Latest Post
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল


হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা সাঁতার কেটে নিজের প্রাণ বাঁচালেন মাদাগাস্কারের এক মন্ত্রী। দেশটির ‍উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি উপকূলে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি। এতে বেঁচে যাওয়া দুজনের মধ্যে একজন ছিলেন ওই মন্ত্রী।

সোমবার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর বাকি আরোহীর সন্ধানে চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

সের্গে গেলে কিভাবে দ্বীপে পৌঁছলেন

মাদাগাস্কারের পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রী সের্গে গেলে এবং আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা মঙ্গলবার সকালে সাঁতার কেটে দ্বীপে পৌঁছেন। এর আগে তারা নিজেদের হেলিকপ্টার থেকে বের করে সাঁতার কাটতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান এডমন্ড রান্দ্রিয়ানানতেনিয়া । নিখোঁজ দুজন মাদাগাস্কার পুলিশ ফোর্সের সদস্য।

মালাগাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা যায়, গেলে ডেক চেয়ারে ক্লান্ত অবস্থায় শুয়ে আছেন এবং তিনি তখন তার ছদ্মবেশী পোশাক পরে ছিলেন।  ভিডিও বার্তায় গেলে বলেন, আমার মৃত্যুর সময় এখনো আসেনি।

তিন দশক পুলিশে কাজ করার পর গত আগস্টে মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেন সের্গে গেলে।

হেলিকপ্টারে কোথায় যাচ্ছিলেন

সোমবার সকালে উত্তর-পূর্ব উপকূলে একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষের স্থান পরিদর্শন করে হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছিলেন সের্গে গেলে। উদ্ধারকারীরা ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন এবং এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯ জনে। তবে যাত্রাপথে তাকে এবং তার সহযাত্রীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা গেলের সাহসের জন্য প্রশংসা করে বলে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টার ও আগের সপ্তাহের জাহাজ দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় অনুদান দিতে প্রস্তুত মাদাগাস্কার।


ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় খালাস পাওয়া দুই আসামি মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের খালাসের রায় বাতিল করে কেন সাজা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছর দণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।

গত ৯ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দু’টি সাজা একসঙ্গে চলবে উল্লেখ করে তাকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানান আইনজীবীরা।

এ মামলার দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর আট আসামির মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীমকে চার বছরের দণ্ড দেন। আর ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে তিন বছরের দণ্ড দেন।

পরে গত ২০ ডিসেম্বর এই দুজনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক আপিল করে। এই মামলায় এস কে সিনহাসহ মোট আসামি ১১ জন। পলাতক থাকায় সাবেক প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতেই হয় বিচারকাজ।

এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


এবার নিজেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিলেন আকরাম খান। সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার পারিবারকে সময় দিতে গিয়েই এমন সিদ্ধান্তের দিকে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে নিজ বাসায় সংবাদকর্মীদের আকরাম খান অবশ্য বলেছেন, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে কথা বলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত নেবেন।

গত কয়েকদিন হলো দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে আকরামের ক্রিকেট অপারেশনস পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এর মধ্যে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে আকরাম খানের স্ত্রী সাবিনা আকরাম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই গুঞ্জনের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ক্রিকেট অপারেশনস ছেড়ে দিচ্ছে আকরাম খান’।

এ বিষয়ে অবশ্য আকরামের বক্তব্য মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন আকরাম। এসময় তিনিও একই কথাই বলেছেন।

পরিবারের কারণেই এই সিদ্ধান্ত— এমনটি জানিয়ে আকরাম খান বলেন, আমি পারিবারিকভাবে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিবারকে বেশি সময় দিতেই এ সিদ্ধান্ত।

বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি গত আট বছর ধরে ক্রিকেট অপারেশনসে আছি। এখানে আমার অভিভাবক বোর্ড সভাপতি (বিসিবি সভাপতি)। গত আট বছরে আমি তার কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি। ভালো-খারাপ দুই সময়েই তিনি আমার পাশে ছিলেন। আমি তার সঙ্গে আলাপ করে হয়তো কালকের মধ্যে (আগামীকাল, বুধবার) আমি আমার সিদ্ধান্ত আপনাদের জানিয়ে দেবো।

সিদ্ধান্তটা কেবল পারিবারিক কারণে নাকি অন্য কোনো বিষয় আছে— সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে আকরাম খান বলেন, আমি অনেক বছর ছিলাম এই জায়গাটিতে। মানসিক বলেন আর শারীরিক বলেন— এটি (দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন) আসলে কঠিন। এসব কারণেই একটা ব্রেক প্রয়োজন।

বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পদ না ছাড়ার পরামর্শ দিলে কী করবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি তো এখনই বলতে পারছি। আমি আসলে উনার সঙ্গে কথা বলেই আপনাদের জানাব।

আকরাম খান বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির নেতৃত্বে আছেন দীর্ঘদিন। ২০১৪ সালে প্রথমবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দায়িত্ব পান তিনি। পরের বছর নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কাছে চেয়ার হারান আকরাম। এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফের ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধানের চেয়ারে বসেন তিনি।

ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়েই আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন আকরাম খান। আইপিএলের সময় সাকিব আল হাসানের ছুটি চাওয়া ইস্যুতে সমালোচনা ছড়িয়েছিল। সাকিব এক পর্যায়ে মন্তব্য করেন, আমার ছুটির আবেদন হয়তো পড়েই দেখেননি ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান। আকরাম খানের কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন তৎকালীন গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও বর্তমানে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাসুদ সুজনও।

আবদুর রহমান
নামাজের এক রাকাতেই পবিত্র কোরআন খতম করেছেন সিরিয়ান বংশোদ্ভূত এক তরুণ। সাত ঘণ্টা ধরে নামাজ পড়ে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করেন আবদুর রহমান আল নাবহান নামের এই তরুণ। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবের এক ভিডিওতে আবদুর রহমান জানান, তিনি নামাজের এক রাকাতেই পবিত্র কোরআন খতম করেছেন। পবিত্র কোরআনে ৩০টি পারা ও ২৪০ রুকু রয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬। দীর্ঘ সাত ঘণ্টায় তিনি মনোযোগসহ পুরো কোরআন তিলাওয়াত করেন বলে জানান ২০ বছর বয়সী এই তরুণ।

আবদুর রহমান বর্তমানে তুরস্কের কোনিয়া শহরে বাস করেন এবং স্থানীয় সেলজু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। মূলত তিনি সিরিয়ার ঐতিহাসিক হালব শহরের অধিবাসী। রাতেরবেলা নামাজে পুরো কোরআন খতম করা তার দীর্ঘ স্বপ্ন ছিল। কারণ ইসলামের তৃতীয় খলিফা ওসমান বিন আফফান (রা.) তাহাজ্জুদ নামাজের এক রাকাতে পুরো কোরআন শেষ করেছেন বলে হাদিসের বর্ণনায় এসেছে। মূলত বিখ্যাত সাহাবির এ ঘটনা তাকে অনুপ্রাণিত করে। 

অবশ্য এর আগেও অনেকবার আবদুর রহমান এক রাকাতে কোরআন খতমের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছেন। তবে তিনি বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। তবে নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন অনড়। তাই অনেকবারের ব্যর্থতা তাকে প্রস্তুত হতে সহায়তা করে। অবশ্য এক রাকাতে কোরআন খতম করে খ্যাতি পাওয়া বা ভাইরাল হওয়া তার উদ্দেশ্য নয়। বরং একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে তা করেছেন বলে জানান তিনি।

জানা যায়, রাত ১১টায় আবদুর রহমান নিজের অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণে নামাজে দাঁড়ান। এরপর দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর ভোর ৬টায় তিনি কোরআন খতম করে নামাজ শেষ করেন। তিনি এমন সময় নির্বাচন করেন, যে সময়ে ক্লান্তি ও পরিশ্রম কম হবে এবং পুরো কোরআন শেষ করা সম্ভব হবে। তাই শীতের রাতের সময়কে বেছে নেন। কারণ গ্রীষ্মকালে অল্প কাজেই ক্লান্তি চলে আসে এবং শরীরে ঘাম তৈরি হয়। তা ছাড়া গ্রীষ্মের রাতের চেয়ে শীতের রাত দীর্ঘ হয়। 

আবদুর রহমান জানান, এ ছাড়া নামাজের স্থান হিসেবে মসজিদকে বেছে নেন তিনি। কারণ ঘরে সময় নষ্টের আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া পরিবারের কেউ তার মনোযোগে বিঘ্ন তৈরি করতে পারে। তবে নামাজ শেষ করে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ সবার জন্য দোয়া করেন তিনি। 

সূত্র : আল শারাক ও আল ইমারাত আল ইয়াওম।


শাশুড়িকে নিয়ে পালালেন ঘরজামাই। এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়ার লিলুয়া থানার জগদীশপুরে। মা ও স্বামীর শাস্তি চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ে। ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরাও।

প্রিয়াঙ্কা দাস নামে ওই তরুণী জানিয়েছেন, শনিবার তার স্বামী কৃষ্ণগোপাল দাসের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন মা শেফালি দাস। ফোন করে বাড়িতে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। এরপর লিলুয়া থানায় মা ও স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কা।

তিনি জানান, ২০১৭ সালে বীরভূমের সাঁইথিয়ার যুবক কৃষ্ণগোপাল দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। কিন্তু তেমন কোনো কাজকর্ম করতেন না যুবক। এরপর তাকে জগদীশপুরে ডেকে আনেন বাবা। সেই থেকে ঘরজামাই থাকতেন ওই যুবক। এরই মধ্যে শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ নিয়ে গত সপ্তাহে বাড়িতে তুমুল ঝগড়া হয়। থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কা। এরপর কৃষ্ণগোপালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জামিন পেয়ে সাঁইথিয়া ফিরে যান তিনি। এরপর শনিবার শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে পালান কৃষ্ণগোপাল। তারপর ফোন করে সে কথা বাড়িতে জানান শেফালি দেবী। তবে তারা কোথায় রয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।


‘পানামা পেপারস’ কেলেঙ্কারিতে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রায় ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

২০১৬ সালে ‘মোসাক ফনসেকা’ নামের সংস্থাটি থেকে ‘পানামা পেপারস’ ফাঁস হয়েছিল। পানাম পেপারস অনুযায়ী, মোট ৫০০ ভারতীয়র নাম রয়েছে যারা বিদেশে বিপুল অঙ্কের টাকা রেখে কর ফাঁকি দেওয়া থেকে শুরু করে তথ্য গোপনের সঙ্গে জড়িত।  

তবে ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে বিতর্ক এটিই প্রথম নয়। ক্লিন ইমেজ বজায় রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হলেও বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। এবার ঐশ্বরিয়ার আলোচিত বিতর্কগুলো তুলে ধরা হলো।  

গর্ভাবস্থা লুকিয়ে অভিনয়: নিজের গর্ভাবস্থা লুকিয়ে অভিনয় করছিলেন ঐশ্বরিয়া! ২০১১ সালে পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের সিনেমায় টানা ৬৫ দিন শুটিং করার পর ঐশ্বরিয়ার গর্ভাবস্থার কথা প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনা জানাজানি হতেই মাঝপথে অভিনয় ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল নির্মাতা মধুর ভান্ডারকরকে।

ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়: ‘ধুম ২’ সিনেমায় ঋত্বিক রোশনের সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করে আইনি নোটিশ পেয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। এরপর ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমায় রণবীর কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করে আবারও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সিনেমায় ৩টি অন্তরঙ্গ দৃশ্য ছিল ঐশ্বরিয়ার। যা সেন্সর বোর্ডের আপত্তিতে কেটে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল সিনেমাটি।

ব্যক্তি জীবন: ব্যক্তিগত জীবনেও বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ঐশ্বরিয়া। একাধিক অভিনেতার সঙ্গে প্রেম করেছেন এই অভিনেত্রী। প্রথমে সালমান খান পরে বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে প্রেম করেছেন। অবশেষে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন ঐশ্বরিয়া।  

অশিল্পীসুলভ আচরণ: বারবার অশিল্পীসুলভ আচারণ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ঐশ্বরিয়া। সিনেমার শুটিংয়ে দেরি করে আসা নাকি এক সময়ে তার রুটিনে পরিণত হয়েছিল। এ জন্য ‘আনপ্রফেশনাল’ তকমাও জুটেছিল সাবেক এ বিশ্বসুন্দরীর নামের সঙ্গেই।  

এক রাতের মনোরঞ্জনের জন্য এক মিলিয়ন ডলার: ঐশ্বরিয়ার জীবনে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম বিতর্ক এক রাতের পারিশ্রমিক এক মিলিয়ন ডলার দাবি। ২০০৮ সালে পাকিস্তানি রাজনীতিক আসিফ জারদারি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা এক রাতের মনোরঞ্জনের জন্য ঐশ্বরিয়াকে ডেকেছিলেন আর এ জন্য এক মিলিয়ন ডলার নিয়েছিলেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী। এ বিষয়ে ঐশ্বরিয়া কথা না বললেও তার ভক্তদের দাবি, এটা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।  

শিশুশ্রম বিতর্ক: ২০১৮ সালে একটি গহনা প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনে শিশুশ্রম নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ঐশ্বরিয়া। মূলত একটি ছবিকে ঘিরে এই বিতর্কের শুরু হয়। ছবিতে দেখা যায়, ঐশ্বরিয়া বাহারি গহনা পরে বসে রয়েছেন আর একটি শিশু তার মাথায় ছাতা ধরে আছেন।  

শ্বশুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা: অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়েও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায়, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে কোলাকুলি করছেন। কিন্তু ছবিটি ভুল অ্যাঙ্গেলে তোলার জন্য মূলত বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এরপর খবর ছড়িয়ে পড়ে শ্বশুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়ার।


বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে ‘মেজর জিয়া’ এবং আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

এ তথ্য জানিয়ে প্রকাশ করা একটি পোস্টারে বলা হয়, ‘২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বইমেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় আল-কায়েদাভিত্তিক সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে হত্যা এবং তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে আহত করে।’

এতে বলা হয়, ‘ওই হামলার জন্য বাংলাদেশের একটি আদালতে ছয় জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছে। আসামিদের দুজন—সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছিল এবং তারা এখনও পলাতক।’

অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমেদ (ছবি সংগৃহীত)


পোস্টারে বলা হয়েছে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য কারও সম্পর্কে আপনার কাছে কোনও তথ্য থাকলে, নিচের নম্বরটিতে সিগন্যাল, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠান। সেক্ষেত্রে আপনিও পুরস্কার পেতে পারেন’।

ফোন নম্বরটি হলো: +1-202-702-7843 এবং @RFJ_USA নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেলও দেওয়া হয়েছে।

পোস্টারের শিরোনামে বলা হয়, ‘রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস ৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তথ্যের জন্য।’

পোস্টারের নিচে বাঁদিকের কোনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নাম ও প্রতীক, ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস ও রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিসের নাম রয়েছে।

রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস হচ্ছে সন্ত্রাস দমনে ভূমিকার জন্য পুরস্কার দেওয়ার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একটি কর্মসূচি।

এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ব্যক্তি বা সম্পত্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা।

এ পর্যন্ত আরএফআই শতাধিক লোককে মোট ১৫ কোটি ডলারেরও বেশি পুরস্কার দিয়েছে। খবর বিবিসির


রাজশাহী জেলার সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলে কোন বাসিন্দা যদি গরু, মহিষ বা বাছুর পালতে চান তাহলে তাকে সেইসব পশুর নিবন্ধন করতে হয়। এমনকি এসব পশু বাচ্চা জন্ম দিলে কিংবা পশু বিক্রি করলেও তথ্য হালনাগাদ করতে হয়। এবং এই নিয়ম বাধ্যতামূলক।

সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং গোদাগাড়ী উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিজিবি ক্যাম্প এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে গিয়ে পশুর মালিকদের নিবন্ধন ও হালনাগাদের এই কাজটি করতে হয়।

এই ইউনিয়নের কেউ বাইরের কোনো হাট থেকে গরু কিনলে সেটা যতো দ্রুত সম্ভব নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

এজন্য পশুর মালিককে বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে নতুন কেনা পশুটির বিবরণ, যেমন: রঙ, বয়স, গড়ন, বলদ নাকি গাভী ইত্যাদি তথ্য দিতে হয়। একই সাথে যে হাট থেকে গরু কিনেছেন সেই রিসিট দেখাতে হয়। এরপর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার রেজিস্ট্রার খাতায় একটি সিরিয়াল নাম্বারে মালিকের নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বারের পাশে তার কেনা গরুর বিবরণ লিখে রাখেন।

এমন একটি রেজিস্ট্রার খাতা পশুর মালিকের কাছেও থাকে। সেখানেও তথ্য তুলে রাখা হয়। মূলত এটাই নিবন্ধনের পদ্ধতি। এই নিবন্ধন বা হালনাগাদের জন্য বাড়তি কোনো টাকা পয়সা বা পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয় না। কোনো পশুর তথ্য যদি নিবন্ধন বা হালনাগাদ না হয় তাহলে সেটি অবৈধ বলে গণ্য হয় এবং বিজিবি চাইলে অনিবন্ধিত পশুগুলো চালান করে দিতে পারে।


মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সাঁতরাচ্ছেন ৭৯ সাঁতারু। তাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লারিসা রোজেন (১০)। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১০টায় কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে সাঁতার শুরু করেছেন তারা।

লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। দুই সন্তানের সঙ্গে অংশ বাংলা চ্যানেলে সাঁতারে অংশ নেওয়াটাও একটা রেকর্ড।

১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজন করেছে ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা। এবারের ৭৯ জন সাঁতারুর মধ্য একজন বিদেশি ও এক নারী রয়েছেন। সাঁতরে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে পাড়ি জমান তারা। এ সময় দ্বীপের বাসিন্দারা তাদেরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।

আয়োজক ও দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, বেলা পৌনে ১১টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৭৯ সাঁতারু। এর আগে সবাই দেশের পতাকা দেখিয়ে উল্লাস করেন। পথে কোনও সমস্য না হলে দুপুরে  একে একে দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এবার ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড গড়বেন ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার। তিনি বলেন, চ্যানেল সাঁতারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আয়োজন করা হয়েছে। সাঁতারুরা ফ্রি হ্যান্ড সুইমিং করবেন। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক সাঁতারুর সঙ্গে একটি করে উদ্ধারকারী নৌকা থাকবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সার্ভিস বোট, জরুরি নৌকা ও ডুবুরি থাকবেন।


লিপটন সরকার জানান, এবার সর্বোচ্চ ৮০ জন সাঁতারু অংশ নেবেন। গত বছর ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৯ জন সফল হন। এবারও একজন বিদেশি সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। আমরা বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণ সাঁতারুর অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয় হচ্ছে।

১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। রেসকিউ পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। অংশীদার হিসেবে আরও আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ষড়জ, ভিসা থিং ও স্টুডিও ঢাকা।

প্রসঙ্গত, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের স্রোতোধারার নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। অ্যাডভেঞ্চার গুরুখ্যাত প্রয়াত কাজী হামিদুল হক সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এই চ্যানেল আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে প্রথমবার আয়োজনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির ও সালমান সাঈদ।


সম্প্রতি সময়ে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল গানটি হলো ‘কাঁচা বাদাম’। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় গানটি ঘিরে আগ্রহের কমতি নেই। ‘বাদাম বাদাম দাদা, কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম’ এমনই কথায় ভুবন বাদ্যকরের গাওয়া গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় সেলিব্রেটি বনে গেছেন তিনি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ‘কাঁচা বাদাম’ গানের অনুকরণে তৈরি হলো নতুন গান ‘ভাজা বাদাম।’ এই গানের স্রষ্টা আরেক বাদাম বিক্রেতা।

জানা গেছে, ‘ভাজা বাদাম’ গানের বাদাম বিক্রেতার নাম গুরুপদ সরকার। তিনি জলপাইগুড়ির ধাপগঞ্জের বাসিন্দা।

গুরুপদ সরকারের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে- ‘আমার কাছে নাই কাঁচা বাদাম, আছে শুধু ভাজা বাদাম, একশো গ্রাম কুড়ি টাকা দাম, আসেন দাদারা-দিদিরা ভাজা বাদাম খান।’ তার গানটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘ভাজা বাদাম’ গানটি।

ভাজা বাদাম গান গেয়ে ভাইরাল হওয়া গুরুপদ বলেন, গান গাইলে অনেক মানুষকে সহজে আকর্ষণ করা যায়। তাই আগের তুলনায় বাদাম বিক্রি বেড়েছে। আর সেটাই লক্ষ্য ছিল। তাই ভুবন বাদ্যকারের পথ অনুসরণ করি।

তিনি আরও বলেন, নিজের মতো করে সবার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলাম। তাই ভাজা বাদাম গান গেয়েছি। তবে ‘কাঁচা বাদাম’ গানের অনুকরণে ‘ভাজা বাদাম’ গান বানিয়েছি।

প্রসঙ্গত, ভুবন বাদ্যকর গান গেয়ে ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করেন। ভাজা বাদাম নয়, কাঁচা বাদাম। ভাজা বাদামের অপকারিতা আর কাঁচাবাদামের উপকারিতা নিয়ে একটি গান বেঁধেছেন তিনি। এই গানের কথা যুক্ত হয়েছে টাকা ছাড়াও কীসের বিনিময়ে বাদাম বিক্রি করেন, যেমন ভাঙা মোবাইল, সিটি গোল্ডের পুরনো জিনিস, মাথার চুল ইত্যাদি। গানের কথায় এসব আর অদ্ভুত সুর তরুণরা ইন্টারনেটে পাওয়া মাত্রই লুফে নেয়।

অন্যদিকে গুরুপদ সরকার জলপাইগুড়ি শহরের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে বাদাম বিক্রি করেন। হাতে তার দাড়িপাল্লা। সামনে সাজানো থাকে ভাজা বাদাম।


আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে কিনতে গিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছে ফ্র্যান্সের ক্লাব পিএসজি। 

স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনা থেকে লিওনেল মেসিকে কিনতে গিয়েই পিএসজির খরচ হয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ইউরো। 

বর্তমানে দল চালাতে পিএসজির মোট খরচ ৩০ কোটি ইউরো। প্রতি বছর এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে ক্লাবটি। 

কারণ কোনও ক্লাব এক মৌসুমে কত টাকা খরচ করে সেই হিসেব থাকে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফার কাছে। আয়-ব্যায়ের হিসেবে কোনও গরমিল থাকলে ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারে ফিফা। তাই ঝুঁকি নিতে চাইছে না পিএসজি।

বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে ক্লাবে রাখতে গিয়ে আগামী জানুয়ারিতে ট্রান্সফার উইন্ডোতে দলের তারকা ৭ ফুটবলারকে ছাড়তে হতে পারে পিএসজি। 

তবে কোন কোন ফুটবলারকে ছেড়ে দেবে তা এখনও নিশ্চিত করেনি পিএসজি।


প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। মডেল ও অভিনেত্রী। এইচএসসি পরীক্ষার কারণে বেশ কিছুদিন অভিনয় বিরতিতে ছিলেন তিনি। আবারও অভিনয়ে ফিরছেন এই মডেল অভিনেত্রী। কাজে ফেরাসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

অভিনয়ে বিরতি নিয়েছিলেন। কাজে ফিরবেন কবে?

আগামীকাল সোমবার আমার এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হচ্ছে। যে জন্য এখনই শুটিংয়ে ফেরার কথা ভাবছি। আশা করছি, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে 'শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়' ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কাজে ফিরতে পারব।

আগেও এ ছবির কাজ করেছিলেন

হ্যাঁ, গত ১৭ নভেম্বর আউটডোরে ছোট একটি ঢাকার লটের কাজ শুরু করেছিলাম। আমার পরীক্ষার প্রস্তুতির কারণে আর কাজ করিনি। ইমদাদুল হক মিললেন উপন্যাস অবলম্বনে সরকারি অনুদানের 'শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়' ছবিটি নির্মাণ করছেন আবদুস সামাদ খোকন।

'মুজিব ভাই' ছবিতে তৃতীয়বারের মতো শেখ ফজিলাতুন নেছা রেনুর ভূমিকায় অভিনয় করবেন। একই চরিত্রে বারবার অভিনয় কতটা চ্যালেঞ্জিং?

'টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই' ছবিতে 'রেনু' চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেছি। এরপর 'বঙ্গবন্ধু' ছবিতে একই চরিত্রের জন্য আরও গভীরে যেতে হয়েছে। যে জন্য একই চরিত্রে অভিনয় করা এখন অনেক সহজ। 'মুজিব ভাই' ছবির পাণ্ডুলিপি ভিন্নভাবে লেখা। নতুন করে জানতে পারছি শেখ ফজিলাতুন নেছা রেনু সম্পর্কে। ছবিতে থাকছে জাতির পিতার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পাশাপাশি জেলজীবন। কঠিন এই সময়ে বঙ্গমাতার ভূমিকা কী, তা তুলে ধরা হবে। বঙ্গমাতা যেমন ছিলেন, তেমনই ছবিতে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। এটাই আমার এখন বড় চ্যালেঞ্জ। 'রেনু'র ভূমিকায় অভিনয়ের পর 'রেনু' হিসেবে পরিচিতিও পেয়েছি। অনেকেই আমাকে রেনু বলে ডাকছেন।

প্রথমবার র‌্যাম্পে হেঁটেছেন। কেমন ছিল নতুন যাত্রা?

এত দিন মনে হয়েছে, আমি র‌্যাম্পে হাঁটার জন্য প্রস্তুত নই। এখানে কনফিডেন্ট ও নিজের পার্সোনালিটি ধরে রাখার ব্যাপার রয়েছে। র‌্যাম্পে হাঁটা আমার কাছে কঠিনই মনে হতো। আয়োজকদের উৎসাহে কাজটি করেছি। এখন র‌্যাম্পে হাঁটার ভীতি অনেকটাই কেটে গেছে।

আপনি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ওয়েব মাধ্যমেও কাজ শুরু করেছেন

হ্যাঁ। প্রথম ওয়েব সিরিজের কাজ করলাম। নাম 'শেষ চিঠি'। সুমন ধর পরিচালিত এ সিরিজে আমার সহশিল্পী ছিলেন ইয়াশ রোহান।

নিজের অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে উপলব্ধি কী?

শিশুশিল্পী হিসেবে আমার অর্জন অনেক। নায়িকা দীঘির এখনও অনেক কিছু করার বাকি আছে। নায়িকা হিসেবেও দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই। এই অল্প ক্যারিয়ারে আমি অনেক বেশি পেয়েছি। আরও এগিয়ে যেতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস আছে। আশা করছি, আমি পারব।

মাঝেমধ্যে আপনাকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়

মিডিয়ায় এটি কমন। অনেক গুণী শিল্পীও সমালোচনায় পড়েন। আমি তো তাদের তুলনায় নগণ্য। সব মানুষের ভালো-মন্দ দুটি দিক থাকে। আমার মন্দ দিকগুলো যদি কেউ আমাকে ধরিয়ে দেয়, তা থেকে আমি শিখি। যে জন্য সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখি।


আফগানিস্তান যেন সন্ত্রাসী ও উগ্রপন্থী দলের আশ্রয়স্থলে পরিণত না হয় সেটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে জোর দিয়েছে সৌদি আরব। এছাড়া আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতির অবনতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করবে বলেও রোববার জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফরহান। আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বিশেষ সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় আফগানিস্তানে ইসলামী স্টেটের (আইএস) সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের পতন বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাবে।  এই বিশৃঙ্খলা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেরও প্রভাব ফেলবে।

এ সময় প্রিন্স ফয়সাল বিন ফরহান বলেন, চলমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা শুরু করবে সৌদি আরব।  

জাতিসংঘের মতে, আফগানিস্তান ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে একটির’ সম্মুখীন হয়েছে। এদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিও আফগানিস্তানে ভবিষ্যতে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের করলে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে।

চলতি বছরের ২১ আগস্ট তালেবান দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এ পর্যন্ত কোনো দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। 


দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। কয়েকদিন ধরে জেলায় ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। বিকাল থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার পাশাপাশি উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাস বইছে। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবারও (১৮ ডিসেম্বর) এখানে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ থেকে পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, দিনে রোদের তেজ থাকায় রবিবার ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি, শনিবার ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি, শুক্রবার ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি এবং বৃহস্পতিবার ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  

Winter-2

এদিকে এবার পঞ্চগড়ে একটানা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও দিন ও রাতের তাপমাত্রার বেশ পার্থক্য থাকছে। রাতে ও সকালে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে, আবার দিনের মধ্যভাগে থাকছে রোদের তাপ।

জেলা শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে। সেই সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগররা। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো সাবধানে যাতায়াত করছে। দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

তীব্র শীতে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। তাদের কাজে অংশ নিতে দেরি হচ্ছে। এ ছাড়া অনেকে কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রাণোচ্ছাসের অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিলন জানান, সরকারি বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সবাই এখানে কম্বল বিতরণ করছেন। গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্য জ্যাকেট, সোয়েটার বিতরণ করতে পারলে ভালো হয়। 

Winter-3

জেলা পরিবেশ পরিষদের সভাপতি ও পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক তৌহিদুল বারী বাবু জানান, দ্রুত সূর্য উদয় হওয়ায় তাপমাত্রা প্রখর হয়। ফলে কুয়াশা ফরমেশন হয় না। এজন্য দিনের বেলা তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালের মতোই থাকে। বিকালে দ্রুত তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাতে ও সকালে তাপমাত্রা কম হচ্ছে।  ভুগোলের ভাষায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পঞ্চগড়ে ‘সান রাইজ টু সানসেট’ আবহাওয়ার তারতম্যের সৃষ্টি হচ্ছে। 

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, শীতবস্ত্রের চাহিদা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আরও শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া যাবে। 


বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে শ্রম বাজার নিয়ে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সম্পন্ন হয়েছে। মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান এবং বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ চুক্তিতে সই করেন।

আজ রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এ চুক্তি সই হয়। এ সময় উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় নেওয়া, আবাসন, এবং দেশে ফেরত পাঠানোসহ মালয়েশিয়াপ্রান্তের যাবতীয় খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা। মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, কোভিড পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সব ধরনের ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বীমা, চিকিৎসা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করবে।

সমঝোতা স্মারক সই করতে ভোরে মালয়েশিয়ায় পৌঁছান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মালয়েশিয়া নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বিমানবন্দরে মন্ত্রী ইমরানকে স্বাগত জানান। শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, শ্রম কাউন্সিলর (দ্বিতীয়) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের ও কমিউনিটি নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিক নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। দেশটিতে ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় মালয়েশিয়াপ্রবাসী যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে এসেছিলেন পরে তাদের জন্যও দেশটিতে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget