক্ষেপের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। এতে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মঙ্গলের জন্য সন্ত্রাস ও সহিংসতা রোধ এবং নিরাপত্তা সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনের সঙ্গে 'আস্থা-নির্মাণ পদক্ষেপ' ঘোষণা করে। এর আওতায় ফিলিস্তিনকে ৩২ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার এবং ইসরায়েলজুড়ে ব্যবসার জন্য তাদের ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত ৬০০ অনুমতি পাস দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বুধবার ফিলিস্তিনের সিভিল অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক মন্ত্রী হুসেন আল শেখ বলেছেন, রাজনৈতিক সংকটের সমাধান ইস্যুতে আব্বাস ও গান্তজের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দুই নেতা ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের কাজে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।

লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের বৈঠক ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

হামাস এই সফরের কড়া সমালোচনা করে এক বিবৃতিতে বলেছে, মাহমুদ আব্বাসের এই সফর ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেম বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শীর্ষ নেতৃত্বের এমন ব্যবহার দেশটির রাজনৈতিক বিভাজনকে গভীর করবে ও সার্বিক পরিস্থিতি জটিল করবে। সর্বোপরি আঞ্চলিকভাবে অবৈধ দখলদারদের সঙ্গে যারা ভালো সম্পর্ক রাখতে বা সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় তাদের উৎসাহিত করবে এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্বল করবে।

কাশেম ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলা দেশ হিসেবে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো ও সুদানের নাম উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করার পর এসব দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget