Latest Post
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মঙ্গলবারের ভিডিও কলে কথা বলার পর নতুন কোনো বোঝাপড়া কি আদৌ হয়েছে - নাকি ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের হুমকি দুদিন আগে যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেছে?

এক কথায় উত্তর - একটি ফোন বা ভিডিও কলে জটিল এই সমস্যার সমাধান হবে না।

বরং পুতিন ভিডিওকলে বাইডেনের সাথে আলোচনা থেকে কি অর্জন করলেন এবং সেই সাথে আগামী কয়েক দিন বা সপ্তাহে তিনি কি সিগন্যাল নিজে দিচ্ছেন বা পাচ্ছেন - সবকিছুই নির্ভর করবে তার ওপর।

ইউক্রেন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি যে খুবই গুরুতর- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া যে সংখ্যায় সৈন্য এবং অস্ত্র জড় করেছে তার নজির সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা নেই।

মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের সূত্রগুলো বলছে আগামী বছরের শুরুতেই রাশিয়া একাধিক ফ্রন্টে ইউক্রেনে হামলা শুরু করতে পারে। এবং ওই অভিযানে ১ লাখ ৭৫ হাজার রুশ সৈন্য অংশ নিতে পারে।

রাশিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ডের ওপর পশ্চিমা বিশ্বের যে কজন বিশেষজ্ঞ গভীরভাবে নজর রাখেন তাদের অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস সেন্টার ফর ন্যাভাল অ্যানালাইসিসের গবেষক মাইকেল কফম্যান। তিনি বলছেন, ইউক্রেন নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে - তা ভিত্তিহীন নয়।

কফম্যান বলেন, ‘যদিও রাশিয়া সৈন্য সমাবেশ ঠিক কেন করছে তা একশভাগ ধারণা করা সম্ভব নয়, কিন্তু যেটা বিশেষভাবে লক্ষণীয় তা হলো সেনা সমাবেশের মাত্রা। সৈন্য সংখ্যা এতই যে লড়াইয়ের সময় একটি এলাকা দখলের পর তা যেন সাথে সাথে পেছনের আরেকটি সেনাদল গিয়ে দখলে রাখতে পারে - তেমন পরিকল্পনারও আলামত দেখা যাচ্ছে।’

‘ফলে সামরিক অভিযানের কথা মাথায় রেখেই যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে - তার লক্ষণ অনেক। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের (শেষবার রাশিয়া যুদ্ধের জন্য যে সেনা সমাবেশ করেছিল) মোতায়েনের সংখ্যা যোগ করলেও তা এখনকার সেনা সমাবেশের সমান হবে না।’

‘শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাব্য তিনটি ফল’

কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে আয়োজন করা রুশ-মার্কিন এই শীর্ষ বৈঠকের ফল কি হতে পারে?

সাধারণভাবে বলতে গেলে তিন ধরনের ফলাফল দেখা যেতে পারে - এক, পশ্চিমা কয়েকটি শক্তির কাছ থেকে একযোগে দেয়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে রাশিয়া পিছু হটতে পারে।

অথবা দুই, সংঘাত এড়াতে নতুন এবং দীর্ঘ একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। অথবা তিন, যুদ্ধের আশংকা সত্যে পরিণত হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন ইউক্রেনে তিনি যে উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছেন তা শুধু সামরিক পথেই অর্জন সম্ভব। রুশ প্রেসিডেন্ট হয়তো সত্যিই ভাবছেন চলতি শীতে ইউরোপের দেশগুলো যে কঠিন জ্বালানি সংকটে পড়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দেশের ভেতর দুর্বল ইমেজ নিয়ে যেভাবে হিমশিম খাচ্ছেন এবং কোভিড প্যানডেমিক এখনো যেভাবে বিপর্যয় তৈরি করে চলেছে, তাতে লক্ষ্য হাসিলের এখনই মোক্ষম সময়।

১. পুতিন পিছিয়ে যাবেন

এমন সম্ভাবনা বাকিগুলোর তুলনায় সবচেয়ে কম। পুতিন তার সৈন্যদের সীমান্তে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন কোনো এক ধরনের বিজয় অর্জন ছাড়া তারা ব্যারাকে ফিরবে না।

দেশের ভেতর এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে পুতিনের। ফলে, কোনোরকম দুর্বলতা প্রকাশ হোক - এমন পথে তিনি যাবেনই না।

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার ‘অভিন্ন ইতিহাস ও গন্তব্য’ নিয়ে তিনি যেসব বক্তব্য সম্প্রতি পুতিন দিয়েছেন - তাকে অনেকেই হয়তো অসার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন, কিন্তু ইউক্রেন নিয়ে তার সত্যিকারের কিছু উদ্বেগ রয়েছে।

শুধু যে ন্যাটো সামরিক জোটে ইউক্রেনের প্রবেশ নিয়ে তিনি চিন্তিত তা নয়। ঘরের দোরে একটি দেশে পশ্চিমা ধাঁচের একটি শক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষণ এবং তার পরিণতি নিয়েও তিনি হয়তো অস্বস্তিতে পড়েছেন।

আমেরিকা এবং ইউরোপের প্রধান শক্তিগুলোর ঐক্যবদ্ধ অবস্থান এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিও হয়তো তাকে ভাবাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা এমন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া আগেও সামলেছে। এখন পুতিন হয়তো নিশ্চিত যে রুশ জ্বালানিসম্পদকে ব্যবহার করলে পশ্চিমা শিবিরের ঐক্য ধসে পড়বে।

২. একটি কূটনৈতিক সমাধান

ন্যাটো জোটে সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের সম্ভাব্য আবেদনে ভেটো দেয়ার যে দাবি রাশিয়া করছে তা প্রেসিডেন্ট বাইডেন মানবেন না। কিন্তু বাস্তবে নেটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ পেতে বহু দেরি।

সুতরাং যুদ্ধ এড়াতে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কিছু কূটনৈতিক সুবিধার প্রস্তাব দেয়া কি হতে পারে? প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে তার সাথে সরাসারি কথা বলেছেন - সেটাই পুতিনের জন্য ছোট হলেও একটি কূটনৈতিক বিজয়।

ইউক্রেনে বিভিন্ন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের চাপে ইউক্রেনসহ অন্য কিছু বিষয়ে রাশিয়ার উদ্বেগগুলোকে তার বিদেশ নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে সম্পৃক্ত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাধ্য হয়েছেন।

এ থেকে আবারো প্রমাণিত হলো যুক্তরাষ্ট্র যতই বলুক না কেন যে চীনই এখন তাদের কৌশলগত নীতির কেন্দ্রবিন্দু, - কিন্তু বাস্তবতা আসলে ভিন্ন।

ইউরোপকে অবজ্ঞা করা আমেরিকার পক্ষে এখনো সম্ভব নয়। এবং রাশিয়া চাইলে কিছু সময়ের জন্য হলেও তারা বাইডেন প্রশাসনের কৌশলগত নীতির অগ্রাধিকার অদল-বদল করাতে পারে।

সুপার-পাওয়ারের টেবিলে প্রত্যাবর্তন পুতিনের জন্য একটি ইতিবাচক ঘটনা।

কিন্তু সেটাই কি তার জন্য যথেষ্ট? হয়তো নয়। তবে দুই নেতা জুন মাসে জেনেভায় নতুন করে তাদের মধ্যে কথা শুরু করেন। ফলাফল নিয়ে তারা তখন সন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন।

মঙ্গলবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে ইউক্রেন ছাড়াও অন্য আরো কিছু বিষয় তারা কথা বলেছেন - যেগুলো জেনেভায় উঠেছিল । যেমন- কৌশলগত স্থিতিশীলতা, হ্যাকিং এবং ইরানের মতো আঞ্চলিক ইস্যুতে একসাথে কাজ করা।

এসব বিষয় মস্কোর জন্য স্বস্তির - কিন্তু এসব সহযোগিতার মাত্রা কতদূর গড়ালে তা মস্কোর কাছ জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে? পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীদের বিষয়ে বা সেখানে লড়াই বন্ধে নতুন কোনো কৌশলের প্রস্তাব কি যুক্তরাষ্ট্র তুলতে পারে? যুক্তরাষ্ট্র কি এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে বিষয়টির গুরুত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারে?

সম্ভবত রাশিয়া তাতে খুশিই হবে। কিন্তু তাতে কি ইউক্রেনের সরকার নিয়ে এবং পশ্চিমা বিভিন্ন জোটে যোগ দেয়ার প্রশ্নে ইউক্রেনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে মস্কোর উদ্বেগ-আপত্তি দূর হবে?

মাইকেল কফম্যান মনে করেন, রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের শর্তে ইউক্রেন তাদের লক্ষ্য বদলাবে - এমন কোনো কূটনৈতিক সমাধানের ফর্মুলা কাজ করবে না।

‘সন্দেহ নেই যে চাপ দিয়ে ইউক্রেনকে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে নীতি পরিবর্তনে বাধ্য করতে চায় রাশিয়া।’ রাশিয়া চায় আমেরিকা এবং ইউক্রেনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং পূর্ব ইউরোপ নেটো জোটের সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে।

কফম্যানের কথায়, ‘মস্কো চায় যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেন থেকে পুরোপুরি হাত গোটাতে হবে। কিন্তু তার বিশাল একটি প্রতিক্রিয়া শুধু ইউক্রেনের ওপরই পড়বে না, পুরো ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ওপরও পড়বে।’

ফলে, তিনি বলেন, এই সমাধান যুক্তরাষ্ট্র বা ইউক্রেন কারো কাছেই কোনোভাবেই গ্রাহ্য হবে না।

আবার একইসাথে, কফম্যান বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক অর্জন ছাড়াই রুশ সৈন্যরা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ফিরে যাবে, সে সম্ভাবনাও ক্ষীণ।’

৩. রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ

তারা লড়াই শুরু করুক আর নাই করুক, রাশিয়া লড়াইয়ের প্রস্ততি নিচ্ছে। যদি সেনা অভিযান তারা শুরু করে, তাহলে তার মাত্রা নানারকম হতে পারে। বড় মাপের অভিযান হতে পারে।

আবার শুধু ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সৈন্যরা ঢুকতে পারে কারণ গণ-প্রতিরোধ হতে পারে এমন জায়গায় সেনা অভিযানের অনেক ঝুঁকি থাকে।

এমন একটি লক্ষ্য রাশিয়া নিতে পারে যে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর মূল কমব্যাট অংশকে লড়াইতে নিয়ে আসা এবং তারপর তাদেরকে এমনভাবে পরাজিত করা যাতে কিয়েভের সরকার তাদের মত-পথ পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হয়।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে এখন বেশ পশ্চিমা আধুনিক অস্ত্র রয়েছে। পশ্চিমা প্রশিক্ষণও তারা পেয়েছে। ফলে ২০১৫ সালের যুদ্ধের সময়ের চেয়ে তাদের শক্তি এখন অপেক্ষাকৃত বেশি।

কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে বড় রকম আধুনিকায়ন হয়েছে। চমকপ্রদ নতুন কিছু অস্ত্র রাশিয়া তৈরি করছে।

এবং ন্যাটো যতই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সমর্থন দিক না কেন, রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে তারা লিপ্ত হবে না।

আবার ন্যাটো ইউক্রেনকে বাড়তি অস্ত্র যোগান দিলে সামরিক অভিযানের পক্ষে রাশিয়ার যুক্তি তৈরি হবে।

সৈন্য মোতায়েনের অতীত কিছু অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন কোনো সম্ভাব্য সংঘাতের লাভ-ক্ষতি হয়তো হিসাব করছে রাশিয়া।

পশ্চিমা শক্তিগুলো এখন হয়তো ইরাক এবং আফগানিস্তানে তাদের কৌশলগত পরাজয় নিয়ে মনস্তাত্ত্বিকভাবে মুষড়ে রয়েছে।

কিন্তু রাশিয়ার সাম্প্রতিক রেকর্ড ভিন্ন। জর্জিয়াকে তারা একহাত নিয়েছে। ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া নিয়ে নিয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন অংশের বিদ্রোহীরা তাদেরই সমর্থনপুষ্ট। সেইসাথে সিরিয়াতে তাদের সাফল্য তো রয়েছেই।

পুতিন এসব কিছুকেই বিজয় হিসাবেই বিবেচনা করেন।

যদিও যুদ্ধ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে তারপরও মাইকেল কফম্যান মনে করেন যদি যুদ্ধ বেধে যায়, তাহলে তা একেবারে সংক্ষিপ্ত থাকবে না।

‘আমার মনে হয় ২০১৪ সালের তুলনায় অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকভাবে এবং সামরিক শক্তির দিক দিয়ে রাশিয়া এখন একটি যুদ্ধের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রস্তুত। তাদের আগের লড়াইগুলোর তুলনায় এখন তাদের সামনে বাধা অপেক্ষাকৃত কম। যদিও আমি মনে করিনা যুদ্ধ সত্যিই হবে।’

নজর এখন কোন দিকে রাখা উচিৎ

মঙ্গলবারের শীর্ষ বৈঠকের পর মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা তাদের কর্মকর্তাদের ফলোআপ অর্থাৎ আলোচনায় ওঠা ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। অর্থাৎ, ইঙ্গিত যেটা তা হলো তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি না হলেও, অন্তত কথাবার্তা হয়ত চলবে এবং যোগাযোগের একটি রাস্তা খোলা থাকবে।

কিন্তু তাতে করে যুদ্ধ কি এড়ানো যাবে? অথবা কোনো ইঙ্গিত দেখলে আমরা বুঝতে পারবো যে খুব কোনো সংঘাত হয়তে শুরু হতে যাচ্ছে?

মাইকেল কফম্যান বলছেন, ‘যুদ্ধ হচ্ছে রাজনীতির একটি রূপ। সুতরাং রাজনীতি দেখেই যুদ্ধের সম্ভাবনা আঁচ করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার অবস্থানের বিভিন্ন দিক নিয়ে দেন-দরবারের জায়গা নেই বললেই চলে। ফলে একটি সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া শক্ত।’

সামরিক দিক থেকে বলতে গেলে, হয়তো খুব তাড়াতাড়ি রুশ একটি অভিযান শুরু হবে না। কিন্তু আগামী কদিন না হলেও ক সপ্তাহের মধ্যে তা হতে পারে এমন অনেক আলামত স্পষ্ট। যেভাবে রাশিয়া তাদের সৈন্য মোতায়েন করছে সেটি একটি ইঙ্গিত।

মাইকেল কফম্যান মনে করেন, উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে। ‘দেখে মনে হচ্ছে রাশিয়া তাদের সৈন্য সমাবেশে বাড়িয়ে যাবে। যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ, সরঞ্জাম এবং ব্যাকআপ তারা নিশ্চিত করছে।’

সূত্র : বিবিসি


আলোচিত আবরার হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট জানিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসান রাসেলের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সালথাবাসী।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ রায়ে এলাকাবাসী, রাজনৈতিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।


এদিকে এই মামলার প্রধান আসামি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে। সুনসান নিরবতায় রয়েছে বাড়ির পরিবেশ। তেমন কারো সাথেই কথা বলছে না রাসেলের পরিবার। সেখানে তার বাবা, মা ও ছোট ভাই বসবাস করে।

রাসেলের বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য রুহুল আমিন বলেন, বিচারের রায় নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এতটুকু বলবো আমার ছেলে সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না।

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বলেন, রাসেলের পরিবারের তিন সদস্য এখানে বাস করে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রাসেল পড়াশোনা করার জন্য ঢাকা থাকতো। আমরা জানতাম রাসেল বুয়েটে পড়ে, সে অনেক মেধাবী। রাসেল ছাড়া সবাই বাড়িতেই থাকতো।

এলাকাবাসী আরও বলেন, আদালত যেটা সঠিক মনে করেছে, সেই রায় ঘোষণা করেছেন। তবে আমরা বলবো এই জঘন্যতম ঘটনার যে বিচার দ্রুত সময়ে হয়েছে এই জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে এ রায় দ্রুত কার্যকর করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।


করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন অতিসংক্রামক। যদিও ভাইরাসের এই ধরনটি ডেল্টার  তুলনায় দুর্বল বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

ডব্লিউএইচও জানায়, ভাইরাসের আগের ধরনগুলোতে সংক্রমিত ব্যক্তি বা টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের সহজেই সংক্রমিত করতে পারে ওমিক্রন। তবে এতে সংক্রমণের প্রভাব অন্যান্য ধরনগুলোর তুলনায় মৃদু।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেখা যায় যে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে পুনঃসংক্রমণের হার বেশি। কিন্তু ডেল্টা ধরনের তুলনায় ওমিক্রনে অসুস্থতার মাত্রা মৃদু।

তিনি বলেন, ওমিক্রনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উপসংহারে পৌঁছানোর আগে আমাদের আরও তথ্য জানার প্রয়োজন আছে। নতুন ধরন হওয়ায় ওমিক্রনের চারিত্রিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য বাকি ধরনগুলোর তুলনায় অনেকটাই আলাদা। আর তাই ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশগুলোকে আরও বেশি করে তথ্য সরবরাহ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তবে এখনই ওমিক্রনের মৃদু সংক্রমণের তথ্যে আশংকামুক্ত ভাবার কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক। তিনি সবাইকে শতর্ক করে বলেন, এই সময়ে যেকোনো ধরনের অসতর্কতার চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। তাই অতি-সতর্ক থাকা প্রয়োজন।


টি-টোয়েন্টির পর এক দিনের ক্রিকেটেও ভারতীয় দলের নেতৃত্ব খোয়ালেন বিরাট কোহলি। তবে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণের সময় নিজেই জানিয়েছিলেন নেতৃত্ব ছাড়ার কথা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর যে ভারতকে এই ধরনের ক্রিকেটে আর নেতৃত্ব দেবেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু এক দিনের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে তেমনটা হলো না। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হলো, সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে।

এমনিতে বুধবার একেবারে আড়ম্বরহীনভাবে বিরাটকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। এমনকি পৃথকভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও করা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতেই নিচে এক বাক্যে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে একদিন এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক হচ্ছেন রোহিত। তাতে বিরাটের নামও নেয়া হয়নি। সাফল্যের সাথে (পরিসংখ্যান অনুযায়ী) ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতের নেতৃত্ব দিলেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ডের তরফে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি। টুইটারেও যে ঘোষণা করা হয়, তাতেও বিরাটের নাম নেয়া হয়নি। রোহিতের ছবি এবং নাম দেয়া হয়। তাকে ট্যাগ করা হয়।


সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর কোহলিকে নেতৃত্ব ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু অধিনায়কত্ব ছাড়তে রাজি ছিলেন না তিনি। এরপরেই বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘোষণা করে দেয়া হয় নতুন অধিনায়কের নাম। কোহলিকে যে নেতৃত্ব থেকে সরানো হতে পারে সেই জল্পনা ছিলই। কিন্তু বোর্ডের পক্ষ থেকে কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরানো নিয়ে কোনো কিছুই বলা হয়নি। শুধুমাত্র ঘোষণা করে দেয়া হয় টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত। প্রায় হঠাৎ করেই সাদা বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব হারালেন কোহলি।

তবে সূত্রের ভিত্তিতে পিটিআই জানিয়েছে, একদিনের ক্রিকেটে যে অধিনায়ক হিসেবে কোহলির সময় শেষ হয়ে এসেছে, তা আগেই লেখা হয়েছিল। বিশেষত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে যাওয়ার পরই কোহলির ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তবে ভারতীয় বোর্ড কোহলিকে সম্মানের সাথে বিদায় জানাতে চেয়েছিল। সে পথে হাঁটেননি কোহলি। ভারতীয় বোর্ডকে চরম পদক্ষেপ করার ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়েছিলেন বলে মনে করছে একটি মহল। সেই ‘চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করে বিসিসিআই। যে বোর্ডের শীর্ষে এমন একজন আছেন, যিনি এককালে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন। ‘বরখাস্ত’ করে দেয় বিরাটকে। যা বিরাটের মেনে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না বলে জানিয়েছে পিটিআই।


উল্লেখ্য, পিটিআই জানিয়েছে, অনেকেই এই ঘটনায় অবাক নন। বরং ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ধারেকাছে থাকা ব্যক্তিরা একেবারে আলোর মতো 'গোপন' বিষয়টা জানতেন যে কোহলি মোটেও দলের সবথেকে জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন না। দলের একাংশ ক্রমশ তার থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন বলে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বছরদুয়েক আগে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে কাটানো এক খেলোয়াড়কে উদ্ধৃত করে পিটিআই বলেছেন, 'বিরাটের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টি। ও (বিরাট) মুখে স্পষ্ট কথাবার্তার কথা বলে। কিন্তু উপযুক্ত কথাবার্তার অভাবেই নেতা হিসেবে সম্মান হারিয়ে ফেলেছিল।' পিটিআই জানিয়েছে, আর ঠিক সেখানেই রোহিত খেলোয়াড়দের কাছের হয়ে উঠেছিলেন।

২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। তার আগে নতুন অধিনায়ক যথেষ্ট সময় দিতে চাইছে বোর্ড। সেই জন্যই এখন থেকেই দলের নেতৃত্ব তুলে দেয়া হলো রোহিতের হাতে। কোহলির নেতৃত্বে আইসিসি-র কোনো ট্রফি জিততে পারেনি ভারত। তার নেতৃত্ব নিয়ে দলের অন্দরেই বার বার প্রশ্ন উঠছিল। বোর্ডের কাছে সিনিয়র খেলোয়াড়দের থেকে অভিযোগ এসেছিল বলেও শোনা যায়। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় ভারতকে। বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার হারতে হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কোচ রবি শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষ হতেই শেষ হলো সাদা বলের ক্রিকেটে কোহলির নেতৃত্বের মেয়াদ।


এক দিনের ক্রিকেটে ভারতকে ৯৫টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। জিতেছেন ৬৫টি ম্যাচে। হেরেছেন ২৭টি। দু’টি ম্যাচের কোনো ফল হয়নি, একটি ম্যাচ টাই হয়। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ছায়ায় তৈরি হয়েছিলেন নেতা কোহলি। বিশ্বকাপের দু’বছর আগে সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয়েছিল তার হাতে। সেই দু’বছরে নিজেকে ঘষে মেজে তৈরি করে নিয়েছিলেন কোহলি। দেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে তার নাম যে থাকবে তা নিঃসঙ্কোচে বলা যায়। কিন্তু ট্রফির বাক্স খালিই থেকে গেছে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজেই আটকেছিল তার সমস্ত আগ্রাসন।

কোনো দলেই শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আলাদা অধিনায়ক দেখা যায়নি। সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা অধিনায়ক রয়েছে অনেক দেশেই। অস্ট্রেলিয়ায় যেমন অ্যারন ফিঞ্চ, ইংল্যান্ডে অইন মর্গ্যান, এক সময় ভারতীয় দলে টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন কোহলি, সাদা বলের ক্রিকেটে নেতা ছিলেন ধোনি। বোর্ড যে সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা অধিনায়কের পথে হাঁটবে সেই ইঙ্গিত ছিলই। কিন্তু কোহলি একদিনের ক্রিকেট থেকে নেতৃত্ব ছাড়তে চাননি বলেই জানা যাচ্ছে। তাই এক প্রকার তাকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হলো বোর্ড।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও হিন্দুস্তান টাইমস

 

ভারতের বিনোদন খবরের অনেকটাই এখন ক্যাটরিনা কাইফ ও ভিকি কৌশলের দখলে। আজ (৭ ডিসেম্বর) থেকেই শুরু হচ্ছে এ যুগলের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। রাজস্থানে ১৪ শতকের ঐতিহ্যবাহী বারওয়ারা কেল্লায় অনুষ্ঠিতব্য হাই-ভোল্টেজের এ বিয়ে নিয়ে পাড়া-পড়শির ঘুম হারাম। ভক্তরাও মুখিয়ে আছেন কখন কী হয় দেখতে। আর তাই টাইমস অব ইন্ডিয়া জানালো ক্যাট-ভিকি’র বিয়ের সূচি।

৭ ডিসেম্বর সাংগীত

ভারতের কিছু সংস্কৃতিতে বিয়ের আগে নাচ-গানের একটি অনুষ্ঠান হয়। ওটাকে ‘সাংগীত’ বলা হয়। ক্যাটরিনা ও ভিকির বিয়েতেও এ রীতি থাকছে। ৭ তারিখেই শুরু হবে এ অনুষ্ঠান। বৈচিত্র্যও তো থাকবেই। শোনা গেছে ক্যাটরিনা নিজেও নাচবেন-গাইবেন সাংগীতে। আলো ঝলকানো এ অনুষ্ঠান দেখতে আমন্ত্রিতরা নিশ্চয়ই ‘কালো চশমা’ গুছিয়ে নিচ্ছেন ব্যাগে।

৮ ডিসেম্বর মেহেদী

মেহেদী নিয়েই ঘটা করে হবে আলাদা একটি অনুষ্ঠান। ক্যাটরিনা বলে কথা, তার জন্য আনা এক একটি মেহেদীর দামই নাকি লাখ টাকার ওপরে। সোনালি, রূপালি নানা মেহেদী ইতোমধ্যে অর্ডার করে এনে রাখা হয়েছে।

৯ ডিসেম্বর বিয়ে

মূল বিয়েটা হবে ৯ ডিসেম্বর। রাজকীয় এ বিয়ে হবে ‘সিক্স সেন্সেস ফোর্ট বারওয়ারা’তে। যেখানে বিশেষ ধরনের কাচ দিয়ে বানানো হয়েছে মন্দির। অতিথিদের মোবাইল নিয়ে ঢোকা সম্পূর্ণ নিষেধ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সুঠামদেহী বাউন্সাররা।

১০ ডিসেম্বর রিসেপশন

রাজকীয় বিয়েতে হবে রাজকীয় রিসেপশন। তবে অতিথির সংখ্যা হবে সীমিত। দুই পরিবারের নিকটাত্মীয় নিয়ে ১২০ জনের থাকার কথা এ অনুষ্ঠানে। তবে মুম্বাই ফেরার পর পরই রঙিন পর্দার সহশিল্পীদের জন্য আরেকটি পার্টির আয়োজন করবেন ক্যাটরিনা।

 


মধ্যপ্রাচ্যের ঐশ্বর্যশালী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত দেশটির সরকারি দপ্তরগুলোর জন্য নতুন কর্ম সপ্তাহ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। ২০২২ সালে ১ জানুয়ারি থেকে দেশটির সরকারি অফিস-আদালত সপ্তাহে সাড়ে চারদিন সক্রিয় থাকবে। এটা বাস্তবায়ন হলে ছুটির দিন হবে শুক্রবার বিকাল থেকে রোববার পর্যন্ত।  
 
মঙ্গলবার দেশটির ওয়াম (ডব্লিউএএম) নিউজের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর সময়সূচির সঙ্গে তাল মেলাতে সংযুক্ত আরব এই নিয়ম অনুসরণ করতে যাচ্ছে।

আমিরাতে এখন শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হয়।

আবু ধাবির সরকারি গণমাধ্যম অফিস বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক এবং ব্যবসা সেক্টরে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার ভিশন রয়েছে।দেশটি বৈশ্বিক উন্নতির সঙ্গে তাল মেলাতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল গ্রহণ করছে।

আমিরাতের নতুন মডেল অনুসারে, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা অফিস করতে হবে। আর শুক্রবার সাড়ে চার ঘণ্টা কাজ করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সহজ কাজের সুযোগ তথা বাড়িতে বসেও কাজের সুযোগ থাকবে।

দেশটিতে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১টা ১৫ মিনিটে।

মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে সাধারণত সপ্তাহের শুক্রবার ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে শুক্রবারের নামাজ শেষ হওয়ার আগে দোকান খুলতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। 

তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে কী না খবরে সেটা বলা হয়নি। আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।


পদত্যাগপত্র জমা দেয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে যেদিন পদত্যাগ করতে বললেন শেখ হাসিনা, সেদিন দেশে দিনভর আলোচনায় ছিল একটি ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপোকথন, যেটির এক প্রান্তে ছিলেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক মামুনুন হাসান ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অপরপ্রান্তে ছিলেন মোহাম্মদ মুরাদ হাসান।

বিবিসিকে চিত্রনায়ক ইমন নিশ্চিত করেছেন, ওই কথোপকথন তার টেলিফোনেই হয়েছে। মুরাদ হাসানই তাকে ফোন করেছিলেন।

সৌদি আরবে ওমরাহ পালনরত মাহিয়া মাহিও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেছেন।

ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে মুরাদকে প্রকাশে অযোগ্য ভাষায় কথা বলতে শোনা গেছে। এমনকি এক পর্যায়ে তিনি মাহিকে ধর্ষণের হুমকিও দেন বলে অডিওতে শোনা যায়।

ইমন বিবিসিকে বলেছেন, টেলিফোন আলাপের এই ঘটনাটি ঘটেছে ২০২০ সালের মার্চ মাসে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন প্রতিমন্ত্রী এই দুজন চিত্রতারকাকে টেলিফোন করে ধর্ষণের হুমকিসহ অশ্রাব্য সব কথাবার্তা বলবার পরও প্রায় দুই বছর কেন চেপে রেখেছিলেন তারা? কেন তারা প্রকাশ করেননি, কোথাও কোন অভিযোগ করেননি?

জানতে চাইলে ইমন বিবিসিকে বলেন, 'এটা এমন কোন ঘটনা ছিল না।'

মাহিয়া মাহি বিদেশে অবস্থান করার কারণে এ নিয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সোমবার রাতে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে মিজ মাহি বলেছেন, 'আমার কোনো দোষ ছিল না, আমি একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম।'

চিত্রনায়ক ইমন যা বলছেন :
সোমবার অডিও ফাঁস হওয়ার পর চিত্রনায়ক ইমনই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে টেলিফোন আলাপের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মামুনুন হাসান ইমন বিবিসিকে বলেন, 'দেখুন এটা এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, আমাকে একজন ফোন দিলো - এই কথা বল, তুই কোথায়? কাল ফোন ধরিসনি কেন? আচ্ছা মাহিকে ফোনটা দে। এখন এইটার জন্য তো আমার ইয়ে হবার কথা না।'

তিনি বলছেন, 'কিন্তু অপজিট সাইডে উনি মাহির সঙ্গে যেভাবে কথা বলছেন, যে টোনে কথা বলেছেন... এখন ফোনে লাউড স্পিকারে কথা না বললে আমার পাশেরজনের সাথে কী কথা হচ্ছে সেটা তো আমি জানবো না, তাই না।'

'মাহির কথাগুলো আমি শুনেছি অডিও ফাঁস হবার পর। তার আগে আমি তো জানতাম না তার সঙ্গে মাহির কী কথা হয়েছে। মাহিও আমাকে বলেনি।'

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা কোন সম্পর্ক নেই দাবি করে ইমন বলেছেন, 'উনি এই অঙ্গনের মন্ত্রী (প্রতিমন্ত্রী) উনি। সবার সঙ্গেই উনার ভালো সম্পর্ক, সবাইকে উনি তুই করে বলেন। একটা অধিকার নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন উনি (প্রতিমন্ত্রী)। সব শিল্পীর সাথেই তার একটা ভালো সম্পর্ক, আমার সাথেও সে রকম।'

ঘটনার দিনের কথোপকথন সম্পর্কে তিনি বলছেন, 'আমিও সেভাবে কথা বলি উনার সাথে। এখন গালিগালাজ সম্পর্কে তো আমি জানি না। আপনি অডিওটা শুনলেই বুঝতে পারবেন সেদিন আমি কেবল পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।'

বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পরে ফেসবুকে পোষ্ট করা ওই ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, 'বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রত্যুত্তরের ভাষা আমার জানা ছিল না।'

দুই মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমি সেদিনও বলেছিলাম। আমার বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রত্যুত্তরের ভাষা আমার জানা ছিল না। দুই বছর আগের ঘটনা। তখন আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছিলাম।'

ফাঁস হওয়া অডিওর ব্যাপারে কথা বলার জন্য মুরাদ হাসানের সাথে সোমবার থেকে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে এর আগে তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানের উদ্দেশ্যে অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য করার ব্যাপারে বিবিসির কাছে বক্তব্য দিয়েছিলেন মি. হাসান, যেখানে তিনি বলেছিলেন তিনি কোন 'ভুল' করেননি এবং বক্তব্য প্রত্যাহারের কোন "প্রশ্নই ওঠে না"।

ডিবি অফিসে ইমন :
এদিকে সোমবারই ইমন ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে।

বিবিসিকে ইমন বলেছেন, তিনি নিজে থেকেই ডিবি অফিসে গিয়েছিলেন উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য।

'সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি আলোচনা করলাম হারুন (গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার) ভাইয়ের সঙ্গে। তারা আমাকে বলেছেন চিন্তার কিছু নেই', বিবিসিকে বলেন ইমন।

তবে তিনি কোনো 'ভীতির মধ্যে নেই কিংবা তার ওপর কোনো ধরণের চাপ নেই' বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিবিসিকে ইমন বলেছেন, 'ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে আমি নিজে থেকে কথা বলেছি, ভয়েস রেইজ করেছি। কিন্তু আমাকে নিয়েই এখন কথা হচ্ছে।'

'আমি তো এখানে কিছু করিনি। কিন্তু দেখেন আমার একটা পরিবার আছে, ক্যারিয়ার আছে। সেসব জায়গায় আমার ইমেজটা কেমন হচ্ছে ভাবুন একবার!'
সূত্র : বিবিসি


অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান এবার আওয়ামী লীগ থেকেও ‘বাদ’ পড়তে যাচ্ছেন- এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বেঠকে।

এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ‘সুপারিশ’ করা হবে। দলের দায়িত্বশীল পদে থাকা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন, তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর কিছু অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ডা. মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে মুরাদকে।

পরে প্রতিমন্ত্রীর তথ্য কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব মাহমুদ ইবনে কাশেমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।  এ তথ্য গিয়াসউদ্দিন নিজেই যুগান্তরকে জানিয়েছেন। 

এর আগে দুপুরে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়।  ই-মেইলে তিনি এ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুরাদ হাসান লেখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্ব-শ্রদ্ধেয় সালাম নেবেন।  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মে ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।  আমি আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সাল থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায়, আপনার নিকট বিনিত নিবেদন, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার লক্ষ্যে পদত্যাগপত্র গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি। 

পদত্যাগপত্রে ভুল লিখেছেন মুরাদ।  ২০১৯ সালে তাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও পত্রে তিনি ২০২১ উল্লেখ করেন।

মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য।  তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।


নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় কালো ব্যাজ ধারণ ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করছে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা কালো কাপড় পরে রাস্তায় নামে।

মানববন্ধন থেকে আন্দলোনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী খিলগাঁও মডেল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, চলমান নিরাপদ সড়ক আন্দলোনের অংশ হিসেবে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি। আজকের মানববন্ধন থেকে আমরা এ পর্যন্ত যারা সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শোক প্রকাশ করছি। এছাড়া সড়কে চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা কালোব্যাজ ধারণ করে মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে টানা কর্মসূচি পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি বাস্তবায়নের জন্য একের পর এক কর্মসূচিতে ভিন্নতাও এনেছেন। এর আগে রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার দুপুরে রামপুরা ব্রিজে দাঁড়িয়ে সেখানকার শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের মাধ্যমে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে। একই সময় শিক্ষার্থীদের আরেক অংশ শাহবাগে প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে মিছিল করে। কফিন ও ব্যঙ্গচিত্রে সড়কে চলমান অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের চিত্র ফুটে উঠেছে বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করে। এর আগে শনিবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে লাল কার্ড প্রদর্শন করেছিল শিক্ষার্থীরা।


ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করবেন তারা।

ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ খবর জানিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক কতক্ষণ চলবে তা দুই নেতাই ঠিক করবেন।

এর আগে শুক্রবার বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে যে কোন  হামলা চালানোর বিষয়টি রাশিয়ার জন্য তিনি খুবই কঠিন করে তুলবেন। ওয়াশিংটন ও কিয়েভ সূত্রে বলা হয়েছে, রাশিয়া আগামী মাসে ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালাতে যাচ্ছে। 

কিন্তু এটি পশ্চিমাদের অপপ্রচার বলে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

মস্কো ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া দখলে নেয়। এরপর থেকেই কিয়েভে সংঘাতরত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন জুগিয়ে আসছে। এ সংঘাতে ১৩ হাজারেরও বেশি লোক প্রাণ হারায়।

এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পূর্ব ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ন্যাটোতে যোগদানের প্রেক্ষিতে রাশিয়া এ অঞ্চলে এই জোটের সম্প্রসারণ বন্ধ করতে চায়। 

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেনের প্রতি ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি আসবে না বলে নিশ্চয়তা দাবি করেছেন।

 


ঢাকার পর চট্টগ্রামসহ সব মহানগরেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাসে অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজপথ ছেড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরার আহবান জানান সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।  

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের ‘হাফ’ ভাড়া কার্যকর হবে। চট্টগ্রামের মত অন্য যেসব মহানগরে সিটি সার্ভিস চালু আছে, সেসব শহরেও এ সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা।

তবে ঢাকার মতই সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাসে অর্ধেক ভাড়া দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। সেজন্য যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া ছবিসব পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বা সরকারি ছুটির দিনে অর্ধেক ভাড়া প্রযোজ্য হবে না।

মহানগর ছাড়া দেশের অন্য কোনো জেলা বা উপজেলায় কিংবা দূর পাল্লার বাসে হাফ ভাড়া নেওয়া হবে না।

ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর পরিবহন মালিকদের চাপে গত ৭ নভেম্বর সরকার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ায়। এর পর থেকেই বাসে অর্ধেক ভাড়া দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।

এর মধ্যে ২৪ নভেম্বর ঢাকা সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী এবং তারপর রামপুরায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়।

এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি গত ৩০ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগরে শিক্ষার্থীদের ‘হাফ’ ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি ছিল, কেবল ঢাকা মহানগরে নয়, ‘হাফ’ ভাড়া চালু করতে হবে সারা দেশে এবং সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টার বদলে তা হতে হবে ২৪ ঘণ্টার জন্য।

ঢাকার পর চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে বাসে ‘হাফ’ ভাড়ার আওতা বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও আগের মতই সময়ের শর্ত রাখলেন বাস মালিকরা।


খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আগে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির দু’জন কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করলে নতুন করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিন্ডিকেটের ৭৬তম (জরুরি) সভায় উত্থাপন করা হলে সিসিটিভির ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা ও আচরণবিধির আলোকে অসদাচরণের আওতায় সিন্ডিকেট ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাময়িক বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান নাহিয়ান সেজান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তাহামিদুল হক ইশরাক, এলই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাদমান সাকিব, একই বিভাগের শিক্ষার্থী আ. স. ম. রাগিব আহসান মুন্না, সিই বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ খান নিলয়, এমই বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ রিফাত ও ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (এমএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাইমুর রহমান অন্তু।

উল্লেখে, গত ৩০ নভেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের সঙ্গে কিছু শিক্ষার্থী দুর্ব্যবহার করে। পরে বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষকের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেট সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওইদিন কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় পরদিন আবারও সিন্ডিকেট সভা হয়। সেই সভাতেই কুয়েট ক্যাম্পাস আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওইদিনই হল ছেড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।


বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার বিষয় উল্লেখ করে সড়কের কাজে দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িতদের ‘লাল কার্ড’ দেখানোর কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে গেল কয়েকদিন ধরেই আন্দোলনরত একদল শিক্ষার্থী আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সাড়ে ১২টার পর থেকে ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত রামপুরা ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে।

গত ২৯ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরায় বাসের চাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই এই এলাকায় অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে আসছে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।

সড়ক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত পক্ষগুলো ‘দুর্নীতিপরায়ন‘ হয়ে উঠেছে দাবি করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশে কোনও ব্রিজ নির্মাণ হলে সেখানে যত টাকা বরাদ্দ থাকে, এর অর্ধেক অর্থ লুটপাট হয়ে যায়। আমাদের দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হলে বছর যেতে না যেতে সেই রাস্তা ভঙ্গুর হয়ে যায়। সেখানে গাড়ি চলবে তো দূরের কথা, হাঁটার মতো অবস্থাও থাকে না।

এসব ‘লুটপাটে’ জড়িতদের বিরুদ্ধেই ‘লাল কার্ড’ প্রদর্শন কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা আবারও নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। নতুন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল রবিবার (৫ ডিসেম্বর) সড়কে অবস্থান করে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করবে। সেইসাথে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।


আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া খিলগাঁও মডেল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, সড়কে অব্যবস্থাপনা এবং আমাদের দাবিগুলো নিয়ে কাল (রবিবার) দুপুর ১২টায় রামপুরা ব্রিজ এলাকায় মানববন্ধন হবে। অব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন চিত্র প্রদর্শন করবো আমরা।’ আগামীকালের কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে কর্মসূচি চলাকালে যে কোনও ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল।


সেলিব্রেটি না হলেও রীতিমতো 'ভাইরাল সেলিব্রেটি' ভুবন বাদ্যকর। তার সৃষ্টি গান যে এখন বাঙালির মুখে মুখে। তার গাওয়া গানের নাম 'কাঁচা বাদাম'।

ভুবন বাদাম বিক্রি করেন, ভাজা বাদাম নয়, কাঁচা বাদাম। ভাজা বাদামের অপকারিতা আর কাঁচা বাদামের উপকারিতা নিয়ে একটি গান বেঁধেছেন তিনি। এই গানের কথা যুক্ত হয়েছে টাকা ছাড়াও কিসের বিনিময়ে বাদাম বিক্রি করেন, যেমন ভাঙা মোবাইল, সিটি গোল্ডের পুরনো জিনিস, মাথার চুল ইত্যাদি। গানের কথায় এসব আর অদ্ভুত সুর তরুণরা ইন্টারনেটে পাওয়া মাত্রই লুফে নেয়।

এতে নতুন বিড়ম্বনায় পড়েছেন ভুবন বাদ্যকর। বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। এখন প্রতিনিয়ত অসংখ্য ভক্ত, ইউটিউবার আসছে তার কাছে। তুলতে চাইছে ছবি। জানতে চাইছে তার সম্পর্কে। 'খ্যাতির বিড়ম্বনায়' পড়ে এবার হেলমেট মাথায় দিয়ে থানায় উপস্থিন ভুবন বাদ্যকর। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দ বাজার।

আনন্দ বাজার বলছে, থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে যান ভুবন। ভুবনের অভিযোগ, এই গান নেচে-গেয়ে অনেকেই লক্ষ লক্ষ রোজগার করে ফেলছেন। কিন্তু তাঁর হাত খালি। তাই নিয়ে দুবরাজপুর থানায় নালিশ জানালেন ‘বাদাম-গান’-এর স্রষ্টা ভুবন।

ভুবনের দাবি, তাঁর গান ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নেটমাধ্যমে সেই গান আপলোড করে প্রচুর টাকা রোজগার করছেন অনেকে। সে কারণেই পুলিশের দ্বারস্থ তিনি। ভুবন বলেন, ‘‘গানটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রচুর মানুষ বাড়িতে ভিড় করছেন। সকলেই আমার গান ভিডিয়ো করতে চান। তার পর সেই গান নেটমাধ্যমে ছেড়ে অনেক টাকা আয়ও করছেন। অথচ আমার হাত খালি।’’ ইউটিউবে তাঁর গানের স্বত্ব ‘সংরক্ষিত’ হিসাবে দেখাচ্ছে। অথচ ভুবন বলছেন, ‘‘আমার কোনও ইউটিউব অ্যাকাউন্টই নেই!’’ ভুবনের দাবি, পুলিশ-প্রশাসন তদন্ত করে প্রাপ্য টাকা তাঁকে পাইয়ে দিক।

অন্য দিকে, গান জনপ্রিয় হওয়ায় রীতিমতো খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছেন বাদাম বিক্রেতা ভুবন। রাতারাতি তারকার মর্যাদা পাচ্ছেন। রাস্তায় বেরোলেই অনেকেই ছুটে এসে ছবি তোলার আবদার করছেন। তাতেই বেজায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন ভুবন। এই কারণে শুক্রবার থানায় যাওয়ার সময় মাথায় হেলমেট পরে বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। যাতে কেউ চিনতে না পারেন। ভুবনের সন্দেহ, কেউ তাঁকে অপহরণ করতে পারে। থানায় পৌঁছেও জনপ্রিয়তার মাসুল গুনতে হয়েছে তাঁকে। সেখানেও অনেকেই ভুবনকে চিনতে পেরে ছবি তোলার আবদার করেন। হাসিমুখে অবশ্য সে আবদার মেটান ভুবন বাদ্যকর।

 


রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাসকে ধাক্কা দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ি। সেসময় বাস থেকে নামতে গিয়ে ৬৫ বছর বয়সী নারী আরজু বেগম আহত হন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ময়লার গাড়ির চালক রতনকে (৩০) আটক ও গাড়িটি জব্দ করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক ও ডিউটি অফিসার নাজমুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'বাস থেকে নামার সময় একটি ময়লার গাড়ি বাসটিকে ধাক্কা দিলে আরজু বেগম পড়ে গিয়ে কোমরে ব্যথা পান। এরপর তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget