সৌরভের করোনার ধরন অমিক্রন কি না, সেটি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারই পাওয়া যাবে সেই রিপোর্ট। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, হাসপাতালে ভালোই আছেন সাবেক এ অধিনায়ক। জ্বর, কাশি কোনোটিই নেই। তবে সামান্য সর্দি আছে। শরীরে কিছুটা অস্বস্তিও বোধ করছেন।
হৃদ্রোগী হওয়ায় কোনো ঝুঁকিই নিচ্ছে না সৌরভের পরিবার। বেঙ্গালুরু থেকে সৌরভকে দেখছেন বিখ্যাত হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। আরেক হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ আফতাব খানের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে তাঁকে ওষুধ হিসেবে দেওয়া হয়েছে মনক্লোনাল ককটেল অ্যান্টিবডি ও ডক্সিসাইক্লিন। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সৌরভ।
বেশ কয়েক দিন ধরেই ঠান্ডা–সর্দিতে আক্রান্ত ছিলেন সৌরভ। এরপর জ্বর এলে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। একই সঙ্গে স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলী আর মেয়ে সানা গাঙ্গুলীরও করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁরা দুজনই অবশ্য নেগেটিভ হন। এর পরপরই উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
এ বছরের ২ জানুয়ারি নিজ বাড়িতে ট্রেডমিলে হাঁটার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভূত হয় সৌরভের। হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায় তাঁর হৃদ্যন্ত্রের ধমনিতে ব্লক। এরপর অ্যানজিওপ্লাস্টি করা হয়। ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকেই নিয়মতান্ত্রিক জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। তবে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে কর্মব্যস্ততা তো তাঁর আছেই।
কদিন আগেই খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন বিরাট কোহলির সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে। কোহলিকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে সৌরভ মুখ খোলেন। পরে কোহলি সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলে কিছুটা বেকায়দাতেই পড়েন বিসিসিআই সভাপতি। অধিনায়কত্ব ইস্যুতে সৌরভের কথা বলাটা ইতিবাচক চোখে দেখেননি ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। তাঁদের ভাষ্য ছিল, সৌরভ এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ করেছেন অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন