Latest Post
অর্থনীতি অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া-ক্রিকেট-দল আওয়ামী-লীগ আদালত আন্তর্জাতিক আন্দোলন আরো আর্থিক-খাত ইরফান-খান ইসলামীক উদ্যোগী-নারী এশিয়া এসএসসি-পরীক্ষা করোনা বাংলাদেশ করোনা-বিশ্ব করোনাভাইরাস ক্রিকেট খুলনা-বিভাগ খেলা খেলাধুলা গোপালগঞ্জ চাকরি চাকরিবাকরি চাকরির-খবর চিকিৎসা চীন চুরি ছাত্রদল জগন্নাথপুর জয়পুরহাট জাতিসংঘ জাতীয় জাতীয়-পার্টি জো-বাইডেন ঝালকাঠি টি-টোয়েন্ট-বিশ্বকাপ টিকা টেবিল-টেনিস ডোনাল্ড ট্রাম্প ঢাকা-বিভাগ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি তথ্যমন্ত্রী তারকা নারী নিউজিল্যান্ড নিয়োগ নেইমার পরিবেশ পাইলসের-সমস্যা-১০-উপায় পাকিস্তান পানি পিএসজি পিএসসি পেশা পোশাক প্রযুক্তি প্রযুক্তি-পণ্য ফুটবল ফ্যাশন বগুড়া বরিশাল বরিশাল-বিভাগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ-ভারত-সম্পর্ক বাণিজ্য বাবুগঞ্জ বিএনপি বিনিয়োগ বিনোদন বিয়ে বিরাট-কোহলি বিশেষ-সংবাদ বিসিএস ব্যাংক ভর্তি-পরীক্ষা ভারত ভোটাররা-কেন্দ্রে-যেতে-পারলে মতামত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র-নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে রংপুর রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রোহিঙ্গা শাবনূর শিক্ষা শেয়ারবাজার সড়ক-দুর্ঘটনা সযুক্তরাষ্ট্র সরকারি-চাকরি সাকিব-আল-হাসান সিনেমা সিলেট-বিভাগ সোনালী-ব্যাংক স্বাস্থ্য হামলা হাসপাতাল

 


দেশে আবারও করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচশর কাছাকাছি পৌঁছেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৯৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক করোনা রোগীর।

একদিনে শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা ১১ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর এরচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫১১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচশর নিচে ছিল।  

পরীক্ষা বিবেচনায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর হারও আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বুধবার পৌনে ১৬ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এক্ষেত্রে শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৩৭। এর আগে গত ১১ অক্টোবর শনাক্তের হার এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ হয়েছিল।

এই নিয়ে সর্বমোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৮ জনে। তাদের মধ্যে মোট ২৮ হাজার ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৩৭২ জন। এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪১৬ জন সুস্থ হয়ে উঠছেন।



এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর)। একযোগে সকল শিক্ষা বোর্ডের ফল বেলা ১২টায় শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২১-এর ফল ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এসএমএস-এর মাধ্যমেও একযোগে ফল প্রকাশ হবে। কেন্দ্র সচিবদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তাদের পরীক্ষার্থীদের ফল সংগ্রহ করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN-এর মাধ্যমে ফল ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার্থীরা www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল সংগ্রহ করতে পারবে।

১৬২২২ নম্বরে এসএমএস-এর মাধ্যমেও ফল পাওয়া যাবে। এর জন্য যেকোনও মোবাইল অপারেটরের নম্বর থেকে SSC < > Board Name (first 3 letter) <  > Roll < > Year লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

উল্লেখ্য শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকা অফিসে কোনও ফল পাওয়া যাবে না।

পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএস-এর মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে। আবেদন পদ্ধতি শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যাবে।



মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজগুলোকে মধ্যপ্রাচ্যের বদলে ভূমধ্যসাগরে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ইউক্রেন সীমান্তে হাজার হাজার রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে তৈরি হওয়া আশঙ্কায় এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং এর সঙ্গে থাকা পাঁচটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের সময়সূচি বদলের মাধ্যমে ইউরোপে অবস্থান ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা প্রতিফলিত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ওই অঞ্চলের মার্কিন মিত্র ও সহযোগীদের আশ্বস্ত করতে এটা প্রয়োজন রয়েছে।

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়াতে শুরু করে রাশিয়া। সর্বোচ্চ দশ হাজার পর্যন্ত সেনা সমাবেশ ঘটায় মস্কো। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্ররা আশঙ্কা করে যে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপরেই সেটিকে তাদের সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেয়। সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ওই সংঘাতে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেনের শিল্পাঞ্চল।

ইউক্রেনে নতুন কোনও আগ্রাসন চালানোর কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এর বদলে তারা অভিযোগ তুলেছে মস্কো সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করতে শক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছে ইউক্রেন। তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।

মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এর বহরে রয়েছে পাঁচটি জাহাজ। এর মধ্যে ক্রজার ইউএসএস স্যান জ্যাসিন্টো এবং গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস কোলে, ইউএসএস বেইনব্রিজ, ইউএসএস গ্রেভলি এবং ইউএসএস জ্যাসন ডানহাম রয়েছে।

ট্রুম্যান গত ১ ডিসেম্বর ভার্জিনিয়ার নরফোলক বন্দর ছেড়ে যায় এবং ১৪ ডিসেম্বর ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করে। এটির পারস্য অঞ্চলে থাকার কথা ছিল।



মার্কিন এক পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হয় ১৪ বছর বয়সী এক শিশু। পরবর্তীতে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে মায়ের কোলে। যুক্তরাষ্ট্রের লজ এঞ্জেলেসে ঘটেছে এই ঘটনা। 

বিবিসির অনলাইন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর ভ্যালেন্টিনা ওরেলানা-পেরাল্টা নামের ওই শিশু মায়ের সঙ্গে এক কাপড়ের দোকানে ছিলেন। এসময় পুলিশ সন্দেহভাজনকারীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশের বুলেট দেয়ালে লেগে উল্টো ওই শিশুকে বিদ্ধ করে। 

ওই শিশুর মা সোলেদাদ পেরাল্টা কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঘটনার বিবরণ দেওয়ার সময় বলেন, সেসময় তিনি তার শিশুকে বাঁচানোর জন্য পুলিশদের হাতজোড় করে অনুরোধ করেন, কিন্তু তারা তাদেরকে ফেলে চলে যায়। 

এক আইনজীবীর পড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পেরাল্টা বর্ণনা করেছেন তিনি এবং তার মেয়ে চেঞ্জিং কক্ষের বাইরে হৈচৈ এবং চিৎকার শুনতে পান। এরপর তারা বসে পরেন এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরে প্রার্থনা শুরু করেন। 

পেরাল্টা বলেন, এরপর তিনি বুঝতে পারেন তার মেয়েকে কিছু একটা বিদ্ধ করেছে যাতে করে তারা দুইজনে ফ্লোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

তিনি আরো বলেন, এসময় তার মেয়ে ভ্যালেন্টিনার শরীর 'নিস্তেজ' হয়ে পরে এবং তিনি তাকে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু সে আর জেগে উঠেনি। 

পেরাল্টা বলেন, তার বাহুতে মেয়ের মৃত্যু হয়। এসময় সাহায্যের জন্য তিনি চিৎকার করেছেন কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।

'শেষমেশ যখন পুলিশ আসে তারা ড্রেসিং রুম থেকে আমাকে বের করে নেয় এবং আমার মেয়েকে সেখানে শোয়া অবস্থায় থাকে। আমি তাদেরকে সাহায্যের জন্য বলেছি,কিন্তু তারা তাকে একাকি অবস্থায় ফেলে আসে', বলেন তিনি।  

লস এঞ্জেলস পুলিশের প্রধান মাইকেল মুর এই ঘটনাকে 'বিশৃঙ্খল ঘটনা' উল্লেখ করে এর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে স্বচ্ছ তদন্তের অঙ্গীকার করেছেন।   

ভারতের হরিদ্বারে হিন্দু সাধুসন্তদের একটি ধর্মীয় সমাবেশ থেকে প্রকাশ্যে মুসলিম নিধন ও গণহত্যার ডাক ওঠার পর তার জেরে ভারতকে এখন কূটনৈতিক বিড়ম্বনাতেও পড়তে হচ্ছে।

হরিদ্বারের ওই সমাবেশ থেকে যেভাবে মুসলিমদের হত্যার কথা বলা হয়েছে তাতে তাদের উদ্বেগ জানাতে পাকিস্তান মঙ্গলবার ইসলামাবাদে ভারতের দূতকেও ডেকে পাঠিয়েছিল।

পাকিস্তানে ভারতের সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ, ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের শার্জ দ্য'ফেয়ারকে তলব করে ওই ঘটনায় পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতিবাদও জানিয়েছে।

তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে হরিদ্বারের ওই বিতর্কিত সমাবেশ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

শাসক দল বিজেপির নেতারা কেউ কেউ শুধু বলেছেন, ওই ধর্মীয় সমাবেশের সঙ্গে তাদের বা সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।

এর আগে হরিদ্বারের ওই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টকে স্বত:প্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিতেও আর্জি জানিয়েছেন ভারতের শীর্ষ আইনজীবীরা।

দেশের প্রধান বিচারপতিকে লেখা এক খোলা চিঠিতে ৭৬জন সিনিয়র আইনজীবী বলেছেন, এই গণহত্যার আহ্বানের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপ খুব জরুরি - কারণ প্রশাসন কিছুই করছে না।

ইতিমধ্যে হরিদ্বারের ওই সমাবেশে বক্তাদের বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণের নানা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে মুসলিমদের নির্মূল করতে সরাসরি অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

কিন্তু ঘটনার পর প্রায় দিন দশ-বারো কেটে গেলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করেনি।

মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক কথা বলার জন্য পরিচিত গাজিয়াবাদের বিতর্কিত হিন্দু সাধু ইয়তি নরসিংহানন্দের উদ্যোগে হরিদ্বারে একটি ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল গত ১৭ থেকে ২০শে ডিসেম্বর।

সেই সমাবেশে সাধুসন্তরা যেভাবে প্রকাশ্যে মুসলিমদের 'এথনিক ক্লিনসিং' বা গণহত্যার ডাক দিয়েছেন, তা দেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে তীব্র আলোড়ন ফেলেছে।

'হিন্দু রক্ষা সেনা'র প্রবোধানন্দ গিরিকে সেই সমাবেশে বলতে শোনা যায়, "হিন্দুদের হয় মরার জন্য প্রস্তুত থাকতে হব - নইলে মরতে হবে।"


এদেশের পুলিশ, সেনা, রাজনৈতিক নেতা ও প্রত্যেক হিন্দুকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্মূল অভিযানে নামারও ডাক দেন তিনি।

এই সন্ন্যাসীকে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে প্রায়শই দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি পোস্ট করেন যোগী আদিত্যনাথ বা উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার ছবি।

সাধ্বী অন্নপূর্ণা নামে একজন সন্ন্যাসিনী বলেন, "ওদের নিকেশ করতে হলে মারতে হবে - আমাদের একশোজন হিন্দু সেনা চাই যারা ওদের বিশ লক্ষকে খতম করতে পারবে।"

সমাবেশে বক্তারা অনেকেই দেশে হিন্দুত্ববাদী বা 'গৈরিক' সংবিধান চালু করারও দাবি জানান।

সমাজকর্মী রাম পুনিয়ানি বিবিসিকে বলছিলেন, "সবচেয়ে আক্ষেপের বিষয় হল এই সব ভিডিও সামনে আসার পরও দেশের মিডিয়া এগুলোকে গুরুত্ব দেয়নি, পুলিশও চারদিন পর দায়সারা এফআইআরের বেশি কিছু করেনি।"

"আর এইভাবে ক্রমাগত আমরা মুসলিমদের কোণঠাসা করে ঘেটো-তে ঠেলে দিচ্ছি, তাদের মধ্যে অরক্ষিত থাকার ভয় আর আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসছে।"

ভারতের নামী ঐতিহাসিক ইরফান হাবিবও মনে করছেন, রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে এই চরম ঘৃণার নিন্দা হওয়া উচিত।

সেই সঙ্গেই তাঁর আক্ষেপ, "রাষ্ট্র দোষীদের বিরুদ্ধে কিছুই করছে না। এই ধরনের লোকজন দেশে আগেও ছিল, কিন্তু এই প্রথম তারা কোনও শাস্তির ভয় ছাড়াই বুক ফুলিয়ে গণহত্যার ডাক দিতে পারছে।"

"মিয়ানমারের মতো এদেশেও একটি জাতিগোষ্ঠীর লোককে নিকেশ করার, দেশ থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে - আর আমরা বসে বসে দেখছি।"

উত্তরাখন্ড রাজ্যের পুলিশ প্রথমে হাত গুটিয়ে থাকলেও ওই ধর্ম সংসদ শেষ হওয়ার চারদিন পর একটি এফআইআর রুজু করে মাত্র একজনকে অভিযুক্ত করে - পরে তাতে আরও দুজনের নাম যোগ করা হয়।

এখনও ওই সমাবেশের বক্তাদের কাউকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয়নি, আর এই নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রশান্ত ভূষণ, দুষ্যন্ত দাভে বা সালমান খুরশিদের মতো দেশের শীর্ষ আইনজীবীরা।

প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানাকে লেখা চিঠিতে অন্যতম স্বাক্ষরকারী রামাকান্ত গৌড় বলছিলেন, "আমরা এই হস্তক্ষেপ চাইতে বাধ্য হয়েছি কারণ সংবিধানের অন্য স্তম্ভগুলো - নির্বাহী বিভাগ বা রাজনৈতিক নেতৃত্ব সবাই একেবারে নীরব।"

"না কি তাদের এই বক্তব্যে সায় আছে? এটা আসলে ভীষণই বিচলিত করার মতো ব্যাপার!"

শীর্ষ বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যে কেউ এই ধর্ম সংসদের আহ্বানকে অবশ্য সমর্থন করেননি, তবে বিজেপি ভাবধারার তাত্ত্বিকরা কেউ কেউ মুসলিম নেতাদের বিতর্কিত আহ্বানের প্রসঙ্গও তুলনায় টেনে আনছেন।

দিল্লি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গীতা ভাট যেমন যুক্তি দিচ্ছেন, মাত্র দুবছর আগে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময়েও মুসলিম নেতারা অনেক বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন।

"ব্যাঙ্গালোরে এআইএমআইএমের একজন নেতা তো এমনও বলেছিলেন, আমরা সংখ্যায় মাত্র ১৫ কোটি হলেও ওদের উচিত শিক্ষা দিতে পারি, আজাদি ছিনিয়ে নিতে পারি।''

''তা ওই সব বক্তব্যের জন্য কেউ কি গ্রেপ্তার হয়েছে, বা কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে?", বলছেন অধ্যাপক ভাট ।

তবে হরিদ্বারে হিন্দু সাধুসন্তরা যে ধরনের ভাষণ দিয়েছেন, আসলে কোনও যুক্তিতেই তার সাফাই হয় না বলে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ার গরিষ্ঠ অংশের মত।

তালেবানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে একদল আফগান নারী।  নারীদের অধিকারগুলোকে যেন সম্মান জানানো হয় এনিয়ে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নারীরা মিছিল করে। সেইসঙ্গে অভিযোগ করে, তালেবান কর্তৃপক্ষ গোপনে সেনাদের হত্যা করছে যারা মার্কিন সমর্থক সরকারকে সাহায্য করেছিল। 

এএফপির সাংবাদিকের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ৩০ জন নারী কেন্দ্রীয় কাবুলে এক মসজিদের কাছে জড়ো হয় এবং প্রায় শ মিটার খানেক দূরত্ব মিছিল করে। এসময় তারা 'জাস্টিস' 'জাস্টিস' বলে স্লোগান দিতে থাকে। তবে তালেবান বাহিনী তাদের মিছিল বন্ধ করে দেয়।

নায়েরা কোহিস্তানি নামে এক নারী বিক্ষোভকারী বলেন, আমি বিশ্বকে বলতে চাই, তালেবানদের বলতে চাই হত্যা বন্ধ করুন। আমরা স্বাধীনতা চাই, আমরা বিচার চাই, আমরা মানবাধিকার চাই। 

এছাড়া তালেবান কর্তৃপক্ষ ওই বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা সাংবাদিকদের বাধা দেন। তালেবান যোদ্ধারা এসময় একদল রিপোর্টারকে আটক করে রাখেন। কিছু ফটোসাংবাদিকের সরঞ্জাম কেড়ে নেন এবং ক্যামেরা থেকে ছবি মুছে দেন। এরপর ক্যামেরা ফিরে দেন। চলতি বছরের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর অনুমোদন ছাড়া বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী এ মুহূর্তে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি। আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে তাঁর স্বাস্থ্য। উপসর্গ মৃদু হলেও বিসিসিআই সভাপতিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পেছনে হৃদ্‌রোগ একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। এ বছরই শুরুতে হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বুকে বসাতে হয়েছে স্টেন্ট। প্রায় এক বছর বাদে তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে এবার হৃদ্‌রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে করোনার নতুন ধরন অমিক্রন। ভারতে তো এরই মধ্যে অমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে বিপজ্জনক হারে।

সৌরভের করোনার ধরন অমিক্রন কি না, সেটি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারই পাওয়া যাবে সেই রিপোর্ট। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, হাসপাতালে ভালোই আছেন সাবেক এ অধিনায়ক। জ্বর, কাশি কোনোটিই নেই। তবে সামান্য সর্দি আছে। শরীরে কিছুটা অস্বস্তিও বোধ করছেন।

হৃদ্‌রোগী হওয়ায় কোনো ঝুঁকিই নিচ্ছে না সৌরভের পরিবার। বেঙ্গালুরু থেকে সৌরভকে দেখছেন বিখ্যাত হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। আরেক হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ আফতাব খানের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে তাঁকে ওষুধ হিসেবে দেওয়া হয়েছে মনক্লোনাল ককটেল অ্যান্টিবডি ও ডক্সিসাইক্লিন। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সৌরভ।

বেশ কয়েক দিন ধরেই ঠান্ডা–সর্দিতে আক্রান্ত ছিলেন সৌরভ। এরপর জ্বর এলে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। একই সঙ্গে স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলী আর মেয়ে সানা গাঙ্গুলীরও করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁরা দুজনই অবশ্য নেগেটিভ হন। এর পরপরই উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

এ বছরের ২ জানুয়ারি নিজ বাড়িতে ট্রেডমিলে হাঁটার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভূত হয় সৌরভের। হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায় তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের ধমনিতে ব্লক। এরপর অ্যানজিওপ্লাস্টি করা হয়। ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকেই নিয়মতান্ত্রিক জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। তবে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে কর্মব্যস্ততা তো তাঁর আছেই।

কদিন আগেই খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন বিরাট কোহলির সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে। কোহলিকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে সৌরভ মুখ খোলেন। পরে কোহলি সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলে কিছুটা বেকায়দাতেই পড়েন বিসিসিআই সভাপতি। অধিনায়কত্ব ইস্যুতে সৌরভের কথা বলাটা ইতিবাচক চোখে দেখেননি ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। তাঁদের ভাষ্য ছিল, সৌরভ এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ করেছেন অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হঠাৎ করে ইসরায়েল সফর করেছেন। বিরল এ সফর নিয়ে দেশ দুটিসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে পৌঁছান আব্বাস। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর রোশ হায়াইনে বেনি গান্তজের বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। খবর এএফপির২০১০ সালের পর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির এটাই প্রথম সফর। তাদের মধ্যে নিরাপত্তা ও নাগরিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তাদের এই বৈঠকের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েলের বিরোধী দল লিকুদ পার্টি ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

বৈঠকের পর বেনি গান্তজ বলেছেন, আমরা অর্থনৈতিক ও নাগরিক পদক্ষেপের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। এতে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মঙ্গলের জন্য সন্ত্রাস ও সহিংসতা রোধ এবং নিরাপত্তা সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনের সঙ্গে 'আস্থা-নির্মাণ পদক্ষেপ' ঘোষণা করে। এর আওতায় ফিলিস্তিনকে ৩২ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার এবং ইসরায়েলজুড়ে ব্যবসার জন্য তাদের ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত ৬০০ অনুমতি পাস দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বুধবার ফিলিস্তিনের সিভিল অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক মন্ত্রী হুসেন আল শেখ বলেছেন, রাজনৈতিক সংকটের সমাধান ইস্যুতে আব্বাস ও গান্তজের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দুই নেতা ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের কাজে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।

লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের বৈঠক ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

হামাস এই সফরের কড়া সমালোচনা করে এক বিবৃতিতে বলেছে, মাহমুদ আব্বাসের এই সফর ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেম বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শীর্ষ নেতৃত্বের এমন ব্যবহার দেশটির রাজনৈতিক বিভাজনকে গভীর করবে ও সার্বিক পরিস্থিতি জটিল করবে। সর্বোপরি আঞ্চলিকভাবে অবৈধ দখলদারদের সঙ্গে যারা ভালো সম্পর্ক রাখতে বা সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় তাদের উৎসাহিত করবে এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্বল করবে।

কাশেম ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলা দেশ হিসেবে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো ও সুদানের নাম উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করার পর এসব দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।



যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ফ্রান্স, ইতালি, গ্রিস এবং পর্তুগালে একদিনে করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে অতি উচ্চ মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে। ক্রমশ কোভিডের সব থেকে প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠছে এটি। গত ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে কোভিড শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড এক লাখ ৮০ হাজার জনের। যুক্তরাষ্ট্রেও এ যাবৎকালের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৪১ হাজার ২৭৮ জন নতুন করে আক্রান্তের রেকর্ড গড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রধান দুই শহর মুম্বই ও দিল্লিতেও একদিনের ব্যবধানে যথাক্রমে ৭০ ও ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড সংক্রমণ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা ও বিবিসি।

গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে, তার মধ্যে শতকরা ১১ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
বহু দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ভাইরাসটির বিস্তার দ্রুততর হয়েছে। বহু দেশে এর আগে আধিপত্য বিস্তারকারী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ছাড়িয়ে গেছে ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার করোনাভাইরাস মহামারি বিষয়ক সাপ্তাহিক আপডেট তথ্যে এসব কথা বলেছে। তারা বলেছে, বৃটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশে প্রাধান্য বিস্তার করছে ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অব্যাহত তথ্যপ্রমাণ বলছে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। এতে এই ভ্যারিয়েন্ট আগের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ছাড়িয়ে গেছে।

ওদিকে, বুধবার অস্ট্রেলিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নতুন রেকর্ড করেছে। ওমিক্রনের দ্রুতগতির বিস্তারের কারণে এমন রেকর্ড হচ্ছে। দেশটির জনপ্রিয় রাজ্যগুলোতে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপচে পড়ছে মানুষে। নিউ সাউথ ওয়েলসে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সিডনিতে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ ভিড়।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে প্রথম রাজ্য হিসেবে কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যটি মঙ্গলবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গত রোববার টেক্সাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল কমপক্ষে ৪৪ লাখ। ফ্লোরিডায় ৩৯ লাখ। এ পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়াতে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন কমপক্ষে ৭৫ হাজার ৫০০ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্যমতে, সোমবার একদিনে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। সিডিসি বলেছে, বড়দিন ও নতুন বছরের পরে এই সংখ্যা কমে আসতে পারে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউরোপে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৫৭ ভাগ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে তা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৩০ ভাগ। সিডিসির তথ্যমতে, ২৭শে ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ২৭৮। এটাই যুক্তরাষ্ট্রে এযাবৎকালের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।

এদিকে ভারতের মুম্বই এবং দিল্লিতে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৭০ ও ৫০ ভাগ। বুধবার এই সংক্রমণ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। মঙ্গলবার আর্থিক রাজধানী মুম্বইয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৯ জন। মারা গেছেন তিনজন। সেখানে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। ৮ই ডিসেম্বর থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে শতকরা ১৮৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা। অন্যদিকে ‘হলুদ সতর্কতা’র অধীনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলেছে, ২রা জুনের পর সেখানে একদিনে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, এ অবস্থায় যখন মার্কেট ও মলগুলোতে মানুষের ভিড় দেখতে পাই, তখন হতাশ হই আমরা। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে আমাদেরকে মার্কেটগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি জানি আপনারা সবাই বিধিনিষেধের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, এক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই।

নতুন বিধিনিষেধের অধীনে স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল এবং জিম বন্ধ থাকবে। মল এবং দোকানপাট খোলা থাকবে জোড়-বেজোড় ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। দিল্লিতে মেট্রো চলবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ।

অন্যদিকে নতুন করে মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৭২ জন। মারা গেছেন ২২ জন। তবে বুধবার সেখানে ওমিক্রনে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ২৭শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেছেন, যদি রাজ্যে অক্সিজেনের চাহিদা দিনে ৮০০ টনে দাঁড়ায় তাহলেই শুধু লকডাউন দেয়া হবে। সম্প্রতি রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে প্রকাশ্যে ৫ জনের বেশি মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত চিত্রনায়িকা পরীমণির অনেক ছবি ও ভিডিওকে অশ্লীল আখ্যা দিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তা অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ভবিষ্যতে সব ধরনের অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি—যার কোনও শৈল্পিক মূল্য নেই; এমন বিষয় থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকার জন্য তাকে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিএফডিসির ঠিকানায় পরীমণিকে এ নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এবং ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ইসমাতুল্লাহ লাকী তালুকদার। 

নোটিশে বলা হয়, পরীমণি গত ১ সেপ্টেম্বর মাদক মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় তার হাতের তালুতে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর পরীমণি মামলার শুনানির জন্য আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। সেদিনও হাতের তালুতে যা লেখা ছিল তা অশ্লীল। 

এছাড়া পরীমণি গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার হোটেল রেডিসন ব্লুতে ৩০তম বার্থডে পার্টির আয়োজন করেন। সেদিন তার পোশাক ও প্রদর্শিত অঙ্গভঙ্গি অশ্লীল বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়, পরীমণি একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিধায় অনেকেই তাকে অনুসরণ করে। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। শিশু-কিশোরদের গণ্ডি ছোট থাকে। চোখের সামনে তারা যা দেখে অনায়াসে তা আয়ত্ত করে ফেলে। তাই পরীমণিকে এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

এতে বলা হয়, পর্নোগ্রাফি আইন-২০১২ সালের ২-এর ‘গ’ উপধারায় ‘যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনও অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যা চলচ্চিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থিরচিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনও উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোনও শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই’ তাকে পর্নোগ্রাফি বলা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে একই আইনের ৮ ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি প্রদর্শনের মাধ্যমে গণউপদ্রব সৃষ্টি করিলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং ওইরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। পর্নোগ্রাফি আইনের অপরাধগুলো আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য নয়।’

পরীমণি পর্নোগ্রাফি আইনে গ্রাফিকস বা অন্য কোনও উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোনও শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই সংজ্ঞা মতে অপরাধ করেছেন। বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতির সুন্দর ঐতিহ্য আছে। পরীমণির কাছ থেকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের একজন শিল্পী হিসেবে সংযত ও দায়িত্বশীল আচরণ সবাই প্রত্যাশা করেন।

লিগ্যাল নোটিশে আইনজীবীরা বলেন, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পরীমণি যদি অশ্লীল সব অডিও-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে না নেন এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত না থাকেন; তবে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ড্রাফটেই অবশ্য দল গোছানো শেষ নয়। ড্রাফটে দল না পাওয়া ক্রিকেটাদের নেওয়ার সুযোগ আছে সব দলেরই। প্রতি দলের স্কোয়াডে সর্বোচ্চ ১৪ জন দেশি ও ৮ জন বিদেশি নিতে পারবে প্রতি দল। মোট ২২ জনের স্কোয়াড পূরণ হয়নি এখনও কোনো দলেরই।

ড্রাফট শেষে দেখে নেওয়া যাক, কোন দলের চিত্র কেমন দাঁড়াল।

বিপিএলে কে কোন দলে:

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স:

ড্রাফটের আগে: মুস্তাফিজুর রহমান, ফাফ দু প্লেসি, সুনিল নারাইন, মইন আলি।

ড্রাফট থেকে:  লিটন দাস, শহিদুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, তানভির ইসলাম, আরিফুল হক, নাহিদুল ইসলাম, কুসল মেন্ডিস, ওশেন টমাস, মাহমুদুল হাসান জয়, সুমন খান, মুমিনুল হক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, পারভেজ হোসেন ইমন, আবু হায়দার রনি ও মেহেদি হাসান।

ঢাকা:

ড্রাফটের আগে: মাহমুদউল্লাহ, নাজিবউল্লাহ জাদরান, ইসুরু উদানা, কাইস আহমেদ।

ড্রাফট থেকে: তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, শুভাগত হোম চৌধুরি, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আরাফাত সানি, মোহাম্মদ শাহজাদ, ফজলহক ফারুকি, ইমরান উজ জামান, শফিউল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, শামসুর রহমান, ইবাদত হোসেন চৌধুরি।

সিলেট সানরাইজার্স:

ড্রাফটের আগে: তাসকিন আহমেদ, দিনেশ চান্দিমাল, কেসরিক উইলিয়ামস, কলিন আলেক্সজান্ডার।

ড্রাফট থেকে: মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, আল আমিন হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, এনামুল হক, সোহাগ গাজী, রবি বোপারা, অ্যাঞ্জেলো পেরেরা, অলক কাপালী, মুক্তার আলি, সিরাজ আহমেদ, মিজানুর রহমান, নাদিফ চৌধুরি, জুবায়ের হোসেন লিখন ও শফিউল হায়াত হৃদয়।

খুলনা টাইগার্স:

ড্রাফটের আগে: মুশফিকুর রহিম, থিসারা পেরেরা, নাভিন উল হক, ভানুকা রাজাপাকসে।

ড্রাফট থেকে: শেখ মেহেদি হাসান, সৌম্য সরকার, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইয়াসির আলি চৌধুরি, ফরহাদ রেজা, রনি তালুকদার, সিকুগে প্রসন্ন, সিকান্দার রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, জাকের আলি, নাবিল সামাদ।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স:

ড্রাফটের আগে: নাসুম আহমেদ, কেনার লুইস, বেনি হাওয়েল, উইল জ্যাকস।

ড্রাফট থেকে:  শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মুকিদুল ইসলাম, রেজাউর রহমান রাজা, সাব্বির রহমান, চাডউইক ওয়ালটন, রায়াদ এমরিট, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, মেহেদি হাসান মিরাজ, আকবর আলি, নাঈম ইসলাম।

ফরচুন বরিশাল:

ড্রাফটের আগে: সাকিব আল হাসান, ক্রিস গেইল, মুজিব উর রহমান, দানুশকা গুনাথিলাকা।

ড্রাফট থেকে: নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান রানা, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, তৌহিদ হৃদয়, জিয়াউর রহমান, ওবেড ম্যাককয়, আলজারি জোসেফ, শফিকুল ইসলাম, সৈকত আলি, নিরোশান ডিকভেলা, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, সালমান হোসেন ও ইরফান শুক্কুর।


‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বলিউড তারকা সানি লিওনের বিরুদ্ধে ।‘মধুবন মে রাধিকা নাচে’ শিরোনামে একটি গানের মিউজিক ভিডিওতে পারফর্ম করায় তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলা হয়। এমনকি ওই মিউজিক ভিডিও নিষিদ্ধেরও দাবি জানিয়েছেন অনেকে। 

এবার ওই মিউজিক ভিডিও নিয়ে সরাসরি সানি লিওনকে হুমকি দিয়ে বসলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। রোববার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নরোত্তম মিশ্র রোববার বলেন, সানি লিওনকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার নাচের ভিডিও নেটমাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে হবে।

১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কোহিনুর’ ছবির জনপ্রিয় গান ‘মধুবন মে রাধিকা নাচে’ গানটির রিমেক ভিডিওতে সানির নাচ থেকে  উত্তরপ্রদেশের মথুরার পুরোহিতরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। রাধার নামে কুরুচিকর গান তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

শুধু তাই নয় মথুরার পুরোহিতদের দাবি, ওই ভিডিওটি নিষিদ্ধ করা হোক। এই ভিডিও হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পুরোহিতদের একাংশ। এর পরই মন্ত্রী নরোত্তমের এই হুমকি দিলেন।

নরোত্তম মনে করছেন, এই গানটিতে খোলামেলা পোশাকে নাচ করে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন সানি। গানটি যারা রিমেক করেছেন, সেই শাকিব-তোশির বিরুদ্ধেও  একই অভিযোগ এনেছেন তিনি।


লাল-কালো-সাদা খোলামেলা পোশাক। বৃন্দাবনে রাধার বেশে একদা পর্ন-তারকা। রিমেক গানের স্রষ্টা ইসলামধর্মী শারিব-তোশী। একাধিক ক্ষেত্রে আপত্তি তুলে সদ্য মুক্তি পাওয়া সানি লিওনির গানের ভিডিয়ো ‘মধুবন মে রাধিকা নাচে’ নিয়ে জোর বিতর্ক জারি। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র ইতিমধ্যেই সরাসরি ‘হুমকি’ দিয়েছেন মডেল-অভিনেত্রীকে। রবিবার তিনি বলেছেন, ‘‘সানি লিওনিকে তাঁর ভিডিয়ো নেটমাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে হবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। অন্যথায় আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।’’ তার পরেই রবিবার রাতে একটি বিবৃতি জারি করে গানের সংস্থা ‘সারেগামা’। সংস্থা জানিয়েছে, তারা বিতর্কিত গানের কথা এবং নাম বদলে দিতে প্রস্তুত।

১৯৬০-এর ছবি ‘কোহিনুর’-এর জনপ্রিয় গান ‘মধুবন মে রাধিকা নাচে’। তারই রিমেক ভিডিয়ো হিসেবে তৈরি হয়েছে এই গানটি। এর আগেই ভিডিয়োটি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মথুরার পুরোহিতেরা। তাঁদের অভিযোগ, রাধার নামে কুরুচিকর গান তৈরি হয়েছে। এই ভিডিয়ো হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে দাবি করেছেন ওই পুরোহিতদের একাংশ।

রবিবার মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘কয়েক জন বিধর্মী ক্রমাগত হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করছে। ভিডিয়োটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি সানি লিওনি, শারিব এবং তোশিকে সতর্ক করছি। তাঁরা যদি তিন দিনের মধ্যে ক্ষমা না চান এবং গানটি সরিয়ে না দেন, তা হলে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’’
বিজেপির মন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির পরেই রাতে ‘সারেগামা’র বিবৃতি— ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এবং আমাদের সহ-নাগরিকদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে ‘মধুবন’ গানটির কথা এবং নাম বদলে দেব। আগামী তিন দিনের মধ্যে পুরনো ভিডিয়োটি বদলে নতুন ভিডিয়ো দেখা যাবে নেটমাধ্যমে।’

শুধু সানি নন, নরোত্তমের তোপের মুখে পড়েছিলেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ও। পোশাকশিল্পী তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে নিজের তৈরি করা মঙ্গলসূত্রের বেশ কয়েকটি ছবি দিয়েছিলেন। সেই বিজ্ঞাপনে মডেলদের পোশাক নিয়েই আপত্তি তোলে সমাজের একাংশ। বিজ্ঞাপনে অন্তর্বাস পরে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখা গিয়েছে মডেলদের। তাঁদের গলায় মঙ্গলসূত্র। সানির মতোই সব্যসাচীকে হুমকি দিয়েছিলেন নরোত্তম। বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি বাংলার পোশাক শিল্পী ওই মঙ্গলসূত্রের বিজ্ঞাপন সরিয়ে না নেন, তা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপি-র আইনি উপদেষ্টা আশুতোষ জে দুবে সব্যসাচীকে আইনি নোটিস পাঠালে সেই বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেন তিনি। 


ভারতের লখনৌতে ছাত্রীদের হোস্টেলে মাঝরাতে ঢুকে পড়ল একটি চিতাবাঘ।

রোববার মধ্যরাতে লখনৌ শহরের ইন্টিগ্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস হোস্টেলে ওই ঘটনায় চিতাবাঘটিকে তাড়াতে গিয়ে ১৫ জন আহত হয়েছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

পরে চিতাবাঘটিকে ধরতে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও সোমবার সকাল পর্যন্ত এটির নাগাল পাওয়া যায়নি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

লখনৌয়ের রাস্তায় গত দুদিন ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে চিতাবাঘটি। বড়দিনের রাতে সিসিটিভি ক্যামেরায় প্রথম তার ছবি ধরা পড়ে।

তার পর থেকে লখনৌয়ের পাহাড়পুর, আদিলনগর, কল্যাণপুর এলাকায় বারবার দেখা গেছে চিতাবাঘটিকে। যদিও এটিকে ধরার সব রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে চিতাবাঘের আক্রমণের ভয়ে বড়দিনের উৎসবের মধ্যেও বাধ্য হয়েই ঘরবন্দি ছিলেন নবাবনগরীর বাসিন্দারা।

আতঙ্ক এতটাই ছড়িয়েছে যে ‘বাঘ’ তাড়াতে কেউ বাড়ির ভেতরেই তারস্বরে গান বাজিয়েছেন। কেউ আবার গলা ছেড়ে পড়েছেন হনুমান চালিসা।

কল্যাণপুরের সীমান্তনগরের অঞ্জু যাদব নামে এক নারী জানিয়েছেন, তার ৫ বছরের সন্তান বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। তিনি ছিলেন ঘরের ভেতরে। ঠিক তখনই কেউ চিৎকার করে বলে তাদের কলোনিতে একটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছে।

মুহূর্তের মধ্যে কী যেন একটা হয়ে যায়। আমার স্বামী ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। আমি প্রচণ্ড ভয়ে চিৎকার করে হনুমান চালিসা আওড়াতে শুরু করি।

জানকিপুরমের পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য কোনো ঝুঁকি নেননি। চিতাবাঘটি ঘোরাফেরা করার খবর শুনে সেখানকার অনেকেই আগামী কয়েক দিনের বাড়িতে থাকার রসদ জুটিয়ে ঘরবন্দি হয়েছেন।

এরই মধ্যে ২৬ ডিসেম্বর রাতে খবর আসে কল্যাণপুর এলাকা লখনৌয়ের ইন্টিগ্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হোস্টেলে ঢুকে পড়েছে চিতাবাঘটি।

রোববার রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘটে ঘটনাটি। মধ্যরাতে হইচই পড়ে যায় হোস্টেলে। চিতাবাঘটিকে ধরতে গিয়ে ১৫ জন জখম হন।

 


ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক।

কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

খবরটি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ পায়। ফলে গ্রেপ্তার এড়াতে দাড়ি-গোফ কেটে ভ্রু প্লাক করে চেহারা বদলে ফেলে। এরপর কক্সবাজার ছেড়ে এসি বাসে করে প্রথমে ঢাকায় আসে এ ঘটনার প্রধান আসামী আশিক ওরফে 'টর্নেডো'।

এরপর আরেকটি বাসে করে আশ্রয় নেয় মাদারীপুরের এক আত্মীয়ের বাসায়। সেখান থেকে কুয়াকাটায় গিয়ে আত্মগোপনের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে যাওয়ার চেষ্টাকালে রোববার রাতে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয়ের তিনজনকে  আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন, কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। এর মধ্যে হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ গ্রেপ্তারের পর এখন রিমান্ডে আছেন।

এদিকে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোসলেম উদ্দিন।

গতকাল দুপুরে কক্সবাজারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মোসলেম উদ্দিন বলেন, এই তিনজন হলেন কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ বাহারছড়া গ্রামের আবুল বশরের ছেলে রেজাউল করিম (৩০), একই গ্রামের মৃত সালাহ আহমদের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে মামুনুর রশীদ (২৮)। এর আগে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ নিয়ে আলোচিত মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সুপার মো. জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পর্যটককে ধর্ষণের মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ এর ঘণ্টাখানেক পর প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘পাঁচজন নয়; এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

অতিরিক্ত ডিআইজি মোসলেম উদ্দিন বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে সন্ত্রাসী আশিকের নেতৃত্বে স্বামী ও দুগ্ধপোষ্য শিশুকে আটকে রেখে পর্যটক নারীকে অপহরণ করে দলবদ্ধ সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গতকাল ভোরে তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষিতা নারীর স্বামীর করা মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো তিনজনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়। এই তিনজনই সেই অজ্ঞাতনামা আসামি।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget