Latest Post
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


বলিউড ভাইজান সালমান খানের জন্মদিন আজ। এবারে তিনি ৫৭ বছরে পা রাখলেন। জন্মদিনকে ঘিরেই তিনি সম্প্রতি গিয়েছিলেন পানভেলের খামারবাড়িতে। সেখানে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে হাতে তিন তিনবার সাপে কামড়েছে। পরে হাসপাতাল গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন।

একদিনের ব্যবধানে আজ রোববার (২৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে সেই খামারবাড়ির বাইরে এসেই চেনা কায়দায় হাসিমুখে ছবি তুললেন সালমান খান। আবদার রাখলেন ফটো সাংবাদিকদের। সেইসব ছবি ও ভিডিও এখন ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল।

পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে পানভেলের খামারবাড়িতে নিজের ৫৬তম জন্মদিন পালন করবেন বলে স্থির করেছিলেন সালমান। তারই মাঝে অঘটন। শনিবার মধ্য রাতে ‘ভাইজান’-এর হাতে কামড় বসাল সাপ। ছ’সাত ঘণ্টা হাসপাতালে চিকিৎসা চলার পরে এখন সুস্থ আছেন অভিনেতা।

‘ভাই’-এর জন্মদিনে মুম্বাইয়ের সাংবাদিকরা ছুটে গেছেন পানভেলেতে। তাদের হতাশ করেননি সালমানও। দুর্বল শরীরেই এসে দাঁড়িয়েছেন বাড়ির বাইরে।

এক ভিডিওতে দেখা গেল সালমানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মহম্মদ রফির ‘বার বার ইয়ে দিন আয়ে’ গাইছেন চিত্রসাংবাদিকেরা। এক গাল হাসি নিয়ে ক্যামেরাবন্দি ‘ভাইজান’ও। এক চিত্রসাংবাদিক বললেন, ‘ভাইয়ের হাসি তো খুব সুন্দর।’

পাল্টা মশকরায় সালমানের জবাব, ‘সাপে কামড়ানোর পরে এ রকম হাসিমুখে দাঁড়ানো খুবই কঠিন।’

সোমবার সকালে এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে সালমান বলেন, ‘আমাদের পানভেলের খামারবাড়িতে একটি সাপ ঢুকে পড়ে। আমি লাঠি দিয়ে সেই সাপটিকে তুলি। বাইরের জঙ্গলে ফেলে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু সাপটি আমার হাতে উঠে আসে। আমি হাত দিয়ে ওকে ধরতে গেলে তিনবার আমার হাতে কামড় বসায় সাপটি। হাসপাতালে চিকিৎসার পরে আমি এখন সুস্থ আছি।’

সালমানের বক্তব্য, সাপটিকে দেখে বিষাক্ত বলে মনে হয়েছিল তার। যদিও সালমানের বাবা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানিয়েছেন, সেই সাপের বিষ নেই। কার দাবি সঠিক, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল।



কানাডায় অভিবাসীদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ বাড়ছে। দেশটিতে অস্থায়ীভাবে বসবাসরতদের গুরুত্ব দিয়ে এ অভিবাসন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার কানাডার অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী সিন ফ্রাসার এ তথ্য জানিয়েছেন। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কানাডায় অভিবাসীদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগদানের আগামী বছরেও চলবে। চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গেছে। আগামী বছরে (২০২২ সালে) ৪ লাখ ১১ হাজার অভিবাসীকে দেশটিতে বসবাসের সুযোগ দিতে চায় কানাডা সরকার। 

কানাডার অভিবাসনমন্ত্রীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে ৪ লাখ এক হাজার অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিয়েছে কানাডা। গত ১০০ বছরের মধ্যে এতসংখ্যক অভিবাসীকে ১ বছরে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দেয়নি কানাডা।যারা নতুন করে দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন, তাদের একটি বড় অংশ কানাডায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। 

এ প্রসঙ্গে অভিবাসনমন্ত্রী বলেছের, ‘গত বছর আমরা একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। আমরা তা অর্জন করতে পেরেছি।’

বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম দেশ কানাডা তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে দেশটির অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে মনে করে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতায় আসার পর থেকে অভিবাসন সুবিধা আরো বেড়েছে।

যদিও করোনা মহামারির কারণে দেশটির সীমান্ত অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকায় ২০২০ সালে এই স্থায়ী অভিবাসন সুবিধা কমে যায়। সে বছর ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষকে এ সুবিধা দেওয়া হয়। 

কানাডার অভিবাসন নীতি অনুসারে, প্রতিবছর দেশটির মোট নাগরিক অনুপাতে ১ শতাংশ মানুষকে অভিবাসন সুবিধা দেওয়া হবে। কানাডার বর্তমান জনসংখ্যা ৩ কোটি ৮ লাখ। এ হিসাব অনুসারে প্রতিবছর ৩ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী নেওয়ার কথা কানাডার। তবে প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়াচ্ছে কানাডা সরকার।


অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা ২২ বছর পর তাসমানিয়ার উপকূলের অদূরে একটি বিরল মাছ খুঁজে পেয়েছেন যেটি পাখনা নয়, 'হাতের' সাহায্যে ঘুরে বেড়ায়।

পিংক হ্যান্ডফিশ নামে এই মাছটি শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯৯৯ সালে। এ পর্যন্ত ডুবুরিরা মোট চার বার এই মাছের দেখা পেয়েছেন।

মাছটি এক সময় হারিয়ে যাবে এই আশঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ এই মাছটিকে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় যোগ করেছেন।

তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, কিছু দিন আগে সমুদ্রে গভীরে এক মেরিন পার্কে তাদের এক ক্যামেরায় মাছটি ধরা পড়েছে।

নতুন এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাছটি গভীর সাগরের খোলা জায়গায় ঘোরাফেরা করছে। এর আগে এটিকে প্রকাশ্যে দেখা যেত না।

বিজ্ঞানীরা আগে ধারণা করেছিলেন, মাছটি অগভীর পানিতে বসবাস করে। এখন দেখা যাচ্ছে তাসমানিয়ার দক্ষিণ উপকূলের কাছে ৩৯০ ফুট গভীরে এর বাস।

এই আবিষ্কার খুবই উত্তেজনাকর। যেহেতু অনেক বেশি জায়গা নিয়ে এই মাছটি ঘোরাফেরা করে, তাই পিংক হ্যান্ডফিশের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে আশঙ্কা ছিল তা কিছুটা কেটেছে, বলছেন ইউনিভার্সিটি অফ তাসমানিয়ার সমুদ্র জীববিজ্ঞানী নেভিল ব্যারেট।

নাম থেকে যেমনটা বোঝা যায়, পাখনার বদলে এই পিংক হ্যান্ডফিশের রয়েছে বড় মাপের 'হাত' যা ব্যবহার করে তারা সমুদ্রের তলায় মাটির ওপর দিয়ে ঘোরাফেরা করে। তবে তারা সাঁতারও জানে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে তার অধীন গবেষক দলটি তাসমান ফ্র্যাকচার মেরিন পার্কে একটি ক্যামেরা বসায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জলের নিচে থাকা কোরাল, গলদা চিংড়ি এবং অন্যান্য প্রজাতির মাছের ছবি তোলা এবং জরিপ চালানো।

সমুদ্রের তলদেশে অদ্ভুত প্রাণী
সমুদ্রের গভীরে এই পার্কটির আয়তন সুইজারল্যান্ডের সমান। এই পার্কে ভূমির মধ্যে রয়েছে একটি ফাটল যার ভেতর দিয়ে ৪,০০০ মিটার পর্যন্ত গভীরে যাওয়া যায়।

গত অক্টোবর মাসে ওই ক্যামেরা দিয়ে তোলা ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখার সময় এখন গবেষণা সহকারী দেখতে পান যে বড় বড় মাছের দলের মধ্যে একটি অদ্ভুত প্রাণী সমুদ্রের তলদেশে মাটির ওপর দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

দেখলাম একটি ছোট মাছ হঠাৎ করেই খাড়ি থেকে মাথা বের করলো, বলছেন গবেষণা সহকারী অ্যাশলি বাসতিয়ানসেন, তারপর অবাক হয়ে দেখলাম মাছটার রয়েছে দুটি হাত।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি গলদা চিংড়ি বিরক্ত করার পর ১৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ মাছটি পাথরের তলা থেকে বেরিয়ে আসছে।

তবে তাসমানিয়ার উপকূলে ১৪ প্রজাতির হ্যান্ডফিশ থাকলেও গোলাপি বর্ণের হ্যান্ডফিশ খুবই বিরল।
সূত্র : বিবিসি


গোপনতা-কেন্দ্রিক সার্চ ইঞ্জিন তৈরির জন্য আলাদা পরিচিতি আছে ডাকডাকগো’র। সম্প্রতি ওই একই ব্রাউজারের ডেস্কটপ সংস্করণ তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ডাকডাকগোর দাবি অনুসারে, ডেস্কটপ ব্রাউজারটির ওই পর্যায়ের সক্ষমতা থাকলে ব্যবহারকারীর পুরো ওয়েব সার্ফিং অভিজ্ঞতা হবে নজরদারির ঝুঁকিমুক্ত।

সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে ডাকডাকগো ডেস্কটপ ব্রাউজার অ্যাপের কয়েকটি স্ক্রিনশট দেখিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী গ্যাব্রিয়েল ওয়েইনবার্গ। ব্রাইজারের ডেস্কটপ অ্যাপ সংস্করণও মোবাইল অ্যাপের মতোই দেখতে হবে এবং কাজের ধরন বিবেচনাতেও একই নির্ভরযোগ্যতা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

“অপারেটিং সিস্টেমের রেন্ডারিং এপিআই-কে কেন্দ্র রেখে একদম শুরু থেকে ডেস্কটপ অ্যাপটি তৈরি করছি আমরা।”-- ব্লগ পোস্টে লিখেছেন ওয়েইনবার্গ।

ব্যবহারকারীর গোপনতা বজায় রাখতে ডেস্কটপ ব্রাউজারে “কঠোর নিরাপত্তা” ডিফল্ট ফিচার হিসেবে থাকবে বলে জানিয়েছেন ওয়েইনবার্গ; কোনো লুকানো সিকিউরিটি সেটিং খুঁজে চালু বা বন্ধ করে রাখতে হবে না ব্যবহারকারীকে। মোবাইল অ্যাপের মতো ডেস্কটপ সংস্করণেও থাকবে ‘ফায়ার (Fire)’ বাটন, যা এক ক্লিকেই মুছে দেবে ব্রাউজার হিস্ট্রি, খুলে রাখা ট্যাবস এবং জমিয়ে রাখা ডেটা। 

এ ছাড়াও, অপারেটিং সিস্টেমের ‘রেন্ডারিং ইঞ্জিন’ নির্ভর হওয়ায় ডেস্কটপ অ্যাপটির ইন্টারফেস আরও ব্যবহারবান্ধব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, বহুল ব্যবহৃত গুগল ক্রোম ব্রাউজারের চেয়ে ডাকডাকগো’র ডেস্কটপ ব্রাউজার “লক্ষ্যণীয় মাত্রার দ্রুতগতির”-- পরীক্ষা-নিরিক্ষা থেকে এমন তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন ওয়েইনবার্গ।

ছবি: ডাকডাকগো,গ্যাব্রিয়েল ওয়েইনবার্গের ব্লগ পোস্ট থেকে
ডাকডাকগো,গ্যাব্রিয়েল ওয়েইনবার্গের ব্লগ পোস্ট থেকে

“ম্যাকওএস এবং উইন্ডোজ উভয়েই ওয়েবসাইট রেন্ডারিং এপিআই (ওয়েবভিউ/ওয়েবভিউ২) সরবরাহ করছে, যেটি যে কোনো অ্যাপ একটি ওয়েবসাইট রেন্ডার করতে ব্যবহার করতে পারে। ডেস্কটপে আমাদের নিজস্ব অ্যাপ তৈরিতে সেটাই ব্যবহার করেছি আমরা।”-- প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন ডাকডাকগো’র জ্যেষ্ঠ যোগাযোগ ব্যবস্থাপক অ্যালিসন জনসন।

আপাতত, ম্যাকওএসে ‘ক্লোজড বেটা’ হিসেবে কার্যক্ষমতা যাচাই চলছে ডাকডাকগো ব্রাউজারের ডেস্কটপ সংস্করণটির। ডেস্কটপ অ্যাপটি উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মের জন্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছে– এমন ইঙ্গিত মিলছে ওয়েইনবার্গের টুইট থেকে। তবে, ডেস্কটপ সংস্করণটি কবে নাগাদ বড় পরিসরে বাজারে আসবে, সে বিষয়ে কিছু বলেনি ডাকডাকগো কর্তৃপক্ষ।

নভেম্বর মাসেই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য নতুন বিল্ট-ইন টুল এনেছে ডাকডাকগো। অন্যান্য অ্যাপ যেন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর উপর নজর রাখতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করার কথা রয়েছে ওই টুলটির। জুলাই মাসে নতুন ‘ইমেইল প্রোটেকশন’ সেবাও চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রাপ্ত ইমেইলের সঙ্গে কোনো ট্র্যাকার জুড়ে দেওয়া থাকলে সেটি বিচ্ছিন্ন করে দেবে ওই সেবা।

 

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারও বই উৎসব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ২০২২ সালের পাঠ্য বই ছাপার অগ্রগতি দেখতে ঢাকার মাতুয়াইলে কয়েকটি প্রেস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

দীপু মনি বলেন, ‘এ বছরও বই উৎসব করার মতো অবস্থা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কাজেই ক্লাস ধরে ধরে শিক্ষার্থীদের এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিতরণ করা হবে। কাজেই বিতরণে কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের শিক্ষার্থীদের সবাই সময়মতো হাতে বই পেয়ে যাবে। ’

স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় সবাইকে একসঙ্গে বই দেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১ তারিখে আমরা স্বাস্থ্যবিধির কারণে সবাইকে দিতে পারবো না।  কিন্তু ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে, ১ তারিখে আগে ৯৫ শতাংশের বেশি বই আমাদের স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে। বাকি যে ৪ থেকে ৫ পারসেন্ট এটাও ৭ তারিখের মধ্যে পৌঁছে যাবে। আমরা যে সিডিউলে বই দেবো সেখানে যার যখন পাওয়ার সে একদম ঠিক সময়েই বই পাবে। ’

দীপু মনি বলেন, ‘মাধ্যমিকের বই ২১ কোটি বাঁধাই হয়ে গেছে। সরবরাহ ১৭ কোটির বেশি। আগামী তিন চারদিনের মধ্যে সব প্রায় হয়ে যাবে। ২০২২ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চাদের হাতে আমরা দিয়ে দিতে পারবো। ’

বইয়ের মান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই যে মানটা ঠিক থাকে। সরকার এত অর্থ ব্যয় করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান প্রত্যেকের হাতে আমরা বিনামূল্যে বই তুলে দেবো। ’

এ বিষয়ে অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভিন্ন নামে অনেকে চেষ্টা করে। যদি আমরা জানতে পারি তাহলে তাদের আমরা দেবো না। ’

নতুন কারিকুলামে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের ট্রাইআউটে যেটা যাওয়ার কথা, নতুন কারিকুলামে। আপনারা জানেন এর মধ্যেও আমরা সেই ইনডেক্সগুলো আবার দেখছি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। আমরা ট্রাইআউটে যাবো পহেলা ফেব্রুয়ারিতে। আমাদের ছাত্র ভর্তির কাজ শেষ হতে জানুয়ারি শেষ হয়ে যায়। সব শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ট্রাইআউট শুরু করতে পারছি না। ’

তিনি বলেন, ‘সেজন্য আমরা ট্রাইআউট শুরু করবো ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে। ট্রাইআউটে তো বইয়ের সংখ্যা খুবই কম। আগে ভেবেছিলাম একশটি স্কুল নেবো। কিন্তু এটিমে আমরা ৬০টি স্কুলে নিয়ে এসেছি। তারপরও এটি সংখ্যার দিক থেকে একদমই ঠিক আছে। গবেষণার জন্য যেটা দরকার। ’


কলকাতার পৌরসভার নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার হয়েছে। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৪টিতে জয় পেয়েছেন তারা। বিজেপি ৩, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস ২টি করে ওয়ার্ড অন্যান্যরা ৩টি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে।

২০১৫ সালে কলকাতা পৌরসভার নির্বাচনে ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৪টিতে জিতেছিল তৃণমূল। ওই নির্বাচনে বামেরা ১৫, বিজেপি সাত, কংগ্রেস পাঁচ এবং অন্যেরা তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিল।

গত রোববার কলকাতা পৌরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়। ১৪৪টি ওয়ার্ডের গণনা হয় ১১টি কেন্দ্রে। 

এদিকে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকেই বাম-কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন দখল করতে পারেনি বাম-কংগ্রেস। কিন্তু কলকাতা পৌরসভা ভোটে দ্বিতীয় স্থানে থাকার নিরিখে বিজেপি-কে পিছনে ফেলেছে বামেরা। ১৪৪টি আসনের মধ্যে ৬৫টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে বামেরা। বিজেপি ৫৪টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে। কংগ্রেস দ্বিতীয় হয়েছে ১৫টি ওয়ার্ডে। 

কলকাতা পৌরসভায় বিপুল জয়ের পর টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘কলকাতা পৌর ভোটে জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন। পরিশ্রম এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মানুষের সেবা করার কথা মনে রাখবেন। পৌর এলাকার প্রত্যেক বাসিন্দাকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানায় আমাদের উপর আরও এক বার বিশ্বাস রাখার জন্য।

নির্বাচনে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সমর্থন করার জন্য মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ। মানুষ যত আমাদের সমর্থন করবেন, তত আমাদের মাথা নত হবে।

আগামী বৃহস্পতিবার দলের জয়ী কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহারাষ্ট্র নিবাসে হবে সেই বৈঠক। ওই বৈঠকেই ঠিক হবে কলকাতা পৌরসভার মেয়রের নাম




হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা সাঁতার কেটে নিজের প্রাণ বাঁচালেন মাদাগাস্কারের এক মন্ত্রী। দেশটির ‍উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি উপকূলে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি। এতে বেঁচে যাওয়া দুজনের মধ্যে একজন ছিলেন ওই মন্ত্রী।

সোমবার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর বাকি আরোহীর সন্ধানে চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

সের্গে গেলে কিভাবে দ্বীপে পৌঁছলেন

মাদাগাস্কারের পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রী সের্গে গেলে এবং আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা মঙ্গলবার সকালে সাঁতার কেটে দ্বীপে পৌঁছেন। এর আগে তারা নিজেদের হেলিকপ্টার থেকে বের করে সাঁতার কাটতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান এডমন্ড রান্দ্রিয়ানানতেনিয়া । নিখোঁজ দুজন মাদাগাস্কার পুলিশ ফোর্সের সদস্য।

মালাগাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা যায়, গেলে ডেক চেয়ারে ক্লান্ত অবস্থায় শুয়ে আছেন এবং তিনি তখন তার ছদ্মবেশী পোশাক পরে ছিলেন।  ভিডিও বার্তায় গেলে বলেন, আমার মৃত্যুর সময় এখনো আসেনি।

তিন দশক পুলিশে কাজ করার পর গত আগস্টে মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেন সের্গে গেলে।

হেলিকপ্টারে কোথায় যাচ্ছিলেন

সোমবার সকালে উত্তর-পূর্ব উপকূলে একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষের স্থান পরিদর্শন করে হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছিলেন সের্গে গেলে। উদ্ধারকারীরা ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন এবং এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯ জনে। তবে যাত্রাপথে তাকে এবং তার সহযাত্রীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা গেলের সাহসের জন্য প্রশংসা করে বলে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টার ও আগের সপ্তাহের জাহাজ দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় অনুদান দিতে প্রস্তুত মাদাগাস্কার।


ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় খালাস পাওয়া দুই আসামি মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের খালাসের রায় বাতিল করে কেন সাজা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছর দণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।

গত ৯ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দু’টি সাজা একসঙ্গে চলবে উল্লেখ করে তাকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানান আইনজীবীরা।

এ মামলার দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর আট আসামির মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীমকে চার বছরের দণ্ড দেন। আর ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে তিন বছরের দণ্ড দেন।

পরে গত ২০ ডিসেম্বর এই দুজনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক আপিল করে। এই মামলায় এস কে সিনহাসহ মোট আসামি ১১ জন। পলাতক থাকায় সাবেক প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতেই হয় বিচারকাজ।

এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


এবার নিজেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিলেন আকরাম খান। সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার পারিবারকে সময় দিতে গিয়েই এমন সিদ্ধান্তের দিকে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে নিজ বাসায় সংবাদকর্মীদের আকরাম খান অবশ্য বলেছেন, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে কথা বলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত নেবেন।

গত কয়েকদিন হলো দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে আকরামের ক্রিকেট অপারেশনস পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এর মধ্যে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে আকরাম খানের স্ত্রী সাবিনা আকরাম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই গুঞ্জনের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ক্রিকেট অপারেশনস ছেড়ে দিচ্ছে আকরাম খান’।

এ বিষয়ে অবশ্য আকরামের বক্তব্য মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন আকরাম। এসময় তিনিও একই কথাই বলেছেন।

পরিবারের কারণেই এই সিদ্ধান্ত— এমনটি জানিয়ে আকরাম খান বলেন, আমি পারিবারিকভাবে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিবারকে বেশি সময় দিতেই এ সিদ্ধান্ত।

বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি গত আট বছর ধরে ক্রিকেট অপারেশনসে আছি। এখানে আমার অভিভাবক বোর্ড সভাপতি (বিসিবি সভাপতি)। গত আট বছরে আমি তার কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি। ভালো-খারাপ দুই সময়েই তিনি আমার পাশে ছিলেন। আমি তার সঙ্গে আলাপ করে হয়তো কালকের মধ্যে (আগামীকাল, বুধবার) আমি আমার সিদ্ধান্ত আপনাদের জানিয়ে দেবো।

সিদ্ধান্তটা কেবল পারিবারিক কারণে নাকি অন্য কোনো বিষয় আছে— সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে আকরাম খান বলেন, আমি অনেক বছর ছিলাম এই জায়গাটিতে। মানসিক বলেন আর শারীরিক বলেন— এটি (দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন) আসলে কঠিন। এসব কারণেই একটা ব্রেক প্রয়োজন।

বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পদ না ছাড়ার পরামর্শ দিলে কী করবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি তো এখনই বলতে পারছি। আমি আসলে উনার সঙ্গে কথা বলেই আপনাদের জানাব।

আকরাম খান বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির নেতৃত্বে আছেন দীর্ঘদিন। ২০১৪ সালে প্রথমবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দায়িত্ব পান তিনি। পরের বছর নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কাছে চেয়ার হারান আকরাম। এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফের ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধানের চেয়ারে বসেন তিনি।

ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়েই আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন আকরাম খান। আইপিএলের সময় সাকিব আল হাসানের ছুটি চাওয়া ইস্যুতে সমালোচনা ছড়িয়েছিল। সাকিব এক পর্যায়ে মন্তব্য করেন, আমার ছুটির আবেদন হয়তো পড়েই দেখেননি ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান। আকরাম খানের কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন তৎকালীন গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও বর্তমানে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাসুদ সুজনও।

আবদুর রহমান
নামাজের এক রাকাতেই পবিত্র কোরআন খতম করেছেন সিরিয়ান বংশোদ্ভূত এক তরুণ। সাত ঘণ্টা ধরে নামাজ পড়ে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করেন আবদুর রহমান আল নাবহান নামের এই তরুণ। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবের এক ভিডিওতে আবদুর রহমান জানান, তিনি নামাজের এক রাকাতেই পবিত্র কোরআন খতম করেছেন। পবিত্র কোরআনে ৩০টি পারা ও ২৪০ রুকু রয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬। দীর্ঘ সাত ঘণ্টায় তিনি মনোযোগসহ পুরো কোরআন তিলাওয়াত করেন বলে জানান ২০ বছর বয়সী এই তরুণ।

আবদুর রহমান বর্তমানে তুরস্কের কোনিয়া শহরে বাস করেন এবং স্থানীয় সেলজু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। মূলত তিনি সিরিয়ার ঐতিহাসিক হালব শহরের অধিবাসী। রাতেরবেলা নামাজে পুরো কোরআন খতম করা তার দীর্ঘ স্বপ্ন ছিল। কারণ ইসলামের তৃতীয় খলিফা ওসমান বিন আফফান (রা.) তাহাজ্জুদ নামাজের এক রাকাতে পুরো কোরআন শেষ করেছেন বলে হাদিসের বর্ণনায় এসেছে। মূলত বিখ্যাত সাহাবির এ ঘটনা তাকে অনুপ্রাণিত করে। 

অবশ্য এর আগেও অনেকবার আবদুর রহমান এক রাকাতে কোরআন খতমের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছেন। তবে তিনি বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। তবে নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন অনড়। তাই অনেকবারের ব্যর্থতা তাকে প্রস্তুত হতে সহায়তা করে। অবশ্য এক রাকাতে কোরআন খতম করে খ্যাতি পাওয়া বা ভাইরাল হওয়া তার উদ্দেশ্য নয়। বরং একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে তা করেছেন বলে জানান তিনি।

জানা যায়, রাত ১১টায় আবদুর রহমান নিজের অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণে নামাজে দাঁড়ান। এরপর দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর ভোর ৬টায় তিনি কোরআন খতম করে নামাজ শেষ করেন। তিনি এমন সময় নির্বাচন করেন, যে সময়ে ক্লান্তি ও পরিশ্রম কম হবে এবং পুরো কোরআন শেষ করা সম্ভব হবে। তাই শীতের রাতের সময়কে বেছে নেন। কারণ গ্রীষ্মকালে অল্প কাজেই ক্লান্তি চলে আসে এবং শরীরে ঘাম তৈরি হয়। তা ছাড়া গ্রীষ্মের রাতের চেয়ে শীতের রাত দীর্ঘ হয়। 

আবদুর রহমান জানান, এ ছাড়া নামাজের স্থান হিসেবে মসজিদকে বেছে নেন তিনি। কারণ ঘরে সময় নষ্টের আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া পরিবারের কেউ তার মনোযোগে বিঘ্ন তৈরি করতে পারে। তবে নামাজ শেষ করে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ সবার জন্য দোয়া করেন তিনি। 

সূত্র : আল শারাক ও আল ইমারাত আল ইয়াওম।


শাশুড়িকে নিয়ে পালালেন ঘরজামাই। এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়ার লিলুয়া থানার জগদীশপুরে। মা ও স্বামীর শাস্তি চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ে। ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরাও।

প্রিয়াঙ্কা দাস নামে ওই তরুণী জানিয়েছেন, শনিবার তার স্বামী কৃষ্ণগোপাল দাসের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন মা শেফালি দাস। ফোন করে বাড়িতে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। এরপর লিলুয়া থানায় মা ও স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কা।

তিনি জানান, ২০১৭ সালে বীরভূমের সাঁইথিয়ার যুবক কৃষ্ণগোপাল দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। কিন্তু তেমন কোনো কাজকর্ম করতেন না যুবক। এরপর তাকে জগদীশপুরে ডেকে আনেন বাবা। সেই থেকে ঘরজামাই থাকতেন ওই যুবক। এরই মধ্যে শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ নিয়ে গত সপ্তাহে বাড়িতে তুমুল ঝগড়া হয়। থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কা। এরপর কৃষ্ণগোপালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জামিন পেয়ে সাঁইথিয়া ফিরে যান তিনি। এরপর শনিবার শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে পালান কৃষ্ণগোপাল। তারপর ফোন করে সে কথা বাড়িতে জানান শেফালি দেবী। তবে তারা কোথায় রয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।


‘পানামা পেপারস’ কেলেঙ্কারিতে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রায় ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

২০১৬ সালে ‘মোসাক ফনসেকা’ নামের সংস্থাটি থেকে ‘পানামা পেপারস’ ফাঁস হয়েছিল। পানাম পেপারস অনুযায়ী, মোট ৫০০ ভারতীয়র নাম রয়েছে যারা বিদেশে বিপুল অঙ্কের টাকা রেখে কর ফাঁকি দেওয়া থেকে শুরু করে তথ্য গোপনের সঙ্গে জড়িত।  

তবে ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে বিতর্ক এটিই প্রথম নয়। ক্লিন ইমেজ বজায় রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হলেও বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। এবার ঐশ্বরিয়ার আলোচিত বিতর্কগুলো তুলে ধরা হলো।  

গর্ভাবস্থা লুকিয়ে অভিনয়: নিজের গর্ভাবস্থা লুকিয়ে অভিনয় করছিলেন ঐশ্বরিয়া! ২০১১ সালে পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের সিনেমায় টানা ৬৫ দিন শুটিং করার পর ঐশ্বরিয়ার গর্ভাবস্থার কথা প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনা জানাজানি হতেই মাঝপথে অভিনয় ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল নির্মাতা মধুর ভান্ডারকরকে।

ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়: ‘ধুম ২’ সিনেমায় ঋত্বিক রোশনের সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করে আইনি নোটিশ পেয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। এরপর ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমায় রণবীর কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করে আবারও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সিনেমায় ৩টি অন্তরঙ্গ দৃশ্য ছিল ঐশ্বরিয়ার। যা সেন্সর বোর্ডের আপত্তিতে কেটে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল সিনেমাটি।

ব্যক্তি জীবন: ব্যক্তিগত জীবনেও বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ঐশ্বরিয়া। একাধিক অভিনেতার সঙ্গে প্রেম করেছেন এই অভিনেত্রী। প্রথমে সালমান খান পরে বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে প্রেম করেছেন। অবশেষে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন ঐশ্বরিয়া।  

অশিল্পীসুলভ আচরণ: বারবার অশিল্পীসুলভ আচারণ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ঐশ্বরিয়া। সিনেমার শুটিংয়ে দেরি করে আসা নাকি এক সময়ে তার রুটিনে পরিণত হয়েছিল। এ জন্য ‘আনপ্রফেশনাল’ তকমাও জুটেছিল সাবেক এ বিশ্বসুন্দরীর নামের সঙ্গেই।  

এক রাতের মনোরঞ্জনের জন্য এক মিলিয়ন ডলার: ঐশ্বরিয়ার জীবনে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম বিতর্ক এক রাতের পারিশ্রমিক এক মিলিয়ন ডলার দাবি। ২০০৮ সালে পাকিস্তানি রাজনীতিক আসিফ জারদারি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা এক রাতের মনোরঞ্জনের জন্য ঐশ্বরিয়াকে ডেকেছিলেন আর এ জন্য এক মিলিয়ন ডলার নিয়েছিলেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী। এ বিষয়ে ঐশ্বরিয়া কথা না বললেও তার ভক্তদের দাবি, এটা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।  

শিশুশ্রম বিতর্ক: ২০১৮ সালে একটি গহনা প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনে শিশুশ্রম নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ঐশ্বরিয়া। মূলত একটি ছবিকে ঘিরে এই বিতর্কের শুরু হয়। ছবিতে দেখা যায়, ঐশ্বরিয়া বাহারি গহনা পরে বসে রয়েছেন আর একটি শিশু তার মাথায় ছাতা ধরে আছেন।  

শ্বশুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা: অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়েও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায়, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে কোলাকুলি করছেন। কিন্তু ছবিটি ভুল অ্যাঙ্গেলে তোলার জন্য মূলত বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এরপর খবর ছড়িয়ে পড়ে শ্বশুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়ার।


বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে ‘মেজর জিয়া’ এবং আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

এ তথ্য জানিয়ে প্রকাশ করা একটি পোস্টারে বলা হয়, ‘২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বইমেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় আল-কায়েদাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে হত্যা এবং তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে আহত করে।’

এতে বলা হয়, ‘ওই হামলার জন্য বাংলাদেশের একটি আদালতে ছয় জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছে। আসামিদের দুজন—সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছিল এবং তারা এখনও পলাতক।’

অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমেদ (ছবি সংগৃহীত)


পোস্টারে বলা হয়েছে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য কারও সম্পর্কে আপনার কাছে কোনও তথ্য থাকলে, নিচের নম্বরটিতে সিগন্যাল, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠান। সেক্ষেত্রে আপনিও পুরস্কার পেতে পারেন’।

ফোন নম্বরটি হলো: +1-202-702-7843 এবং @RFJ_USA নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেলও দেওয়া হয়েছে।

পোস্টারের শিরোনামে বলা হয়, ‘রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস ৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তথ্যের জন্য।’

পোস্টারের নিচে বাঁদিকের কোনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নাম ও প্রতীক, ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস ও রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিসের নাম রয়েছে।

রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস হচ্ছে সন্ত্রাস দমনে ভূমিকার জন্য পুরস্কার দেওয়ার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একটি কর্মসূচি।

এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ব্যক্তি বা সম্পত্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা।

এ পর্যন্ত আরএফআই শতাধিক লোককে মোট ১৫ কোটি ডলারেরও বেশি পুরস্কার দিয়েছে। খবর বিবিসির


রাজশাহী জেলার সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলে কোন বাসিন্দা যদি গরু, মহিষ বা বাছুর পালতে চান তাহলে তাকে সেইসব পশুর নিবন্ধন করতে হয়। এমনকি এসব পশু বাচ্চা জন্ম দিলে কিংবা পশু বিক্রি করলেও তথ্য হালনাগাদ করতে হয়। এবং এই নিয়ম বাধ্যতামূলক।

সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং গোদাগাড়ী উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিজিবি ক্যাম্প এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে গিয়ে পশুর মালিকদের নিবন্ধন ও হালনাগাদের এই কাজটি করতে হয়।

এই ইউনিয়নের কেউ বাইরের কোনো হাট থেকে গরু কিনলে সেটা যতো দ্রুত সম্ভব নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

এজন্য পশুর মালিককে বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে নতুন কেনা পশুটির বিবরণ, যেমন: রঙ, বয়স, গড়ন, বলদ নাকি গাভী ইত্যাদি তথ্য দিতে হয়। একই সাথে যে হাট থেকে গরু কিনেছেন সেই রিসিট দেখাতে হয়। এরপর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার রেজিস্ট্রার খাতায় একটি সিরিয়াল নাম্বারে মালিকের নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বারের পাশে তার কেনা গরুর বিবরণ লিখে রাখেন।

এমন একটি রেজিস্ট্রার খাতা পশুর মালিকের কাছেও থাকে। সেখানেও তথ্য তুলে রাখা হয়। মূলত এটাই নিবন্ধনের পদ্ধতি। এই নিবন্ধন বা হালনাগাদের জন্য বাড়তি কোনো টাকা পয়সা বা পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয় না। কোনো পশুর তথ্য যদি নিবন্ধন বা হালনাগাদ না হয় তাহলে সেটি অবৈধ বলে গণ্য হয় এবং বিজিবি চাইলে অনিবন্ধিত পশুগুলো চালান করে দিতে পারে।


মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সাঁতরাচ্ছেন ৭৯ সাঁতারু। তাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লারিসা রোজেন (১০)। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১০টায় কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে সাঁতার শুরু করেছেন তারা।

লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। দুই সন্তানের সঙ্গে অংশ বাংলা চ্যানেলে সাঁতারে অংশ নেওয়াটাও একটা রেকর্ড।

১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজন করেছে ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা। এবারের ৭৯ জন সাঁতারুর মধ্য একজন বিদেশি ও এক নারী রয়েছেন। সাঁতরে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে পাড়ি জমান তারা। এ সময় দ্বীপের বাসিন্দারা তাদেরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।

আয়োজক ও দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, বেলা পৌনে ১১টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৭৯ সাঁতারু। এর আগে সবাই দেশের পতাকা দেখিয়ে উল্লাস করেন। পথে কোনও সমস্য না হলে দুপুরে  একে একে দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এবার ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড গড়বেন ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার। তিনি বলেন, চ্যানেল সাঁতারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আয়োজন করা হয়েছে। সাঁতারুরা ফ্রি হ্যান্ড সুইমিং করবেন। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক সাঁতারুর সঙ্গে একটি করে উদ্ধারকারী নৌকা থাকবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সার্ভিস বোট, জরুরি নৌকা ও ডুবুরি থাকবেন।


লিপটন সরকার জানান, এবার সর্বোচ্চ ৮০ জন সাঁতারু অংশ নেবেন। গত বছর ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৯ জন সফল হন। এবারও একজন বিদেশি সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। আমরা বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণ সাঁতারুর অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয় হচ্ছে।

১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। রেসকিউ পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। অংশীদার হিসেবে আরও আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ষড়জ, ভিসা থিং ও স্টুডিও ঢাকা।

প্রসঙ্গত, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের স্রোতোধারার নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। অ্যাডভেঞ্চার গুরুখ্যাত প্রয়াত কাজী হামিদুল হক সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এই চ্যানেল আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে প্রথমবার আয়োজনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির ও সালমান সাঈদ।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget