ধর্ষণ ঘটনার পর ভ্রু প্লাক করে চেহারা বদলে ফেলে প্রধান আসামি | After the rape, the main accused changed his appearance by plucking his eyebrows

 


ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক।

কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

খবরটি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ পায়। ফলে গ্রেপ্তার এড়াতে দাড়ি-গোফ কেটে ভ্রু প্লাক করে চেহারা বদলে ফেলে। এরপর কক্সবাজার ছেড়ে এসি বাসে করে প্রথমে ঢাকায় আসে এ ঘটনার প্রধান আসামী আশিক ওরফে 'টর্নেডো'।

এরপর আরেকটি বাসে করে আশ্রয় নেয় মাদারীপুরের এক আত্মীয়ের বাসায়। সেখান থেকে কুয়াকাটায় গিয়ে আত্মগোপনের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে যাওয়ার চেষ্টাকালে রোববার রাতে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয়ের তিনজনকে  আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন, কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। এর মধ্যে হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ গ্রেপ্তারের পর এখন রিমান্ডে আছেন।

এদিকে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোসলেম উদ্দিন।

গতকাল দুপুরে কক্সবাজারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মোসলেম উদ্দিন বলেন, এই তিনজন হলেন কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ বাহারছড়া গ্রামের আবুল বশরের ছেলে রেজাউল করিম (৩০), একই গ্রামের মৃত সালাহ আহমদের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে মামুনুর রশীদ (২৮)। এর আগে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ নিয়ে আলোচিত মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সুপার মো. জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পর্যটককে ধর্ষণের মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ এর ঘণ্টাখানেক পর প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘পাঁচজন নয়; এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

অতিরিক্ত ডিআইজি মোসলেম উদ্দিন বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে সন্ত্রাসী আশিকের নেতৃত্বে স্বামী ও দুগ্ধপোষ্য শিশুকে আটকে রেখে পর্যটক নারীকে অপহরণ করে দলবদ্ধ সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গতকাল ভোরে তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষিতা নারীর স্বামীর করা মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো তিনজনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়। এই তিনজনই সেই অজ্ঞাতনামা আসামি।

ট্যাগ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget