Latest Post
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল



গতবছরের মতো এবারও প্রাথমিক শিক্ষার বার্ষিক ও সমাপনী পরীক্ষা হচ্ছে না। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূল্যায়ন করে তাদেরকে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। 

সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২৬ অক্টোবরের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, এবারও কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা হবে না। সম্ভব হলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে।

এরআগে গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী সার-সংক্ষেপে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২০ শিক্ষাবর্ষে যেভাবে স্ব স্ব বিদ্যালয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়েছে, সেভাবে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

 


পাবনা সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রুমানা আক্তার মিতু (৩৫) রেললাইনে সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গত ২৪ অক্টোবর বিকেলে ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার ব্রিজের ওপর থেকে ট্রেনের ধাক্কায় তিনি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মিতু সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের মকসেদ আলীর মেয়ে।

পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আরেফা খানম শেফালি জানান, ২৪ অক্টোবর ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার ব্রিজে পরিবারসহ বেড়াতে যান মিতু। ওই সময় তিনি ট্রেনের লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন। হঠাৎ ট্রেন চলে আসলে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এ সময় রেললাইনের নিচে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক সেখান থেকে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিলে তাকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পাবনা কামিল আলিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা নামাজ শেষে আরিফপুর সদর গোরস্থানে দাফন করা হওয়ার কথা বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ট্রেন দুর্ঘটনার ১৩ দিন পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মরদেহ রাজশাহী থেকে নিয়ে এসে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রতিবেশী দেশে জ্বালানি পাচার বন্ধে সরকার অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে। শনিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার সব সময়ই জনস্বার্থের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন,রোববার বিআরটিএ’র ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির বৈঠকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতিনিধিসহ সংশ্নিষ্ট অন্যান্য স্টেক হোল্ডাররা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে ব্যাপারে ইতিবাচক উদ্যোগ ও প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, মূল্য সমন্বয়ের এই অজুহাতে কেউ যেন অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। ওবায়দুল কাদের আবারও পরীক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও পণ্য পরিবহনসহ জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এদিকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির জন্য একই কারণ উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি ও পাচাররোধে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও তার প্রতিফলন ঘটবে। ২০১৬ সালেও এভাবে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছিল। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরকার ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করেছে। যদিও আশপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য এখনও কম।

 কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণের জন্য ইসরায়েলি কোম্পানির তৈরি বেলুন

কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণের জন্য ইসরায়েলি কোম্পানির তৈরি বেলুন
 

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণের জন্য অভিনব এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা এমন বেলুন আবিষ্কার করেছে, যা বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তর থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড ধারণ করে ভূপৃষ্ঠে নিয়ে আসতে সক্ষম। এরপর এই কার্বন ডাই–অক্সাইডকে রূপান্তর (রিসাইকেল) করা হবে। খবর রয়টার্সের।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ কার্বন ডাই–অক্সাইডের অতিরিক্ত নিঃসরণ। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোসহ মনুষ্য সৃষ্ট নানা উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়ে থাকে। বায়ুমণ্ডল থেকে এই কার্বন কমানোর একটি উপায় হলো তা শোষণ করে নেওয়া। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শোষণের পদ্ধতিগুলো ব্যয়বহুল।

তবে ইসরায়েলি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান হাই হোপস ল্যাবস-এর দাবি, তাদের তৈরি বেলুন অপেক্ষাকৃত কম খরচে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তর থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড ধারণ করতে পারবে। বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে এই কার্বন প্রায় ঘনীভূত অবস্থায় থাকে।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাদাভ ম্যানসডোর্ফ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, চমৎকার বিষয় হলো, প্রায় ঘনীভূত গ্যাসকে ধারণ করাটা অনেক বেশি সহজ।

নাদাভ আরও বলেন, ‘মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কার্বন জমতে থাকে। আমাদের মাথা থেকে ৯ মাইল ওপরেই কেবল এমন তাপমাত্রায় কার্বনকে পাওয়া যায়।

নাদাভ জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান ছোট পরিসরে তাদের আবিষ্কৃত পদ্ধতিটির পরীক্ষা চালিয়েছে। গ্যাসভর্তি বেলুনের সঙ্গে একটি বাক্স (কার্বন ধারণ যন্ত্র) যুক্ত করে তা তাঁরা বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর তা বায়ুমণ্ডল থেকে হিমায়িত কার্বন আলাদা করে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। আর এই কার্বন রূপান্তর (রিসাইকেল) করা যায়।

হাই হোপস ল্যাবস–এর আশা, দুই বছরের মধ্যে তারা বড় আকারের বেলুন তৈরি করতে পারবে। আর তা তৈরি করা গেলে দিনে প্রতিটি বেলুন এক টন করে কার্বন শোষণ করতে পারবে। এতে খরচ পড়বে ১০০ ডলারের কম।

বর্তমানে ভূপৃষ্ঠে স্থাপিত কার্বন শোষণ ব্যবস্থার তুলনায় এই খরচ অনেক কম বলে উল্লেখ করেন হাই হোপস ল্যাবস–এর সিইও নাদাভ।

করোনা প্রতিরোধী ট্যাবলেটের অনুমোদন দিলো যুক্তরাজ্য 


যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধী মেরেকের অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের অনুমোদন দিয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মহামারি মোকাবিলার জন্য এ ট্যাবলেটকে গুরুত্বপূর্ণ নতুন হাতিয়ার হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।


মেরেক বৃহস্পতিবার জানায়, যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি যাদের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের করোনার উপসর্গ আছে তাদের জন্য এ ট্যাবলেটের অনুমোদন দেয়।

অনুমোদিত করোনা প্রতিরোধী এ ট্যাবলেটটি মুখে খাওয়া জন্য। যাদের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের করোনা উপসর্গ রয়েছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি অথবা মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে এ ট্যাবলেট।


যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ নিয়ন্ত্রকরা এখনো মেরেকের এ মুখে খাওয়ার ওষুধটির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করছে। গত মাসে গবেষণার ফেজ-৩ তে ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন দেশের সরকার এ ওষুধ ক্রয় করতে চাচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্রের মেরেক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষের এ ট্যাবলেটের উদ্ভাবন করেছে। গবেষকরা দাবি করছেন এটি শেষ ধাপের ট্রায়ালে ভালো ফল দেখিয়েছে। মেরেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রব ডেভিস এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমরা ট্রায়ালে ভালো ফল পেয়েছি। আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে না, বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসে এই ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।


মোলনুপিরাভির নামক এ ওষুধটি হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ করে যাদের পাঁচ বা তার কম দিনের জন্য উপসর্গ রয়েছে এবং যারা মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়


বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষা বিতরণ করে না, শিক্ষার সৃষ্টি করে। আর উন্নত গবেষণার মাধ্যমেই সেটি সম্ভব। কিন্তু আমাদের দেশে শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নয়, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই গবেষণাই নেই। তাহলে শিক্ষার মান বাড়বে কীভাবে? তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা আলাদা করে বলতে হয়। শিক্ষার সংকটের কারণে এখানকার প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন হতাশায় নিমজ্জিত। দেশের প্রতিটি স্তর সংকটে ভরপুর, এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট যেন তলানিতে পড়ে আছে, কিন্তু দেখার কেউ নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বছরে কয় দিন ক্লাস পান? তাঁদের শিক্ষার আয়োজন কতটুকু থাকে? 
নিম্নমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবার থেকে উচ্চশিক্ষায় আসা সর্বোচ্চসংখ্যক ছাত্রদের আশ্রয়স্থল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যাঁরা টাকার অভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধে নামতে পারেন না। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া তো অনেক দূরের কথা। তাই বাধ্য হয়ে অবহেলা আর উদাসীনতার শিকার হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন।

উন্নয়ন পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। শিক্ষায়ও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি বলে অনেকে দাবি করে থাকেন। তাঁরা হয়তো জানেন না দেশের শিক্ষার্থীরা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘোরেন, হতাশা হয়ে আত্মহননের পথও বেছে নেন কেউ কেউ। ১৯৯২ সালে উচ্চশিক্ষায় সেশনজট নিরসনের কথা বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। দীর্ঘ ২৯ বছরে পা রেখেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যয় যত বেড়েছে, ভোগান্তিও বেড়েছে তত বেশি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সমস্যা কী? ২০১৪ সালের পরে সেশনজট নিরসন হয়েছে। কিন্তু পুরোনো সংকট নতুন রূপে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেন না। কেন ক্লাসে আসেন না? এই প্রশ্ন নিয়ে ছাত্র–শিক্ষকের ভিন্নমতও আছে।
প্রশ্নটা হলো প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা একজন শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কেন ক্লাস করতে চান না, তার কারণ কী? শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই, পরীক্ষার হলরুম নেই, অধিকাংশ কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, লাইব্রেরিতে বই নেই, অনেক কলেজে যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই, বেশির ভাগ কলেজে আবাসনব্যবস্থা নেই। আর যে কটি ক্যাম্পাসে আবাসনসুবিধা আছে, সেগুলোয় আবার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের কর্তৃত্ব থাকে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াতে কলেজগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। এই সমস্যাগুলো চেপে ধরে বাস্তবে ক্লাস করা কতটুকু সম্ভব। বামপন্থীসহ অন্য কোনো ছাত্রসংগঠন শিক্ষার সংকট নিরসনের জন্য ক্যাম্পাসে আন্দোলন করলে সরকারি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা-হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন। সেই জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিরাপদ?
বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজ আছে ২ হাজার ২৭৪টি। এর মধ্যে ২৭৯টি সরকারি কলেজ। স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয় ১৮১টি সরকারি কলেজে। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেডিং পদ্ধতির রুলস-রেগুলেশন অনুযায়ী বছরে ৩৬৫ দিনের ২১০ দিন ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও অনেক জায়গায় এর চার ভাগের এক ভাগও হয় না। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কয়েক মাসে আগে গাইড বইয়ের সাজেশন ফলো করে মুখস্থ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এভাবে চারটা বর্ষ শেষ করে মাস্টার্সে ওঠেন। মুখস্থবিদ্যায় গড়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাগার নেই কেন? করোনা মহামারির কারণে এখন পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসের মুখ দেখেননি। ক্লাসের সিলেবাস শেষ না করেই গড়িমসি করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, যা বাস্তবে অলিখিতভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আদতে একটি ‘পরীক্ষাকেন্দ্র’ হিসেবে তৈরি করেছে।
নির্দিষ্ট লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে, কেন তা ব্যর্থ হলো? বছরের পর বছর ধরে কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর অনাদরে সমস্যার স্তূপ জমতে জমতে পাহাড়সম আকার ধারণ করেছে। এর দায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এড়াতে পারে না। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক্রমে ইউজিসির ২০ বছর মেয়াদি কৌশলপত্রের চার পর্বে উচ্চশিক্ষার স্তর সাজানো হয়েছে, তা হলো প্রাথমিক–পরবর্তী ২০০৬-২০০৭, স্বল্পমেয়াদি ২০০৮-২০১৩, মধ্যমেয়াদি ২০১৪-২০১৯ ও দীর্ঘমেয়াদি ২০২০-২০২৬। দীর্ঘমেয়াদি কৌশলপত্রে শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণের প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। কৌশলপত্রে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মান ও শিক্ষার সংকট দূর করতে হলে আগে কলেজগুলোর শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার অধিকার, সামাজিক অধিকার, সুস্থ রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বমানের পাঠদানের সঙ্গে চলতে হলে পাণ্ডিত্য ও গবেষণার মাধ্যমে নিত্যনতুন জ্ঞানের সৃষ্টি করতে হবে, কার্যকর ও সময়োপযোগী শিক্ষণের মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞানের প্রয়োগ করতে হবে। চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়ে বৈষম্যহীন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট দিতে হবে। সব শিক্ষার্থীর দ্রুত করোনার টিকাদান কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে রুলস-রেগুলেশন অনুযায়ী ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার বিষয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র যদি ভান করে ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে তাদের জাগানো কঠিন। রাষ্ট্রের ঘুম ভাঙানো ছাত্রসমাজের যেমন দায়িত্ব, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব শিক্ষার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।

ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, কারাগারে ৪ সন্তানের জনক
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের কিসমত দেউলা গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৭)। তিনি ৪ সন্তানের জনক।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে গত ২৫ অক্টোবর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় মোস্তফা। এ সময় থেকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী নিখোঁজ ছিল। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে তারাকান্দা থানায় অভিযোগ করে পরিবার।

তিনি আরও জানান, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তুলে নেওয়ার ৫ দিন পর গাজীপুর জেলা থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে ও গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের  উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা কী হবে, সে সম্পর্কে এখনই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে শিক্ষা কারিকুলামে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।

‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’-এর ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রস্তুতি ও অগ্রগতি সম্পর্কিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে সোমবার (১ নভেম্বর) তিনি এ কথা বলেন।

শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা জোরদার করারও আহ্বান জানান ইউজসি চেয়ারম্যান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে ইউজিসি।

সভায় সম্মলনের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও অগ্রগতি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। 

অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মাঝে যোগাযোগের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। একইসঙ্গে শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও একটি সহযোগিতার সেতুবন্ধন তৈরি হবে। ফলে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইণ্টার্নশিপের সুযোগ পাবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের আধুনিক ল্যাব ব্যবহার করে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’

সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলন সফল করার আহ্বান জানান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

সভায় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বক্তব্য রাখেন। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এবং আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরওয়ার মোরশেদ।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভিনসেন্ট চ্যাং, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শামীম কায়সার ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম আল মামুন তাদের নিজ নিজ উপ-কমিটির কাজের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন সভায়।

কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানসহ বিভাগীয় পরিচালক, সম্মেলন আয়োজন বিষয়ে গঠিত কমিটি ও উপ-কমিটিগুলোর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপ-কমিটির সদস্য এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সম্মেলনে মূল বক্তাদের আমন্ত্রণ, নিবন্ধ আহ্বান, মুজিব ১০০ আইডিয়া কনটেস্ট, মুজিব ১০০ ইন্ডাস্ট্রি এক্সিবিশনসহ তাদের সার্বিক কাজের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন। 

সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সম্মেলন অর্গানাইজিং কমিটির সদস্য-সচিব এবং স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের উপ-পারচালক বিষ্ণু মল্লিক।



শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাদের বিভিন্ন কারখানায় জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগ্রহীরা প্রার্থীরা আজ বৃস্পতিবারের (২৮ অক্টোবর) মধ্যে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। 

১.
পদের নাম: সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)
পদের সংখ্যা: ৯
চাকরির গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
২.
পদের নাম: নিরাপত্তা কর্মকর্তা/ফায়ার অ্যান্ড সেফটি অফিসার
পদের সংখ্যা: ১
চাকরির গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসহ স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে
বয়স: সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
৩.
পদের নাম: চিকিৎসা কর্মকর্তা
পদের সংখ্যা: ১১
চাকরির গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিবিএস পাস হতে হবে
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

৪.
পদের নাম: সহকারী প্রোগ্রামার
পদের সংখ্যা: ৫
চাকরির গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক পাস হতে হবে
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
৫.
পদের নাম: সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক)
পদের সংখ্যা: ৯
চাকরির গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
৬.
পদের নাম: সহকারী রসায়নবিদ
পদের সংখ্যা: ২৪
চাকরির গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: রসায়নে এমএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

৭.
পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (কেমিক্যাল)
পদের সংখ্যা: ২৫
চাকরির গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা পাস হতে হবে
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
৮.
পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)
পদের সংখ্যা: ১৯
চাকরির গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা পাস হতে হবে
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
৯.
পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক)
পদের সংখ্যা: ১৯
চাকরির গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা পাস হতে হবে
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
১০.
পদের নাম: বন কর্মকর্তা
পদের সংখ্যা: ১
চাকরির গ্রেড: নবম
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর।


চাকরিতে আবেদনের বয়স

গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। ৮ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্ত হয় দেশে। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু হয় বাংলাদেশে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে বন্ধ ছিল চাকরির অনেক নিয়োগ ও পরীক্ষা। তাই চাকরির আবেদনের জন্য বয়সসীমা কমিয়ে দেয় সরকার। গত বছর ২৫ মার্চ যাঁদের ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, সরকারি চাকরিতে তাঁদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনের আলোকে বিসিআইসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ২৫ মার্চে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা একই দিনে ৩২ বছর। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।

ফাইল ছবি

আবেদন ফি

আবেদনপত্র পূরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিটি পদের জন্য ৫০০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল সংযোগের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

বিদ্যুত সঙ্কটে দোকানের মধ্যে এক নারী তার মোবাইল ফোনের আলো ব্যবহার করছেন

লেবাননে জাতীয় বিদ্যুত গ্রিড বন্ধ হয়ে যাবার পর অনেক মানুষ এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে ব্যক্তিগত জেনারেটরের ওপর

লেবাননে চরম বিদ্যুত সঙ্কটের কারণে দেশটির দুটি প্রধান বিদ্যুতের গ্রিড শনিবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার একদিন পর রবিবার একটি গ্রিড পুনরায় চালু করার জন্য সেনাবাহিনী তাদের কিছু জ্বালানি হস্তান্তর করেছে বলে জানাচ্ছেন লেবাননের জ্বালানি কর্মকর্তারা।

এর ফলে তিনদিন বিদ্যুতের সরবরাহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিদ্যুত সরবরাহকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বলছে, তারা এখন আগের মাত্রায় বিদ্যুত সরবরাহ করছে। তবে তারা দিনে শুধুমাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টার জন্য বিদ্যুত দিতে পারছে। একারণে লোকজনকে নির্ভর করতে হচ্ছে ব্যয়বহুল বেসরকারি জেনারেটরের ওপর।

একজন সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, শনিবার দেইর আম্মার এবং জাহরানিতে অবস্থিত দেশটির সবচেয়ে বড় দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে পুরো দেশ অন্ধকারে ডুবে যায়।

বিদ্যুতের গ্রিড ''শনিবার দুপুর বারোটার সময় সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছে" এবং আগামী বেশ কয়েকদিনের আগে সেগুলো আবার চালু করা সম্ভব হবে না বলে সরকার শনিবাার জানায়।

গত ১৮ মাস ধরে লেবানন বড়ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং দেশটিতে জ্বালানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

অর্থনৈতিক সঙ্কটের ফলে দেশটির অর্ধেক জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। দেশটিতে মুদ্রা সঙ্কট তৈরি হয়েছে এবং রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে।

দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যাপক ঘাটতির ফলে বিদেশী জ্বালানি সরবরাহকারীদের কাছ থেকে জ্বালানি কেনার অর্থও দেশটির কোষাগারে নেই।

বৈরুতের উপকণ্ঠে বাসাবাড়িতে বেসরকারি ভিত্তিতে জেনারেটর সংযোগ দিচ্ছে এমন এক প্রকৌশলী ইলেকট্রিক সুইচবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন

লেবাননের বাসাবাড়িতে বেসরকারি ভিত্তিতে বিদ্যুতের জেনারেটর সংযোগ দেয় যেসব সংস্থা তারাও এখন বলছে জ্বালানির অভাবে তাদের বিকল্প এই সেবা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার মুখে

বিকল্প বেসরকারি যোগানও সঙ্কটে

লেবাননের অনেক মানুষকে জীবনধারণের জন্য এখন ডিজেল চালিত ব্যক্তিগত জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু জ্বালানি সঙ্কটের ফলে ক্রমশ এসব জেনারেটর চালানোও ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানাচ্ছেন বেসরকারি জেনারেটার সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো।

সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহৃত এসব জেনারেটরও এখন যথেষ্ট নয়।

বেসরকারি ভিত্তিতে সরবরাহ চালু রাখতে যারা জেনারেটরের ব্যবসা করেন, তারাও বলছেন - জ্বালানি সঙ্কটের কারণে তাদের সেবাও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

শনিবার গোটা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরো বন্ধ হয়ে যাবার আগেও লেবাননের মানুষ বেশিরভাগ সময়ই দিনে মাত্র দু'ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ পাচ্ছিলেন।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিও এক বিবৃতিতে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেবার খবর নিশ্চিত করেছিল। দেশের এই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র একসাথে লেবাননের ৪০% বিদ্যুতের যোগান দিত।

ওই বিবৃতিতে বলা হয় এই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেবার ফলে বিদ্যুতের নেটওয়ার্ক ''পুরো অচল'' হয়ে যায় এবং শনিবারের বিবৃতিতে বলা হয় "এই মুহূর্তে সেগুলো আবার চালু করার কোন সম্ভাবনাই নেই"।

অগাস্টে বন্দর সংলগ্ন এলাকা বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে ডুবে যায়

অগাস্ট মাসেও বৈরুতে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়

আল-জাজিরা খবর দিচ্ছে যে উত্তরাঞ্চলীয় হালবা শহরে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানির দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ত্রিপলি শহরের বাইরে টায়ারে আগুন দিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

অগাস্ট ২০২০য়ে বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের প্রভাব মোকাবেলায় দেশটি এখনও হিমশিম খাচ্ছে। ওই বিস্ফোরণে মারা যায় ২১৯ জন এবং আহত হয় আরও ৭ হাজার।বৈরুত বন্দরে ওই বিস্ফোরণের পর সরকার পদত্যাগ করেছিল, যার ফলে দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

পূর্ববর্তী সেই সরকার পদত্যাগ করার এক বছরেরও বেশি সময় পর সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেন নাজিব মিকাতি।

ঘাটতি মোকাবেলার লক্ষ্যে গত মাসে হেজবোল্লাহ গোষ্ঠী ইরান থেকে জ্বালানি এনে দেয় লেবাননে। হেজবোল্লাহ বিরোধীরা তখন বলে যে, গোষ্ঠীটি তাদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য জ্বালানি সঙ্কটে সাহায্য করেছে।

কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত - সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এশিয়ার বিভিন্ন অংশ এবং এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন।

করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন

কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস?

শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। 

আমার কি মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত?

করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।

শিশুরা কি ঝুঁকিতে?

যে কোন বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানত: আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

তবে শহরাঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এসব প্রভাবের মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা, যা সম্প্রতি মঙ্গোলিয়ায় দেখা গেছে।

“এই করোনাভাইরাসটি ভয়াবহ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। শিশুদের উপর এই ভাইরাসের প্রভাব বা এতে কতজন আক্রান্ত হতে পারে- সে সম্পর্কে আমরা এখনও বেশি কিছু জানি না। কিন্তু নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। সময় আমাদের সাথে নেই।”

ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর

 

ইউনিসেফ এক্ষেত্রে কি করছে?

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর ক্ষেত্রে চীনকে সহযোগিতা করতে প্রতিরোধক মাস্ক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রতিরক্ষামূলক স্যুট নিয়ে ইউনিসেফের একটি চালান জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে চীনের সাংহাইয়ে পৌঁছেছে।

ছয় মেট্রিক টনের এই চালানটি কোপেনহেগেনে ইউনিসেফের বৈশ্বিক সরবরাহ কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছে এবং এটি চীনের ইউহানে প্রেরণ করা হবে। আগামী দিনগুলিতে ইউনিসেফ আরও জরুরী সরবরাহ পাঠাবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget