আলোচিত আবরার হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট জানিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসান রাসেলের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সালথাবাসী।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ রায়ে এলাকাবাসী, রাজনৈতিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এদিকে এই মামলার প্রধান আসামি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে। সুনসান নিরবতায় রয়েছে বাড়ির পরিবেশ। তেমন কারো সাথেই কথা বলছে না রাসেলের পরিবার। সেখানে তার বাবা, মা ও ছোট ভাই বসবাস করে।
রাসেলের বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য রুহুল আমিন বলেন, বিচারের রায় নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এতটুকু বলবো আমার ছেলে সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বলেন, রাসেলের পরিবারের তিন সদস্য এখানে বাস করে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রাসেল পড়াশোনা করার জন্য ঢাকা থাকতো। আমরা জানতাম রাসেল বুয়েটে পড়ে, সে অনেক মেধাবী। রাসেল ছাড়া সবাই বাড়িতেই থাকতো।
এলাকাবাসী আরও বলেন, আদালত যেটা সঠিক মনে করেছে, সেই রায় ঘোষণা করেছেন। তবে আমরা বলবো এই জঘন্যতম ঘটনার যে বিচার দ্রুত সময়ে হয়েছে এই জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে এ রায় দ্রুত কার্যকর করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন