খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আগে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির দু’জন কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করলে নতুন করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিন্ডিকেটের ৭৬তম (জরুরি) সভায় উত্থাপন করা হলে সিসিটিভির ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা ও আচরণবিধির আলোকে অসদাচরণের আওতায় সিন্ডিকেট ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাময়িক বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান নাহিয়ান সেজান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তাহামিদুল হক ইশরাক, এলই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাদমান সাকিব, একই বিভাগের শিক্ষার্থী আ. স. ম. রাগিব আহসান মুন্না, সিই বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ খান নিলয়, এমই বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ রিফাত ও ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (এমএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাইমুর রহমান অন্তু।
উল্লেখে, গত ৩০ নভেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের সঙ্গে কিছু শিক্ষার্থী দুর্ব্যবহার করে। পরে বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষকের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেট সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওইদিন কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় পরদিন আবারও সিন্ডিকেট সভা হয়। সেই সভাতেই কুয়েট ক্যাম্পাস আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওইদিনই হল ছেড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন