করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারও বই উৎসব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ২০২২ সালের পাঠ্য বই ছাপার অগ্রগতি দেখতে ঢাকার মাতুয়াইলে কয়েকটি প্রেস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
দীপু মনি বলেন, ‘এ বছরও বই উৎসব করার মতো অবস্থা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কাজেই ক্লাস ধরে ধরে শিক্ষার্থীদের এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিতরণ করা হবে। কাজেই বিতরণে কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের শিক্ষার্থীদের সবাই সময়মতো হাতে বই পেয়ে যাবে। ’
স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় সবাইকে একসঙ্গে বই দেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১ তারিখে আমরা স্বাস্থ্যবিধির কারণে সবাইকে দিতে পারবো না। কিন্তু ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে, ১ তারিখে আগে ৯৫ শতাংশের বেশি বই আমাদের স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে। বাকি যে ৪ থেকে ৫ পারসেন্ট এটাও ৭ তারিখের মধ্যে পৌঁছে যাবে। আমরা যে সিডিউলে বই দেবো সেখানে যার যখন পাওয়ার সে একদম ঠিক সময়েই বই পাবে। ’
দীপু মনি বলেন, ‘মাধ্যমিকের বই ২১ কোটি বাঁধাই হয়ে গেছে। সরবরাহ ১৭ কোটির বেশি। আগামী তিন চারদিনের মধ্যে সব প্রায় হয়ে যাবে। ২০২২ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চাদের হাতে আমরা দিয়ে দিতে পারবো। ’
বইয়ের মান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই যে মানটা ঠিক থাকে। সরকার এত অর্থ ব্যয় করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান প্রত্যেকের হাতে আমরা বিনামূল্যে বই তুলে দেবো। ’
এ বিষয়ে অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভিন্ন নামে অনেকে চেষ্টা করে। যদি আমরা জানতে পারি তাহলে তাদের আমরা দেবো না। ’
নতুন কারিকুলামে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের ট্রাইআউটে যেটা যাওয়ার কথা, নতুন কারিকুলামে। আপনারা জানেন এর মধ্যেও আমরা সেই ইনডেক্সগুলো আবার দেখছি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। আমরা ট্রাইআউটে যাবো পহেলা ফেব্রুয়ারিতে। আমাদের ছাত্র ভর্তির কাজ শেষ হতে জানুয়ারি শেষ হয়ে যায়। সব শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ট্রাইআউট শুরু করতে পারছি না। ’
তিনি বলেন, ‘সেজন্য আমরা ট্রাইআউট শুরু করবো ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে। ট্রাইআউটে তো বইয়ের সংখ্যা খুবই কম। আগে ভেবেছিলাম একশটি স্কুল নেবো। কিন্তু এটিমে আমরা ৬০টি স্কুলে নিয়ে এসেছি। তারপরও এটি সংখ্যার দিক থেকে একদমই ঠিক আছে। গবেষণার জন্য যেটা দরকার। ’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন